অমরনাথ ब्रहैम्रा यांग्र । রাজ-পতাকা আগে আগে, পশ্চাতে যাত্রিগণ— | প্রাণ হাতে করিয়া চলিতে থাকে। অমরনাথে যাত্রা করিয়া পথের মধ্যে সকলে একুশট তীর্থস্থানে স্নান করে । যাত্রীর প্রথমে বিতস্তা নদী পার হইয়া কশ্যপ মুনির ভীৰ্য্য বা শ্ৰীমানে গিয়া পৌছে। এখানে কোন দেবমূৰ্ত্তি নাই। কথিত আছে, এখানে কেহ স্নান করিলে শৌর্য্য ও ঐসম্পন্ন হন। দ্বিতীয় তীর্থ পাওতন। বোধ হয় ইহাপদস্থান’ শব্দের অপভ্রংশ। ভগবতী পলায়ন করিতেছিলেন, মহাদেব তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিতেছেন। এই খানে শিব ভগবতীর পদচিকু দেখিতে পাইলেন ; সে জন্য অনুমান হয়, পাওতন—পদস্তান শব্দের অপভ্রংশ । বহুকাল পূৰ্ব্বে এখানে কশ্মীরের রাজধানী ছিল। মহারাজ অশোক এই নগরে রাজত্ব করিতেন । র্তাহার প্রতিঠিত একটা মন্দিরে বুদ্ধদেবের দন্ত ছিল। তাহার পর কান্তকুজের রাজা অভিমত্যু আগুন লাগাইয়া সমস্ত নগর নষ্ট করেন। তাহাতে দেবালয়াদি পুড়িয়া যায়। কেহ কেহ বলেন, ৯১৩ খৃষ্টাব্দে পার্থ রাজা এই নগর স্থাপন করেন। অভিমত্যু যে নগর ধ্বংস করিয়াছিলেন তাহা ইহার নিকটে ছিল। শেষে শাহী উদ্দিন সিকদার কশীরে উপদ্রব করিয়াছিলেন, তখনও এনগর বিনষ্ট হয় নাই। এথানে ৮০ হাত চতুষ্কোণ একটা শিবকুণ্ড আছে। অমরনাথে যাইবার সময়ে যাত্রীরা সেই কুণ্ডে স্নান করে। পাণ্ডতনে এখনও অনেক দেবালয় ও অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ পড়িয়া আছে। তৃতীয় তীর্থস্থানের নাম পদিনাপুর বা পাপুর। ইহা পদ্মপুর শকের অপভ্রংশ। পদ্ম নামে কোন কাল এই নগর নির্মাণ করিয়াছিলেন। এখন কেবল স্থানে স্থানে বৃহৎ বৃহৎ স্তম্ভ ও অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার পর যাত্রীরা যে খানে স্বান করে তাহার নাম যক্ৰয় । এখানে মহাদেবের একটা লিঙ্গ আছে। যক্রর ছাড়াইয়া তাহার পর অবন্তীপুর । মহারাত্ত অবষ্ট্ৰীবশ্ম এই নগর প্রতিষ্ঠিত করেন। কথিত আছে, মহাদেবের বরে তিনি জলের উপরে স্থাটিতে পারিতেন। তৎকালে একবার মহাজলপ্লাবনে কশ্মীর ডুবিয়া যার। কিন্তু অযত্নীৰা আপনার সাধনবলে বিপদগ্ৰস্ত হন নাই। অধস্তীপুরে এখন অনেক দেবালয়াদির ভগ্নাবশেস [ 8૪-૦ ] অমরনাথ Jayantanth (আলাপ) ১২:২৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (ইউটিসি) পড়িয়া