পথের পাঁচালী/একাদশ পরিচ্ছেদ
এদিনের ব্যাপারটা এইরূপে ঘটিল।
অপু বাবার আদেশে তালপাতে সাতখানা ক খ হাতের লেখা শেষ করিয়া কি করা যায় ভাবিতে ভাবিতে বাড়ীর মধ্যে দিদিকে খুঁজিতে গেল। দুৰ্গা মায়ের ভয়ে সকালে নাহিয়া আসিয়া ভিতরের উঠানে পেঁপেতলায় পুণ্যিপুকুরের ব্ৰত করিতেছে। উঠানে ছোট্ট চৌকোণা গর্ত্ত কাটিয়া তাহার চারিধারে ছোলা, মটর ছড়াইয়া দিয়াছিল—ভিজে মাটিতে সেগুলির অঙ্কুর বাহির হইয়াছে—চারিদিকে কলার ছোট বোগ পুঁতিয়া ধারে পিটুলি গোলার আল্পনা দিতেছে—পদ্মলতা,—পাখী, ধানের শীষ্, নতুন ওঠা সূর্য্য। দুৰ্গা বলিল,—দাঁড়া, এই মন্তরটা বলে নিয়ে চল এক জায়গায় যাবো।
—কোথা রে দিদি?
—চল না, নিয়ে যাবো এখন, দেখিস এখন। পরে আনুষঙ্গিক বিধি-অনুষ্ঠান সাঙ্গ করিয়া সে এক নিশ্বাসে আবৃত্তি করিতে লাগিল—
পুণ্যিপুকুর পুষ্পমালা কে পূজে রে দুকুর বেলা?
আমি সতী লীলাবতী ভায়ের বোন্ ভাগ্যবতী—
অপু দাঁড়াইয়া শুনিতেছিল, বিদ্রুপের ভঙ্গিতে হাসিয়া বলিল—ইঃ।
দুৰ্গা ছড়া থামাইয়া ঈষৎ লজ্জা-মিশানো হাসির সঙ্গে বলিল—তুই ও-রকম কচ্চিস কেন? যা এখান থেকে—তোর এখানে কি?—যা।
অপু হাসিয়া চলিয়া গেল। যাইতে যাইতে আবৃত্তি করিতে লাগিল—
আমি সতী লীলাবতী, ভাই বোন ভাগ্যবতী
হি হি—ভাই বোন্ ভাগ্যবতী—হি হি—
দুৰ্গা বলিল, তোমার বড় ইয়ে হয়েচে, না? মাকে ব'লে তোমার ভ্যাংচানো বার করবো এখন—
ব্ৰতানুষ্ঠান শেষ করিয়া দুৰ্গা বলিল, চল্ গড়ের পুকুরে অনেক পানফল হ'য়ে আছে–—ভোঁদার মা বলছিল, চল্ নিয়ে আসি—
গ্রামের একেবারে উত্তরাংশে চারিধারে বাঁশবন ও আগাছা এবং প্রাচীন আমকাঁঠালের বাগানের ভিতর দিয়া পথ। লোকালয় হইতে অনেক দূরে গভীর বন যেখানে শেষ হইয়াছে, সেখানে মাঠের ধারে মজা পুকুরটা। কোন্কালে গ্রামের আদি বাসিন্দা মজুমদারদের বাড়ীর চতুর্দ্দিকে যে গড়খাই ছিল তাহার অন্য অংশ এখন ভরাট হইয়া গিয়াছে।–কেবল এই খাতটাতে বারমাস জল থাকে, ইহারই নাম গড়ের পুকুর। মজুমদারদের বাড়ীর কোন চিহ্ন এখন নাই।
