নেতাজী সুভাষ চন্দ্র/কর্ম্ম-জীবন/কলিকাতা কর্পোরেশনেবু অল্‌ডারম্যান ও মেয়র সুভাষচন্দ্র

কলিকাতা কর্পোরেশনের অল্‌ডারম্যান ও

মেয়র সুভাষচন্দ্র

মেয়র নির্ব্বাচিত—গোলটেবিল বৈঠক প্রসঙ্গে—গতিবিধি-নিয়ন্ত্রণ— নিষেধাজ্ঞা অমান্য—কারাবাস—পুলিশের যষ্টি-প্রহার—করাচি কংগ্রেসে—হিজলী বন্দিশালায় গুলি—প্রতিবাদে পদত্যাগ।

দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত মহাশয় অন্তরীণ অবস্থায় থাকা হেতু তিন মাসের মধ্যে অল্‌ডারম্যানের বিশ্বস্ততার শপথ গ্রহণে অসমর্থ হওয়ায় ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ২২শে আগষ্ট তারিখে সুভাষচন্দ্র বসু মহাশয় কলিকাতা কর্পোরেশনের মেয়র নির্ব্বাচিত হন; কিন্তু সুভাষচন্দ্র তখনও কারা-প্রাচীরের অভ্যন্তরে বন্দী অবস্থায় ছিলেন।

 ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ২৩শে সেপ্টেম্বর রাত্রিকালে সুভাষচন্দ্রকে আলিপুর সেণ্ট্রাল জেল হইতে মুক্তিদান করা হয়। তৎপরদিবস তিনি অল্‌ডারম্যানের বিশ্বস্ততার শপথ গ্রহণ করেন, এবং তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে মেয়রপদে অধিষ্ঠিত হন। তাঁহার মেয়র-পদলাভে কলিকাতা কর্পোরেশনের সর্ব্বত্র একটা আনন্দের ও উৎসাহের বন্যা প্রবাহিত হইয়াছিল।

 মেয়র-পদে অধিষ্ঠিত হইবার পর অভিনন্দন-সূচক বক্তৃতাবলীর অবসানে, মেয়র সুভাষচন্দ্র প্রত্যুত্তরে বলেন—

 “প্রথম মেয়রের প্রথম বক্তৃতাই মিউনিসিপ্যাল টেষ্টামেণ্ট বা ধর্ম্মপুস্তক-স্বরূপ হইবে; দেশবন্ধুর কর্ম্ম-পদ্ধতি ছিল-দরিদ্র-নারায়ণের সেবা, অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যপ্রদ বাসগৃহ প্রদান। এই সমস্তই দরিদ্রের পক্ষে আশীর্ব্বাদ-স্বরূপ। এতদ্ভিন্ন স্বল্প ব্যয়ে বিশুদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য ও দুগ্ধ-সরবরাহ, শোধিত ও অশোধিত জল-সরবরাহের প্রাচুর্য্য, জনাকীর্ণ ও বস্তি-অঞ্চলে স্বাস্থ্যরক্ষার উৎকৃষ্টতর ব্যবস্থা অবলম্বন, যানবাহনের উন্নতি-বিধান—এই সমস্তও তাঁহার কার্য্য-তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

 কর্পোরেশনেই ইয়োরোপীয় ফ্যাসিজম্ ও সোশ্যালিজ্‌মের সমন্বয় সাধিত হইয়াছে। একদিকে ন্যায়, সাম্য ও মৈত্রী, ইহারা সোশ্যালিজ্‌মের প্রতীক; অন্যদিকে সংযম ও কর্ম্মদক্ষতা—এই দুইটি ফ্যাসিজ্‌মের প্রতীক; প্রকৃত পক্ষে সোশ্যালিজ্‌মের এবং ফ্যাসিজ্‌মের অপূর্ব্ব সমন্বয়—এই কর্পোরেশন।”

 ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে কলিকাতা কর্পোরেশনের এক সভায় তদানীন্তন গোলটেবিল-বৈঠকের তীব্র নিন্দা করা হয়। কারণ, গোলটেবিল-বৈঠক প্রকৃত পক্ষে সর্ব্বদলীয় প্রতিনিধি-সম্মেলন নহে। ১৩ই নভেম্বর লণ্ডনে গােলটেবিল বৈঠকের আলােচনা আরব্ধ হইয়াছিল।

 ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে কলিকাতার মেয়র-রূপে সুভাষচন্দ্র পাবনা পরিভ্রমণে গমন করেন; তৎকালে পাবনা-মিউনিসিপ্যালিটি একটি সভায় তাঁহাকে অভিনন্দন প্রদান করে। এই অভিনন্দনের উত্তরে তিনি বলিয়াছিলেন—

 “মানব-জীবন একটি অখণ্ড পূর্ণতা মাত্র। ইহাকে বায়ুহীন কক্ষে বিভক্ত করা চলে না। অংশে অংশে ইহার প্রতি দৃষ্টি প্রয়ােগ করা সম্ভব নহে। নাগরিক জীবন, রাজনীতিক জীবন ও সামাজিক জীবনকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন জীবন মনে করা যাইতে পারে না। অভ্যন্তর হইতে একটা বিরাট আদর্শ উদ্ভূত না হইলে নাগরিক জীবন সুন্দর ও পূর্ণ হওয়া সম্ভব নহে, স্বাধীনতা ব্যতীত সেই আদর্শ উদ্ভূত হওয়া অসম্ভব। *** প্রভাত-সূর্য্যোদয়ে যেমন সুদীর্ঘ রজনীর তমসাবৃত মেঘমালা দূরে পলায়ন করে, তেমনি আমরা শীঘ্রই দেখিব যে যুগযুগান্তরব্যাপী পরাধীনতা প্রভাতের কুজ্ঝটিকার মত অন্তর্হিত হইবে এবং স্বাধীনতা-সুর্য্য জাতির ললাটে গৌরবময় বিজয়-টীকা পরাইয়া দিবে।”

 সুভাষচন্দ্রের এই সকল বক্তৃতা হইতে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় যে, স্বাধীনতা ছিল তাঁহার হৃদয়-শোণিত; স্বাধীনতাকে বাদ দিয়া তিনি কখনও কিছু ভাবিতেই পারিতেন না।

 ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে সুভাষচন্দ্র উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমণ করেন। মালদহ পরিভ্রমণকালে তাঁহার উপর ফৌজদারী কার্য্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুসারে উক্ত জেলায় প্রবেশের এক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। নির্ভীক সুভাষচন্দ্র এই নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেন। ফলে তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রেলওয়ে-ষ্টেশনের বিশ্রামকক্ষে তাঁহার বিচার হয়।

 বিচারকালে সুভাষচন্দ্র বলিয়াছিলেন, “এই আদেশে ফৌজদারী কার্য্যবিধির ১৪৪ ধারার সম্পূর্ণ অপব্যবহার করা হইয়াছে। আত্মমর্য্যাদাসম্পন্ন ভারতবাসী হিসাবে আমি ইহা মানিয়া লইতে পারি না।”

 এই বিচারে তাঁহার প্রতি বিনাশ্রমে এক সপ্তাহের জন্য কারাবাসের আদেশ হয়।

 ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে সুভাষচন্দ্র স্বয়ং পুরোভাগে থাকিয়া একটি শােভাযাত্রা পরিচালনা করেন। পুলিশ এই শােভাযাত্রা লাঠি-চালনা দ্বারা ভাঙ্গিয়া দেয় এবং সুভাষচন্দ্র প্রহৃত হন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া শােভাযাত্রা পরিচালনা করায় তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিচারে তাঁহার প্রতি ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়। কিন্তু পরিপূর্ণ ছয় মাস তাঁহাকে কারাদণ্ড ভােগ করিতে হয় নাই। কারণ, বড়লাট লর্ড আরউইনের সহিত মহাত্মা গান্ধীর ইতােমধ্যে এক চুক্তি (Pact) সম্পাদিত হইয়াছিল।

 লর্ড আরউইন যখন দেখিলেন যে, অসহযােগ-আন্দোলনের ফলে বিলাতের গােলটেবিল-বৈঠকে কোন ভারতীয় প্রতিনিধি যােগদান করিলেন না, তিনি তখন কৌশলে অসহযােগআন্দোলন দমন করিতে সচেষ্ট হইলেন। মহাত্মার সহিত আলাপ-আলােচনা করিয়া তিনি এইটুকু ব্যবস্থা করিলেন যে, মহাত্মা তাঁহার অসহযােগ-আন্দোলন বন্ধ করিবেন এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে বিলাতে দ্বিতীয় গােলটেবিল-বৈঠকে যােগদান করিবেন। গভর্ণমেণ্টও সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুত হইলেন। মহাত্মা গান্ধীর সহিত লর্ড আরউইনের এই চুক্তির ফলে সুভাষচন্দ্র পূর্ণদণ্ড ভােগের পূর্ব্বেই, ৮ই মার্চ্চ তারিখে মুক্তিলাভ করিলেন।

