নাগপাশ (হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ)/প্রথম খণ্ড/তৃতীয় পরিচ্ছেদ
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
প্রেমের অঙ্কুর।
“সাধু! যত ভণ্ড চোর! যাও, এখানে কিছু হইবে না।”
কলিকাতায় একটি বৃহৎ অট্টালিকার সিংহদ্বারে ভৃত্যগণ এক জন জটাধারী, ভস্মলিপ্তকায় সন্ন্যাসীকে ঘিরিয়া বসিয়াছিল। কেহ তাহাকে আপনার করকোষ্ঠী দেখিয়া ফল বলিতে অনুরোধ করিতেছিল, কেহ নানা প্রশ্ন করিতেছিল। সন্ন্যাসী আসর জমকাইয়া বসিয়াছিল। এই সময় বাড়ীর বৃদ্ধ সরকার তাহা দেখিয়া আসিয়া বলিল,—“যাও! এখানে কিছু হইবে ন॥” সন্ন্যাসী বলিল, “সাধুকে ভোজন—” সরকার বাধা দিয়া বলিল, “ও সব বুজরুকী এখানে চলিবে না। তিন রকমের লোক সন্ন্যাসী হয়,—যমতরাসে, প্রেমেভেসে, সর্ব্বনেশে।” শুনিয়া ভৃত্যের দল হাসিয়া উঠিল। এক জন জিজ্ঞাসা করিল, “কে কে সন্ন্যাসী হয়, সরকার মহাশয়?” সরকার সে কথার উত্তর দিল না। এ দিকে সন্ন্যাসী বুঝিল, তাহার অপেক্ষা চতুর এক জন উপস্থিত; অধিকন্তু ভৃত্যদিগের হাস্যে সে জানিল, আর তাহাদিগকে ঠকাইয়া কিছু পাইবার আশা নাই। সে চিমটা ও কমণ্ডলু তুলিয়া লইয়া প্রস্থানোদ্যত হইল।
দ্বিতলে একটি কক্ষবাতায়নপথে একটি বালিকা ও দুই জন যুবতী সন্ন্যাসীকে লক্ষ্য করিতেছিলেন। তাঁহাদের মধ্যে যিনি বয়সে বড়, তিনি সহসা সম্মুখে চাহিয়া ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “সর! সর! ছেলেরা দেখিতেছে। কি লজ্জা!” সকলে ব্যস্ত হইয়া সরিয়া আসিলেন। সরিতে সরিতে মধ্যমা বলিলেন, “দিদি, ঠাকুরঝির বর।” শুনিয়া বালিকা তাঁহাকে কিল দেখাইল। তিনি হাসিয়া বলিলেন,— “তা' আমি কি করিব? বরকে বারণ কর, যেন আর বারান্দায় না আসেন।” বালিকা রাগের ভাণ করিয়া চলিয়া গেল, কিন্তু তাহার নয়নে ও আননে যে হাসির আভাষ ফুটিয়া উঠিতেছিল সে তাহা গোপন করিতে পারিল না।
রাজপথের অপর পারে ছাত্রাবাসের বারান্দায় দাঁড়াইয়া চারি পাঁচ জন যুবক সন্ন্যাসী-সরকার-সংবাদে নিবিষ্টচিত্ত ছিল। তাহাদের মধ্যে যাহাকে যুবতী ননন্দার “বর” বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়াছিলেন, সে আমাদের পরিচিত— ধুলগ্রামের দত্ত-পরিবারের সর্ব্বস্ব প্রভাতচন্দ্র।
যে বৃহৎ সুরম্য হর্ম্মের সিংহদ্বারে সন্ন্যাসী বসিয়াছিল, সে গৃহের অধিকারী কৃষ্ণনাথ বসু কোনও বড় ‘হৌসে’র মুৎসুদ্দি। তাঁহার পিতা গবর্মেণ্টের রসদ বিভাগে কাজ করিয়া যথেষ্ট অর্থ উপার্জ্জন করিয়াছিলেন। সে অর্থ সদুপায়ে কি অসদুপায়ে অর্জ্জিত, তাহা আমি বলিতে পারি না। কৃষ্ণনাথ তাঁহার একমাত্র পুত্র। তিনি অল্প বয়সেই ‘হৌসে’ কর্মরত হয়েন। তখন মেরজাই লোপ পাইতেছে; ধূতির উপর চাপকান চড়াইয়া, তাহার উপর রজ্জুর মত পাকান উত্তরীয় ফেলিয়া, মস্তকে হাত-বাধা পাগড়ী পরিয়া বাঙ্গালী ‘হৌসে’ কাষ করিতেছে।
