নেতাজী সুভাষ চন্দ্র
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে সাহায্য:চিত্র দেখুন। |
শ্রীহেমেন্দ্রবিজয় সেন, এম্-এ, বি-এল,
প্রণীত
সংশোধিত ও পরিবৰ্দ্ধিত
সংস্করণ
[জ্যৈষ্ঠ, ১৩৫৩]
মূল্য এক টাকা
দেব সাহিত্য-কুটীর
শ্রীযােগেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদিত
দেব-প্রেস
উৎসর্গ
দেশ-মাতৃকার পূজা—মহাব্রত জীবনের মাঝে
বরণ করিল যারা; পরাধীন মাতৃভূমি হেরি’
হৃদয়-তন্ত্রীতে যার অশরীরী মহাধ্বনি বাজে;
অত্যাচার-উৎপীড়ন করে জয় বাজাইয়া ভেরী;
দেশে দেশে যুগে যুগে করে দান শোণিতের ধারা,
ক্ষুধা-তৃষ্ণা মহাক্লেশ হেলায় সহিল অনিবার;
মহানন্দে কারাগারে বরণ করিয়া নিল যারা;—
দিলাম তাদের করে ‘নেতাজী সুভাষ’ আমার।
গ্রন্থকারের নিবেদন
বাংলার তথা ভারতের গৃহে গৃহে সুভাষচন্দ্র বসুর নাম আজ প্রাতঃস্মরণীয় হইয়া উঠিয়াছে। তাঁহার অসামান্য প্রতিভা, অলৌকিক স্বার্থত্যাগ, অভূতপূর্ব্ব তেজস্বিতা, অদ্বিতীয় সঙ্ঘগঠনশক্তি, সর্ব্বোপরি নির্ম্মল মন্দাকিনী-ধারার মত তাঁহার অকৃত্রিম অনাবিল স্বদেশপ্রেম তাঁহাকে ধনি-দরিদ্র-নির্ব্বিশেষে ছোটবড় সকলের প্রিয় করিয়া তুলিয়াছিল।
হতে পারে তিশি জীবনে সাফল্য লাভ করিতে পারেন নাই; কিন্তু দেশের স্বাধীনতা অর্জ্জনের জন্য তাঁহার জীবন ব্যাপী প্রচেষ্টা রাণা প্রতাপের মত ইতিহাসে পৃষ্ঠায় তাঁহাকে অমর করিয়া রাখিবে, সন্দেহ নাই।
তাহার জীবন বিফলতায় পর্য্যবসিত হইলেও তাঁহার মহৎজীবনে শিক্ষার অনেক সিছু আছে; তাই বাংলা-মায়ের অঞ্চলের নিধি সুভাষচন্দ্রর জীবন কাহিনী প্রণয়নে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
এই গ্রন্থ প্রণয়নে আমি বহুস্থানে “কলিকাতা মিউনিসিপ্যাল গেজেট, সুভাষ-সংখ্যা”র সাহায্য গ্রহণ করিয়াছি। তদ্ভিন্ন সাময়িক পত্রিকা, সংবাদ-পত্র, শ্রীযুক্ত হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত প্রণীত “দেশবন্ধু স্মৃতি”, অধ্যাপক শ্রীবিনয় কুমার সরকার প্রণীত “বিনয় সরকারের বৈঠকে”, সুভাষবাবুর নিজের রচনা “স্বদেশী ও বয়কট” (ইংরেজী) হইতেও অনেক সাহায্য গ্রহণ করিয়াছি। তজ্জন্য উপরিলিখিত পুস্তক ও পত্রিকার লেখক ও সম্পাদকগণকে আমি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি।
পরিশেষে “দেব সাহিত্য কুটীরের” স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় শ্রীযুক্ত সুবোধচন্দ্র মজুমদার মহাশয়কে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করিলে আমার কর্তব্য অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়; কারণ তিনিই সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন-চরিত প্রণয়নে আমাকে উৎসাহিত এবং সর্ব্বপ্রকারে সাহায্য করিয়াছেন। তাঁহার উৎসাহ এবং সাহায্য না পাইলে স্বদেশপ্রেমিক নেতাজী সুভাষচন্দ্রের কীর্ত্তি-কাহিনী লেখনীমুখে প্রকাশিত হইত কি না সন্দেহ।
মঙ্গলময় ভগবান্ নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আত্মাকে শান্তিদান করুন।
১১ বি, শম্ভুবাবু লেন, কলিকাতা দোল-পূর্ণিমা, ১৩৫২ বঙ্গাব্দ |
শ্রীহেমেন্দ্রবিজয় সেন |
সম্পাদকের নিবেদন
শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত হেমেন্দ্রবিজয় সেন মহাশয় যখন “নেতাজী সুভাষচন্দ্র’ লিখিতে আরম্ভ করেন, তখন পর্য্যন্ত এই বিরাট পুরুষটির সব কথা ও তাঁহার অলৌকিক কীর্ত্তির অনেক-কিছু সাধারণের অজ্ঞাত ছিল। কাজেই মাত্র এক মাসের মধ্যেই প্রথম সংস্করণ ফুরাইয়া যাওয়ায় দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপানোর আগে বইখানি আবার নূতন ভাবে পরিমার্জ্জনের প্রয়োজন মনে হয়। দেব সাহিত্য-কুটীরের কর্ণধার শ্রীযুক্ত সুবোধচন্দ্র মজুমদার মহাশয় সে দায়িত্ব আমারই কাঁধে চাপাইয়া দেন।
এই দায়িত্ব আমার পক্ষে অতি কষ্টকর হইলেও আমি তাহা যথাসাধ্য বহন করিবার চেষ্টা করিয়াছি; কিন্তু কতটুকু কৃতকার্য্য হইয়াছি, সে বিচার করিবেন আমার পাঠক-পাঠিকাগণ। তবে একটা কথা বলা আবশ্যক মনে করি।
আমার কলম-চালনা ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর ফলে পুস্তকের গৌরব যদি কোথাও ক্ষুণ্ন হইয়া থাকে, অথবা কাহারও আপত্তিকর কিছু ইহাতে প্রবেশ করিয়া থাকে, তাহা হইলে সেজন্য দায়ী এই নগণ্য সম্পাদক,—মূল গ্রন্থকার হেমেন্দ্রবিজয় বাবু একেবারেই দায়ী নহেন। ইতি—
কলিকাতা ১১নং কৈলাশ বসু ষ্ট্রীট্ ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩৫৩ |
শ্রীযোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদক |
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত বলে অনুমান করা হচ্ছে কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।
বিঃদ্রঃ এই লেখা/রচনা/বইয়ের লেখকের মৃত্যুসাল কোনও তথ্যসূত্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়। ভবিষ্যতে কোনো তথ্যসূত্র দ্বারা লেখকের মৃত্যুসাল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে এলে, এই লেখকের রচনার প্রকৃত কপিরাইট অবস্থা যাচাই করা সম্ভব হবে। নতুন তথ্য অনুসারে এই বইটির কপিরাইট অবস্থা ভবিষ্যতে বিচার করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।