পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/১৮
বাবার সঙ্গে এপ্রিলের শেষে যাব। বর্দ্ধমান মহারাজার বাটী ঠিক হয়েছে। বিলাসিতার মধ্যে এবং বাড়ীর বন্ধনের ভিতরে থাকিতে খুব কষ্ট বোধ হইলেও থাকিব। সেখানে খুব extensive study করিব। আমার study চার ভাগে বিভক্ত করিব—
(১) Study of man and man’s history.
(২) General Study of the Sciences—first principles.
(৩) The Problem of truth—the Goal of human Progress অর্থাৎ Philosophy.
(8) The Greatness of the world.
এ ছাড়া মনে করিতেছি—কলেজের বইগুলি সব একবার শেষ করিব। এখন পড়াতে খুব উৎসাহ। আমি দেখছি এখন সব উল্টা—পরীক্ষা শেষ হইল অমনি পড়ায় খুব চাড় হইল। ইচ্ছা হচ্ছে সব বইগুলি গ্রাস করে ফেলি।
B, A. তে Philosophy Honours লইব এবং first হইব। এই রকম ইচ্ছা। তারপর সংস্কৃত লইব কি Economics লইব এখন ঠিক করিতে পারিতেছি না—economics-এর একটা জ্ঞান না থাকিলে modern world-এ live করা যায় না। সংস্কৃত নিজে নিজে পড়া যায়। এখন কথা হচ্ছে economics College-এ—যাহা পড়া হয় তাহা প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কাজ দেয়? যাক্ শীঘ্র এ বিষয়ে ঠিক করে ফেলিব। তুমি সুস্থ থাকিলে জার্ম্মানী যাইব। ভবিষ্যতের কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য স্থির করিবার জন্য এবং Step by Step কি রকম ভাবে Proceed করিব—তাহা স্থির করিবার জন্য একবার আমাদের দেখা হওয়া দরকার।
শরীরের দিক দিয়ে প্রয়োজন হইলে আমি কলিকাতায় পড়িব না। কলিকাতায় পড়িবার একটা সুবিধা এই যে, ভাল Professor আছে। কটকে পড়িবার সুবিধা এই যে, Climate ভাল— কাজ করিবার সুবিধা কারণ বেশ influence আছে—Public-এর মধ্যে; অন্ততঃ যতদিন বাবা বেঁচে আছেন। দরকার হইলে কটকে বা হাজারিবাগে পড়িতে পারি। হাজারিবাগে Prospectus-এর জন্য লিখেছি, Kurseong থেকে ফিরে এসে যদি দরকার মনে করি তাহা হইলে কলিকাতায় পড়া বন্ধ করিতে পারি। যদি তাই হয়, তাহা হইলে আমার ধারগুলি তোমায় শোধ দিতে হইবে—প্রথমতঃ কিছু কিছু সাহায্য করিবে—কারণ আর tuition করিবার সুবিধা হইবে না দত্তগুপ্তকেও কিছু দিতে হইবে।