প্রবাদমালা (১৮৬৮)/ব
ব
- বউ কাঁট্কি শ্বাশুড়ী।
- বকা ধার্ম্মিক।
- বজ্র আটনি ফস্কা গিরে।
- বড় নাক তার গোঁফের শোভা।
- বড় গাছেই ঝড় লাগে।
- বড় বড় বানরের বড় বড় পেট।
লঙ্কা ডিঙ্গাতে মাথা করে হেঁট॥ - বড় বাইড় ভাল নয়।
- বড় বাড়ী, তার আবার টাক্শাল।
- বড় বিয়ে তার দুপায়ে আল্তা।
- বড় মাছের কাঁটাও ভাল।
- বড় ভাইয়ের মাগ নাই, সেই ভাবনায় ঘুম নাই।
- বড় ভাত, তার ডাইন হাত।
- বড় হবে তো ছোট হও।
- বড় হাঁড়ীর আমানি মিঠা।
- বড় বড় হাতী গেল তল, এখন কাণাঘোড়া
বলে কত খানি জল। অথবা গাধা বলে আমার এত বল। - বড় বড় হাতী গেল তল।
বেটোঘোড়া বলে হাঁটু জল॥ - বড় হাঁড়ীর তলা।
- বড় ক্ষুধায় পাট্কেলে কামড়।
- বড়র প্রীতি বালির বাঁধ।
ক্ষণে হাড়ে দড়ি, ক্ষণেক চাঁদ॥ - বন গাঁয়ে শিয়াল রাজা।
- বনে আগুণ দিলে বন পোড়ে,
কিন্তু মূল পোড়ে না। - বনে গেলেও রাগীর সুখ নাই।
- বয়সে গাছ পাতর নাই।
- বর নয়, যেন চোর।
- বর নাচে বরণী নাচে কন্যার হরিয়া মন।
মাথায় মাথায় ভাবনা যার, দিতে হবে পণ॥ - বরের ঘরের মাসি, কন্যের ঘরের পিশী।
- বর্ণ চোরা মানুষ। (বা আম)
- বল্তে পারি পদে পদে।
বল্তে দেয়না ফট্কে মদে॥ - বলদে আর বর্ব্বরেতে সৃষ্টি করে রক্ষা
চতুর পণ্ডিত জনে দেয় লোক শিক্ষা॥ - বল্ বল্ বাহুর বল্, জল জল মেঘের জল
- বলিলে মা মারি খায়।
না বলিলে বাপ্ বেঙ্ খায়॥ - বলেছিলাম হৈল না, ঘরে গিয়ে খা।
- বলে দুদ্, বেচে ঘোল।
- বসিতে জানিলে উঠিতে হয় না।
- বসিতে জায়গা পেলে, শোবার স্থান মেলে।
- বসিলে দণ্ড দাঁড়ালে ক্রোশ।
পথ বলে আমার কিসের দোষ॥ - বসে খেলে কুলায় না, কর্যে খেলে ফুরায়না।
- বসে না থাকি বেগার খাটি।
- বহ্বারন্তে লঘুক্রিয়া।
- বাঁদি মারিতে মঙ্গলবার।
- বাঁধা কাঁকড়া জীবনের বৈরী।
- বাঁধা ছাগল ছেলের বশ।
- বাঁশ বনে ডোম কাণা।
- বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে বুলে।
- বাঁশী হারায়ে শিঙ্গায় ফুঁ।
- বাঁশের চেয়ে কন্চি টন্ক (বা দড়)।
- বাকস্ বামণ বাঁশ। তিনে করে বাস্তু নাশ॥
- বাঘ রাজার মন্ত্রী দাঁড়কাক।
