বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড)/১২৯
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
---|---|---|
পূর্ব পাকিস্তানের ব্যবস্থাপক সভায় নির্বাচন প্রথা সম্পর্কিত বিতর্ক ও যুক্ত নির্বাচনের সপক্ষে প্রস্তাব গ্রহণ | পূর্ব পাকিস্তান ব্যবস্থাপক সভায় কার্যবিবরণী | ১২ অক্টোবর, ১৯৫৬ |
ELECTORATE ISSUE
(29th September)
MR. SPEAKER: Ladies and Gentlemen, we are now upon the threshold of the most momentous issue, namely, the electorate issue. The destiny of the millions of the people of Pakistan hangs in the balance in this respect. Whether there is a volume of demonstration on this side or on that side is beside the point. We, the legislators here, as the true representatives of the country in exercise of our freedom, in response to the voice of conscience-not in response to slogans and demonstrations should exercise our votes freely and conscientiously. We should conduct the proceedings of the House coolly, calmly and in a peaceful atmosphere. Now Mr. Khurshiduddin Ahmad of the Nizame Islam Party would move his resolution on Separate Electorate first.
(1st October)
Mr. KHURSHIDUDDIN AHMAD: Sir, I beg to move that the East Pakistan Assembly is of the views that elections to the National Assembly and Provincial Assemblies shall be held on the principle of Separate Electorate.
সভাপতি মহোদয়, পৃথক বা স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী এখানে কোন নূতন কথা নয় এবং আমার প্রস্তাবও নূতন কথা নয়। আপনি এক সময় বুঝাতে চেষ্টা করেছেন যে, স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী নূতন কথা এবং স্বাভাবিক বস্তু বিপরীত-আমি এ কথার দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ করি। আল্লাহর সার্ববৌমত্বের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তানের জন্ম সম্ভবত ও সার্থক হয়েছিল। পাকিস্তানের স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী ধর্মভিত্তিক এবং আদর্শভিত্তিক। যে আদর্শ রূপায়ণের জন্য পাকিস্তান এই পৃথিবীতে জন্মলাভ করেছিল সে আদর্শ হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদের আদর্শ। পৃথিবীর অপরাপর ইসলাম বিরোধী যা কিছু শক্তি বা আদর্শ আছে তার প্রতিকূলে একথা বলা চলে যে মুসলমানদের স্বতন্ত্র জাতীয়বোধ একটি নূতন কথা নয়। এটি কোরান শরীফের শাশ্বত বাণী-হাদিস এর ব্যাখ্যা পূর্ণতা লাভ করেছে। সমস্ত জগতের উপর এক আল্লাহর সার্বভোমত্ব স্বীকার করে যে মতবাদ তার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছিল পৃথক নির্বাচন পদ্ধতি। যদি এই পৃথক নির্বাচন পদ্ধতি অস্বীকার করা হয় তাহলে পাকিস্তানের দাবীকে নস্যাৎ করে দেয়া হবে। “ইসলামী প্রজাতন্ত্র” বিশিষ্ট মতবাদের রূপায়ণকে কেন্দ্র করে সম্ভব হয়েছে। ভৌগলিক মতবাদ বা বস্তান্ত্রিক মতবাদ থেকে ইসলামী জাতীয়তাবাদ সম্পূর্ণ পৃথক। Secular State-সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করা হয় না। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রের মুখেবন্ধে প্রথমেই সমস্ত জগতের উপর এক আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করা হয়েছে। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে যে জাতীয়তাবাদ তারই উপর ভিত্তি করে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচিত হয়েছে। যদি পৃথক নির্বাচন প্রথা অস্বীকার করা হয় আজ তাহলে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধ প্রকৃতপক্ষে জেহাদ ঘোষণা করা হবে এবং তার ফলে পাকিস্তানের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। এবং কাশ্মীর, জুনাগড় ইত্যাদির দাবি প্রত্যাহার করতে হবে।
এই পাকিস্তানের জন্ম এই স্বাতন্ত্রবোধ থেকে হয়েছিল সেটা প্রমাণ করবার জন্য বেশী দূরে যেতে হয় না। কোরান থেকে দু’একটি কথা উদ্ধৃত করে আমার কথা যে অন্যায়ও কৌতূহলপ্রসূত নয় সেটা প্রমাণ করব। কোরান বলেছে যে সমস্ত মানবজাতি এক মণ্ডলীর অন্তর্ভূক্ত। বিশ্ব মানব একই মানবতার শৃংখলে আবদ্ধ। এই ভিত্তিকে-এই আদর্শকে যদি আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করি তাহলে মানব জাতির বিভেদ সৃষ্টি করা হবে। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব কেহ সম্পূর্ণ স্বীকার করে নিয়েছে- কেত সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আবার কেহবা ২/৪/৭ আনা স্বীকৃতি দিয়েছে। এই প্রকার স্বতন্ত্রবোধ বৈষম্যের দরুন পৃথিবীতে জাতিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। এই জাতিভেদের বিরুদ্ধে যাঁরা সংগ্রাম করেছেন তাঁরা যুগে যুগে অবতার বা মহাপুরুষ বলে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রচারের পূর্বে পৃথিবীর মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত হয়েছিল এবং জাতিভেদ দূর করাই ছিল ইসলামের প্রচেষ্টা। ইসলাম প্রচার করল যে মানবজাতি এক। কিন্তু অস্বাভাবিক ভৌগলিক জাতীয়তাবোধ পৃথিবীর মানুষকে বিভক্ত করেছে। China for chinese, India for Indians and Russia for Russians, এ কথা প্রমাণিত হতে চলেছে যে নিরাপত্তা কাউন্সিল মানব জাতির সার্বভৌমত্বের যোগসূত্র খুঁজে পায় নাই। মানবতার ধর্মভিত্তিক আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও সকল মর্যাদাকে যদি স্বীকার করি তাহলে মানব জাতির এই অধিকার লাভ সম্ভব হবে। কোরানের এই আদর্শের বাস্তব রূপায়ণের জন্যও সে আদর্শকে পরিপূর্ণ করা জন্য পাকিস্তানের স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে। জনাব স্পীকার সাহেব, পাকিস্তানের দাবী ছিল দ্বিজাতি ভিত্তির উপর। এই দ্বিজাতিবাদ ভিত্তি করে দুটো আদর্শের সংগ্রামের উপর পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে অর্থাৎ বিশ্ব মানব সভায় পাকিস্তান বা আমাদের স্বাতন্ত্র্যবোধের দাবী স্বীকৃত হয়েছে। তার ফলে পাকিস্তান জন্মলাভ করেছে। তখন ভারত বিভাগকে মাতা বিভাগ করবার সমপর্যায় মত বলা হয়েছিল। যারা পাকিস্তানের বিরোধীবাদী ছিল তাদের সঙ্গে সক্রিয় agreement, সমঝোতা করে পাকিস্তানের সৃষ্টি হল। তারা পাকিস্তানের আদর্শকে স্বীকার করে নিয়েছিল। আজকে যদি এই স্বাতন্ত্র্যবাদকে অস্বীকার করা যায় তাহলে বলতে হবে যে পাকিস্তান দাবীর মূলে ধোঁকাবাজী ছিল। একথা কোন মানুষ বলতে পারে না যে কায়েদে আযম আমাদের ধোকা দিয়েছেন। সুতরাং আজকে যুক্ত নির্বাচনের পক্ষে যে সমস্ত যুক্তি দেখান হয় তা অচল (Noise)...
