‘তীর্থসলিলে’র প্রায় ত্রিশটি কবিতা ‘সাহিত্যে’-প্রকাশিত হইয়াছিল, অবশিষ্ট নূতন।
‘তীর্থসলিল’ জগতের সমস্ত সাহিত্য-মহাপীঠ হইতে বিন্দু বিন্দু করিয়া সংগৃহীত হইয়াছে। এই পুস্তকে প্রকাশিত সমস্ত কবিতাই নানা দেশের, বিভিন্ন যুগের, বিচিত্র কবিতার পদ্যানুবাদ; ক্ষেত্রবিশেষে অনুবাদের অনুবাদ। সকল স্থলে মূলের ছন্দ রাখিতে পারি নাই; তবে, মূলের ভাব অক্ষুণ্ণ রাখিতে সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছি।
বিশ্বমানবের নানা বেশ, নানা মূর্ত্তি ও নানা ভাবের সহিত পরিচয় সাধনই এই গ্রন্থ প্রচারের প্রধান উদ্দেশ্য। আমার জ্ঞান ও শক্তিতে যতটুকু সম্ভব তাহা করিলাম, আশা করি ভবিষ্যতে যোগ্যতর জনের সাধনাবলে সমগ্র বিশ্বের ভাব সম্পদ বাঙ্গালী সাধারণের আরো একান্ত রূপে আপনার হইয়া উঠিবে।
পরিশেষে এই গ্রন্থ সম্বন্ধে যে সমস্ত কবি ও লেখকের নিকট আমি ঋণী তাঁহাদের প্রত্যেককে আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা বিনয়ের সহিত জ্ঞাপন করিতেছি।
কলিকাতা; ৭ই আশ্বিন; ১৩১৫।
শ্রীসত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উৎসর্গ।
বঙ্গীয় সাহিত্য-গগনের উজ্জল জ্যোতিষ্ক,
সমস্ত সৎ-সাহিত্যের বিচক্ষণ রসজ্ঞ,
বহু-ভাষা-বিদ্
মনস্বী শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্র নাথ ঠাকুর
মহোদয়ের করকমলে,
আন্তরিক শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ
এই ক্ষুদ্র চয়ন-গ্রন্থ খানি অর্পিত হইল।
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।