- বাঘে খায় তাহাতে দায় নাই, কিন্তু কাঁটাবন দিয়ে হেঁছড়ে নিয়ে যায় সে বড় ভয়।
- বাঘে ছুঁলে আঠার ঘা।
- বাঘের গো বধ।
- বাঘের ঘরে ছাগের বাসা। (বা ঘোগের বাসা)
- বাঘের বাপের শ্রাদ্ধ।
- বাঘের ভয় যেমন তেমন, টিপ্টিপির ভয় বড়।
- বাঙাল মনুষ্য নহে, উড়ে এক জন্তু।
- বাছার কি দিব তুলনা। মায়ের হাতে
তুলের দাঁড়ী, মাগের কানে সোণা॥ - বাছার কিবা মুখের হাঁই,
তবু হলুদ মাখেন নাই। - বাছার গুণে আইসে ঘুম, কত কব লীলা।
বাপের গলায় শিকল দিয়া, মায়ের ভাঙ্গে পীলা॥ - বাজনার সঙ্গে কথা কহা।
- বাড়িতে পায়না শাক সিজনা।
ডাক দিয়ে বলে ঘি আন্ না॥ - বাড়ীর কাছে কামার।
দা গড়্যে দে আমার॥ - বাড়ীর গাছা, পেটের বাছা।
- বাড়ীর বালাই বুড়ী, পেটের বালাই মুড়ি।
- বাড়ীর শত্রু কাণা, জলের শত্রু পানা।
- বাণিজ্য কর্তে গিয়া লাভে মুলে হারান।
- বাতাসে হাঁড়ী ঠন্ ঠন্ করে।
রাজার বেটা পক্ষী মারে॥ - বাদল বামণ বান। দক্ষিণে পেলে যান।
- বাদুড় চোষা কলা।
- বাধা না মানে গাধা।
- বানরের গলায় ঘণ্টা।
- বানরের গলায় সোণার হার।
- বানরের মুষ্টি।
- বানরের হাতে খন্তা।
- বানরের হাতে খন্তা দিয়া বুদ্ধি বোধ করা।
- বানরের হাতে দর্পণ।
- বানরের হাতে সুন্দর আম।
বানর বলে রাম রাম॥ - বানুরে কীর্ত্তন।
- বানের আগে জেলেডিঙ্গি।
- বাপ পিতামহের নাম গেল,
হৃদে জোলার নাতি। - বাপ্কা বেটা সেপাইকা ঘোড়া।
কিছু নহেতো থোড়া থোড়া॥ - বাপের উপরোধে বিমাতাকে গড়।
- বাপের কালে নাইক গাই।
চালুনী নিয়ে দুইতে যাই॥ - বাপের কালে নাহি চাষ।
বিড়াল বেঁধে করে চাষ॥ - বাপের নাম জানেনাকো কুলীন হৈতে চায়।
- বাপের বিয়ে খুড়োর নাচন।
- বাব্লা পুরীয়া বিচার।
- বাবাজীকে বাবাজী, তরকারীকে তরকারী।
- বাবু বড় ভাগ্যবান্।
সাত বেঁড়ে লাঙ্গল একখান॥ - বাবুর যত সুখ তা এক আঁচড়ে বুঝা গেছে।
- বাবুর বড় হাসি। সাত দিন উপবাসী॥
- বামণ গেল ঘর, লাঙ্গল তুলে ধর।
- বামণ চোষা কল্কে, কায়েথ চোষা গাঁ।
- বামন হইয়া চাঁদে হাত।
- বামনের চাঁদ ধরিবার আশা।
- বায়ুর সঙ্গে কথা কয়।