আজ দ্বিজাতির ভিত্তি যদি অস্বীকার করা হয় তাহলে বুঝতে হবে যে পারিপার্শ্বিক রাজনৈতিক body-র চাপে পড়ে সে আদর্শকে মুসলমান জাতি বিসর্জন দিতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিনা সে আদর্শবাদ কি কারণে জলাঞ্জলী দিতে হবে। এই স্বাতন্ত্র্যবোধই হচ্ছে মুসলমানদের জাতীয়তাবাদের উৎস। আমাদের কোরান ও সুন্নাহ তাই বলে। সেটাকে যদি অস্বীকার করা হয় তাহলে বুঝতে হবে আর একটি কোরান ও হাদিস পাওয়া গিয়াছে এবং মুসলমানদের বিশ্বমানব পরিকল্পনা আদর্শকে পরিত্যাগ করতে হবে। বলাবাহুল্য আমাদের কোরান ও হাদিস এই ভৌগলিক জাতীয়তাবাদ কখনো সমর্থন করে না। আমি আপনার মাধ্যমে বন্দুদের জানাচ্ছি...
এই রকম নবকল্পিত ভৌগোলিক, সীমাবব্ধ জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে জনাব ইকবাল মরহুম যা লিখেছেন আমি তা থেকে দু’একটি কথা উল্লেখ্য করছি- If Turky is left to seek forces of energy in the cretion of new loyal, such a patriotism and nationalism nourishes the strongest force against that culture. তুরস্ক, মিসর ও ইরানের আধুনিক মুসলমানদের দেশ কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদ নূতন জীবন শক্তির কল্পনায় লিপ্ত হয়েছে। এই দেশ কেন্দ্রীক জাতীয়তাবাদ সভ্যতার প্রকৃষ্ট প্রতিবন্ধকরূপ বলে আখ্যায়িত হয়েছে। জনাব স্পীকার সাহেব, জাতীয়তাবাদের নামে যা বলা হয় সেটি অযৌক্তিক বলে জগতের মনীষীগণ একবাক্যে বলেছেন। জনাব ইকবাল মরহুম মুসলমানদের জাতীয়তাবাদের এক নূতন সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। মার্কস বলেছেন, এটা unreasonable, তার মানে কৃষ্টি ও কালচারের বিরুদ্ধে মানব সভ্যতায় এটা একটি অপশক্তি ও অপকৌশল। এই অপকৌশল বর্তমান পৃথিবীকে যুযুৎসু শিবিরে পরিণত করেছে। একটি হচ্ছে রাশিয়ার communism বা সমাজতন্ত্রবাদ আর একটা হচ্ছে ধনতন্ত্রবাদ বা সাম্রাজ্যবাদ। এই দুটি মতবাদে সংঘর্ষ হচ্ছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ যত সংগ্রামই করুন না কেন এ লড়াই পৃথিবীকে শান্তিতে থাকতে দিবে না। এই সংগ্রামের শেষ করতে হলে দ্বিতীয় পন্থা হচ্ছে মানব জাতির সীমার ঊর্ধ্বে উঠে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ আসবে সেটি। তাহলে দু’টি মতবাদের সামঞ্জস্য হতে পারে। জগতের শান্তির পথ প্রশস্ত হতে পারে। পৃথিবী শান্তির দিকে অগ্রসর হবে। পৃথিবীর শান্তি আমাদের শান্তি যোগাবে। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্রের Preamble-এ বলেছি যে পৃথিবীতে যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় তার চেষ্টা আমরা করব। আমাদের শাসনতন্ত্রের এই কথা যদি আমরা বিশ্বাস করি ও মেনে চলি তাহলে বিশ্বমানবের শান্তির জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবীর দরকার আছে। আর একটা কথা অনেকে বলে থাকেন যে, আমাদের Local Board District Board, Municipality প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের এবং National Assembly-র স্পীকার নির্বাচনে আংশিকভাবে Joint Electorate প্রথা আংশিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমি বলতে চাই যে, Head of the state হচ্ছে Titular figure head যেমন English king হচ্ছে constitutionalt figure head, তাঁর নিজের কার্যাবলী কিছু নেই। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে Municipality. Local Board,—এর নির্বাচন আদর্শের সংগ্রাম নয়। সেখানে হচ্ছে আইন সভার সিদ্ধান্তের Distic Board Union Board Lical Self Govt. Act যে সিদ্ধান্ত আছে তার রূপায়ণ।
একটা রাস্তা হিন্দু করল কি মুসলমান করল, একটা জলাশয় হিন্দু করল না খৃষ্টান করল এতে কিছু আসে যায় না। সুতরাং সেখানে স্বতন্ত্র বা যুক্ত নির্বাচনের প্রশ্ন আসে না। কিন্তু আইন সভার নির্বাচন একটা স্বতন্ত্র জিনিস। আমাদের শিক্ষা, আমাদের সাংস্কৃতি, আমাদের সভ্যতা, আমাদের তাহবীজ, তমুদ্দুন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিভিন্ন গোষ্টি, বিভিন্ন পরিবারের লোক দ্বারা এই আইনসভা গঠিত হয়।
আমি বলেছিলাম যে আমাদের বর্তমান সরকারকে আসি সেই সমস্ত নির্দেশের পথে আকৃষ্ট করতে চাই। সরকার গঠনের মধ্যে তিনটি বিভাগ থাকে একটা হচ্ছে সর্বোচ্চ পরিষদ, যাকে আমরা বলি বিধান পরিষদ। সেটা হল Legislative Body, সেখানে আইন প্রণয়ন করা হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে আইনের বিধান ঠিকমত প্রতিপালন করবার জন্য Executive Body বা শাসন কর্তৃপক্ষ। তৃতীয়টি হচ্ছে এই আইনের বিধান যারা লঙ্ঘন করে তাদের যথাযোগ্য ন্যায়ের তুলাদণ্ডের বিচার করে শাস্তি বিধান করে তা হচ্ছে Judiciary.
