জেমস লঙ সম্পাদিত
(পৃ. ১৯-৩০)
◄  
  ►

  1. ক অক্ষর গোমাংস।
  2. কখন বা লাল গামছা লোকে দেয় ফিরে।
    কখন বা ছেঁড়া গামছা গণ্ডাদশ গিরে॥

  3. কচি খোকা তুলোয় কোরে দুদ্‌ খান্‌।
  4. কড়ি ধুয়ে কড়ির জল দিব ন।
  5. কড়ি ফট্‌কা চিঁড়ে দই, কড়ি বিনে বন্ধু নাই।
  6. কড়ি হৈলে বাঘের দুদ্‌ মিলে।
  7. কণ্টকেনৈব কণ্টকং।
  8. কণ্ঠায় তেতুল দিলে দই হয়।
  9. কত আর থাকিব আমি, লক্ষ্মণের ফল ধরা হয়ে।
  10. কত জলে কত মুসুরি ভিজে।
  11. কত ধানে কত চাল্। গিম্নি বিনে আল্‌ থাল॥
  12. কথা টলা অপেক্ষা গা টলা ভাল।
  13. কথাতে হাতি পায়। কথাতে হাতির পায়।
  14. কথাটা কহিলে ব্যথাটা মরে।
    বিনয়েতে কি না করে॥

  15. কথার কথা, কাজের নয়।
  16. কোথায় মণ্ডল চিনি, দাতা চিনি দানে।
    গোঁয়ায় চিনিতে পারি কর্কশ বচনে॥

  17. কথার দ্বারা হাতে চাঁদ দেওয়া।
  18. কন্যের ঘরে মাসি, বরের ঘরে পিশী।
  19. কন্যের মা কান্দে, আর টাকার পুঁটুলি বান্ধে।
  20. কপাল গুণে গোপাল ঠাকুর।
  21. কপাল ছাড়া পথ নাই।
  22. কপাল জোড়া কোঁটা।
  23. কপালে নাইকো ঘি। ঠক্‌ঠকালে হবে কি।
  24. কপাল ভাঙ্গিলে যোড়া লাগে না।
  25. কন্বলের লোম বাছিলে কিছু থাকে না।
  26. কয় শুভঙ্কর মজুদ গণ।
  27. কর্‌গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ, আরও বামণ আছে।
  28. কর্ত্তার ইচ্ছা কর্ম্ম, নাড়াবনে কীর্ত্তন।
  29. কর্ত্তা গেলে ঘোল পায় না। চাকরকে পাঠায় দই আনিতে।
  30. কর্ম্মের গতিকে ঝোল বৃদ্ধি।
  31. কর্ম্মের নিমিত্তে কুকুরের পায়ে জল দিতে হয়।
  32. কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রজঃপুত।
    চিকিৎসা চিনিতে পারি যার, ঔষধ মজ্‌বুত॥

  33. কলা কাটে, খোষায় বাধে।
  34. কলা বেচাও হয়, রথ দেখাও হয়।
  35. কলি ঘোর।
  36. কলুর বলদ।
  37. কাঁচে কাঞ্চনে সমান।
  38. কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা।
  39. কাঁটার মুখ কে ছুঁচ্‌লা করে।
  40. কাঁঠালটি আমাকে দেও, বিচিগুণে কড়ি লও।
  41. কাঁঠালের আমসত্ব।
  42. কাকঃ কাকঃ পিকঃ পিকঃ।
  43. কাক কোকিল একই বর্ণ, শব্দে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন।
  44. কাক ধূর্ত্ত।
  45. কাক মরে ঝড়ে, পেঁচা বলে আমার শাপ লেগেছে হাড়ে হাড়ে।
  46. কাক সকলের মাংস খায়, কাকের মাংস কেহ না পায়।
  47. কাকে কাণ নিল বলে, কাকের পিছে ধায়।
  48. কাকে খায় কাঁঠাল, বকের মুখে আঁটা।
  49. কাকের বাসায় কোকিলের ছা, জাতি স্বভাবে কাড়ে রা।
  50. কাকের ভাত রাখা।
  51. কাকের মাস খেয়ে এসেছ।
  52. কাকের মুখে কৃষ্ণ কথা।
  53. কাকের সঙ্গে গিয়া হাতিও পাঁকে পড়ে।
  54. কাঙ্গাল দেখে করোনা হীন, কাঙ্গাল হৈতে হবে এক দিন।
  55. কাঙ্গালকে শাকের ক্ষেত দেখান।
  56. কাঙ্গালের ঘোড়া রোগ।
  57. কাঙ্গালের ছেলের রোঙ্গাই নাম।
  58. কাঙ্গালের বড় ঝাল, সাধুর নাহি জঞ্জাল।
  59. কাঙ্গালের শশাও ধন।
  60. কাজ সারিলে বাড়ূই শালা।
  61. কাজিকে জিজ্ঞাসা করিলে হিন্দুর পরব নাই।
  62. কাজির বিচার।
  63. কাজে কম খেতে যম।
  64. কাজে কুড়্যে, ভোজনে দেড়ে।
    বচনে মারে পুড়িয়ে পুড়িয়ে।