কৃষ্ণনাথ পৈত্রিক অর্থ বহুপরিমাণে বর্দ্ধিত করিয়াছেন। কেহ বলে তাঁহার দশ লক্ষ, কেহ বলে বিশ লক্ষ টাকা আছে। তাঁহার অট্টালিকা রম্য, অশ্বগুলি তেজে ভরা, দাসদাসী অনেক। তাঁহার তিন পুত্ত্র, এক কন্যা। মধ্যম পুত্ত্র বিনোদবিহারী প্রভাতচন্দ্রের সতীর্থ ছিল। একবার এফ. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে না পারিয়া সে বিদ্যালয় ত্যাগ করে। প্রভাতচন্দ্র যে ছাত্রাবাসে বাস করে, তাহা বিনোদবিহারীর গৃহের সম্মুখে; সেই জন্যই তাহার সহিত বিনোদবিহারীর বিদ্যালয়ে আরব্ধ পরিচয় লুপ্ত হয় নাই। বিনোদবিহারী সময় সময় প্রভাতের নিকট আসিত; প্রভাতও বিনোদবিহারীর গৃহে যাইত। প্রভাত যে দরিদ্রসন্তান নহে, তাহা তাহার বেশভূষায় বিনোদবিহারীর বাড়ীর সকলে বুঝিয়াছিলেন। সন্ধান লইয়াও তাঁহারা সে বিষয় অবগত হইয়াছিলেন।
কৃষ্ণনাথের একমাত্র কন্যা শোভাময়ী একাদশবর্ষ অতিক্রম করিয়া দ্বাদশে পদার্পণ করিয়াছিল; ক্রমে দ্বাদশও অতিক্রম করিতেছিল। তাহার বিবাহের জন্য ঘটক ঘটকী হাঁটাহাঁটি করিতেছিল। কথায় বলে, লক্ষ কথা না হইলে বিবাহ হয় না; কিন্তু লক্ষ লক্ষ কথা শেষ হইয়া গেল, তথাপি কোথাও সম্বন্ধ স্থির হইল না। এক দিন এক জন ঘটকী গৃহিণীর নিকট একটি পাত্রের সন্ধান দিয়া কেবল উঠিতেছে, এমন সময় এক জন ভৃত্য আসিয়া বলিল, “মেজবাবুর ঘরে পান চাই।” গৃহিণী বড় বধূকে তাম্বূল আনিতে বলিয়া ভৃত্যকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“কেন, কেহ আসিয়াছে না কি?” ভৃত্য উত্তর করিল, “প্রভাতবাবু আসিয়াছেন।”
গৃহিণী বড় বধূ বলিলেন, “শোভার আমার অমনই একটি ফুটফুটে বর হয়!” সত্যই প্রভাত অতি সুপুরুষ। বড়বধূ বলিলেন, “মা, প্রভাতের সঙ্গেই কেন ঠাকুরঝির বিবাহ দিন না?”
কথাটা বড়বধূ যে বিশেষ কিছু ভাবিয়া বলিয়াছিলেন, এমন নহে। তবে অতি ক্ষুদ্র বীজ হইতে যেমন বৃহৎ বনস্পতি উৎপন্ন হয়, তেমনই অনেক সময় অচিন্তিতপূর্ব্ব, হাসিতে হাসিতে বা ক্রীড়াস্থলে কথিত কথা হইতেও সংসারে অতি গুরু ঘটনা ঘটিয়া যায়। কথাটা পূর্ব্বেও যে গৃহিণীর মনে হয় নাই, এমন নহে। কিন্তু তিনি সে কথা প্রকাশ করিতে ভরসা করেন নাই। প্রভাত তাঁহার পুত্ত্রের সতীর্থ; কেবল সেই সূত্রেই তাহার সহিত পরিচয়। তাহার সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই জানা নাই। তাহার পিতামাতা কি এ প্রস্তাবে সম্মত হইবেন? অমন ছেলে জামাতা করিতে ইচ্ছা হয়—সত্য; কিন্তু সে যে পল্লীবাসী! ইত্যাদি বিবিধ চিন্তায় তাঁহার মনের ইচ্ছা মুখে প্রকাশিত হয় নাই। নিকটে বিদ্যুৎ পাইলে তড়িৎপ্রবাহ যেমন প্রবল হইয়া উঠে, তেমনই সমর্থন পাইলে ইচ্ছা প্রবলতা লাভ করে। বড় বধূর কথায় আজ,তাহাই হইল; গৃহিণী প্রভাতের সহিত দুহিতার বিবাহের কথাটা ভাল করিয়া ভাবিয়া দেখিলেন,―কর্ত্তাকে বলিলেন। শুনিয়া কর্ত্তা বলিলেন,—“পল্লীগ্রামে মেয়ের বিবাহ দিতে তোমার মত আছে?” গৃহিণী দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন, “মেয়ের অদৃষ্ট কি আমার হাতধরা? আমি ত পাড়াগাঁয়ের মেয়ে। এখন পরিবার সঙ্গে লওয়া চলিত হইয়াছে। কত লোক যে কত দূর দেশে পরিবার লইয়া যাইতেছে। কলিকাতায় দেখিয়া মেয়ে দিলেই যে কলিকাতায় থাকিবে, এমন কি ধরা আছে?” কর্ত্তা বলিলেন, “তাহা হইলে সব সন্ধান লইয়া কথা পাড়িতে হয়।”