 গান্ধী ও লর্ড আরউইনের চুক্তি সম্পর্কে আলাপ-আলােচনার সময় একদল উগ্রপন্থী কংগ্রেস-কর্ম্মী তখন মহাত্মাকে অনুরােধ করে যে, পাঞ্জাব-ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ভগৎ সিংএর মুক্তির জন্যও তিনি যেন চেষ্টা করেন।

 ভগৎ সিং পাঞ্জাব পরিষদ-কক্ষে বােমা নিক্ষেপ করিয়া ধৃত হইয়াছিলেন। বড়লাট তাঁহার মুক্তির কোন বন্দোবস্ত করিলেন না; তাঁহার মুক্তির প্রশ্ন পাঞ্জাব-গভর্ণমেণ্টের ব্যাপার বলিয়া, তিনি এড়াইয়া যাইবার চেষ্টা করিলেন। ইহা সত্ত্বেও মহাত্মা গান্ধী যে লর্ড আরউইনের সহিত চুক্তি-বদ্ধ হইলেন এবং অসহযােগ-আন্দোলন বন্ধ করিয়া গােলটেবিলবৈঠকে যােগদান করিতে সম্মত হইলেন, ইহাতে দেশের যুব-সম্প্রদায় বিশেষ ক্ষুব্ধ হইলেন। তাঁহারা করাচিতে কংগ্রেসের অধিবেশন-কালে, প্রায় পাশাপাশি ‘নও-জোয়ান-কংগ্রেস’ নামে অপর একটি সম্মেলন আহ্বান করিলেন।

 তরুণ সম্প্রদায়ের এই সম্মেলনে সুভাষচন্দ্র সভাপতি নির্ব্বাচিত হইলেন; কিন্তু সম্মেলনের অধিবেশন হইবার পূর্ব্বেই ভগৎ সিং ও শুকদেব সিংএর ফাঁসি হইয়া গেল। ইহাতে তরুণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ যেন চরমে উঠিল। তাঁহারা মনে করিলেন, যাঁহার গভর্ণমেণ্ট এত বড় একটা সাঙ্ঘাতিক কাজের পৃষ্ঠপোষক ও অনুমোদক, তাঁহার সহিত চুক্তিবদ্ধ হইয়া অসহযোগ-আন্দোলন বন্ধ করা মহাত্মার খুবই অন্যায় হইয়াছে। সুতরাং অতঃপর তিনি যখন করাচিতে উপস্থিত হইলেন, তখন ক্ষুব্ধ জনতা তাঁহাকে কৃষ্ণ পতাকা প্রদর্শন করিয়া অভ্যর্থনা করিল।

 নও-জোয়ান কংগ্রেসের অধিবেশন শেষ হইলে, সেই মণ্ডপেই নিখিল-ভারত লাঞ্ছিত রাজনীতিক সম্মেলনের অধিবেশন হয়। সুভাষচন্দ্র তাহাতেও সভাপতিত্ব করেন। তখন সভাপতির অভিভাষণে তিনি বলিয়াছিলেন, “আইন-অমান্য-আন্দোলন বন্ধ করিবার আদেশ দিয়া মহাত্মাজী দেশের স্বাধীনতা লাভের পক্ষে গুরুতর ক্ষতি করিয়াছেন। তাঁহার সঙ্গে বড়লাটের চুক্তি দেশের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা মাত্র!”

 ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের ৩১শে মার্চ্চ তারিখে করাচি-মিউনিসিপ্যালিটি কলিকাতা-কর্পোরেশনের লর্ড-মেয়র সুভাষচন্দ্রকে এক স্বাগত-অভিনন্দন প্রদান করিয়া সম্বর্দ্ধিত করেন; এই অভিনন্দনের উত্তরে সুভাষচন্দ্র প্রথমেই দেখাইয়া দেন যে, এই পরাধীন দেশে লর্ড বা প্রভু কেহ নাই—সকলেই দাস।[]

 প্রসঙ্গতঃ তিনি পাশ্চাত্ত্য লেখকগণের ভ্রান্ত ধারণার কথা উল্লেখ করিয়া বলেন যে, তাঁহাদের মতে পুরাকালে ভারতবর্ষে গণতন্ত্র বা স্বায়ত্তশাসনমূলক কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না।

 পাশ্চাত্ত্য পণ্ডিতগণের এই ধারণা যে ভ্রান্তিমূলক, তাহা প্রাচ্য পণ্ডিতগণের গবেষণায় প্রমাণিত হইয়াছে। তাঁহারা প্রমাণ করিয়াছেন যে, প্রকৃত প্রস্তাবে ভারতবর্ষ গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন-মুলক প্রতিষ্ঠানের সহিত বিশেষ পরিচিত ছিল।

 তাহাদের আর একটি অভিমত যে, নাগরিক জীবনের সহিত রাষ্ট্রনীতির কোন সম্পর্ক ছিল না;কিন্তু তাহা সম্পূর্ণ অসম্ভব। এই সময় সুভাষচন্দ্র দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের উল্লেখ করিয়া বলেন যে, দেশবন্ধুর মতে নাগরিক শাসন ও রাষ্ট্রশাসনকে জলরোধী কক্ষের মত পৃথক করা সম্ভব নহে; উভয়কে একটি অখণ্ড বস্তু বলিয়া ধরিতে হইবে। পরিশেষে তিনি বলেন যে, মিউনিসিপ্যালিটি সাহায্য করিলে জাতীয়তার প্রতি কর্ত্তব্য সম্পাদিত হইতে পারে; সুতরাং জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে রক্ষা করা এবং সহস্র-সহস্র নূতন জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা মিউনিসিপ্যালিটির কার্য্য।

 সুভাষচন্দ্রের এই বক্তৃতায়ও সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, পরাধীনতাকে তিনি কত বড় একটা দুর্ভাগ্য বলিয়া মনে করিতেন এবং জাতীয় কার্য্যের জন্য তাঁহার সমস্ত অন্তঃকরণ কতদিকে উন্মুখ হইয়া থাকিত!

 স্বাধীনতা যাঁহার অস্থি-মজ্জায় এমন ভাবে মিশিয়া ছিল, সরকারী দম্ভ ও অত্যাচারকে তিনি যে ঘৃণিত ও পাশব কীর্ত্তি বলিয়া মনে করিবেন, তাহাতে আর সন্দেহ কি? সুতরাং সারা ভারতবর্ষে তখন সরকারী চণ্ডনীতি যেভাবে আত্মপ্রকাশ করিতেছিল, বিশেষতঃ বন্দিশালায় আবদ্ধ নিরস্ত্র রাজনৈতিক বন্দীদের উপর তখন স্থানে স্থানে যে সব অত্যাচার হইতেছিল, সুভাষচন্দ্র তাহা শুনিয়া অত্যন্ত ব্যথিত হন।

 নিরস্ত্র বন্দীদের উপর চূড়ান্ত অত্যাচার হইল হিজলী বন্দিশালায়। সেখানে বন্দীদের উপর বেপরোয়া লাঠিচালনা হইল—গুলিচালনা হইল। গুলিচালনার ফলে দুইজন রাজবন্দী নিহত হইলেন।

 সকলেই আশা করিয়াছিল, কংগ্রেস এই ব্যাপারে নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করিবেন; কিন্তু কংগ্রেস তাহাতে বিশেষ কোন আন্দোলন করিলেন না।

 নিরস্ত্র বন্দীদিগকে গুলি করিয়া হত্যা করা যে কত নৃশংস ও মর্ম্মান্তিক, সুভাষচন্দ্র তাহা উপলব্ধি করিলেন। তথাপি কংগ্রেস বিশেষ কোন আন্দোলনের পক্ষপাতী নহে, তিনি ইহা লক্ষ্য করিয়া, প্রতিবাদে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস-কমিটির সভাপতির পদ ও কলিকাতা কর্পোরেশনের অল্‌ডারম্যানের পদে ইস্তফা দিলেন।

  1. “Subhash Chandra Bose...pointed out that in their enslaved country, there were yet no lords but all slaves.”—lbid, P. 444.