আমরা আজ এই আইন সভায় যে সমস্ত লোক এসেছি তারা বিভিন্ন কৃষ্টি, বিভিন্ন সমাজ, বিভিন্ন আদর্শের প্রতীকরূপেই এখানে মেম্বার হয়ে এসেছি। আমাদের নিজেদের constituency অনুযায়ী আমাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, তাহজীব, তমুদ্দুন বিভিন্ন, একথা স্বীকৃত সত্য। এই বৈষম্য থাকার কারণ হল আমাদের নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে নিজের নিজের কথা বলবার জন্য আজ প্রতিনিধি হিসেবে এই আইন সভায় এসেছি। পৃথকভাবে নির্বাচন হওয়া একান্ত দরকার কারণ, কোন খৃষ্টান কোন মুসলমানের তাহজীব, তমুদ্দুন, প্রকাশ করতে পারে না, কোন হিন্দু জাতির মঙ্গলের রূপায়ণ মুসলমান প্রতিনিধিরা করতে পারে না। সুতরাং এক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষা, কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক, ভাষা এবং নানা দিক দিয়েই বৈষম্যের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিভিন্ন সমাজ হতে আগত মেম্বাররা সকলেই যে স্বতন্ত্র সত্তার অধিকারী এ কথা স্বীকৃত সত্য। সুতরাং বিভিন্ন জাতীয় সত্তা কথার জন্য আইন পরিষদের নির্বাচন যুক্ত না হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনের মাধ্যমে হওয়াই বিধেয়। স্পীকার মহোদয়, একটা কথা শুনতে পাই যে আমাদের কায়েদে আযম যুক্ত নির্বাচনের সমর্থক ছিলেন। এটা জাজ্বল্যমান মিথ্যা এবং স্বদেশ বিরোধী কথা। কায়েদে আযমের সমস্ত জীবনের দৃষ্টান্ত থেকেই এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। ১৯২৮ সাল পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসে ছিলেন। তখন তিনি দুইটি জাতিকে একত্রিত করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কংগ্রেসের খামখেয়ালির জন্য তিনি পাকিস্তানের দাবী উত্থাপন করেছিলেন। এই দাবী স্বীকৃত হবার পর আমার নূতনভাবে একথা উঠা নিতান্তই অসঙ্গত। আমি এই প্রসঙ্গে কায়েদে আযমের শেষ বাণীর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। তিনি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের National Parliament এর বক্তৃতায় যে কথা বলেছিলেন সেকথাবিজয়ী মুসলমানদের নিকট তার একটা শাশ্বত বাণী এবং বিজিত অমুসলমানদের প্রতি পরাজয়ের গ্লানি ভুলে যাওয়ার একটা মস্তবড় আশ্বাসের বাণী। এই বাণীর আমরা তুলনা করতে পারি। আমাদের রাসুলুল্লাহ বলেছিলেন, তাঁর বিজয়ের দিনে, “হে আমার বিজয়ী বন্ধুগণ! তোমরা যে জাতিই হওনা কেন, মনে রেখ, আজ প্রতিশোধ নেওয়ার দিন নয়; আজ শুধু প্রেম বিতরণ করা এবং দোষ ভুলে যাওয়ার দিন।” সুতরাং সেই যে কায়েদে আযমের বাণী সেটি অমুসলমানদের নিকট তৃপ্তি এবং আশ্বাসের বাণী এবং মুসলমানদের নিকট গৌরবের বাণী। বিজয়ী উৎফুল্ল মুসলমানদের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তিনি সাবধান করে দিয়েছিলেন, বলেছিলেন, তোমরা হিন্দু মুসলমান একসাথে বসবাস কর। আমি এরূপ কল্পনা করতে পারি না যে এর অর্থ হতে পারে যে তিনি পৃথক নির্বাচনের দাবী নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। জুনাগড় সম্বন্ধে, কাশ্মির সম্বন্ধে হায়দ্রাবাদ সম্বন্ধে নজর দিলেই সকলে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে তাঁর সমগ্র জীবন প্রমাণ দিচ্ছে যে তিনি পাকিস্তানের যুক্ত নির্বাচনের বিরুদ্ধে এবং স্বতন্ত্র নির্বাচনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। একথা সর্ববাদী সত্য। সভাপতি মহোদয়, গণতন্ত্র সম্বন্ধে একটা কথা বলা হয় যে, স্বতন্ত্র নির্বাচন কায়েম হলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে। এ কথা মোটেই সত্য নয় ..... স্পীকার মহোদয়, আমি উপসংহারে বলতে চাই, যদি স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী পরিত্যাক্ত হয় তাহলে সর্বপ্রথম কতা হচ্ছে, মুসলমানদের সনাতন, শাশ্বত মানবতার যে আদর্শ আছে সে আদর্শ হল আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, তা ব্যাহত হবে। পাকিস্তানের মুসলমানদের দ্বারা স্বতন্ত্র নির্বাচন পরিত্যক্ত হলে পূর্বোক্ত আদর্শকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দেয়া হবে। যদি এই স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবী পরিত্যাগ করা হয় তাহলে পাকিস্তানের সমাধি আজ নাহোক কাল রচিত হবে। যে বিশাল সংস্কৃতি এবং মানসিকতার বলে এই নূতন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল, মুসলমান জনগণ আজ সে আদর্শ বিস্মৃত হতে চলেছে। সেই বিস্মৃত আদর্শকে পুনরায় বিশ্বে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আজ বিশ্বের সমস্ত মুসলিম দেশে নব জাগরণের তূর্যনিনাদে মহাজাগরণের বাণী উঠেছে, আত্মাহুতির দাবী এসেছে। আজ পাকিস্তানে সে আদর্শের পরিপন্থী পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই পরিবেশ নষ্ট করে দিতে হবে। পাকিস্তানে আমরা একজাত হয়ে যদি পাকিস্তানের থিওরী ভুলে যাই তাহলে কলকাতা আর সীমামেত্মর কোন ব্যবধান থাকবে না। অনাগত ভবিষ্যতে হিন্দু মুসলমানের ভোটে এবং মুসলমান হিন্দুর ভোটে নির্বাচিত হবেন কিন্তু তারা প্রকৃত প্রতিনিধি হতে পারবেন না। যদি পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থায় নির্বাচন হয় তাহলে তারা সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। যদি হিন্দু মুসলমানকে এবং মুসলমান হিন্দুকে ভোট দেয় সেটা অত্যন্ত অন্যায় এবং মারাত্মক হবে। তার ফল সব দিক দিয়েই খারাপ হবে। আরও একটা কথা হচ্ছে যে পাকিস্তান যে বিশ্বমানবের মংগল এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করছে, সেই সার্বভৌম মানবতার অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
Mr. ABUL BASHAR MOHD. SULTANUL ALAM CHOWDHURY Mr. Speaker. Sir, the question of electorate wliich is being mooted and debated here, I think, is one of the most outstanding and serious subjects that have been placed before this House in the last nine years of its splendid existence. I call it an outstanding and serious subject because, to me, it is not a political question pure and simple, as is often explained and interpreted by the exponent of Joint Electorate but with it are interlinked the very important religious and culture, questions and above all the safety and security of the state itself. Before entering deep into the main theme, sir. I think it behaves me to give in nutshell the genesis and history of separate Electorate in the undivided subcontinent of India.
