শীত-সন্ধ্যা



আঁধার করিয়া হ্রদ গৃধ্র সম ধূসর পাখায়,
রাত্রি আসে, হায়!
দিবসের শবদেহ তাম্রনখে সবলে পাকড়ি’
চলিল সে উড়ি;
পশ্চিম গগন জুড়ি’ ছড়াইয়া পড়ে রক্তধার,
পশ্চাতে তাহার।
বিস্ময়ে চাহিয়া আছে সূক্ষ্ম পল্লবের পক্ষ্ম তুলি’
ঝাউ-তরুগুলি!
শত শত কৃষ্ণ ছায়া ছুটিয়াছে দস্যুর পিছনে,
ত্বরিত গননে।
আকাশ হইতে বীরে পউষের হিমার্দ্রবাতাসে,
চিন্তা নেমে আসে;
নির্বিশেষে সর্ব্ব জীব নীরব চরণে চলে, হায়!
বিস্মৃতি-গুহায়।

বায়ের্‌বম্।