সেখানে পৌঁছিয়া তাহারা দেখিল পুকুরে পানফল অনেক আছে বটে, কিন্তু কিনারার ধারে বিশেষ কিছু নাই, সবই জল হইতে দূরে। দূর্গ বলিল—অপু, একটা বাঁশের কঞ্চি দ্যাখ তো খুঁজে—তাই দিয়ে টেনে টেনে আন্বো। পরে সে পুকুরধারের ঝোপের শেওড়া গাছ হইতে পাকা শেওড়ার ফল তুলিয়া খাইতে লাগিল। অপু বনের মধ্যে কঞ্চি খুঁজিতে খুঁজিতে দেখিতে পাইয়া বলিল—ও দিদি, ও ফল খাস্নি!—দূর্—আশ শ্যাওড়ার ফল কি খায় রে! ও তো পাখীতে খায়—
দুৰ্গা পাকা ফল টিপিয়া বীজ বাহির করিতে করিতে বলিল—আয় দিকি—দ্যাখ্ দিকি খেয়ে—মিষ্টি যেন গুড়—কে বলেচে খায় না? আমি তো কত খোইচি।
অপু কঞ্চি-কুড়ানো রাখিয়া দিদির কাছে আসিয়া বলিল—খেলে যে বলে পাগল হয়? আমায় একটা দে দিকি, দিদি—
পরে সে খাইয়া মুখ একটু কাঁচুমাচু করিয়া বলিল—এট্টু এট্টু তেতো যে দিদি–—
—তা এট্টু তেতো থাকবে না? তা থাক্, কেমন মিষ্টি বল্ দিকি—কথা শেষ করিয়া দুর্গা খুব খুশির সহিত গোট কতক পাকা ফল মুখের মধ্যে পুরিল।
জন্মিয়া পর্য্যন্ত ইহারা কখনো কোনো ভাল জিনিস খাইতে পায় নাই। অথচ পৃথিবীতে ইহারা নূতন আসিয়াছে, জিহ্বা ইহাদের নূতন—তাহা পৃথিবীর নানা রস, বিশেষত মিষ্টি রস আস্বাদ করিবার জন্য লালায়িত। সন্দেশ মিঠাই কিনিয়া সে পরিতৃপ্তি লাভ করিবার সুযোগ ইহাদের ঘটে না—বিশ্বের অনন্ত-সম্পদের মধ্যে তুচ্ছ বনগাছ হইতে মিষ্টরস আহরণরত এই সব লুব্ধ দরিদ্র ঘরের বালকবালিকাদের জন্য তাই করুণাময়ী বনদেবীরা বোনের তুচ্ছ ফুলফল মিষ্টি মধুতে তরইয়া রাখেন।
খানিকটা পরে দুর্গা পুকুরের জলে একটু নামিয়া বলিল—কত নল ফুল রয়েছে অপু। দাঁড়া তুল্চি! জলে আরও নামিয়া সে দুইটা ফুলের লতা ধরিয়া টানিল—ডাঙায় ছুঁড়িয়া দিয়া বলিল—ধর্ অপু। অপু বলিল—পানফল তো খুব জলে—ওখানে কি ক'রে যাবি দিদি? দুর্গা একটা কঞ্চি দিয়া দূর জলের পানফলের গাছগুলা টানিবার চেষ্টা করিয়া পারিল না। বলিল—বড্ড গড়ানো পুকুর রে—গড়িয়ে যাচ্চি ডুব জলে—নাগাল পাই কি ক'রে? তুই এক কাজ কর্, পেছন থেকে আমার আঁচল ধ'রে টেনে রাখ দিকি, আমি কঞ্চি দিয়ে পানফলের ঐ ঝাঁকতা টেনে আনি—
বনের মধ্যে হল্দে কি একটা পাখী ময়নাকাঁটা গাছের ডালের আগায় বসিয়া পাতা নাচাইয়া ভারি চমৎকার শিষ্ দিতেছিল। অপু চাহিয়া চাহিয়া দেখিয়া বলিল—কি পাখী রে দিদি?