In 1906 a deputation consisting of Nawab Mohsinul Mulk Nawab Vikarul Mulk, Sir Syed Ali Imam, Hakim Azmal Khan, Mr. Justice Shahi Din and others under the leadership of the Aga Khan waited upon Lord Minto, the then Viceroy of India and demanded among other things the right of separate Electorate for the Muslims and that was agreed to and was in view of the political backwardness of the Muslims embodied in the Minto-Morley Reforms.
The period extending from 1915 to 1918 may be called the dawn of political consciousness in the Indian sub-continent. In that period the Indian Home Rule Movement gained momentum; Hindus and Muslims came on the same platform, so much so that a joint session of the Indian National Congress and the All India Muslim League was held at Lucknow to press united demand for self-Government and the Muslim and Hindu leaders hammared out a pact as a land mark in the history of the Hindu-Muslim unity known as the Lucknow Pact which later on formed the basis of Montague- Chelmsford Reform and the Government of India Act of 1919. Even in that historical Lucknow Pact the principle of separate Electorate was recognised and adopted. Again in the year 1935 the Report of the Joint Select Committee of the British Parliament also recommended separate Electorate and that was later on embodied in the Government of India Act of 1935. The first election under the Act was held in 1937. Mussalmans were elected on legislatures in large number; a ware of enthusiasm and political activity surged over the country inflaming the Mussalmans to hope and action. In that election the seed of the future Pakistan Movement was imperceptibly sown to bear the golden fruit eleven years later.
Then again, sir, election came in 1946 and that election was also held according to the principle of Separate Electorate envisaged in the Government of India Act of 1935. In that election the two main political parties of the Sub-continent had two distinct issues before them. The National Congress with a microscopic minority of muslim exponents stood for an undivided India on the principle of United Nationalism and the All India Muslim League stood for Pakistan or divided India on the principle of an ideological nationalism better known as the Two Nation Theory. The non-muslims voted for the Congress or the united nationalism and Mussalmans en masse voted for the Muslim League or the Two Nation Theory.
Then the Cabinet Mission visited India to find out a compromise between the two extremely contradictory and militant political ideologies and demands. The plan, they suggested, though accepted by the Muslim League, was intransigently rejected by the Congress on the question of grouping and as a result India was divided under the Mountbatten plan and Pakistan came into existence symbolising the hopes and aspirations of ten million Mussalmans of the Indian Sub-continent. So, Sir, Pakistan is a creature and off-spring of the Two Nation Theory.
What is that Two Nation Theory? I beg to explain that with the words of the Father of the Nation himself.
“We maintain and hold that Muslims and Hindus are two major nations by any definition or test of a nation. We are a nation of a hundred million and what is more we are a nation with our own distinctive culture and civilization, language and literature, art and architecture, names and nomenclature, sense of value and proportion. Legal laws and moral codes, customs and calendar, history and traditions, aptitudes and ambitions. In short, we have our own distinctive outlook on life and of life. By all canons of international law we area nation.”
Mr. Speaker:, Sir, the conception of the two nation theory is not an invention or innovation of the Quaid-e-Azam in the political theories of Islam, the main springhead of that conception is the Holy Quoran, the book of Allah. In illustration, therefore, I am giving the English translation of a verse of the Quoran.
“O. believers do not take the people other than you into confidence in your own affairs, they will have no stone unturned to destroy you, they love. What pains you, their hatred against you has found expression through their mouth and what their heart conceals is much more dangerous; I have shown you the signs if you can understand them.”
There are many other verses in the Quoran which also substantiate and justify the two nation theory on which stands the superstructure of the mighty edifice of Pakistan.
Now I wish to observe that separate Electorate is the living symbol of the Two Nation Theory and the pith and marrow of our political Philosophy. The words of the Quaid-i-Azam will further illustrate this matter. He said, “we (the Hindus and Muslims) are different in everything. We differ in our religion, our civilization and culture, our history, our language, our architecture, music, jurisprudence and laws, our food and our society, our dress-in everyway we are different. We cannot get together only in the ballot box.”
In view of these facts, I say acceptance of Joint Electorate will be tantamount to violating the eternal principles of Islam, subverting the very cause for which Pakistan stands, ignoring the evolutionary history of our political growth and forgetting the struggles and sacrifices undergone by our predecessors to secure for us a place of honour in the comity of nations.
Many of our friends on the treasury bench often endeavored to convince us that secularism and nationalism are the order of the day and a state to be progressive and to keep pace with the dynamic forces of time has no other alternative but to take recourse to these two “isms” as the Summum Bonum or the highest good of political life. Let us, Mr. Speaker, sir. examine this preposition, secularism or laicism may be the guiding principles of that state which had no predetermined or premeditated programme or policy before its emergence. But the case of Pakistan was absolutely different. The policy and programme of Pakistan were chalked out beforehand. Quaid-i-Azam declared:
“Our bedrock and sheet anchor is Islam.” He again said. “Pakistan not only means freedom and independence but the muslim ideology, which has to be preserved, which has come to us as a precious gift and treasure and which we hope, others will share with us.
These words falling upon a people proned to quick impulses, worked a mighty revolution, solidified the Mussalmans from Cape Camorin to the Himalayas and electrified them to heroic sacrifices and actions. Had secularism been the main idea there would have been no necessity of carving out an independent sovereign state under the name of Pakistan; the undivided Indian Subcontinent would have been wide and spacious enough for the cultivation and materialization of that idea.
