তীর্থ-সলিল/রহস্যের চাবি
‘রহস্যের চাবি’।
অথর্ব্ব বেদ—যজ্ঞের সময়ে যিনি অন্যান্য ঋত্বিকের কার্য্য পরিদর্শন করিতেন তাঁহাকে ব্রহ্মা বলিত। এই ব্রহ্মাদিগের রচিত বেদই অথর্ব্ববেদ নামে পরিচিত।
অবস্তা—ইহাকে সাধারণতঃ জেন্দাবেস্তা বলে। প্রাচীন পারসীকদিগের ধর্ম্মশাস্ত্র। ইহা প্রায় বেদ সংহিতার সমকালবর্ত্তী।
অবৈয়ার—ইনি দাক্ষিণাত্যের একজন স্ত্রী-কবি। বিদ্যাবতী বলিয়া বিশেষ খ্যাতি আছে।
আনাক্রেয়ন—বুদ্ধদেবের সমসাময়িক। ইনি আজীবন সুরা ও নারীর বন্দনা গাহিছেন। জন্মভূমি গ্রীস্।
আবু মহম্মদ—হারুণ-অল্-রসীদের পৌত্র কালিফ্ বাৎহক্ ইহার কবিতায় মুগ্ধ হইয়া ইহাঁকে রাজ পরিচ্ছদে ভুষিত করেন। ইনি সুগায়কও ছিলেন।
আব্দল সালম্ বিন্ রাগোয়ান—ইনি হিজিরার দ্বিতীয় শতাব্দীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহাঁর চরিত্র কতকটা বায়রণের মত।
আলতাফ্ হুসেন আন্সারি—ইনি ‘হালি’ অর্থাৎ নব্য-কবি নামে সাধারণের নিকট পরিচিত। আলিগড়ের স্যার সৈয়দ আহম্মদ ইহার বিশেষ বন্ধু ছিলেন। ইনি জীবিত।
আহলাণ্ড্—(খৃঃ ১৭৮৭-১৮৬২) বাহুল্য বর্জ্জিত মনোজ্ঞ ভাষায় করুণ রসের কবিতা ও গাথা রচনায় সিদ্ধ হস্ত ছিলেন। জন্মভূমি জর্ম্মনি।
ইবসেন্—(খৃঃ ১৮৩০-১৯-৬) বর্ত্তমান য়ুরোপীয় সভ্যতার নানা জটিল সমস্যা ইনি নাট্য বস্তুতে পরিণত করিয়াছেন। জন্মভূমি নরোয়ে।
ইমাম সাফাই মহম্মদ বিন্ ইদৃস—ইনি মহম্মদ প্রবর্ত্তিত ধর্ম্ম মতের একটি নূতন শাখা সৃষ্টি করেন। ভয়ানক তার্কিক ও ঘোর অদৃষ্টবাদী ছিলেন।
ইশী—ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতা-রচনায় ইহাঁর নিপুণতা প্রকাশ পাইয়াছে। জন্মভূমি জাপান।
এজিদ্—মহম্মদের মদিনা প্রবেশের সত্তর বৎসর পরে ইনি কালিফ্ হন। কবিত্ব ভিন্ন ইহাঁর অন্য কোনও সদ্গুণ ছিল না। ইহাঁর মাতা মৈসুনা বেগম ও সুকবি ছিলেন।
এরিষ্টোফেনিস—খৃঃ পূঃ ৪৪৪-৩৮৮) ইহাঁর বুদ্ধিবৃত্তি, ভাষ প্রবাহ এবং কল্পনাশক্তি সমান প্রবল। ইনি ব্যঙ্গনাট্য রচনায় অদ্বিতীয়। জন্মভূমি গ্রীস্।
ওমর খৈয়াম—(খৃঃ ১০৫০-১১২৩) জন্ম খোরাসানের অন্তর্গত নিশাপুরে। ইনি গণিত শাস্ত্রেও বিশেষ ব্যুৎপন্ন ছিলেন।
ওয়ার্ড সোয়ার্থ—(খৃঃ ১৭৭০-১৮৫০) ইনি ঋষি কবি বলিয়া কথিত হইয়াছেন। জন্মভূমি ইংলণ্ড।