- বার নারিকেলে তের ব্রাহ্মণের ঘাড় ভাঙ্গা।
- বারমাসে তের পার্ব্বণ।
- বার রজপুত তের হাঁড়ী।
কেউ না খায় কারুবাড়ী॥ - বারহাত কাঁকুড়ের তেরহাত বীচি।
- বারহাত কাপড়ের তেরহাত দশী।
- বারে বারে মুর্গী তুমি খেয়ে বেড়াও ধান।
এই বার মুর্গী তোর বধিব পরাণ॥ - বার্দ্ধক্যে বানরাকৃতি।
- বালক কালে ছোঁড়া ছঁড়ী। যুবাকালে
মাগি মিন্সে, বৃদ্ধকালে বুড় বুড়ী॥ - বালকেই চাঁদ ধরিতে যায়।
- বালকের রোদন বল।
- বালকের হাতে খন্তা।
- বালির বাঁধ কতক্ষণ থাকে।
- বালির বাঁধে বন্যার জল আট্কে না।
- বালির বাঁধ শঠের প্রীতি, এই দুয়ের এক রীতি।
- বাহাত্তুরে কায়েথ।
- বাহাত্তুরে হৈলে কথার ঠিক থাকে না।
- বাহিরে যত্নী পানা, ভিতরে মালখানা।
- বাহিরেতে হাসি খুসি। অন্তরে গরল রাশি।
- বিচারে পণ্ডিত, আচারে ভূত।
- বিড়াল তপস্বী।
- বিড়াল যেমন শীকারী, তার গোঁফের ধরণে চিনা যায়।
- বিড়ালের ঝক্ড়া।
- বিড়ালের ভরসা, শিকায় ঘোল।
- বিড়ালের ভাগ্যে ছিকা ছিঁড়িয়াছে।
- বিদ্যানিধি ভট্টাচার্য্যের পূজায় বড় ঘটা।
বাঁশের পাতায় নৈবেদ্য, কচুর ডাঁটা পাঁটা॥ - বিদ্যারত্নং মহাধনং।
- বিদ্যাহীনো দ্বিজাধমঃ।
- বিদ্যৈব ভূষণং পুংসাং।
- বিদ্বান্ সর্ব্বত্র পূজ্যতে।
- বিধবার ভাগ্যে হাটেও সিন্দূর নাই।
- বিধি যদি করে মন। পুত বিউতে কত ক্ষণ॥
- বিধির বিপাক।
- বিধির মনে যা আছে, তাহাই হবে।
- বিনা দানে মথুরা পার নাই।
- বিনা বজ্রপাতে রাম নাম কেহ বলে না।
- বিনা বাতাসে গাছ লড়ে না।
- বিনা মেঘে বজ্রাঘাত।
- বিনা মেঘে বর্ষণ।
- বিনা সম্বলে পথ চলা।
- বিনা সাহসে কিছুই লভ্য হয় না।
- বিপত্তি কালে বিপরীত বুদ্ধি।
- বিপদ্ কালে ছাগলে চাইট্ মারে।
- বিমাতা বিষের ঘর।
- বিয়ে করিতে কড়ি, ঘর বান্ধিতে দড়ি।
- বিয়ে নয় উলোমালা।
হাঁড়ী খাগী বলে এই বেলা॥ - বিয়ে ফুরালে অধিবাস।
- বিয়ে ফুরালে আলপোনা।
- বিয়ে ফুরালে দধি মঙ্গল।
- বিয়ে ফুরালে বাদ্য বাজে।
- বিলম্বে কার্য্য সিদ্ধি।
- বিশে পাগ্লা বলে, চণ্ড্যে পাগ্লা আস্ছে।
- বিশ্বকর্ম্মা যত কারিগর, তাহা জগন্নাথ দিয়া জানা যায়!