So in the face of all these speaking of secular National State and Joint Electorate is tantamount to throwing into oblivion the memories of the great heroes and architects of Pakistan, forgetting the untold miseries and in describable affections which befalls the muslims of India just before and after the birth of Pakistan and, in fact, it will be equivalent to passing a vote of censure on Pakistan herself
MR. SHEIKH MUJIBUR RAHMAN:
জনাব স্পীকার সাহেব, আজ আমরা পূর্ব পাকিস্তান পরিষদ থেকে জাতীয় পরিষদের নিকট আমাদের opinion পাঠায় যে আমরা যুক্ত নির্বাচন চাই, না পৃথক নির্বাচন চাই- যিনি পৃথক নির্বাচনের পথে resoultion move করছেন তাঁর বক্তৃতা শুনেছি। তাঁর points শুনেছি। জনাব সুলতানুন আলমের বক্তৃতাও শুনেছি। কিছুদিন পূর্বে যখন আমরা শাসনতন্ত্র তৈরী করার কাজে ব্যস্ত ছিলাম তখন তেকে আলোচনা শুরু হয়েছে যুক্ত নির্বাচন হবে কি পৃথক নির্বাচন হবে। Constitution এই provision আছে যে সকল প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন প্রথা স্থির করে জাতীয় পরিষদের নিকট জানাবে। মিঃ স্পীকার, স্যার, অনেক আলোচনা আপনি শুনছেন, ইসলামী principle-এর কথা শুনেছেন। পাকিস্তান কেন চেয়েছিলাম? আমার একটি কথা মনে পড়ে; পাকিস্তান হওয়ার পূর্বে যারা এক জাতিত্বে বিশ্বাস করতঃ পাকিস্তান হওয়ার পর তারা দুই জাতিত্বে বিশ্বাস করছে। মিঃ স্পীকার, স্যার ইসলাম বিশ্বাস করে বিশ্বভ্রাতৃত্বে। আজকে একদল লোক খোদাকে ছোট করতে চায়। একমাত্র মুসলমানের আল্লাহ? দুনিয়ার মানুষের আল্লাহ নয়? এ সম্বন্ধে আলোচনা করতে চাই না। এইটুকু আলোচনা করতে চাই, যিনি দুনিয়ার মানুষের আল্লাহ, তিনি সমস্ত মানুষকে এক চক্ষে দেখেন। দুই জাতি, থিওরীর কথা বলতে বলতে কেউ বলেছেন পাকিস্তানে দুই জাতি আছে। জাতি হিসাবে যদি ধরা হয় তাহলে আমরা পাকিস্তানে ৫/৬/৭ জাতি আছি। মুসলমান জাতি, খৃষ্টান জাতি, শেখ জাতি, বৌদ্ধ জাতি, হিন্দু জাতি, পার্শী জাতি ইত্যাদি। অনেকেই বলেন তপশীলভুক্ত এক জাতি আছে। ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান যে হয়েছে সে সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করতে চাই। আজকে আমাদের এই পরিষদ থেকে opinion দিব যে এই প্রদেশ যুক্ত নির্বাচন চায়, কি পৃথক নির্বাচন চায়। জাতীয় পরিষদে যখন শাসনতন্ত্র প্রণয়ন হয় তখন সভাপতিত্ব করেছেন মিঃ গিবন। তিনি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বিশ্বাস করেন না। তিনি আমাদের ইসলামী শাসনতন্ত্র পাশ করে দিয়েছেন। জাতীয় পরিষদের ৮০ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য ইসলামী শাসনতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সেখানে হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, একসঙ্গে ভোট দিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র পাশ করেছে। এটা জায়েজ কিনা? মিঃ স্পীকার, স্যার, আমরা ধর্মের নামে যুগে যুগে exploit করেছি। এ সম্বন্ধে আলোচনা করতে চাই না। আমি practical দিক দিয়ে আলোচনা করতে চাই। যুক্ত নির্বাচন জায়েজ কি না জায়েজ তা প্রমাণ করবার মত মৌলানা ওদিকে আছেন। তাঁরা বলেছেন যে, মুসলমানেরা একটা পৃথক জাতি এবং পৃথক নির্বাচন ছাড়া ইসলাম থাকতে পারে না, ইসলাম বাঁচতে পারে না। ইসলামের নীতি উপেক্ষা করলে ইসলামের মূলে কুঠারাঘাত করা হবে। আমরা সারা দুনিয়ার ৫০ কোটি মুসলমান বাস করি। পূর্ব পাকিস্তানে সাড়ে চার কোটি লোক বাস করে। ইন্দোনেশীয়ার ৭ কোটি মুসলমান বাস করে; সেখানে হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ আছে, সেখানে যুক্ত নির্বাচন। ইজিপ্টে মুসলমান ও খৃষ্টান আছে, সেখানে যুক্ত নির্বাচন। টার্কীতে প্রেসিডেণ্ট মুসলমান, সেখানে যুক্ত নির্বাচন। ভারতে তিন কোটি মুসলমান হিন্দুদের সঙ্গে ভোট দেয়, সেখানে যুক্ত নির্বাচন। রাশিয়ার মুসলমানরা যুক্ত নির্বাচনে ভোট দেয়। দুনিয়ার সমস্ত জায়গায় মানুষ যুক্ত নির্বাচনে ভোট দেয়। আমরা যুক্ত নির্বাচনে ভোট দিলে কাফের হয়ে যাব?