গৃহে যখন এই কথা প্রকাশ পাইল, তখন দেখা গেল, অনেকেরই আপত্তির প্রধান কারণ, প্রভাতের বাড়ী কলিকাতায় নহে। কিন্তু একটা কায করিতে ইচ্ছা হইলে তাহার স্বপক্ষ যুক্তির অভাব হয় না। যুক্তি বাহির হইতে লাগিল, কলিকাতার বাসন্দা আর কয় জন? কত “বাঙ্গাল” ত কলিকাতাতেই বাস করিতেছে! কাযে যাহারা কলিকাতায় আইসে, তাহারা প্রায় কলিকাতাতেই থাকিয়া যায়। প্রভাত পাঠ শেষ করিয়া কলিকাতায় থাকিলেই সব গোল চুকিয়া যাইবে।
তখন বিনোদবিহারীর উপর সন্ধান লইবার ভার পড়িল। কলিকাতা প্রভাতচন্দ্রকে তাহার মোহরসে মত্ত করিয়া তুলিয়াছিল। বিনোদবিহারীর কথার উত্তরে সে বলিল, অধ্যয়ন সমাপ্ত করিয়া কলিকাতাতে কর্ম্ম করাই তাহার অভিপ্রেত। বিনোদবিহারী বলিল, “তুমি অকৃতদার। যদি কলিকাতাতেই থাকিতে হয়, তবে বোধ হয় এখানে বিবাহ করিলে তোমার কায কর্ম্মের সুবিধা হইতে পারে—আরও নানা বিষয়ে সুবিধা হওয়াও অসম্ভব নহে।” প্রভাত সে কথার যাথার্থ্য স্বীকার করিল। বিনোদবিহারী বলিল, “তবে কলিকাতাতেই বিবাহ কর না কেন?” প্রভাত উত্তর করিল, “সে বিষয় স্থির করিবার কর্ত্তা, আমার পিতা ও পিতৃব্য।” বিনোদবিহারী বলিল, “তা’ ত বটেই। আমার ইচ্ছা, তুমি শোভাকে বিবাহ কর। যদি তুমি বল, তোমার বাটীতে প্রস্তাব করিয়া পাঠান যাইতে পারে।”
এই একান্ত অপ্রত্যাশিত প্রস্তাবে প্রভাতচন্দ্রের শরীরের সমস্ত রক্ত যেন তাহার মস্তকে উঠিল। তাহার মস্তক ঘুরিতে লাগিল। ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া প্রভাতচন্দ্র বলিল, “এ কথার উত্তর আমি এখনই দিতে পারিতেছি না। বিবেচনা করিয়া দিব।” বিনোদবিহারী বলিল, “ভাল; পরে বলিও।” প্রভাত বলিল, “আগামী কল্য বলিব।” তাহার পর অন্য কথা পড়িল, কিন্তু প্রভাত বড় অন্যমনস্ক। সে কি ভাবিতেছিল।
বিনোদবিহারী যখন চলিয়া গেল, তখনও দিবাবসানের বিলম্ব আছে। প্রভাত ভ্রমণার্থ বাহির হইল। কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবার সময় সম্মুখে দৃষ্টি পড়িল,— গাড়ীবারান্দার রেলে ঝুঁকিয়া শোভা উদ্যানে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে কি বলিতেছে। প্রভাত নয়ন নত করিল; তাহার পর বাহির হইয়া গেল। প্রভাতের চক্ষুর সম্মুখে কেবল শোভাময়ীর মূর্ত্তি ভাসিতে লাগিল। তাহার রূপ অসামান্য; যে বয়সে বাল্য কেবল যৌবনে মুকুলিত হইতে আরম্ভ করে, অথচ যৌবন আপনার বিকাশ অনুভব করিতে পারে না, তাহার সেই বয়স। প্রভাতচন্দ্র যে গৃহে থাকিত, তাহার অনতিদূরে একখানি উদ্যান;—নানাজাতীয় বৃক্ষলতা একটি ক্ষুদ্র সরোবরকে বেষ্টিত করিয়া আছে। পথে পবনস্পর্শলোলুপ জনগণ; কেহ কেহ উদ্যান মধ্যে আসনে উপবিষ্ট; স্থানে স্থানে যুবকগণ সরসীর তৃণমণ্ডিত তীরভূমিতে উপবেশন করিয়া কথোপকথনরত। প্রভাত অপেক্ষাকৃত নির্জ্জন দেখিয়া এক স্থানে ভূমিতে উপবিষ্ট হইল। সে ভাবিতে লাগিল।
