কোকিল।

আরেক পাখী সে বেঁধেছিল বাসা,
অতিথির বেশে হ’ল তোর আসা,
বাসার সবে যে হ’ল কোণ-ঠাসা,
কোকিল! ওরে কোকিল!
অচেনা পক্ষী-জনকের কাছে,
অজানা পক্ষী-জননীর’ কাছে,
কণ্ঠে না জানি কি যে তোর আছে,
পাগল যাহে নিখিল!
ছাড়িয়া আপন কানন-নিবাস,—
যেথায় রূপালি কুসুমের হাস,
সুরে ভরি’ দিয়া ফাল্গুনী বাতাস
আয় তুই হেথা আয়!
কমলা-লেবুর শাখে নেমে পড়,
ফুলগুলি যা’র ঝরে ঝরঝর,
ফুল ঝরঝর গান নিরন্তর
আয়, আয় মধু-বায়!
সারাটি সকাল, সকল দুপুর,
সারা দিনমান শুনি ওই সুর,

লাগে না যেন গো কভু অমধুর
ও সুর আমার কাণে;
মন দিব ঘুষ,—এস,—নিয়ে যাও,
দূর দেশে আর হ’য়োনা উধাও,
কমলা-লেবুর শাখে গান গাও,—
থাক, থাক এইখানে।

‘ম-ন্যো-শু’ গ্রন্থ।