যখন জনাব সুলতানুল আলম চৌধুরী বক্তৃতা করছিলেন তখন আমরা চুপ করে ছিলাম। আমি এখন যুক্ত নির্বাচনের পক্ষে বলছি। আশা করি opposition আমার কথা শুনলেন। পৃথক নির্বাচন প্রস্তাব যদি পাশ হয়ে যায় আমরা দুনিয়ার সামনে হীন প্রতিপন্ন হয়ে যাব। এক বন্ধু বলেছেন, যখন আমরা ভারতে দশ কোটি মুসলামান ছিলাম তখন দুই জাতির ভিত্তিতে পাকিস্তান পেয়েছিলাম। ভাল কথা, যখন দেশ ভাগ হয়ে গেল তখন দশ কোটি মুসলমানের মধ্যে চার কোটি মুসলমানকে হিন্দুস্তানে ফেলে আসা হলো। যারা এক জাতিতে বিশ্বাস করেন তারা কেমন করে চার কোটি মুসরমানকে হিন্দুস্তানে পেলে আসলেন? তাঁরা বে-ঈমানী করে চার কোটি মুসলমানকে হিন্দুস্তানে ফেলে এসেছেন।
দুই জাতির ভিত্তিতে পাকিস্তান এসেছে, তা নয়। এর পিছনে আর একটি জিনিষ ছিল। সেটা হচ্ছে ভারতীয় মুসলমানের আর্থিক দুরবস্থা। এই আর্থিক দুরবস্থা হতে মুক্তি লাভের সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় আন্দোলন এসে পড়ে। চার কোটি মুসলমান ভারতে যুক্ত নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। আমরা এক জাতি দাবী করতে পারি, পৃথক নির্বাচন দাবী করতে পারি যদি চার কোটি মুসলমানকে এখানে আনতে পারি। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে যুক্ত নির্বাচন আছে, তারা তা মুসলমান বলে গর্ব অনুভব করে, তারা non-muslim হয়ে যায়নি। ইসলামের নামে জনসাধারণকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। এবং দুনিয়ার বহু মুসলমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং third grade, fourth grade জাতিতে পরিণত হয়েছে।
আজ দুনিয়ার প্রত্যেক ইসলামী রাষ্ট্র 3rd grade, 4th grade রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। টার্কী, ইজিপ্ট, সিরিয়া, ইরান, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া সব ইসলামী রাষ্ট্রে যুক্ত নির্বাচন প্রথা প্রচলিত। সে সমস্ত দেশের মুসলমানদের কথা চিন্তু করুন। পাকিস্তানে কথায় কথায় ইসলামের দেহাই দেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু মানুষের দুঃখের সীমা নাই। মানুষ খেতে পায় না, পরতে পায় না, গৃহহারা সর্বহারাথ-মিথ্যা bribery বেদম চলছে। ইসলাম তা নয়। প্রকৃত ইসলাম হ’ল যেখানে জুলুম থাকবে না, ঘুষ থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না, মানুষে মানুষে ভোদভেদ থাকবে নাথ- সকল মানুষে খেতে পাবে, পরতে পাবে, শিক্ষা পাবে, থাকবার বাসস্থান পাবে, রোগে ঔষধ পাবে। আমার নাম মুজিবর রহমান আমাকে কাজে দেখাতে হবে যে আমি মুসলমান এবং ইসলাম আমার ধর্ম।
আজকে এই হাউসে ৭২ জন minority সদস্য আছে। স্যার, আমি জানতে চাই যে, যদি যুক্ত নির্বাচন প্রথা গ্রহণ করা না হয় তাহলে কি পাকিস্তানে একটি Assembly-তে চলবে? পাঁচটা Assembly করতে হবে। হিন্দু-মুসলমান এক সঙ্গে ভোট দিলে যদি un-Islamic হয় তাহলে এই Assembly-তে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান এক সঙ্গে ভোট দেয় কেমন করে? স্যার আমরা হিন্দু-মুসলমান এক সঙ্গে ভোট দিয়ে আপনাকে এই হাউসের স্পীকার করেছি, হিন্দু-মুসলমান এক সঙ্গে ভোট দিয়ে Islamic Republic of Pakistan করেছি-আজ পর্যন্ত যত আইন পাশ করেছি সবই হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে ভোট দিয়ে করেছি- আমি জানতে চাই, এই সমস্তই কি ইসলাম বিরোধী হয়েছে? আমার দেশের লোক অশিক্ষিত হতে পারে কিন্তু মুর্খ নয়। বুঝেই জনসাধারণ আজ যুক্ত নির্বাচনের পথে সমর্থন জানাচ্ছে। আমি বলতে চাই, স্যার এই হাউসে আমরা বসে আছি-আমরা আইন পাশ করছি- আমরা debate করছি- হিন্দু-মুসলমান ভোট দিচ্ছি- খৃষ্টান ভোট দিচ্ছে-বৌদ্ধ ভোট দিচ্ছে- একত্রে আইন পাশ করছি। আমি আপনার মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছি যে এই যে আইন সকল সম্প্রদায়ের লোক একসঙ্গে ভোট দিয়ে পাশ করলাম এটা কি Islamic আইন বল, না un-Islamic আইন হল? এই আইন সভায় যদি হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে বসে, একত্রে ভোট দিয়ে আইন পাশ করতে পারি, জনসাধারণ কেন একসঙ্গে ভোট দিতে পারবে না- জনসাধারণ কোন অপরাধে তা করতে পারবে না? স্যার, আর একটা প্রশ্ন করতে চাই- যারা যুক্ত নির্বাচনের বিরুদ্ধে জেহাদ শুরু করেছেন, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই- বিশেষ করে মুসলিম লীগ বন্ধুদের কাছে জানতে চাই যে, এই যে National Assembly-র নির্বাচন হল- পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হুকুম দিলেন নির্বাচন যুক্তভাবে হবে। পূর্ব বাংলার ৪০ জন হিন্দুমুসলমান মেম্বার আমরা যুক্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। সেটা কি জায়েজ, না না-জায়েজ কাজ হয়েছে? তখন যদি মৌলানা আতাহার আলী সাহেব ঘোষণা করতেন যে এটা ইসলাম, কোরান এবং হাদীসের বিরোধী কাজ- এতে আমি শরীক হব