নিয়তি।

দিন দিন নিয়তির নূতন ব্যাভার,
প্রণয়ে প্রশ্রয়ে তার নাহিক প্রত্যয়;
একদণ্ডে শক্তিমানে করে ধূলিসার,
ধূলার কীটেরে তুলি’ তারি গাহে জয়!
নিশ্ছিদ্র নূতন তরী ডুবায় সলিলে,
ভগ্নতরী কভু ঝড় তুফানে বাঁচায়;
একা আমি কি করিতে পারি এ নিখিলে?
কে আছে সুহৃদ্‌ মম? কারে ডাকি হায়!
যাহা করি বাধা দেয় নিয়তি তাহায়,
কেহ নাই শুনিবারে এ মম ক্রন্দন;
অদৃষ্ট অ-দৃষ্ট যদি না থাকিত হায়,
কিম্বা মোরে দৃষ্টি হ’তে করিত বর্জ্জন!
মহতের দুঃখ হেথা, নীচের উন্নতি;
শিশু বালিকার অঙ্গে বস্ত্র শত শত,
ছিন্ন বাসে লজ্জা পায় বরাঙ্গী যুবতী,
জ্ঞানীর না মিলে রুটি, মূর্খে মেওয়া যত।
বিশ্বাসী ভক্তের গৃহে আসন দুর্লভ,
বঞ্চকের ঘরে দেখ রক্ত মখমল;

সাজ সওয়ারের ভারে ক্লিষ্ট ঘোড়া সব,
বাজারে অবাধে গাধা খায় নানা ফল!
আনন্দে সকল পাখী কেলি করে বনে,
বন্দী শুধু―সেই যা’র সুকণ্ঠ, সুঠাম;
সত্য কি কল্পনা ইহা বুঝাব কেমনে?
শান্ত হও খুশ্‌হাল্‌ ভাগ্য তোরে বাম।

খুশ্‌হাল্‌।