প্রবাদমালা (১৮৬৮)/য
য
- যএব লোকঃ সএব ধর্ম্মঃ।
- যখন কপাল মন্দ হয়, বন্ধুজনে মন্দকয়।
- যখনকার যেমন, আউষ ফুরালে আমন।
- যখন যেমন, তখন তেমন।
- যখন যেমন, তখন তেমন জাগ্লেই তো তরি।
নির্ধনের কুল নাশ, কড়ির বশ নারী॥ - যখন যার কপাল বাঁকে, দুর্ব্বাবনে বাঘ ঝাঁকে।
- যত কয়, তত নয়।
- যত কুও আঁমের ক্ষয়,
ভাল তেতুলের কিবা হয়। - যত গর্জ্জায়, তত বর্ষেনা।
- যত চিল উড়ে গেল, বেঁড়ে চিল ধরা পড়্ল।
- যত ছিল নাড়া বুনে, সবাই হৈল কীর্ত্তুনে,
কাস্তে ভেঙ্গে গড়ালে কর্ত্তাল। - যত তর্ক্ক তত নর্ক্ক, বীচি গুণে কড়ি।
- যত দেখ চলাচল, সকলি কপালের ফল।
- যত বড় মুখ, তত বড় কথা।
- যত বয়স হচ্ছে চক্রবর্ত্তী।
বুদ্ধি যাচ্ছে অধোগতি। - যত হাসি তত কান্না। বলে গেছে রামশর্ণ্ণা।
- যত ক্ষণ বর্ষে, তত ক্ষণ ওষে।
- যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।
- যতোধর্ম্ম স্ততোজয়ঃ।
- যত্ন করিলে রত্ন মিলে।
- যত্নে কৃতে যদি ন সিধ্যতি কোত্র দোষঃ।
- যত্নে তৃণ কাষ্ঠ খান, রহে যুগ পরিমাণ।
- যথারণ্যং তথাগৃহং।
- যদন্নঃ পুরুষোরাজন্, তদন্নাঃ পিতৃদেবতাঃ।
- যদি আছে কাজ, তবে সকাল২ সাজ।
- যদিকিঞ্চিদ্বরে দোষঃ কিংধনেন কুলেন কিং।
- যদি দেখে আঁটা আঁটি।
কান্দিয়ে ভিজায় মাটি। - যতি পড়ে পাশা, তবে জেতে চাষা।
- যদি পাই রূপার কুচি,
তবে মুচিকে করি গুচি। - যদি পায় রাজ্য দেশ,।
তবু না যায় বৃহস্পতির শেষ॥ - যদি শেওড়া তলায় আন পাই,
তবে আমতলায় কেন যাই। - যদি হয় কুজন, তবে নয় ঘরে ন জন।
- যদি হয় সুজন, তবে এক শয্যায় ন জন।
- যদি হরি পদে থাকে মান।
তবে হৃদয় মাঝে বৃন্দাবন॥ - যদি হবে খাটি, তবে হও মাটি।
- যদি হারালে জাত, তবে হওগে কাত।
- যদেব রোচতে যম্মৈ ভবেত্তত্তস্য সুন্দরং।
- যম জামাই ভাগিনা, তিন নহে আপনা।
- যমের মার গঙ্গাস্নান।
- যস্মিন্দেশে দ্রুমোনাস্তি এরণ্ডোপি দ্রুমাযতে।
- যস্মিনদেশে যদাচার, পারস্পর্য্যং বিধীয়তে।
- যস্য দেবস্য যদ্রূপং তথা ভূষণ বাহনং।
- যস্যনাস্তি স্বয়ং প্রজ্ঞা শাস্ত্রংতস্য করোতি কিং।
- যাঁহা বাহান্ন, তাঁহা তিপ্পান্ন।
- যা কপালে পাছে তাই হবে।
- যাক্ প্রাণ, থাকুক মান।
- যাচা কন্যা কাচা কাপড়,
পরিত্যাগ করিবে না। - যত দোষ নন্দ ঘোষ।
- যাচিয়া মান, আর কান্দিয়া সোহাগ।
তাতে হয় অপমান, লোকেতে করে বিরাগ। - যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী।
- যাবজ্জীবন সম্বন্ধ।
- যায় শত্রু পরে পরে।
- যায় কর্ম্ম তারে সাজে, অন্য জনে লাঠি বাজে।
