বত্রিশ সিংহাসন/২৪
চিত্রকলা চতুর্ব্বিংশ পুত্তলিকা
কহিল, হে ভােজরাজ, আমি, রাজা বিক্রমাদিত্যের গুণের এক প্রসঙ্গ কহিতেছি, অবধান কর।
এক দিবস রাজা দশহর যােগে নদীতে স্নানার্থে। গমন করিয়া ছিলেন। তথায় গিয়া দেখিলেন এক পরমসুন্দরী যুবতী নদীতটে দণ্ডায়মান হইয়া কেশ শুষ্ক করিতেছে, তাহার সম্মুখে এক নবীন বণিকতনয় বসিয়া তিলক করিতেছে, এবং পরপর হাস্য রহস্য ও ইঙ্গিত হইতেছে। যুবতী, কখন কখন করচালন চক্ষু মোটন এবং কেশ সঞ্চালন, কখন বা বক্ষঃস্থলের বসন উত্তোলন ও আবরণ, কখন বা দর্পণে বণিকপুত্রের মুখনিরীক্ষণ ও চুম্বনপূর্বক তাহা স্বীয় বক্ষঃস্থলে স্থাপন ইত্যাদি নানা প্রকার অঙ্গভঙ্গি করিতেছে। বণিককুমারও সেই প্রকার আকার ইঙ্গিত করিতেছে। রাজা তাহা দেখিয়া মনে মনে ভাবিলেন ইহারা শেষ কি করে দেখিতে হইবে। ইহা ভাবিয়া স্নান। পূজাদি করিতে লাগিলেন। কিয়ৎকাল পরে যুবতী অঙ্গ আচ্ছাদন পর্ব্বক অবগুণ্ঠন দ্বারা মুখাবরণ করিয়া তথা হইতে প্রস্থান করিল। বণিকনন্দনও তৎপশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিল। রাজা তাহা দেখিয়া তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ এক দূত পাঠাইলেন, তাহাকে বলিয়া দিলেন ইহারা কোথায় যায়, কি করে তাহা সমৃদয় দেখিয়া আইস। দূত তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। যুবতী আপন আলয়ের নিকটবর্ত্তী হইয়া বণিককুমারকে মস্তক মুক্ত করিয়া দেখাইল, পরে বক্ষঃস্থল ধারণ পূর্বক গৃহ প্রবেশ করিল। বণিকপুত্রও আপন বক্ষঃস্থলে হস্তার্পণ করিয়া গমন করিল।
দূত, রাজাকে এই সকল বার্তা কহিলে, রাজা এক বিচক্ষণ পণ্ডিতকে বলিলেন স্ত্রী লোকের চরিত্র শ্রবণে আমার স্পৃহা হইয়াছে, তাহা আমাকে শুনাও। পণ্ডিত কহিলেন মহারাজ আমার কি সাধ্য যে তাহা বর্ণন করি, “স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষ ভাগ্যং দেবা ন জানন্তি কুততা মনুষ্যাঃ, স্ত্রী লোকের চরিত্র এবং পুরুষের ভাগ্য দেবতারাও জানিতে পারেন না, মনুষ্যের কি সাধ্য। ইহাদের চরিত্র কেবল দেখিলেই প্রত্যয় হইতে পারে, জিহ্বা দ্বারা বর্ণন করাযায় না। রাজা এ কথা শুনিয়া। পণ্ডিতকে কিছু বলিলেন না। তিনি মনে মনে করিলেন ঐ ইঙ্গিতকারী স্ত্রী ও পুরুষ পশ্চাৎ কি করে দেখিতে হইবে।