শোভাকে সে পূর্ব্বেও বহুবার দেখিয়াছে; দেখিয়া তাহার রূপের প্রশংসা করিয়াছে। ইহার সহিত তাহার বিবাহে অনিচ্ছার কোনও সম্বন্ধ ছিল কি? সে স্থির বুঝিতে পারিল না। তাহা থাকুক আর নাই থাকুক, পল্লীগ্রামে বিবাহ করিতে প্রভাতের ইচ্ছা ছিল না। প্রথম যৌবনে কয় জন সব ভাবিয়া কার্য্য করে? কয় জন তাহা পারে? সংসারে অভিজ্ঞতালাভের পূর্ব্বে কয় জন বাহ্য চাকচিক্যে মুগ্ধ না হয়? কয় জন বাহির ত্যাগ করিয়া ভিতরের কথা ভাবিতে জানে? খনির অন্ধকার গর্ভে মণি থাকে, কয় জন বাহির হইতে তাহার অবস্থান বুঝিতে সমর্থ? নবশিক্ষায় শিক্ষিত যুবক সহজেই নব্যসভ্যতার বাহ্য চাকচিক্যে মুগ্ধ হয়,—নূতনের মোহে মত্ত হইয়া পরিচিত পুরাতনকে অবহেলা করে। প্রভাতেরও তাহাই হইয়াছিল; তাই সে পল্লীগ্রামে বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক ছিল।
ক্রমে সন্ধ্যা হইয়া আসিল। প্রভাত উঠিল। তখন রাজপথে আলোকমালা সুদীর্ঘ পন্নগের মত দেখাইতেছে। ভাবিতে ভাবিতে প্রভাত গৃহে আসিল। ছাত্রাবাসে সে একা একটি ক্ষুদ্রায়তন কক্ষে থাকিত। দ্বারের চাবি খুলিয়া সে কক্ষে প্রবেশ করিল; টেবলের উপর দেশলাই সন্ধান করিয়া লইয়া আলোক জ্বালিল, তাহার পর পড়িতে বসিল। কিন্তু পড়িতে ভাল লাগিল না; সে পুস্তক বন্ধ করিয়া সে আর একখানা পুস্তক খুলিল; তাহাও ভাল লাগিল না। তখন পুস্তক মুক্ত রাখিয়াই সে যাইয়া শয্যায় শয়ন করিল;—ঘুমাইতে পারিল না, ভাবিতে লাগিল। বিনোদ বিহারীর প্রস্তাব এমনই অপ্রত্যাশিত!
রাত্রি নয়টার পর ছাত্রাবাসের এক জন সঙ্গী প্রভাতের কক্ষে প্রবেশ করিয়া তাহাকে ডাকিল। প্রভাত উঠিয়া বসিল। যে কক্ষে প্রবেশ করিয়াছিল সে বলিল, “তুমি ঘুমাইতেছিলে নাকি?”
প্রভাত উত্তর করিল, “না।”
“তোমাকে যে কয়বার ডাকিয়া উত্তর পাই নাই। চল, আহার্য্য প্রস্তুত।”
উভয়ে নিম্নতলে আহার করিতে গেল।
আহারের পর আসিয়া শয্যায় শয়ন করিয়া প্রভাত আবার ভাবিতে লাগিল। সে ভাবনা কল্পনা-রঞ্জিত;—সুখের ভিন্ন দুঃখের নহে।
পরদিন প্রভাত হইতেই প্রভাতচন্দ্র বিনোদবিহারীর আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। প্রভাতে বিনোদবিহারী আসিল না। প্রভাত কলেজে গেল। সে অধীর হইয়া উঠিতেছিল।
অপরাহ্নে বিনোদবিহারী আসিল; অন্যান্য কথার পর, উঠিবার সময় জিজ্ঞাসা করিল, “সে বিষয় কিছু স্থির করিয়াছ কি?”
বিনোদবিহারী যখন জানিয়া গেল, প্রভাত বিবাহে সম্মত, তখন তাহার পিতার মত লইবার জন্য আয়োজন হইতে লাগিল। গৃহিণীর প্রভাতকে জামাই করিবার ইচ্ছা প্রবল হইয়াছিল,—কর্তার সম্মতিও সেই কারণে আগ্রহে পরিণত হইল।