- যার গরুটা কাদায় পড়ে, তার দুণা বল হয়।
- যার গলা ধরে কান্দি, তার নাই চক্ষে পানী।
- যার গোষ্ঠীকে কুমীরে খায়।
সে ঢেঁকি দেখিলে ডরায়।[১] - যার গোয়ালে গরু, তার কথা সরু।
- যার গোলায় ধান, তার কথা টান।
- যার ঘরে ভাত, তার দোয়াড়ে মাছ।
- যার ছেলে যত খায়, তার ছেলে তত নাটায়।
- যার জন্যে চুরি করি সেই বলে চোর।
- যার ঝি তার জামাই, পাড়া পড়সীর কাটনা কামাই।
- যার দাঁত কাল তার সূতাভাল, তাইকে নিব বটেনি। আয় ঝমাঝম্ তাঁত বুনি।
- যার ধন তার ধন নয়, নেপো মারে দই।
- যার ধর্ম্মের ঠিক নাই, তার কর্ম্মের ঠিক নাই।
- যার নাই পুঁজি পাটা, সেই ষাউক্ বেলেঘাটা।
- যার বাক্সে টাকা, তার কথা বাঁকা।
- যার বিয়ে তার মনে নাই,
পাড়া পড়সীর ঘুম নাই। - যার বিষম তার মনে নাই।
পাড়া পড়সীর ঘুম নাই। - যার বেটার বিয়ে তার পাতে দই নাই।
- যার ভাল করিবে, তার মন্দ করিবে না।
- যার মনে যে লয়, দুগ্ধ বেচে মদ খায়।
- যার যখন কপাল ধরে।
শুকনা ডেঙ্গায় ডিঙ্গি চলে। - যার যে কথা নয়, সে যেন সে কথা না কয়।
- যার যেখানে ব্যথা, তার সেখানে হাত।
- যার যেমন মতি। তার তেমন গতি।
- যার যেমন মন, তার তেমন ধন।
- যার শিল তারি নোড়া,
তারি ভাঙ্গে দাঁতের গোড়া। - যার সঙ্গে যার মজে মন,
কিবা হাড়ী কিবা ডোম। - যার সরিষা তার তৈল, চেয়ে থাকে ভেল২।
- যার হাতে না খাওয়া যায়, সে বড় রন্ধনী।
যার সঙ্গে না ঘর করা যায়, সে বড় গৃহিণী। - যারে খায় কাল সাপে,
কি করে তার ওঝার বাপে। - যারে দেখ্তে না পারি, তার চলন বাঁকা।
- যারে বলে ভাজা চাল, তারে বলে মুড়ি।
- যারে লোকে না মারে, সে চাল্তা তলায় যায়।
- যাহার গলায় ঘা, সে বলে আমি বাঁচ্ব।
- যাহার নামে উপবাস, তাহার সঙ্গেতে প্রবাস।
- যাহার লুণ খাই, তাহার গুণ গাই।
- যাহার পায়ে ঘা, সে বলে আমি মর্ব।
- যাহার মরণ যেখানে।
না ভাড়া কর্যে যায় সেখানে। - যাহার হাতে আছে টাকা,
তাহার কথা এঁকা বাঁকা। - যাহারে না মারি হাতে,
তারে কিন্তু মারি ভাতে। - যে আইল যোগী, সে হইল সেকী।
- যে এক কাণ কাটা, সে গাঁর বার্ দিয়ে যায়।
যে দুই কাণ কাটা, সে গাঁর ভিতর দিয়ে যায়। - যে এলো চষ্যে, সে থাকিল বস্যে।
যে এলো কোঁত্পেড়ে, তারে দেও ভাত বেড়ে। - যে কাঁটায় মাপ, সেই কাঁটায় শোধ।
- যে কথা রটে, সে কথা বটে।
- যেখানে নাই মান, সেখানে ছাড়ি পাকাধান।
- যেখানে না চলে সূঁই,
সেখানে চালাই বেটে। - যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়।
- যে খেল্তে জানে, সে কাণা কড়িতেই খেলে।