—পাখী-টাখী এখন থাক্—ধর্ দিকি বেশ ক'রে আঁচলটা টেনে, গড়িয়ে যাবো—জোর ক'রে—
অপু পিছন হইতে আঁচল টানিয়া রহিল। দুর্গা পারে পায়ে নামিয়া যতদূর যায় কঞ্চি আগাইয়া দিল। কাপড়-চোপড় ভিজিয়া গেল তবু নাগাল আসে না—আরও একটুখানি নামিয়া আঙুলের আগার মাত্র কঞ্চিখানাকে ধরিয়া টানিবার চেষ্টা করিল। অপু টানিয়া ধরিয়া থাকিতে থাকিতে শক্তিতে আর কুলাইতেছে না দেখিয়া পিছন হইতে হাসিয়া উঠিল। হাসির সঙ্গে আঁচল ঢিলা হওয়াতে দুর্গা জলের দিকে ঝুঁকিয়া পড়িল কিন্তু তখনই সাম্লাইয়া হাসিয়া বলিল—দূর, তুই যদি কোনো কাজের ছেলে—ধর্ ফের। অতিকষ্টে একটা পানফলের ঝাঁক কাছে আসিল—দুর্গা কৌতূহলের সহিত দেখিতে লাগিল কতগুলা পানফল ধরিয়াছে। পরে ডাঙায় ছুঁড়িয়া দিয়া বলিল—বড্ড কচি, এখনও দুধ হয়নি মধ্যে, আর একবার ধর্ তো। অপু আবার পিছন হইতে টানিয়া ধরিয়া রহিল। খানিকট থাকিবার পর সে দিদির ঝুঁকিবার সঙ্গে সঙ্গে টনের চোটে আবার দু-এক পা জলের দিকে আগাইয়া আসিতে লাগিল—পরে কাপড় ভিজিয়া যায় দেখিয়া হাল ছাড়িয়া হি হি করিয়া হাসিয়া উঠিল।
দুর্গা হাসিয়া বলিল, দূর!
ভাইবোনের কলহাস্যে থানিকক্ষণ ধরিয়া পুকুরপ্রান্তের নির্জ্জন বাঁশবাগান মুখরিত হইতে লাগিল। দুর্গা বলিল—এতটুকু যদি জোর থাকে তোর গায়ে? গাবের ঢেঁকী কোথাকার!
খানিকটা পরে দুর্গা জলে নামিয়া আর একবার চেষ্টা করিয়া দেখিতেছে, অপু ডাঙায় দাঁড়াইয়া আছে, এমন সময় অপু পাশের একটা শেওড়া গাছের দিকে আঙুল দিয়া দেখাইয়া চেঁচাই দিয়া উঠিল-দিদি, দ্যাখ্ কি এখানে।···পরে সে ছুটিা গিয়া মাটি খুঁড়িয়া কি তুলিতে লাগিল!
দুর্গা জল হইতে জিজ্ঞাসা করিল—কি রে? পরে সেও উঠিয়া ভাইয়ের কাছে আসিল।
অপু ততক্ষণ মাটি খুঁড়িয়া কি একটা বাহির করিয়া কোঁচার কাপড় দিয়া মাটি মুছিয়া সাফ করিতেছে। হাতে করিয়া আহ্লাদের সহিত দিদিকে দেখাইয়া বলিল—দ্যাখ দিদি, চক্চক্ কচ্ছে—কি জিনিস রে?