না। তাহলে বুঝতাম যে তাঁরা সত্যিকারের আদর্শ নিয়ে সংগ্রাম করছেন। আজকে মৌলানা আতাহার আলী ফরিদ আহম্মদ সাহেব সেই National Assembly-র মেম্বার। স্যারআমার দ্বিতীয় পয়েণ্ট হচ্ছে যে পৃথক নির্বাচন সমর্থকদের হিন্দু-মুসলমান একসাথে ভোট দিতে আপত্তি আছে, কিন্তু একসঙ্গে মন্ত্রিত্ব করতে আপত্তি ছিল না। যেখানে অক্ষয় কুমার দাস, কামিনী কুমার দত্ত মন্ত্রী ছিল সেখানেই নিজামে ইসলামের নুরুল হক চৌধুরী মন্ত্রী ছিল। এখানে বসন্ত কুমার দাসের সঙ্গে নিজামে ইসলামের আশরাফউদ্দীন চৌধুরী একসঙ্গে মন্ত্রিত্ব করেছেন। একসঙ্গে হিন্দু-মুসলমানের শাসন করা জায়েজ কি না-জায়েজ? এই কথার উত্তর দিবেন। আলোচনা করবার যথেষ্ট রয়েছে। নিজেদের গরজের সময় দরকার হয় Separate Electorateএর। আবার যখন মানুষ দলে আসতে চায় তখন বলে যে যুক্ত নির্বাচন কর। দুর্বল যারা জনসাধারণের সুখদুঃখের ভাগী নয়- যারা জনগনের রক্ত শোষণ করে যারা সমস্ত বৎসর Arm chair politics আওড়ায় এবং সাধারণ নির্বাচনের সময় ধর্মের ধুয়া তুলে জনসাধারণের মন ভাঙ্গিয়ে নির্বাচিত হতে চায়, কেবলমাত্র তারাই পৃথক নির্বাচন চায়। জনদরদী, জনকল্যাণকামী, কোন দল বা লোক পৃথক নির্বাচন চায় না এবং চাইতে পারে না।
আমারা এক বন্ধু বলেছেন, যে তারা minority-দের সমানভাবে দেখবেন। আমি জিজ্ঞাসা করি কিভাবে সমানভাবে দেখবেন Islamic Republic নাম change করে দিয়ে? Islamic Republic না হয়ে Pakistan Republic হোক আমরা একথা fight করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম রাজনীতিতে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সব সমান হবে- সত্য এবং সাম্যের নীতির উপর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক। যেখানে মিথ্যা, ঘুষ, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, অবিচার, অনাচার, অত্যাচার, দুর্ভিক্ষ চলছে- যেখানে মানুষ খেতে পায় না, পরতে পায় না, শিক্ষা পায় না, রোগে ঔষধ পায় না, থাকবার গৃহ পায় না সেখানে ইসলাম কি করে থাকে? আর যদি দেখতে পেতাম প্রত্যেক মানুষ সমানভাবে খেতে পাচ্ছে, শিক্ষা পাচ্ছে, বে-ইনসাফ নাই, অনাচার নাই, অত্যাচার নাই মিথ্যা নাই, তখন নাম না থাকলেও Islamic Republic হবে। স্যার, আর একটা কথা বলতে চাই। আমি আমার বন্ধুদের বুঝাতে চেষ্টা করেছিলাম যে, Minority, Majority, মোহাজের, আনছার হিন্দু এবং মুসলমান মানুষ হিসাব এদের মধ্যে কোন প্রভেদ নাই। একথা সত্য যে আমি মুসলমান হিসাবে আমার ধর্ম পালন করব- সে হিন্দু হিসাবে তার ধর্ম পালন করবে- খৃষ্টান তার ধর্ম পালন করবে। কিন্তু স্যার, আজ পাকিস্তানে আইন করে যদি কোন tax ধরে সে tax হিন্দুকেও দিতে হবে, মুসলমানকেও দিতে হবে, চুরি যদি করে, হিন্দুও করবে, মুসলমানও করবে- হিন্দু মুসলমান উভয়েরই বিচার হয়ে শান্তি হবে। গরীব হিন্দু-মুসলমান না খেয়ে মরে, বড়লোক হিন্দুও আরাম করে, মুসলমানও আরাম করে একথা সত্য। আমরা দুনিয়াকে দেখাতে চাই পাকিস্তানের সাত কোটি হিন্দু মুসলমান মিলে এমন রাষ্ট্র কায়েম করব যেখানে থাকবে না ভেদাভেদinority majority প্রশ্ন থাকবে না, মোজাহের, আনছার প্রশ্ন থাকবে না। আজ যদি একথা বলি তা সত্য নয়। আমরা সাড়ে চার কোটি লোকের জীবন নিয়ে খেলা করছি। Mr. Speaker, Sir আজকে আমরা হিন্দুস্তানের হিন্দু মহাসভাকে প্ররোচনা দিচ্ছি। আমাদের বিবেচনা করা উচিত যে, সাড়ে তিন কোটি মুসলমান যারা এই পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করেছে তারা আজও হিন্দুস্তানে পড়ে আছে। আমাদের দেখা উচিত যে ইণ্ডিয়ার সাম্প্রদায়িক দলগুলি এমন ক্ষমতায় না আসে যাতে তারা সে জায়গার মুসলমানদের উপর অত্যাচার করতে পারে। সেখানে যদি আজ হিন্দু মহাসভা বরে যে Head of the Republic অর্থাৎ হিন্দু প্রেসিডেণ্ট হবে, সেখানে মুসলমান স্থান পাবে না তাহলে আজ ৫০ কোটি মুসলমানদের বুক দুরু দুরু করে কেঁপে উঠবে। ভারতে ইনসাপ বলে কিছু থাকবে না। আজ যদি আমরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের সমানভাবে গ্রহণ করে বিচার করি, দুনিয়ায় তাহলে বলতে পারবথ- হিন্দুস্তানের মিঃ নেহেরু এবং রাজেন্দ্র প্রসাদকে বলতে পারব, “Do justice to the minority of your country”.
Sir, আমরা Head of the State মুসলমান করে দিলাম। Islamic Republic of Pakistan নাম করলাম। এইভাবে দুই জাতি তো করেই দিলাম তার উপরেও যদি Spearate Election হয় তাহলে কি হয়? দুই জাতির ভিত্তিতে আমাদের পাকিস্তান হয়েছে এরপরও যদি আজকে আলোচনা করা হয় যে পাকিস্তানে আমরা দুই জাতির ভিত্তিতে আমাদের পাকিস্তান হয়েছে। এরপরও যদি আজকের আলোচনা করা হয় যে পাকিস্তানে আমরা দুই জাতি, একটা হিন্দু আর একটা মুসলমান তাহলে Provocation একটা দেয়া হয়। আজ যদি পূর্ব বাংলার এক কোটি হিন্দু বলে যে আমাদের আলাদা জায়গা অর্থাৎ একটা Hindu State দিতে হবে তাহলে কি হবে?