- যেখানে ভাই ভাই, সেখানে ঠাঁই ঠাঁই।
- যেচে মান, কেন্দে সোহাগ।
- যে ছেলে ভাটা মারে, তার নাটা হেনচক্ষু।
- যেজন রসিক, তার নয়ন দেখ্লে চেনা যায়।
- যে জানে না উত্তর পূব, তার সদাই সুখ।
- যে ডালে বসে, সেই ডাল কাটে।
- যে দিকে জল পড়ে, সেই দিকে ছাতা ধরে।
- যে দেবতা গড়িতে পারে,
সে বানরও গড়িতে পারে। - যে দেশে কাক নাই, সে দেশে কি রাত্রি পোহায় না।
- যে দেশে বৃক্ষ নাই, সে দেশে এরণ্ডই বড় বৃক্ষ।
- যে দেশে কাপড় নাই,
সে দেশে ধোপার কি আবশ্যক। - যেন আদাহ, কাঁচকলা।
- যেন জোঁকের মুখে, চূণ পড়িল।
- যেন বাঘের মত, রৌদ্র জ্ঞান হয়।
- যেন সতী সাবিত্রী মাগ।
- যেনা জানে টিপ্ টিপার ঘা,
তারে গিয়ে টিপ্ টিপা। - যে পাতে খায় সে পাত ছেঁড়ে।
- যে পাতে খায়, সে পাতে বাহ্যে যায়।
- যে বেটি সতিনে পড়ে, ভিন্ন বিধি তারে গড়ে।
- যেমন আন্দিরাম, তেমনি যজমান।
- যেমন কর্ম্ম, তেমনি ফল।
- যেমন কুকুর, তেমনি মুগুর।
- যেমন গাল, তেমনি চড়।
- যেমন গুরু, তেমনি চেলা।
টক্ঘোল তার ছেঁদা মালা॥ - যেমন তেমন গড়, চণ দিয়ে মোড়।
- যেমন তেমন চাকরী, ঘি ভাত।
- যেমন দান, তেমনি দক্ষিণা।
- যেমন দেব, তেমনি বাহন।
- যেমন দেবী, তেমনি দেব।
- যেমন নদীয়ার চাঁদ, তেমনি মুখের ছাঁদ।
- যেমন নেড়া, তেমনি নেড়ী।
বনপুঁই শাঁক ছড়া হাঁড়ী। - যেমন পাপ, তেমনি প্রায়শ্চিত্ত।
- যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল।
- যেমন ভূষণ, তেমনি বাহন।
- যেমন মতি তেমনি গতি, কাঁচকলাটা ভগবতী
- যেমন মন, তেমনি ধন।
- যেমন রাজ্যে করি ঘর।
ল্যাংট হৈয়ে খাল পার॥ - যেমন শরা তেমনি হাঁড়ী,
গড়্যে রেখেছে কুমার বাড়ী। - যেমন হাঁড়ী, তেমনি শরা।
- যে মরিবে আপন দোষে,
কি করিবে তার হরিহর দাসে। - যে মরে সেই ভূত।
- যে মারে সেই যম।
- যে যা খায়, তাই তার ডেকুর উঠে।
- যে যারে ধ্যায়, সেই তারে পায়।
ভাবুক না হৈলে, যত্ন না পায়। - যে যারে দেখিতে না পারে।
সে তাহাকে হাঁটিতে খোঁড়ে॥ - যে রক্ষক, সে ভক্ষক।
- যে রাথে সে কি চুল বাঁধে না।
- যে লঙ্কায় যায়, সেই রাক্ষস হয়।
- যেষামন্যাগতির্নাস্তি তেষাং বারাণসী গতিঃ।
- যে সয়, সেই রয়।
- যে সরিষায় ভূত ঝাড়ায়, সেই সরিষাই ভূত।
- যে হয় ঘরের শত্রু, সেই যায় বর যাত্র।
- যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে।
- যোড়া ভুরু নষ্টের গুরু।
- যোষস্য হৃদ্যো নহি তস্য দুরং।
- যৌবন কালে গর্দ্দভীকেও ভাল দেখায়।
- ↑ যার ছেলেকে কুমীরে খায়। ইতি দ্বিপাঠঃ