অনন্তর দিবাবসান হইলে রাজা কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া সেই দূতকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন যুবতী যে ইঙ্গিত করিল তুমি তাহার তাৎপর্য কি বুঝিয়াছ। সে কহিল মহারাজ আমি তাহা একপ্রকার বুঝিয়াছি, কিন্তু আপনার সম্মুখে কহিতে সংশয় হইতেছে। রাজা বলিলেন চিন্তা নাই, তুমি নিয়ে বল। মহারাজ ঐ যুবতী মস্তক মুক্ত ও বক্ষঃস্থলে হত্যার্পণ করিয়া এই অভিপ্রায় প্রকাশ করিল, অন্ধকার হইলে আমার সঙ্গে সংমিলন হইবে। বণিকপুত্র ঐ কথায়। আপন বক্ষঃস্থলে করার্পণ করিল, তাহার ভাব এই, সেই সময়ে সাক্ষাৎ হইবে। রাজা বলিলেন তাহাদের অভিপ্রায় তুমি যথার্থ বুঝিয়াছ, আমিও নদীতটে থাকিয়া তাহাদের এই অভিসন্ধি অনুভব করিয়াছি। সম্প্রতি তুমি আমাকে সেই নারীর গৃহ দেখাইয়া দাও। এই কথায় দুত রাজাকে সঙ্গে লইয়া তাহার আলয় প্রদর্শন করাইল। রাজা দূতকে বিদায় দিয়া সেই স্থানে প্রচ্ছন্ন ভাবে থাকিলেন।
ঐ গৃহে একটা গবাক্ষ ছিল, তদ্বারা প্রদীপের আলোক আসিতেছিল এবং ঘরের মধ্যে কখন কখন স্ত্রীলোকটাকে দেখা যাইতেছিল। রাত্রি দুই প্রহর অতীত হইলে রাজা গবাক্ষে একটা ঢেলা মারিলেন। তাহার শব্দ শুনিয়া যুবতী দ্বারের নিকট আসিয়া উকি মারিল, এবং রাজাকে বণিকপুত্র বিবেচনা করিল। পরে, তাহার যে সকল অলঙ্কারাদি ছিল তৎসমুদায় এক খানা বস্ত্রে বন্ধন পূর্ব্বক রাজার নিকটে আসিয়া বলিল আমার অলঙ্কার সকল এই পুঁটলির মধ্যে আছে, ইহা তোমাকে সমর্পণ করিতেছি, তুমি আমাকে লইয়া চল। রাজা বলিলেন আমি তোমাকে এ ভাবে কি প্রকারে লইয়া যাই, তোমার স্বামী বর্তমান আছে, সে যদি জানিতে পারে তবে রাজার নিকটে অভিযোগ করিবে, তাহা হইলে, রাজা আমাদের উভয়ের প্রাণ দণ্ড করিঅতএব অগ্রে তোমার স্বামীকে বিনাশ কর, তৎপরে নিষ্কণ্টক হইয়া উভয়ে সুখ সম্ভোগ করিব।
এই কথায় যুবতী নিঃশব্দপদসঞ্চারে গৃহ প্রবেশ পূর্ব্বক খজ দ্বারা নিদ্রাভিভূত স্বামীর মস্তক চ্ছেদন তৎপরে বাহিরে আসিয়া রাজার হস্তে অলঙ্কার সকল অর্পণ করিল। রাজা তাহা লইয়া অগ্রে অগ্রে চলিলেন, যুবতী তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। এই প্রকারে নদীতটে আসিয়া রাজা দাঁড়া ইলেন, এবং মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন, যে নারী আপন স্বামী হত্যা করিতে কিছুমাত্র বিলম্ব বা বিবেচনা করিলনা, সে অপরকে সংহার করিবে আশ্চর্য্য কি, অতএব এমত দুশ্চরিত্র নারীকে শীত্র পরিত্যাগ করাই সৎপরামর্শ। ইহা ভাবিয়া রাজা তাহাকে বলিলেন সুন্দরি তুমি এই স্থানে দাড়াও, আমি অগ্রে নদীতে নামিয়া দেখি কত জল আছে, যদি গভীর জল না হয়। তবে তোমাকে এই পথ দিয়া লইয়া যাইব। ইহা বলিয়া রাজা সন্তরণ দ্বারা নদীপার হইতে লাগিলেন, পরে পরপারে উঠিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন আমি নদীপার হইয়া আসিয়াছি, কিন্তু জল অনেক, তোমাকে আনিতে পারিব না।
