বনলতা সেন/আকাশের বুক থেকে নক্ষত্রেরে
আকাশের বুক থেকে নক্ষত্রেরে
আকাশের বুক থেকে নক্ষত্রেরে মুছে ফেলে তুমি যাও চ’লে
হে সময়,—সিন্ধুরেও তুমি এসে একদিন স্তব্ধ ক’রে যাও;
ডুবায়ে নিয়ে যাও সবই তুমি,তুমি এসে সকল ফুরাও;
তুমি একা জেগে থাক হে সময়, সকলের জাগা শেষ হ’লে!
পথে-পথে পড়ে যায় পথিকেরা,তবু তুমি পড়নাকো স্বলে!
সবারে ভুলায় মৃত্যু;হে সময়, তবু তুমি নিজে মৃত্যুরে ভুলাও!
হে পথিক, মৃত্যুর সান্ত্বনা ভুলে আর কোন্ শান্তি তুমি চাও?
কোন্ স্বস্তি জেগে থেকে? বলাে তুমি কোন্ স্বাদ একা জ্বলে-জ্বলে!
আমরা জেনেছি ক্লান্তি,—তাই ভালােবাসিয়াছি ঘুমের সময়,
আলাে আর অন্ধকারে অসংযত সমুদ্রের মতাে ঢেউ তুলে
অনেক আকাশ খুঁজে ছুটে-ছুটে তারপর দুই চোখ অবসন্ন হয়।
নক্ষত্র-পৃথিবী—সিন্ধু—ঘুমে তাস একে-একে পড়িতেছে তুলে,
তােমার পায়ের পথ প্রতীক্ষায় প্রেমিকের মতাে জেগে রয়।
তােমার মতন সে-ও ভুলে গেছে ঘুম, গেছে মরণেরে ভুলে!—