- বিশ্বকর্ম্মার বেটা বাইশ কর্ম্মা।
- বিশ্বাসো নৈব কর্ত্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষুচ।
- বিষ নাই কুলপানা চক্র।
- বিষস্য বিষমৌষধং।
- বিষাদপ্যমৃতংগ্রাহ্যং।
- বিষে বিষ ক্ষয়।
- বিস্তর দেখেছি চুরি কর্ত্তে।
এমত দেখিনি বোঁচ্কা ভর্ত্তে॥ - বিস্তর যত্নে করিলাম ঘর।
তবু মোরে ভাবে পর॥ - বুকে বস্যে দাড়ি উপড়ান।
- বুঝ্লাম তোমার গিন্নিপানা।
তেল থাকে ত লুণ থাকে না॥ - বুড় দাদাকে গায়ত্রী শিখান।
- বুড় নয়কো, রসের গুঁড়।
- বুড় বয়সে দাড়িপানা।
না হয় সুখ কেবল যাতনা॥ - বুড় বয়সে ধেড়ে রোগ।
- বুড়, বাপের খুড়।
- বুড়র মাথায় শালিক নাচে।
আর কি বুড়র বয়স্ আছে॥ - বুড় মেরে খুনের দায়।
- বুড়ামি করা।
- বুড়া শালিক কি পোষ মানে।
- বুড়া শালিকের ঘাড়ে রোঁয়া।
- বুড়া হৈলে বুদ্ধি শুদ্ধি লোপ পায়।
- বুড়ার হাড় ঔষধে লাগে॥
- বুড়ুলে বক চিনে না।
- বুদ্ধিতে কাঁচকলা।
- বুদ্ধি থাকিতে মাগের পাতে খায়।
- বুদ্ধিমান্ ইন্দুরের বিড়াল দেখে দৌড়।
- বুদ্ধির বৃহস্পতি।
- বুনোর আবার প্রাণ।
- বৃহন্নলা সারথির্যস্য কুতস্তস্য পরাভবঃ।
- বেঁড়েকে চমরী করা।
- বেঁধে মারে সয় ভাল।
- বেগারের দৌলতে (বা প্রসাদে) গঙ্গা স্নান।
- বেগুণ গাছে আঁকুড়্সি।
- বেজ বাণিয়া বোড়া। তিনে নষ্টের গোড়া।
- বেটা বড় বুদ্ধিমান।
এক পিঁড়িতে পাঁচ মোকাম। - বেটার বর মাঙ্গিতে গিয়ে, ভাতার খেয়ে আসা
- বেড়া নেড়্যে গৃহস্থের মন বুঝা।
- বেণা বনে মুক্তা ছড়ান।
- বেণ্যার দোকানে মেকি চালান।
- বেতালে আর মাতালে।
সিংহে আর শৃগালে॥ - বেতালের উপর মারে তাল।
যেন ভাদ্র মেসে তাল॥ - বেদ্যে চেনে সাপের হাঁচি।
- বেয়াল্লিশ কর্ম্মার বেটা তেতাল্লিশ কর্ম্মা।
- বেল পাকিলে কাকের কি।
- বেহায়ের যত তেল লবণের দুঃখ নাই,
তাহা এক আঁচড়ে চেনা গেল। - বেহাই যত ঘি খাও, তা এক
আঁচড়েই বুঝা গেল। - বেহায়ার নাই লাজ, নাই অপমান।
- বৈদ্যের চাউলে পথ্য।
- বোঁচা মুখে দাড়ি। বেড়ান বাড়ী বাড়ী।
- বোঁচার বেটা ছোঁচা।
- বোক্ড়া মারে বোক্ড়া খায়।
- বোক্ড়ার কড়ি, বোক্ড়ায় যায়॥
- বোঝার উপরে শাক আটি।
- বনে থেকে বেরুল টিয়ে।
সোণার টোপর মাথায় দিয়ে॥ - বোবার কাণের কাছে, গীত গাওয়া।
- বোম্ বোম্ হেঁদু হৈলাম।
- বোয়াল মাছের ডিম।
- বোল্দের বাই, দিলেই পাই।
- বৌড়ি হৈয়ে গিন্নি হয়, তার বড় ফর্ ফরাপি।
- ব্যাসের কাশী তৈয়ারি।
- ব্রহ্ম শাপে বংশ নষ্ট।
- ব্রাহ্মণের ঘরে মূর্খ হৈলে, ক্রিয়া পণ্ড করে।
রোজার ঘরে মূর্খ হৈলে, রোগীর দফা সারে॥