কবীর—ইনি সুলতান সেকন্দর লোতির সমকালবর্ত্তী ছিলেন। জন্ম বারাণসীর নিকটে। ইনি রামানন্দের শিষ্য, জাতিতে জোলা।
কালিদাস—নবরত্নের শ্রেষ্ঠতম রত্ন। ইহাঁর দেশ ও কাল সম্বন্ধে মতের ভয়ানক পার্থক্য আছে। ইহাঁর অধিকাংশ কাব্য উজ্জয়িনীতে রচিত বলিয়া বোধ হয়।
কীটস্—(খৃঃ ১৭৯৫-১৮২১) ‘সুন্দরই সত্য এবং সত্যই সুন্দর’—ইহাই তাঁহার কাব্যের প্রধান কথা।
কেরি—(খৃঃ ১৬৭০-১৭৪৩) ইনি মার্কুইস্ অফ্ হ্যালিফাক্সের ঔরস-পুত্র। ইনি কবি ও সঙ্গীত বিদ্যা-বিশারদ ছিলেন।
কোরাণ—কাহারও মতে ইহা মহম্মদ শ্রুত ঈশ্বরের বচন, কাহারও মতে ইহা মহম্মদের
নিজের রচনা। শেষ মতটিই সমীচীন।
খুস্হাল খাঁ খতক—ইনি একজন আফগান সর্দার, কবি এবং ভারত সম্রাট শাজাহানের বন্ধু ছিলেন। পিতৃদ্রোহী আরঙ্গজেব ইহাঁকেও নানা মতে ক্লেশ দিয়াছিল। সে কাহিনী ইহার লেখাতেই পাওয়া যায়।
গতিয়ে—(খৃঃ ১৮১১-১৮৭২) ফরাসী সমালোচকেরা বলেন, তিনি চিত্র লিখিতেন; শব্দ-শিল্পে তাঁহার ক্ষমতা অসীম।
গেটে—(খৃঃ ১৭৪৯–১৮৩২) ইহাঁর প্রতিভা সর্ব্বতোমুখী; ইনি জর্ন্মনির শ্রেষ্ঠ কবি, আবার বিজ্ঞানের ও অনেক নূতন তথ্য আবিষ্কার করিয়াছেন।
গোর্কি—জন্মভূমি রুষিয়া সামান্য ঝাড়ুদার হইতে ইনি একজন প্রতিষ্ঠাপন্ন উপন্যাসিক হইয়াছেন। বয়স এখন সাঁইত্রিস বৎসর।
চাণক্য—চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী। কূটবুদ্ধির জন্য বিখ্যাত।
চিত্রলিপি—অক্ষর সৃষ্টির পূর্ব্বে মিশর দেশে চিত্রের সাহায্যে মনোভাব জ্ঞাপন করিবার প্রথা ছিল।
জর্ণষ্ট্যার্ণ জর্ণসন্—নরোয়ের জাতীয় কবি। ইনি জীবিত।
জাতক গ্রন্থ—প্রায় দুই সহস্র বৎসর পূর্ব্বে ইহা একত্র প্রথিত হয়। জন্মান্তর বাদ ইহার প্রধান প্রতিপাদ্য। সম্ভবতঃ বুদ্ধ কথিত কাহিনী নিচয়ই ইহার ভিত্তি।
জেবুন্নিসা—সম্রাট আরঙ্গজেবের বিদুষী ও রূপসী কন্যা। ইনি কবি ছিলেন।
টলষ্টয় (কাউণ্ট)—ইনি লোক-হিতের জন্য সর্ব্বস্ব এমন কি স্বরচিত গ্রম্ব সমূহের স্বত্ব পর্য্যন্ত দান করিয়া কুটীরবাসী হইয়াছেন। পূর্ব্বে ইনি রুষিয়ার একজন প্রধান ভূস্বামী ছিলেন। এখন সভ্য জগতের মনের উপর রাজ্য করিতেছেন।
টেনিসন—(খৃঃ ১৮০৯-১৮৯২) ইনি মহারাণী ভিক্টোরিয়ার সভাকবি ছিলেন।
