পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/২৮
Mr. Sentimentalist,
তোমার পত্র কাল পেয়েছি। আমার ওজন ১ মণ ২ ১/২ সের—আমি ইহাতে আশ্চর্য্য হইয়াছি—কারণ কটকে আমি ছিলাম ১ মণ ১৬ ১/২ সের, যাহা হউক, এখানে একমাস থাকিলে আরও ৫ সের বাড়িতে পারিব আশা করি।
এখানে আসা অবধি সব রকমে ভাল আছি। আমার তাই পাহাড় বড় ভাল লাগে। মধ্যে ২ বৃষ্টির দরুন একটু রসভঙ্গ হয়—তা ছাড়া আর অসুবিধা কিছু নাই। খটখটে রৌদ্র আর কুয়াশা (dry fog) এটা এখানকার ideal weather, এ পর্য্যন্ত পড়াশুনা কিছু করিতে পারি নাই—দেখি অতঃপর ভাল পড়া হয় কি না।
* * *
দেখ পাহাড়গুলি বড় অদ্ভুত জিনিষ, আমার মনে হয় বীর্য্যবান আর্য্যদের উপযুক্ত বাসস্থান—এই পর্ব্বত গাত্র। Degenerating plains-এ বাস করা উচিত নয়, অবশ্য একথা বলে কোন লাভ নাই and it cannot be helped—তবে কলিকাতায় দুই কাঠা জমির উপর ৫০,০০০ টাকা ব্যয় করিয়া বাড়ী করা অপেক্ষা পাহাড়ে একটা করা ঢের ভাল। মাংস খেয়ে পাহাড় ডিঙ্গলে আর্য্যরক্ত যে ভাবে ধমনীতে প্রবাহিত হয় এইরূপ আর কিছুতেই হয় না।
আমাদের এখন সে পবিত্র আর্য্যরক্ত নাই। কতযুগের পরাধীনতা—কত adulteration....
* * *
পাহাড়ে বেড়াতে ২ এই কথা খুব মনে হয়। চাই শিরায় ২ রজোগুণ। চাই লম্ফের দ্বারা পর্ব্বত উল্লঙ্ঘন—যখন আর্য্যগণ এইরূপ করিত তখনই তাহাদের কণ্ঠ হইতে বেদগান ধ্বনিত হইয়াছিল।
এখন হিন্দুজাতির সেই pristine freshness নাই—সেই youthful vigour নাই—সেই অপূর্ব্ব মনুষ্যত্ব নাই। এসব ফিরিয়া পাইতে গেলে we must begin from the land of our birth—the sacred Himalayas. ভারতে যদি কিছু অমূল্য—যদি কিছু ভাল থাকে—যদি কিছু গৌরব করিবার থাকে— সে সবের স্মৃতি হিমাচলের সহিত জড়িত। তাই হিমালয়কে দেখিলে সে সব স্মৃতি ফিরিয়া আসে।.... ইতি—
Rationalist