  65. কাজের গুরু কামাই।
  66. কাজের বেলা কাজি, কাজ্‌ ফুরালে পাজি।
  67. কাজের বেলায় পায়না খুঁজে, খাবার বেলায় আগে।
  68. কাট খায় অঙ্গার হাগে।
  69. কাট খোট্টার কথা কড়া।
  70. কাটা গাছের তলায় থাকা।
  71. কাটা ঘায়ে লুণের ছিটে।
  72. কাটিতে কাটিতে নির্ম্মূল।
  73. কাটিলে পড়িল কলা, গোপালায় নমঃ।
  74. কাটিলে মাস নাই, ফুটিলেও রক্ত নাই।
  75. কাণ টানিলে মাথা আসে।
  76. কাণা একবার বৈ ছড়ি হারায় না।
  77. কাণা, কুঁজা, খোঁড়া, একগুণ বাড়া।
  78. কাণা খোঁড়ার এক রোগ বাড়া।
  79. কাণা গরু বামণকে ফান।
  80. কাণা গরুর ভিন্ন গোট বা (ডহর, পথ)।
  81. কাণাপুতে পোষে, রাজার ঝি শোবে।
  82. কাণাপুতের নাম পদ্মলোচন।
  83. কাণাবক শুক্‌না গেড়ে, খায় না খায় আছে পড়ে।
  84. কাণাবলে নাচে ভাল, কালা বলে গায় ভাল।
  85. কাণা ভাঙ্গা মঙ্গল চণ্ডী, কুস্বপ্নের গোড়া।
  86. কাণা মেঘের বৃষ্টি, সর্ব্বত্র নহে দৃষ্টি।
  87. কাণের গুরু নাকের কে।
  88. কাত হয়ে পড়ে আছে, তবু তারে নাথি।
  89. কাঁদা উড়োর কাছে কি ধূলো উড়ো।
  90. কাদায় গুণ ঢালা।
  91. কানী মুড়ি দিয়ে চিনি খায়।
  92. কানু ছাড়া কীর্ত্তন নাই।
  93. কাপড় হৈলে পচা, আঙ্গুল হয় খোঁচা।
  94. কাপুরুষেই অপমান সহ্য করে।
  95. কামারকে ইস্‌পাত চুরি।
  96. কামারকে কুমার বৃত্তি সাজেনা।
  97. কামার যা গড়বে, তা মনে মনে জানে।
  98. কামারের দোকানে সূঁচ বেচা।
  99. কায়স্থের বুড়া হিরার ধার।
    নাপিতের পুড়া ছারের ছার।

  100. কায়স্থের মূর্খ, কলুর বলদ।
  101. কায়েতের ছোট, বেদ্যের বড়।
  102. কার কপালে কেবা খায়।
  103. কার শ্রাদ্ধ কেবা করে, খোলা কেটে বামণ মরে।
  104. কারু দুদে চিনি, কারু শাকে বালি।
  105. কারু ভাদ্রমাস, কারু সর্ব্বনাশ।
  106. কার্য্যে কম, খেতে যম।
  107. কাল্‌ এলো নেড়ি, আজ্‌ ভাঙ্গ্‌ল খুদের হাঁড়ি।
  108. কাল্‌কার যোগী শির্‌মে জটা।
  109. কাল্‌নিমার লঙ্কাভাগ।
  110. কাল বামণ কটাশূদ্র, বারেন্দ্র আর পোষ্যপুত্ত্র।
    এদের অন্তর বড় কুটীল, মন পাওয়া ভার।

  111. কালা পুরুত, তোত্‌লা যজ্‌মান।
  112. কালা বলে ঢাকিতে হাত পা নাড়ে।
    ঢাকের বাদ্যতো শুনা যায় না।

  113. কালামুখ ধিক্‌ জীবনে।
  114. কালা শুনে কাড়ার বাদ্য। কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্য।
  115. কালার কাণে শোলার বুজো। কালা বলে আমার লক্ষ্মীপুজো।
  116. কালি কা, ঠা কুরাণী।
  117. কালী কলম মন, লেখে তিন জন।
  118. কালীঘাটের কাঙ্গালি।
  119. কালীঘাটের চণ্ডীপাঠ।
  120. কালী নাই কলম নাই, ফইম বিশ্বাস।
  121. কালী যায় ধুলে, স্বভাব যায় মোলে।
  122. কালে কালে কতই হবে।
  123. কালে কালে গুড়েরও তার গেল।
    পুলিপিঠের ল্যাজ্‌ বেরুল।