এই দুর্দৈদব দেখিয়া যুবতী বিবেচনা করিল, আমার অলঙ্কার সকল এই ব্যক্তির হস্তগত হইয়াছে এজন্য আমাকে পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিল, এখন কি করি, আমার দুই কুল নষ্ট হইল। যাহা হউক, এখন নিশাবসান হয় নাই, অতএব গৃহে গমন করাই উত্তম কল্প, এবং বিনাশিত স্বামীর সহিত সহগমন করি, তাহা হইলে পরকালে সদাতি হইবে। এই বিবেচনা করিয়া গৃহে আসিয়া স্বামীর শবের সমীপে বসিয়া ক্রন্দন ও বিলাপ করিতে লাগিল, এবং উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল আমার সর্বময় স্বামীকে দস্যরা হত্যা করিয়া গৃহ হইতে সর্ব্বস্ব লইয়া যাইতেছে। যুবতীর চীৎকার শুনিয়া গৃহবাসী ও প্রতিবাসীগণ আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল চোর কোথায়। নারী কহিল এই পথদিয়া যাই- তেছে। ইহা শুনিয়া সকলে চোরের অন্বেষণ করিতে প্রবৃত্ত হইল।
যুবতী সেইরূপ রােদন ও শিরে করাঘাত করিতে লাগিল। তাহার আত্মীয়গণ তাহার ধৈর্য্য সম্পাদনের নিমিত্ত নানা প্রকার প্রবােধবাক্যে বুঝাইতে লাগিল। তাহারা বলিল মৃত্যু ভগবানের ইচ্ছ, ইহাতে মনুষ্যের সাধ্য নাই। যখন পরমায়ুঃ শেষ হয় তখন মৃত্যু এক এক রূপ ধারণ করিয়া আইসে। তােমার স্বামীর পর- মায়ুঃ শেষ হইয়াছিল এইজন্য পরলােক গমন করিলেন। পরমায়ুঃ শেষ না হইলে কোন ব্যক্তি কাহাকে নষ্ট করিতে পারে না, এবং শরীর হইতে প্রাণ পুরুষ নির্গত হইলে কেহ কাহার প্রদান করিতে পারেনা। এবম্বিধ। বিবিধ প্রকার বুঝাইয়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করিতে বলিল। যুবতী কহিল পতি বিনা সংসারে আমার আর সম্পত্তি নাই, তাঁহার অবর্তমানে আমার জীবনধারণ অকিঞ্চিৎ- কর, অতএব আমি পতির সঙ্গে সহগমন করিব। ইহা বলিয়া নদীতীরে চিতা প্রস্তুত করাইয়া তাহাতে পতির সঙ্গে প্রাণত্যাগ করিবার প্রতিজ্ঞা করিল, কাহারে। নিষেধ শুনিল না।