ৎসিসাতু—ইনি উদ্ভট শ্লোকের মত অনেক শ্লোক রচনা করিয়াছিলেন।
তলবকারোপনিষৎ—একশত পঞ্চাশখানি উপনিষদের অন্যতম। উপনিষদের অনেকাংশ ক্ষত্রিয়দিগের রচিত। সুতরাং যথার্থ ব্রহ্মজ্ঞানকে ক্ষত্রজ্ঞান বলিলেও ভুল হয় না।
থিয়গ্নিস্—ইনি আমাদের বুদ্ধদেবের সমসাময়িক; জন্ম গ্রীস্দেশে। ইনি একজন অভিজাত এবং তজ্জন্য গর্বিত।
দান্তে—( খৃঃ ১২৬৫-১৩২১ ) খৃষ্টান্ ইতালির প্রধান কবি। ইনি রাষ্ট্র নৈতিক ব্যাপারেও মিশিতেন।
দায়ূদ (রাজা)—ইনি খ্রীষ্টের প্রায় সহস্র বৎসর পূর্ব্বে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি প্রথম বয়সে নিজ পিতার মেষ সমূহের পরিচর্য্যা করিতেন। ক্রমশঃ নিজ চরিত্রের বলে ইহুদীদিগকে স্বাধীন করেন। ইহার রচিত গানগুলি ইহাঁর ঈশ্বর নির্ভরতার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নাইডু (সরোজিনী)—ইনি ইংরেজীতে চমৎকার কবিতা লিখিয়া থাকেন। নাইডু ইহার স্বামীর উপাধি। ইনি হায়দ্রাবাদের প্রসিদ্ধ ডাক্তার শ্রীযুক্ত অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যার মহাশয়ের কন্যা।
নানক—শিখ-ধর্ম্মের প্রবর্তক ও প্রথম গুরু। ইহাঁর রচিত গান গুলি অতীব মধুর।
নিকোলাস (দ্বিতীয়) বর্ত্তমান রুষ সম্রাট। ইনি কবিতাও লেখেন।
পৃথীকবি—ইনি রাণা প্রতাপসিংহের সমসাময়িক। জন্ম বিকানীয়ের রাজবংশে।
পেটোফি—হাঙ্গেরির জাতীয় কবি। ইহাঁর “Talpra Magyar” শীর্ষক সঙ্গীত বিনা রক্তপাতে হঙ্গেরির ভাগ্য পরিবর্ত্তন করিয়াছিল।
পেত্রার্ক—ইনি ‘সনেট’ নামক ছন্দোবন্ধের আবিষ্কর্তা। জন্মস্থান ইতালি।
পো (এডগার অ্যালেন্)—(খৃঃ ১৮০৯-১৮৪৯) জন্ম আমেরিকার বোষ্টন নগরে। ইঁহার রচনা ইন্দ্রজালের মত মোহকর।
প্রজাপতি—ইনি ঋগ্বেদীয় কয়েকটি সূত্রের রচয়িতা; ইইরি রচনা নব ভাবালোকে সমুজ্জ্বল।
প্রোক্টর (অ্যাডলেড্ অ্যান্)—ইনি একজন স্ত্রী কবি। উপদেশ মূলক কবিতাকে সরস করিতে ইনি বিশেষ পটু ছিলেন।
ফন্তেন্ (লা)—(১৬২১-১৬৯৫ ) ইহাকে ফরাসীদেশের বিষ্ণুশর্ম্মা বলা যাইতে পারে।
ফিলিকাজা—(১৬৪২-১৭০৭) ইহাঁর অনেক কবিতা পেত্রার্কের কবিতার সহিত তুলনীয়। জন্মভূমি ইতালি।
ফিলিপ্স্ (ষ্টিফেন)—ইংলণ্ডের বর্ত্তমান যুগের একজন শ্রেষ্ঠ কবি ও নাটককার। ইনি জীবিত। ‘মানুষ’ শীর্ষক কবিতাটি বুয়ার যুদ্ধের সময়ে রচিত।