  124. কালে কালে বাণুও পণ্ডিত হৈল।
  125. কালে ধরিলে হাত নাই।
  126. কালের হাতে যেতে হবে।
  127. কাশীতে ভূমিকম্প।
  128. কাহার পৌষমাস, কাহার সর্ব্বনাশ।
  129. কাহার বাঁশ যায়, কেহ পাবে পাবে গণে।
  130. কিনিতে পাগল, বেচিতে ছাগল!
  131. কিবা আল্লার শুরুটি, গুক্‌নো ডাঙ্গায় পেলেম রুটি।
  132. কিবা বাবুর আশা, শিয়োরে ঘুঘুর বাসা।
  133. কিমদ্ভুতং।
  134. কিম্ভূত কিমাকার।
  135. কিল খেয়ে কিল চুরি।
  136. কিলিয়ে কাঁঠাল পাকান।
  137. কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি।
  138. কীর্ত্তির্যস্য সজীবতি।
  139. কুঁজোর কি চিত হৈয়ে শুইতে ইচ্ছা নাই।
  140. কুঁড়ে ঘরে বাস, খাট পালঙ্গের আশ।
  141. কুঁদের মুখে বেঁক্‌ থাকে না।
  142. কুকাটনি খড়ি খাবার রাক্ষস (বা যম)।
  143. কুকাষ্ঠ যদি থাকা চন্দনের বনে।
    কখন না হয় সার চন্দনের গুণে॥

  144. কুকুর কাঁদে করে শিকার করা।
  145. কুকুরকে ঘি খাওয়াইলে লোম উঠে যায়।
  146. কুকুরকে নাই দিলে ঘাড়ের উপর চড়ে!
  147. কুকুরকে নাই দিলে পাতে বসিয়া খায়।
  148. কুকুরকে মুগের পথ্য।
  149. কুকুরের কামড় হাঁটুর নীচে।
  150. কুকুরের পেটে ঘি সয়না।
  151. কুকুরের লেজে তেল দিলে কখন সোজা হয়না।
  152. কুড়ে গরু অমাবস্যা খোজে।
  153. কুড়ে গরুর রাঙ্গা পালান।
  154. কুড়ে পাঁঠায় কড়ি।
  155. কুনটের নাট্য কিছু নয়।
  156. কুমীরের সঙ্গে বাদ করে, জলের মধ্যে বাস।
  157. কুরুক্ষেত্র ব্যাপার।
  158. কুল আর জল, নীচে করে স্থল।
  159. কুলগাছ থাকিলে, অনেকে নাড়া দেয়।
  160. কুল্‌তো নয় কুলের আটি, বড় কঠিন।
  161. কুল ধুয়ে কি জল খাব।
  162. কুল নিয়ে কি ধুয়ে খাব।
  163. কুয়ার ব্যাং সাঁতারে পড়েছে।
  164. কুলান্তে ব্রাহ্মণোরিপুঃ।
  165. কূপ মণ্ডুক।
  166. কৃপণের ধন, তেড়েতের ফল।
  167. কৃপণের ধন ক্ষয়, রাজা বহ্নি তস্করে হয়।
  168. কেউ করে দানধ্যান, কেউ করে হাঁতা।
    হাড়ির কোদালে তার, কাটা যায় মাথা॥

  169. কেউ ভেনে কটে মরে, কেউ ফুঁদিয়া গাল ভরে।
  170. কেঁচো খঁড়িতে সাপ উঠিল।
  171. কেঁদেকেটে মরিবি, না, কাটনা কেটে পরিবি।
  172. কেঁদেকেটে পীরিত, মেজে ঘষ্যে রূপ।
  173. কেজানে লেখা জোকা, এক২ পোদে এক২ টাকা।
  174. কেতাব নাই কোরাণ নাই, মনু খোনকার!
  175. কেন বক২ করে, মাথা ধরাও।
  176. কেবল তুঁষ কাঁড়ান।
  177. কেবল দন্ত কড়মড়ি সার।
  178. কেবল পোড়াবার কাটখড়।
  179. কোণে ছুঁচো ত্রিরাত্র করে। উঠনে দোওয়া গাই।
  180. কোথাকার জল, কোথা মরে।
  181. কোথা থেকে এলো শাঁক, শাঁকের মেক্‌মেকানি, দেখ্‌।
  182. কোথা রাম রাজা হবে, না? কোথা রাম বনে যাবে।
  183. কোথায় কিছু নাই, নমাজের ধদ্দুড়ি।
  184. কোথায় ধানহাঁটা, কোথায় মাস কাটা।
  185. কোদালে কুড়ুলে মেঘের গা।
    শুকনো ডেঙ্গায় চালায় লা॥

  186. কোনকালে নাটক গাই।
    চালন নিয়ে দুইতে যাই॥

  187. কোল্‌কে চোর।
  188. কোলে ছেলে, সহরে ঢেঁড়্‌রা।
  189. কোলের ছেলে গলে, মাটীর ছেলে বলে।
  190. কোলের ছেলে ফেলে দিয়ে, পেটের ভরসায় থাকা।
  191. কৌড়ী লবে গুণে, পথ চলিবে জেনে।
    মানুষ জানে ভাবে, ভাগ্য জানে লাভে॥