এই সহগমন দর্শন জন্য নগরস্থ অনেক লােক একত্র হইল, রাজাও কৌতুকাবিষ্ট হইয়া নদীতটে গমন করিলেন। অনন্তর যুবতী স্বহস্তে স্বামীর মুখাগ্নি করিয়া চিতারােহণ করিল। কিন্তু যখন বস্ত্র ও কেশ প্রজ্বলিত হইয়া অগ্নিশিখা তাহার শরীরে লাগিল, তখন আতঙ্কে চিত হইতে লম্ফ দিয়া ভূমিতে পড়িয়া নদীতে ঝাঁপ দিতে গেল। রাজা এই রহস্থ্য দেখিয়া হাস্য করিয়া বলিলেন হে ললনে এ কি কর্ম্ম করিতেছ। নারী বলিল ইহার মর্ম্ম তুমি কি বুঝিবে, আমার কর্মের যে ফল তাহা আমি পাইলাম, কিন্তু তুমি আপনার ঘরের তত্ত্ব পাইলেন। শুন রাজা, আমরা সাত সখী এই নগরে বাস করি। তাহাদের মধ্যে আমি এক, আর ছয় জন তোমার অন্তঃপুরে আছে। ইহা বলিয়া যুবতী জলমগ্না হইল।
রাজা এই কথা শুনিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলেন, এবং গৃহে আসিয়া কাহারো সহিত সাক্ষাৎ না করিয়া গুপ্তভাবে থাকিলেন। পরদিবস নিশীথ সময়ে দেখিলেন তাহার ছয় মহিষী কাঞ্চনপাত্রে মিষ্টান্ন পরিপূর্ণ করিয়া অন্তঃপুরের দ্বার উদ্যাটন পূর্ব্বক উদ্যান দিয়া গিয়া উপবনের মধ্যে এক কুটীরে প্রবেশ করিল। ঐ কুটীরে এক সন্ন্যাসী যোগ সাধন করিতেছিল, রানীগণ তাহাকে প্রণাম করিয়া তাহার সম্মুখে বসিল। যোগীর। যোগ সমাধা হইলে মহিষীগণ মিষ্টান্নপূর্ণ থলি তাহার সম্মুখে দিল। সন্ন্যাসী তাহা ভক্ষণ করিয়া তাল দ্বারা মুখশুদ্ধি করিল। পরে আপন দেহকে মন্ত্র দ্বারা ছয় দেহ করিয়া এক কালে ছয় রাণীর সহিত সুখবিলাস করিতে লাগিল। তৎপরে রাণীরা বিদায় হইয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিল। রাজা অন্তর হইতে এই কুৎসিত ব্যাপার দেখিয়া মনে মনে কহিলেন হায়, এ ব্যক্তি যোগী হইয়া কি কুকর্ম্ম করিল, এ আপনার যোগ ও অপরের ধর্ম্ম উভয় নষ্ট করিল। ইহা ভাবিতে ভাবিতে রাজা খঙ্গ হস্তে যোগীর সম্মুখে গিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। যোগী মনে মনে সঙ্কুচিত হইয়া বলিল মহারাজ কোথা হইতে আগমন হইতেছে, এবং এখানে আসিবার অভিপ্রায় কি। রাজা বলিলেন তোমাকে দর্শনার্থ আসিয়াছি। যোগী। বলিল তোমার যে কামনা থাকে বল, আমি তাহা পূর্ণ করিব। রাজা বলিলেন তুমি যে বিদ্যা দ্বারা এক দেহকে ছয় দেহ কর তাহা আমাকে দাও, নতুবা আমি তোমাকে বিনাশ করিব। যোগী রাজার এই কথায় ভীত হইয়া মন্ত্রটী বলিয়া দিল। রাজা তাহা পরীক্ষা করিয়া, খঙ্গ প্রহার দ্বারা যোগীকে সংহার করিলেন।