বঙ্কিমচন্দ্র—(১২৪৩-১৩০০ সাল) নব্য বঙ্গের গুরু স্থানীয়। বর্ত্তমান যুগে ইনিই প্রথম বাংলাদেশে খাঁটি সাহিত্য রসের মর্য্যাদা বুঝাইয়া দেন।
বায়রণ—(খৃ: ১৭৮৮-১৮২৪) ইংলণ্ডের প্রতিভা প্রতিমা। জগদ্বিখ্যাত কবি।
বার্ণস্ (রবার্ট)—(১৭৫৯-১৭৯৬) জন্ম স্কটলণ্ডে। ইনি কৃষক হইলেও প্রথম শ্রেণীর কবি ইহাঁর আবেগময়ী ভাষা অতুলনীয়।
বাল্মীকি—ভারতবর্ষের কবি গুরু। পৃথিবীর সর্ব্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যের রচয়িতা। প্রথম জীবনে না কি দস্যু ছিলেন।
বিবেকানন্দ—(১৮৬৩-১৯০২) ইনি য়ুরোপ ও আমেরিকায় ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করেন। ইনি গদ্য পদ্য অনেক লিখিয়াছেন। সমন্বয়াচার্য্য শ্রীমৎ রামকৃষ্ণ পরমহংস ইহাঁর শুরু ছিলেন।
বিশ্বামিত্র—(খৃঃ পূঃ ১৭০০-১৬০০) ইনি অনেকগুলি ঋগ্বেদীয় সুক্তের রচয়িতা। ইনি অধ্যবসায় বলে ঋষিত্ব লাভ করেন।
বেদব্যাস—(খৃঃ পূঃ ১৬০০-১৫০০) ইনি দাসরাজকন্যা মৎসগন্ধার গর্ভে জন্ম-গ্রহণ করা সত্ত্বেও বেদ পড়িতে পাইয়াছিলেন, এমন কি অনেকটা তাঁহারি কৃপায় বেদ বর্ত্তমান কলেবর প্রাপ্ত হইয়া সুবিন্যস্ত ভাবে রক্ষিত হইয়াছে। এই ধীবর দৌহিত্র পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিদিগের মধ্যে আসন পাইয়াছেন।
বেরাঁজ্যার—(খৃঃ ১৭৮০-১৮৫৭) ইহাঁর বিদ্রূপাত্মক সঙ্গীত সমূহ বিখ্যাত। জন্মভূমি ফ্রান্স!
বোয়ার্দ্দো—ইনি ইতালির কবি।
ব্রাউনিং (রবার্ট)—(১৮১২-১৮৮৯) ইনি মানব জীবনের সমস্ত রস নিজের মধ্যে অনুভব করিয়া স্বীয় কাব্যে তাহা নানা আকারে বিবৃত করিয়াছেন।
ব্লেক–(১৭৫৭-১৮২৭) ইনি কাঠ ও ইস্পাতের উপর ছবি খোদাই করিতেন। কবি হিসাবেও মন্দ ছিলেন না।
ভবভূতি—প্রায় বার শত বৎসর পূর্ব্বে ইনি দাক্ষিণাত্যে জন্ম গ্রহণ করেন। মনের অতি প্রবল ভাবাবেগ নির্ঝর-ঝাঙ্কৃত-তুল্য ভাষায় প্রকাশ করিতে ইনি সংস্কৃত সাহিত্যে অদ্বিতীয়।
ভর্ত্তৃহরি—ইনি বিক্রমাদিত্যের সহোদর বলিয়া প্রবাদ আছে। স্ত্রী চরিত্রে অশ্রদ্ধা বশতঃ বৈরাগ্য অবলম্বন করেন।
ভার্জ্জিল—(খৃঃ পূঃ ৭০-১৯) প্রাচীন রোমক সাম্রাজ্যের মহাকবি।
