পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ
১২৩

প্রকৃতিগত জ্ঞান-পিপাসা ও আত্মোপলব্ধির আকাঙ্ক্ষাকে এমন করিয়া উদ্বুদ্ধ করিলেও, ‘শান্তং শিবং অদ্বৈতং’কে লাভ করিবার জন্যই যে অতিশয় উৎকণ্ঠিত হইয়াছিল, সেও সেই মহাপুরুষের মধ্যে তাহা প্রত্যক্ষ করিয়া তাঁহার সেবায় নিজের সকল শক্তি উৎসর্গ করিয়াছিল। উভয়ের প্রকৃতিতে যে প্রভেদ লক্ষ্য করা যায়, তাহার উল্লেখ ভগিনী নিবেদিতা ও মঃ রোলাঁ উভয়েই একটু বিশেষভাবে করিয়াছেন। ভগিনী নিবেদিতা বলিয়াছেন—

 Sri Ramkrishna had been, as the Swami himself said once of him, “like a flower” living apart in the garden of a temple, simple, half naked, orthodox, the ideal of the old time in India, suddenly burst into bloom, in a world that had thought to dismiss its very memory. It was at once the greatness and the tragedy of my own master’s life that he was not of this type. His was the modern mind in its completeness. In his consciousness, the ancient light of the mood in which man comes face to face with God might shine, but it shone on all those questions and all those puzzles which are present to the thinkers and workers of the modern world.—The Master as I saw Him. Pp. 124-25.

 অর্থাৎ, শ্রীরামকৄষ্ণ যেন এই চিন্তাব্যাধিগ্রস্ত, শঙ্কাসংশয়ক্লিষ্ট আধুনিক সমাজে নিরুদ্বেগ নিশ্চিন্ত আনন্দের উৎসস্বরূপ ছিলেন—একটি ফুলের মত তিনি এই কণ্টকারণ্যে ফুটিয়া উঠিয়াছিলেন; তিনি ছিলেন আত্মানন্দী পুরুষ, বাহিরের অন্ধকার তাঁহার অন্তর্গহনের জ্যোতিঃশিখা ম্লান করিতে পারে নাই। সেই আলোকে বিবেকানন্দও চক্ষু