তীর্থ-সলিল/জাপানী ‘ঘুম পাড়ানি’
জাপানী ‘ঘুম-পাড়ানি’।
ঘুমো আমার সোণার খোকা, ঘুমো মায়ের বুকে;
আকাশ জুড়ে উঠ্লো তারা ঘুমো রে তুই সুখে।
হাত পা নেড়ে কান্না কেন? কান্না কেন এত?
চাঁদ উঠেছে, ঘুমোরে তুই সোনার চাঁদের মত!
একটি দিয়ে চুমো,— ঘুমো রে তুই ঘুমো।
ঘুমো আমার সোণার পাখী মায়ের বুকের ‘পরে:
ঘুমের ঘোরে ডরিয়ে কেন উঠলি অমন ক’রে?
ও কিছু নয়,— শব্দ ওঠে হাওয়ায় বাঁশের ঝাড়ে,
(আর) চকাচকী ডাকাডাকি ক’চ্চে পুখুর পাড়ে!
ঘুমো রে তুই ঘুমো— একটি দিয়ে চুমো।
ঘুমো আমার সোণার যাদু, কিসের তোমার ভয়?
কে কি করে?— কাছে কাছে মা যে তোমার রয়;
আমার খোকায় ছুঁতে নারে ঘাসের বনের সাপ,
বাজ পড়ে না,— যতই খুসী হ’ক না মেঘের দাপ!
ঘুমো মাণিক ঘুমো,— একটি দিয়ে চুমো।
ঘুমো মনের সাধে, শুধু, স্বপন দেখিস্ না রে,—
ভয় পাছে পা’স্ জেগে,— হুতোম ডাক্ছে যে আঁধারে।
গুটিসুটি মাথাটি রাখ্ আমার বুকের ‘পরে,
হাস্ রে শুধু,— দেখি আমি,— হাস্রে ঘুমের ঘোরে!
ঘুমো মাণিক ঘুমো,— ঘুমো রে তুই ঘুমো।
ঘুমো আমার সোণার খোকা, ঘুমো আমার কোলে,
ভূমিকম্পে পাহাড় যখন ঘর বাড়ী নে’ দোলে;
পাপের কর্ম্ম যে ক’রেছে দেব্তা তা’রেই মারে,
নির্দ্দোষী মোর সোণার খোকা,—কেউ না ছুঁতে পারে,
ঘুমো মাণিক ঘুমো—সোণার পাখী ঘুমো।