দুর্গা হাতে লইয়া দেখিল—গোলমত একদিকে ছুঁচোলো পল-কাটাকাটা চক্চকে কি একটা জিনিস সে খানিকক্ষণ আগ্রহের সহিত নানাভাবে উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখিতে লাগিল।
হঠাৎ কি ভাবিয়া তাহার রুক্ষ চুলে-ঘেরা মুখ উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। সে ভয়ে ভয়ে চারিদিকে চাহিয়া দেখিল কেহ দেখিতেছে কিনা। চুপি-চুপি বলিল—অপু, এটা বোধ হয় হীরে! চুপ কর্, চেঁচাসনে পরে সে ভয়ে-ভয়ে আর একবার চারিদিকে চাহিয়া দেখিল।
অপু দিদির দিকে অবাক্ হইয়া চাহিয়া রহিল। হীরক বস্তুটি তাহার অজ্ঞাত নয় বটে,—মায়ের মুখে, দিদির মুখে রূপকথার রাজপুত্র ও রাজকন্যার হীরামুক্তার অলঙ্কারের ঘটা সে অনেকবার শুনিয়াছে কিন্তু হীরা জিনিসটা কি রকম দেখিতে, সে সম্বন্ধে তাহার মনে একটু ভুল ধরণ ছিল। তাহার মনে হইত হীরা দেখিতে মাছের ডিমের মত, হল্দে হল্দে, তবে নরম নয়—শক্ত।···
সর্ব্বজয়া বাড়ী ছিল না, পাড়া হইতে আসিয়া দেখিল—ছেলেমেয়ে বাড়ীর ভিতর দিকে দরজার কাছে দাঁড়াইয়া আছে। কাছে যাইতে দুর্গা চুপিচুপি বলিল—মা, একটা জিনিস কুড়িয়ে পেয়েচি আমরা গড়ের পুকুরে পান্ফল তুল্তে গিইছিলাম মা। সেখানে জঙ্গলের মধ্যে এইটে পোঁতা ছিল!
অপু বলিল—আমি দেখে দিদিকে বল্লাম, মা।
দুর্গা আঁচল হইতে জিনিসটা খুলিয়া মায়ের হাতে দিয়া বলিল—দ্যাখো দিকি কি এটা মা? সর্ব্বজয়া উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখিতে লাগিল। দুর্গা চুপিচুপি বলিল—মা, এটা ঠিক হীরে—নয়? সর্ব্বজয়ারও হীরক সম্বন্ধে ধারণা তাহাদের অপেক্ষা বেশী স্পষ্ট নহে। সে সন্দিগ্ধসুরে জিজ্ঞাসা করিল—তুই কি করে জান্লি হীরে? দুর্গা বলিল—মজুমদারেরা বড়লোক ছিলো তো মা? ওদের ভিটের জঙ্গলে কারা নাকি মোহর কুড়িয়ে পেয়েছিল—পিসি গল্প করতো। এটা একেবারে পুকুরের ধারে বনের মধ্যে পোঁতা ছিল রোদ্দুর লেগে চকচক কচ্ছিল,—এ ঠিক মা হীরে।
সর্ব্বজয়া বলিল—আগে উনি আসুন ওঁকে দেখাই।
দুর্গা বাহিরে উঠানে আসিয়া আহ্লাদের সহিত ভাইকে বলিল—হীরে যদি হয়, তবে দেখিস্ আমরা বড়মানুষ হরে যাবো।
অপু না বুঝিয়া বকর মত হি হি করিয়া হাসিল।
ছেলেমেয়ে চলিয়া গেলে জিনিসটা সর্ব্বজয়া ভাল করিয়া দেখিতে লাগিল। গোলমত, ধারকাটা ও পলতোলা, এক মুখ ছুঁচোলো—যেন সিন্দূর কৌটার ঢাক্নির উপরটা। বেশ চক্চকে। সর্ব্বজয়ার মনে হইল যে অনেক রকম রং সে ইহার মধ্যে দেখিতে পাইতেছে। তবে কাচ যে নয়—ইহা ঠিক। এ রকম ধরণের কাচ সে কখনো দেখিয়াছে বলিয়া তো মনে হয় না। হঠাৎ তাহার সমস্ত গা দিয়া যেন কিসের স্রোত বহিয়া গেল, তাহার মনের এক কোণে নানা সন্দেহের বাধা ঠেলিয়া একটা গাঢ় দুরাশা ভয়ে ভয়ে একটু উঁকি মারিল—সত্যই যদি হীরে হয় তা হোলে?