ভল্টেয়ার—(১৬৯৪-১৭৭৮) ইনি স্বীয় গ্রন্থে কাহাকেও বিদ্রূপ করিতে ছাড়তেন। এজন্য অনেকবার ইহাঁকে নির্বাসিত হইতে হইয়াছিল। ফরাসী বিপ্লবের দীক্ষা গুরু।
মন্ত্নাইকেন—বেলজিয়মের কবি।
‘মন্যোশু’—প্রাচীন জাপানী কবিতার সংগ্রহ ‘মন্যোশু’ অর্থাৎ সহস্রদল।
মস্কিন্ অল দরামি—হিজিরার দ্বিতীয় শতাব্দীতে প্রাচীন আরব কবিতার একটি সংগ্রহ পুস্তক প্রচারিত হয়। ঐ পুস্তকের নাম ‘হামাসা’। উহাতে এই কবির অনেক গুলি কবিত। আছে।
মাইকেল মধুসূদন—(১৮২৪-১৮৭৩) বঙ্গভাষার প্রথম মহাকবি। ইনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্ত্তক।
মিললাপা (লামা)—পিতৃব্য কর্ত্তৃক পিতৃধনে বঞ্চিত হইয়া ইনি মন্ত্রতন্ত্রের সাহায্যে তাহার উদ্ধার করিতে কৃতসঙ্কল্প হন; পরে মারণ উচাটনাদির অভ্যাসে মানসিক অবনতি হইতেছে বুঝিয়া বুদ্ধপদে চিত সমাহিত করেন। ইনি তিব্বতবাসীর প্রিয় কবি।
মূর—(১৭৮০-১৮৫২) জন্ম আয়র্লণ্ডে। ইনি লঘু চটুল কবিতা লিখিতে সিদ্ধ হস্ত।
য়ুরিপিডিস——ইনি সক্রেটিসের বন্ধু ছিলেন। প্রায় সত্তর খানি নাটক রচনা করেন। জন্মভূমি গ্রীস।
রঁস্যার্দ্দ—(১৫২৪-১৫৮৫) ইনি এবং ইহাঁর কয়েকটি কবিবন্ধু ‘সাতভাই চম্পা’ বা কৃত্তিকা-মণ্ডলী নামে অভিহিত হইতেন। জন্মভূমি ফ্রান্স।
রুজে দে লিল—ইনি মেয়র ডায়েট্রিকের অনুরোধে ফরাসীদের জাতীয় সঙ্গীত ‘লামাৰ্শেয়েঝ’ রচনা করেন। এই সঙ্গীতের প্রথম বঙ্গানুবাদ ১৩০০ সালের জ্যৈষ্ঠসংখার নব্যভারতে প্রকাশিত হয়। (বুইয়ে তৎকালীন ফরাসীরাজের সেনাপতি।
লোপ ডি ভেগা—(১৫৬২-১৬৩৫) জন্মভূমি স্পেন। অসংখ্য নাটক ও কবিতা রচনা করিয়াছিলেন।
শিলার—(১৭২৯-১৮৫) ইহাকে জর্ন্মনিবাসীরা জর্ন্মনির সেক্সপীয়ার বলে। প্রথমজীবনে চিকিৎসক ছিলেন।
শীকিং—ইহার অর্থ কবিতা পুস্তুক। চীনদেশের প্রাচীন কবিতা সমূহ প্রায় তিনহাজার বৎসর পূর্ব্বে একবার একত্র সংগৃহীত হয়; ঐ সংগ্রহ গ্রন্থের নাম ‘শীকিং’।
শূদ্রক—রাজা ও কবি। কেহ কেহ বলেন ইনি নিজে কবি ছিলেন না। ধাবক নামে কোনও কবির রচনা ক্রয় করিয়া নিজের নাম দিল্লা প্রচার করিতেন।
শেক্সপীয়ায়—( ১৫৬৪-১৬১৬ ) জগতের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার। মানবচরিত্রের ঘুণ।
শেলি—(১৭৯২-১৮২২) ইহাঁর রচনা বিদ্যুতের মত তীব্র ও উজ্জ্বল। ইনি কবিসমাজের কবি নামে খ্যাত।
