পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/১২২
পরবর্তী তিনখানি পত্র শরৎচন্দ্র বসুকে লিখিত
পরম পূজনীয় মেজদাদা,
বড়দাদা আসিয়া চলিয়া গিয়াছেন। তাঁর কাছে আমার অভিমত জানিতে পারিবেন। যদি আগামী সপ্তাহে আপনাকে দীর্ঘ পত্র লিখিবার মত শক্তি সংগ্রহ করিতে পারি তাহা হইলে আমার সিদ্ধান্তের বিষয় বিশদভাবে লিখিয়া জানাইব। বর্ত্তমানে সে সামর্থ্য আমার নাই।
গত কয়েকদিন ধরিয়া রোজই জ্বর হইতেছে—১৮ই·····; ২৮শে·····। ওজন কমিয়া ১২৮ পাউণ্ড দাঁড়াইয়াছে। এখনও শয্যাশায়ী। মাঝে মাঝে খুব বিরক্তিকর বোধ হয় কিন্তু আমাকে ধৈর্য্য ধরিতেই হইবে।
যদি বর্ত্তমান অবস্থা ও পরিবেশের কোনও পরিবর্ত্তন না হয় তাহা হইলে রোগ সারাইবার চেষ্টায় কোনও সুফল ফলিবে কিনা সন্দেহ। বস্তুতঃ আমার অবস্থা দিন দিনই খারাপ হইয়া পড়িতেছে। প্রতিকারের জন্য যোগাভ্যাস শুরু করিব কিনা চিন্তা করিতেছি। অবশ্য ইহার বিপদও আছে অনেক; আর সেই জন্যই ইতস্ততঃ করিতেছি। কিন্তু এ ছাড়া অন্য কোনও উপায়ও নাই। একমাত্র যোগের দ্বারাই আমার জীবন রক্ষা হইতে পারে। একথা গোপন করিয়া লাভ নাই যে, যক্ষ্মা মারাত্মক দুরারোগ্য ব্যাধি। এবং এ রোগ একবার যাহাকে ধরিয়াছে তাহাকে বাঁচার চেষ্টা অবশ্যই করিতে হইবে।
আশা করি সকলে ভাল আছেন। ইতি—
সুভাষ
পুনঃ—কোনও কারণেই আমার জন্য চিন্তিত হইবেন না—কারণ যে কোনও খারাপ অবস্থার জন্য সর্ব্বদা প্রস্তুত হইয়া আছি।
কলিকাতা
(ইংরাজী হইতে অনূদিত)