তদনন্তর গৃহে আসিয়া মহিষীগণের নিকটে গেলেন। রাজার আগমন হইলে, তাহারা তাহার সেবায় নিযুক্ত হইল, অর্থাৎ কেহ বায়ু ব্যজন, কেহ হস্ত মুখ প্রক্ষালন, কেহ তাম্বুল আনয়ন করিতে লাগিল। রাজা বলিলেন হে সুন্দরীগণ আমি তোমাদের হিত বাঞ্ছা করি, তোমরা আমার অহিত করিয়া অন্যের উপাসনা কর, ইহা কি তোমাদের উচিত। রাণীগণ বলিল মহারাজ তুমি আমাদের রক্ষাকর্তা, তোমাকে দেখিয়া আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হই, আমরা অষ্ট প্রহর তোমার ধ্যান করি। যখন তুমি বাহিরে যাও তখন আমরা, চাকাঙ্ক্ষী চকোরের ন্যায় তোমার প্রত্যাগমন ও দর্শনের আকাঙ্ক্ষী হইয়া থাকি। অল্প জলের মধ্যে মীন যেমন ধড় পড় করে, আমরাও তোমার অদর্শনে সেই প্রকার হই। এবং কমলিনী যেমন জল বিনা শুষ্ক ও ম্লান হয়, তোমার ক্ষমাত্র অদর্শনে আমরাও সেই প্রকার নির্জীব হই।
এই সকল কপট বাক্যে রাজার অন্তঃকরণে অতিশয় ক্রোধোদয় হইল। কিন্তু ক্রোধ সম্বরণ পূর্বক তিনি ঈষৎ হাস্থ্য করিয়া কহিলেন তোমরা যে প্রকার পতি পরায়ণা, আমি তাহা বুঝিয়াছি। কপটযোগী যেমন আপনার এক দেহ ছয় দেহ করে, তোমরা ছয় অঙ্গনা আমার সঙ্গে সেই প্রকার শঠতা আরম্ভ করিয়াছ। মহিষী গণ রাজার এই কথায় স্তব্ধ হইয়া কিঞ্চিৎকাল মেনী থাকিল। পরে বলিল মহারাজ, একি অদ্ভুত কথা কহিলেন, এক যোগী ছয় হয় ইহা আমরা কখন শুনি নাই, এ কথা বিশ্বাসের যোগ্যও নহে। রাজা বলিলেন যদি বিশ্বাস না হয় তবে আমার সঙ্গে আইস, আমি তোমাদিগকে তাহা দেখাইতেছি। ইহা বলিয়া তাহাদিগকে লইয়া বনমধ্যে প্রবেশপূর্ব্বক কুটীরের দ্বার উদঘাটন করিয়া যোগীকে প্রদর্শন করাইলেন। রাণীগণ তাহা দেখিয়া মহালজ্জিত হইল, এবং মনে মনে বুঝিল রাজা আমাদের সকল কুকার্য্য দেখিয়াছেন। পরে রাজা জিজ্ঞাসিলেন তোমাদের এখন প্রত্যয় হইল কি না। রাণীগণ ইহার কি উত্তর করিবেক, নিস্তব্ধ হইয়া রহিল। রাজা তখন আর কোন কথা না বলিয়া একে একে তাহাদের সকলের মস্তক চ্ছেদন করিলেন। পরে গৃহে আসিয়া তাহাদিগের অলঙ্কারাদি নগরস্থ ব্রাহ্মণীদিগকে বিতরণ করলেন, এবং ডিণ্ডিমপ্রচারদ্বারা নগরস্থ সমস্ত বিদ্বান ব্রাহ্মণকে আহ্বান করিয়া প্রত্যেক জনকে এক এক গ্রাম দান করিলেন। তদ্ভিন্ন যে সকল ব্রাহ্মণদুহিতা অবিবাহিতা ছিল তাহাদের বিবাহ দেওচাইলেন। তৎপরে রাজকার্য করিতে লাগিলেন।
পুত্তলিকা বলিল, শুন ভোজরাজ, তুমি পণ্ডিত বট, কিন্তু বিক্রমাদিত্যের তুল্য গুণসম্পন্ন ব্যক্তি এই আসনে উপবেশন করিবেন। তোমার তাদৃশ গুণ নাই অতএব কেন ইহাতে বসিতে বাসনা কর। এই প্রকার কথোপকথনে মে দিবসের শুভ লগ্ন অতীত হইল, রাজা সিংহাসনারোহণ করিতে পারিলেন না। পর দিন পুনর্ব্বার সিংহাসনের সম্মুখে আসিয়া দণ্ডায়মান হইলে,