হীরক সম্বন্ধে তাহার ধারণাটা পরশপাথর কিংবা সাপের মাথার মণি জাতীয় ছিল। কাহিনীর কথা মাত্র, বাস্তব জগতে বড় একটা দেখা যায় না; আর যদি বা দেখা যায়, তবে দুনিয়ার ঐশ্বর্য্য বোধ হয় এক টুক্রা হীরার বদলে পাওয়া যাইতে পারে।
খানিকটা পরে একটা পুঁটুলি হাতে হরিহর বাড়ী ঢুকিল।
সৰ্ব্বজয়া বলিল—ওগো, শোনো, এদিকে এসো তো! দ্যাখো তো এটা কি!
হরিহর হাতে লইয়া বলিল—কোথায় পেলে ?
—দুগ্গা গড়ের পুকুরে পানফল তুল্তে গিয়েছিল, কুড়িয়ে পেয়েচে। কি বলে দিকি?
হরিহর খানিকট উন্টাইয়া পাণ্টাইয়া দেখিয়া বলিল—কাচ, না হয়, পাথর-টাথর হবে—এতটুকু জিনিস, ঠিক বুঝতে পারচি নে।
সৰ্ব্বজয়ার মনে একটুখানি ক্ষীণ আশার রেখা দেখা দিল—কাচ হইলে তাহার স্বামী কি চিনিতে পারিত না? পরে সে চুপিচুপি, যেন পাছে স্বামী বিরুদ্ধযুক্তি দেখায় এই ভয়ে বলিল—হীরে নয় তো? দুগ্গা বলছিলো মজুমদার বাড়ীর গড়ে তো কত লোক কত কি কুড়িয়ে পেয়েচে! যদি হীরে হয়!
—হ্যাঁ, হীরে যদি পথেঘাটে পাওয়া যেতো তবে আর ভাবনা কি ছিল? তুমিও যেমন!···তাহার মনে মনে ধারণা হইল ইহা কাছ। পরক্ষণি কিন্তু মনে হইল—হয়ত হইতেও পারে। বলা যায় কি! মজুমদারেরা বড় লোক ছিল। বিচিত্র কি যে হয়ত তাহাদেরই গহনায়-টহনায় কোনো কালে বসানো ছিল, কি করিয়া মাটির মধ্যে পুঁতিয়া গিয়াছে! কথায় বলে, কপালে না থাকিলে গুপ্তধন হাতে পড়িলেও চেনা যায় না—শেষে কি দরিদ্র ব্রাহ্মণের গল্পের মত ঘটিবে?
সে বলিল—আচ্ছা দাঁড়াও, একবার বরং গাঙ্গুলী-বাড়ী দেখিয়ে আনি।
রাঁধিতে রাঁধিতে সৰ্ব্বজয়া বার বার মনে মনে বলিতে লাগিল—দোহাই ঠাকুর, কত লোক তো কত কি কুড়িয়ে পায়। এই কষ্ট যাচ্ছে সংসারের—বাছাদের দিকে মুখ তুলে তাকিও—দোহাই ঠাকুর!
তাহার বুকের মধ্যে ঢিপ্ ঢিপ্ করিতেছিল।
খানিকটা পরে দুর্গা বাড়ী আসিয়া আগ্রহের স্বরে বলিল—বাবা এখনও বাড়ী ফেরে নি, হ্যাঁ মা?
সঙ্গে সঙ্গে হরিহর বাড়ীর ভিতর ঢুকিয়া বলিল-হুঁঃ, তখনই আমি বল্লাম এ কিছুই নয়। গাঙ্গুলী মশায়ের জামাই সত্যবাবু কল্কাতা থেকে এসেছেন—তিনি দেখে বল্লেন, এ একরকম বেলোয়ারী কাচ—ঝাড়-লণ্ঠনে ঝুলানো থাকে। রাস্তাঘাটে যদি হীরে-জহরৎ পাওয়া যেত তা হোলে···তুমিও যেমন।