শ্রীহর্ষ—রাজা ও কবি। পদলালিত্যের জন্য বিখ্যাত। কেহ কেহ বলেন বাণভট্টের রচনা ইহার নামে প্রচারিত হইয়াছে।
সাদি—হিজিরার যন্ত্র শতাব্দীতে পারস্যের সিরাজ নগরে জন্মগ্রহণ করেন। ইহার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ গুলিস্তাঁ।
সিঙ্কিভিচ—ইনি পোল্যাণ্ডের একজন বিখ্যাত লেখক। ইনি জীবিত।
সিবার—(১৬৭১-১৭৫৬) জন্মভূমি ইংলণ্ড।
সিরাজ অল্ ওয়ারক্—ইনি আরব দেশের কবি।
সুইনবার্ণ—ইহাঁকে বায়রণের মানসপুত্র বলা যাইতে পারে। ভাষা ও ছন্দের উপর ইহাঁর অসাধারণ ক্ষমতা। ইনি জীবিত।
সুদাস (রাজর্ষি)—ইনি বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্রের সমসাময়িক দিগ্বিজয়ী রাজা ও ঋগ্বেদীর সুক্তের রচয়িতা।
সুরদাস—ইহাঁর রচিত ভজনগুলি প্রত্যেক হিন্দুস্থানীর আদরের বস্তু। ইনি অন্ধ ছিলেন।
স্যাফো—(খৃঃ পুঃ ৬৩০-৫৭০) “কৃষ্ণকুম্ভলা, মধুরহাসিনী, নিষ্কলঙ্ক স্যাফো”। জন্মভূমি গ্রীস
হাফেজ—হিজিরার অষ্টম শতাব্দীতে পারঙ্গের সিরাজ নগরে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহাঁর রচনার সহিত আমাদের বৈষ্ণব কবিদের রচনার ভাবগত সাদৃশ্য আছে।
হায়েন্—(১৭৯৯-১৮৫৬) ইহাঁর রচনায় সহজ সৌন্দর্য্য অননুকরণীয়। জন্মভূমি জর্ম্মনি। জাতিতে ইহুদী।
হিরণ্যগর্ভ—ইনি ঋগ্বেদীয় সুক্তের রচয়িতা। ইনি কবি এবং দার্শনিক।
হুইটম্যান—আমেরিকার কবি; বিশ্বপ্রেম ইহার কাব্যে ওতপ্রোত।
হুগো (ভিক্তর)—(১৮০২-১৮৮৫) কবি, দার্শনিক, উপন্যাসিক, স্বদেশ-প্রেমিক, অধ্যাত্ম বিদ্যায় পরম পণ্ডিত। ‘হাসি ও অশ্রুর সম্রাট’। জন্মভূমি ফ্রান্স।
হেঙজু—ইনি জাপান দেশের একজন প্রাচীন কবি।
হোমর—ইনি আমাদের বেদব্যাস অপেক্ষা প্রায় ছয় শত বৎসরের ছোট। য়ুরোপখণ্ডের প্রথম ও প্রধান মহাকাব্য রচয়িতা। জন্মভূমি গ্রীস্ অথবা এসিয়া মাইনর।
হোম্স্ (অলিভার ওয়েণ্ডেল)—ইহাঁর গদ্য ও পদ্য হাস্য-স্নিগ্ধ সরস মাধুর্যের জন্য প্রসিদ্ধ। জন্মস্থান জামেরিকার বোষ্টন নগরী।
হোরেস্—(খৃঃ পুঃ ৬৫-৮) জন্মভূমি ইতালি। ইহাঁর ভাষা ও ছন্দের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য ছিল। ইনি নানা ছন্দের নানা বিষয়ের কবিতা রচনা করিয়াছিলেন।
(আমেরিকার আদিম অধিবাসীদিগকে আমি লাল মানুষ নামে অভিহিত করিয়াছি।)