পঞ্চক মালা/তাণ্ডব নৃত্য
অঙ্গে বিভূতি আজিন-বসন—
হেরিগো সৃষ্টি মণ্ডপে,
সঙ্গে অযুত ভূত প্রেতগণ—
ভৈরব নাচে তাণ্ডবে।
গম্ভীর গুরু ডমরু বাজিছে,
ফণী দোলে তালে উল্লাসি;
নন্দীর করে পটাহে নাদিছেঃ —
“বোম্ বোম্ হর সন্ন্যাসী।”
অনল-দীপ্ত দ্বাদশ সূর্য্য
ঊদ্ধ গগনে স্তম্ভিত;
প্রবল ঝটিকা বাজায় তূর্য্য,
শৈল সিন্ধু কম্পিত।
বিরচি গরলে অর্ঘ পাদ্য,
বাসুকি উঠিল নিঃশ্বাসি;
উপছি পাতাল উঠিল বাদ্য-
“জয় জয় হর সন্ন্যাসী।”
বক্ষে শঙ্কা জাগিল চকিতে,
চমকে ইন্দ্র চন্দ্র;
যক্ষ রক্ষ বিহ্বল চিতে
ভুলিল রক্ষা মন্ত্র।
রচেরে স্তোত্র দেবতাবর্গ—
উচ্চরে বাণী বিন্ন্যাসি’।
নাচেরে রুদ্র মাতায়ে স্বর্গ;
“বোম্ বোম্ হর সন্ন্যাসী।”
অগণিত লোকে বাজে বাদিত্র
গরজি অধিক গারবে;
দ্বিগুণিত ভূত ফণীর নৃত্য,
ভীম তাণ্ডব পারবে।
তুলিল গঙ্গা ফেনিল লহরী
জটায় জটায় উচ্ছাসি;
ঘুরিল ত্রিশূল গগন উপরি,
“জয় জয় হর সন্ন্যাসী।”
আজি যে তোমার নৃত্য হেরিয়া
তোমারি চরণ প্রান্তে,
নাচিছে বিশ্ব, শূন্য ঘেরিয়া-
আলোক বিকাশি ধান্তে।
অশিব মথিয়া মঙ্গল-গাথা
উঠিছে; শুনিছে বিশ্বাসী।
হে শিব, সার্ব্ব, বিশ্ব-বিধাতা!
“বোম বোম্ হর সন্ন্যাসী।