পুনশ্চ/কোমল গান্ধার
কোমল গান্ধার
নাম রেখেচি কোমল গান্ধার,
মনে মনে।
যদি তার কানে যেত অবাক হয়ে থাকত বসে,
বলত হেসে, মানে কী।
মানে একটু যায় না বোঝা, সেই মানেটাই খাঁটি।
কাজ আছে কর্ম্ম আছে সংসারে,
ভালো মন্দ অনেক কিছুই আছে,—
তাই নিয়ে তার মোটামুটি সবার সঙ্গে চেনা শোনা।
পাশের থেকে আমি দেখি বসে বসে
কেমন একটি সুর দিয়েছে চারদিকে।
আপনাকে ও আপনি জানে না।—
যেখানে ওর অন্তর্যামীর আসন পাতা,
সেইখানে তাঁর পায়ের কাছে
রয়েচে কোন্ ব্যথা-ধূপের পাত্রখানি।
সেখান থেকে ধোঁয়ার আভাস চোখের উপর পড়ে,
চাঁদের উপর মেঘের মতো
হাসিকে দেয় একটুখানি ঢেকে।
গলার সুরে কী করুণা লাগে ঝাপ্সা হয়ে।
ওর জীবনের তানপুরা যে ঐ সুরেতেই বাঁধা,
সেই কথাটি ও জানে না।
চলায় বলায় সব কাজেতেই ভৈরবী দেয় তান-
কেন যে তার পাইনে কিনারা।
তাই তো আমি নাম দিয়েচি কোমল গান্ধার,—
যায় না বোঝা যখন চক্ষু তোলে-
বুকের মধ্যে অমন করে
কেন লাগায় চোখের জলের মীড়॥
১৩ ভাদ্র, ১৩৩৯