পঞ্চক মালা/মুগ্ধ
ঠোঁটের বোঁটায় দোলে ফুটে রাঙ্গা হাসির ফুল;
আমি এসে পুষ্প চয়নে,—
ভুলে খালি ফুলের পানে চাই।
ঝলক্ ভরে তরল্ আলো চাপিয়ে পাতার কুল
উছ্লে পড়ে উজল্ নয়নে;
সেই আলোকে নেয়ে ধুয়ে যাই।
ঝরে দেদার সুধার ঝরা গীতি-ধ্বনিতে;
ঝর্ণা কুলের বাতাস লাগে গায়,—
ছিটে ফোঁটা মধু-শুধু-পাই।
ফুলে’ ফুলে’ ওঠে জোয়ার, রূপের নদীতে;
দুলে দুলে তরী ভেসে যায়;
কূলে কূলে আমি ছুটি ধাই।
জালে পড়া পাখী আছি পাখা ছড়িয়ে,—
কাঁটা-গাঁথা আটা-মাখা পাশ;
দাঁড়িয়ে দূরে দেখছি শিকারী?
যেতে হুকুম দিচ্চ, বাঁধন্ পায়ে জড়িয়ে?
এ যে বেজায় নিঠুর পরিহাস!
উড়্তে নারি, কচ্চি স্বীকার-ই।
টোপ্ গিলেছি লোভে পড়ে, উগ্রে ফেলা দায়।
দিঠির জোড়া বঁড়্শি বিধেছে।
মজা তোমার মাছের বেপারি।
হেচ্কা টানে মাছ-খেলালে কণ্ঠা ছিঁড়ে যায়,—
বোঝেনা, যে খেলায় মেতেছে।
এই দুনিয়ার এম্নি বেভার-ই!
প্রাণের দখল্ চাইনে, কেবল মুষ্টি ভিখারী,—
তবু কেন দোরে ফেলে যাও?
প্রেম-নিধি থাকুক্ ভাঁড়ারে।
চাইনে প্রোমের জমিদারী; গরিব বেচারি—
খুসী হব, যদি মোরে দাও
দুটি দানা আঁচল্ ঝাড়াবে।
তৃপ্তি আমার, মুগ্ধ প্রাণে কাটিয়ে দেওয়া দিন;
মন্ মজাতে নেইক মনের সাধ
জীবন-ভরা থাকুক ধাঁধারে।
বসি রূপের সিংহাসনে, বাজিয়ে প্রেমের বীণ্
সুরের নেশায় করে দিয়ে মাৎ,
বিশ্ব রাখা মোহে বাঁধারে।