আছে। তাহার পর বাগ্ছমু উৎস। ৮–-হস্তীকি-নর-কুনু-নর্গম । ৯–চক্ৰধর । ১০—দেবকী স্থান । ১১—বিজয়েশ্বর । ১২—হরিশ্চন্ত্ররাজ । ১৩—তেজোবর। ১৪—সুরি গুফর ( সৌর গহবর ) । ১৫—মুকয় গ। ১৬—বক্রর । ১৭—সলর। ১৮—গণেশকুল। ১৯–নীলগঙ্গা। ২০—স্থাঙ্কেশ্বর। সৰ্ব্বশেষে পঞ্চতরঙ্গিণী । এই নিৰ্ব্বরের পাঁচটা শাখা, তজ্জন্ত লোকে ইহাকে পঞ্চতরণী কহে । যাত্রীরা এই থানে স্নান করে । স্নানের পর বস্ত্র ত্যাগ করিয়৷ ভূৰ্জপত্রের বস্ত্র পরে। কেহ কেহ বিবঙ্গ হইয়াই মনের উল্লাসে হর হর জয় জয় শব্দ করিতে করিতে অগ্রসর হইতে থাকে। পঞ্চতরঙ্গিণী অমরেশ্বর হইতে এক ক্রোশ দূরে । যাত্রীরা আপন আপন খাদ্য সামগ্রী প্রভৃতি এই আড়ায় রাখিয়া যায়। এই বার অমরেশ্বরের গুহ। ইহার প্রবেশ পথ প্রায় ৩২ হাত প্রশস্ত । গুহায় প্রবেশ কfরলে প্রথমে প্রায় ৫০ হাত সরল পথ । তাছার পর দক্ষিণ দিকে একটু ফিরিয়া আবার প্রায় ১৬ হাত অগ্রসর হইতে হয়। গুহার ভিতর অত্যন্ত শীতল ; উপর হইতে সৰ্ব্বদাই টপ টপ করিয়া জল ঝরিতেছে। মহাদেবের স্বয়ম্ভু তুষারলিঙ্গ এই থানে—নিৰ্ম্মল স্ফটিকের ন্যায় ধপ, ধপ করিতেছে । কথিত আছে, চন্ত্রের মত এই শিবলিঙ্গের নাকি হ্রাস বৃদ্ধি হইয়া থাকে। পূর্ণিমাতে মহাদেবের পূর্ণমূৰ্ত্তি দেখা যায়। তাহার পর প্রতিপৎ হইতে এক এক কলা করিয়া কমিয়া আসে। অমবস্তাতে তুষারলিঙ্গের কিছুই অবশিষ্ট থাকে না,-- সমস্ত অবয়ব অদৃপ্ত হইয়া যায়। আবার শুক্লপক্ষের -- প্রতিপৎ হইতে ঐ লিঙ্গ প্রত্যহ এক এক কলা করিয়া বাড়িতে থাকে। এ স্থান জনশূন্ত, অতিশয় ভয়ানক ; বার মাস তথায় কেহই থাকিতে পারে না । কচিৎ যোগী সন্ন্যাসীদের মধ্যে কেহ কেহ সেখানে তিন চারি মাস অবস্থিতি করেন। র্তাহারাই বলিয়া থাকেন যে, চন্দ্রের হ্রাসবৃদ্ধির সঙ্গে অমরনাথের হ্রাসবৃদ্ধি হয়। মহারাজ গোলাব সিংহ একবার সেখানে রাত্রিবাস করিয়াছিলেন। কথিত আছে, মহাদেব সর্পরূপে র্তাহাকে দেখা দিয়া অন্তর্হিত হন। আরও প্রবাদ আছে, এই স্বয়ম্ভু লিঙ্গ নাকি কপোতরূপও ধারণ করিয়া থাকেন। ফলতঃ, সে কথা মিথ্যা। অমরনাথে যাইবার সময়ে পাণ্ডারা কতকগুলি পায়রা কাপড়েয় ভিতরে লুকাইয়। লইয়া যায়। শেষে অমরনাথের গুহার কাছে উপস্থিত
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।