তীর্থ-সলিল/জাতীয় সঙ্গীত (বৈদিক ভারত)
জাতীয় সঙ্গীত।
(ঋগ্বেদ)
রথের অগ্রে ইন্দ্রের তেজ, মোরা পূজা করি তায়,
আমরা অটল শত্রুর ব্যূহে ইন্দ্রেরি মহিমায়;
তিনি আহ্বান শুনুন্ মোদের পূর্ণ রাখুন্ তূণ,
হীন শত্রুর ছিন্ন হউক অধম ধনুর্গুণ।
নিঃশেষে হত শত্রু যাঁহার মোরা তাঁর গাহি জয়,
আদেশে সিন্ধু দেশে দেশে ধায় মেঘে বর্ষণ হয়;
বিশ্বের ধন কর হে পোষণ পূর্ণ রাখ হে তূণ,
হীন শত্রুর ছিন্ন হউক অপটু ধনুর্গুণ।
অরাতির চোখে কভু আমা সবে দেখ না দেখ না দেব!
হিংস্র জনের মাথার বজ্র কর প্রভু নিক্ষেপ;
বসুধার বসু দান কর আর পূর্ণ রাখহে তূণ,
হীন শত্রুর ছিন্ন হউক্ অধম ধনুর্গুণ।
আমাদের আয়ু লক্ষ্য করিয়া, যা’রা ব্যাঘ্রের প্রায়,
ফিরিছে নিয়ত, আমাদেরি পায়ে নত কর তা’ সবায়;
তুমি যে বিবাধ, শক্তি অগাধ, মোদেরো পূর্ণ তূণ,
হীন শত্রুর ছিন্ন হউক্ অপটু ধনুর্গুণ।
শত্রু মোদের হউক্ সনাভি, দস্যু অথবা দাস,
আকাশের মত ছেয়ে ফেলে সবে নিঃশেষে কর নাশ;
কর অভিভূত তা’দের নিয়ত, মোদের ভর হে তূণ,
হীন শত্রুর ছিন্ন হউক্ অধম ধনুর্গুণ।
হে দেব! তোমার অনুগত মোরা, তোমার শরণ চাই,
হে সখা! সকল পাপ তাজি’ যেন পুণ্যের পথ পাই;
বন্দনা করি মোরা প্রাণ ভরি’ তুমি দেহ ভরি’ তূণ,
হীন শত্রুর হউক্ ছিন্ন অপটু ধনুর্গুণ।
সেই বিদ্যাটি শিখাও মোদের যা’র বলে অনিবার,
দুহিতে পারি হে ধরণী-ধেনুর অফুরান্ ক্ষীরধার;
যাহাতে বৃদ্ধি যাহাতে সিদ্ধি যাহাতে ভরে হে তুণ,
যা’তে অক্ষয় চিরদিন রয় মোদের ধনুর্গুণ।