পাকিস্তানের খাতিরে, পাকিস্তানের ইনসাফের খাতিরে, পাকিস্তান রাষ্ট্রের খাতিরে আমি আমার বন্ধুদের অনুরোধ করব তাঁরা যেন এই Separate Electorate এর প্রস্তাব withdraw করেন। হিন্দুরা যদি যুক্ত নির্বাচন চায় তাহলে মুসলমানদের আপত্তি থাকার কি আছে? আজ একজন লোক যদি তার অঞ্চলের গরীবের জন্য খাবার বণ্টন করে, মিথ্যা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সে হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, আর খুষ্টানই হোক, সে মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবে। জনসাধারণ তাঁকেই ভোট দেবে। সেইজন্য আমি বলছি যে আজ যখন minority যুক্ত নির্বাচন চায়, তখন মুসলমান জনসাধারণের আপত্তি থাকার কোন কারণ নাই। আজ মুসলমানরা যদি জনসংখ্যার শতকরা ৯০ জন হয়েও বলে যে আমাদের safe guard-এর জন্য Spearate Electorate হওয়া উচিত তাহালে দুনিয়ায় আর মুখ দেখানো যাবে না। ভারতে আমরা ৪০ কোটি লোকের মধ্যে মাত্র ১০ কোটি মুসলামান ছিলাম। সেখানে আমরা minority ছিলাম সেইজন্য আমরা Spearate Electorate চেয়েছিলাম। আজ যদি আমরা শতকরা ৯০ জন হয়ে হিন্দুদের হাত থেকে বাঁচার জন্য Spearate Electorate চাই তাহলে লজ্জায় আর মুখ দেখানো যাবে না। আজ হিন্দুরা Spearate Electorate. তারা তাদের safe guard-এর জন্য, তাদের অধিকার রাখার জন্য Spearate Electorate চাইতে পারে, majority হয়ে তা চাইতে পারি না। যদি চাই তাহরে দুনিয়ায় হেয় প্রতিপন্ন হয়ে যাব। আমি চাই পাকিস্তান একটি জাতি হিসাবে গড়ে উঠবে, পাকিস্তানে, পাঁচটি জাতি হবে না। যদি পাকিস্তানে পাঁচটি জাতি হয় তাহলে পাঁচটি Assembly House করতে হবে, পাঁচটি Speaker করতে হবে এবং ভোটাভুটি করে হিন্দুরা হিন্দু আইন, মুসলমানরা মুসলমান আইন, খৃষ্টানরা খৃষ্টান আইন আর বৌদ্ধরা বৌদ্ধ আইন করবে। Sir, আমরা বক্তৃতা শেষ হয়ে গেছে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই যে আমরা মানুষ এবং আমরা জানি যে ইসলাম একথা বরাবর বলে গেছে এবং কোরান মজিদের ভিতরও আছে যে do good to the people অর্থাৎ মানুষের মঙ্গল কর। মানুষের মঙ্গল করতে হলে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ থাকতে পারে না। তাই আমি বলি, দেশের জন্য, পাকিস্তানের জন্য, যে পাকিস্তানকে আপনারা ভালবাসেন, আমরা ভালবাসি, পাকিস্তানে দুই জাতির কথা বলে, তাই আজ Spearate Electorate চায়।
আমি বলতে চাই যে, যুক্ত নির্বাচন দেশ, জাতি এবং পাকিস্তানের মঙ্গল করবে। কাজেই আপনারা Spearate Electorate-এর প্রস্তাব withdraw করুন এবং Joint Electorate support করুন। এই বলেই আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।
Mr. A.K.M. FAZLUL QUADER CHOUDHURY: Mr. Speaker, Sir, I thank you very much for allowing me the opportunity of participating in this momentous issue which concerns everybody in Pakistan. It is needless to repeat here that the history of electorate dates back to the first decade of this Century
Now what is the background of this demand? In 1940 the All India Muslim League at Lahore passed a resolution demanding Pakistan as the Muslims were a separate nation. Quid-i-Azam Mohammad Ali Jinnah who presided over the conference sad in his presidential speech that the Mussalmans of India were a separate nation. He also declared from many political platforms that Muslims were a separate nation. In 1946 election was sought on definite and distinct issues-Pakistan or no Pakistan-whether the Muslim League represented Muslim India or the Congress represented the whole of India and the verdict was that the Muslim League represented Muslim India and the verdict was for the establishment of Pakistan-Muslim homeland.
The Congress wanted Akhand Bharat. Sir, had there been joint Electorate the Congress-Muslim would have returned to the Assembly in the 1946 election and no Pakistan could have been dreamt of. Sir, it will be confirmed by the fact that in the plebiscite that was conducted in the North-West Frontier Province the majority of Muslims voted for Pakistan. Had there been Joint Electorate many of us would not have the privilege to talk with authority here in this House and there would not have been any Pakistan. So, Sir, Separate Electorate is the mother of Pakistan.
Now, Sir. I come to Pakistan itself. Quid-i-Azam was the leader of the whole movement. He came to preside over this country. In March, 1948, Quide-i-Azam came out with these words not very long before his death that Pakistan was the embodiment of the Muslim nation and it must remain so. Sir, arguments are advance that Quid-i-Azam said that the Mussalmans will cease to be Muslims, Hindus cease to be Hindus'. Yes, Sir, it is correct. So far as rights and privileges are concerned, all citizens of Pakistan both Hindusjant Muslims are equal before law. They will get equal protection. That is correct but that does not improve the case of joint electorate.
Sir, my learned friend. Mr. Mujibur Rahman has tried to draw analogy of the other Muslim countries of the world. My reply to his argument is that the background of the creation of Pakistan is unique in the annals of the world. So, you cannot compare Pakistan with any other country of the world. No nation of the world has been curbed out on religious basis. So the question of comparison does not arises, Sir. In Egypt 95 per cent of the people are Muslims. In Iraq the population is 50 Lakhs of which 98 per cent are Muslims. In Lebanon it is not 35 lacs as Mr. Mujibur Rahman has said. It is only 13 lacs of which 7 lacs are Muslims. So, Sir, in the absence of the background of the creation of Pakistan the question of electorate in those countries is no problem. There is reservation in Lebanon. In Syria they have divided the people into different nationalities. Our case is altogether different from those countries. Those countries do not have a neighbour like India by their sides. Take the question of Indonesia. Is there a neighbor like India by their side? Was Indonesia curbed out on religious basis? Was Indonesia curbed out of a country where everybody cried, form Akhand Bharat? No. So, Sir, that analogy cannot stand.
Now, Sir, let us examine what joint Electorate can offer to them. You have already put a seal on the question of electorate in the constitution of Pakistan. The word 'minority' exists nowhere in any constitution of the world, even not in India. What is written there is “backward people". The preamble of the constitution of Pakistan presupposes two nations in the Sub-continent (VOICES of hear, hear from the opposition). In the preamble it is written that adequate provision must be made for the protection of minorities and back- ward and the depressed classes. The word 'minority' presupposes the existence of two nations. Muslim India wanted Pakistan and Hindu India wanted Akhand Bharat. Hindu India included many members of the treasury benches today also. (VOICES from the opposition: yes, yes.). Sir they said 'No, e ao for করা যাবে না, এটা অসম্বভ কথা।’ May I tell you why the congress wanted Joint Electorate? Sir, Pakistan was achieved on Two Nation Theory and the Congress wants to kill the Two Nation Theory. So that India and Pakistan is united. Sir, a responsible Muslim member in the House of Parliament said
East Bengal is a distinct country and West Pakistan is a distinct country; they are two completely separate countries. If that is so, Sir, then why remain with West Pakistan, go to West Bengal. (Interruptions from the Government benches) Sir, I did not interrupt them. Why should they interrupt me now?
Sir, it has been said by a Muslim colleague of mine from Comilla to the effect, if you introduce separate Electorate the Hindus will be just wiped out and they cannot do anything. May I remind those friends of mine that our friends of the Congress at least are no fools to vote for their liquidation? They are sacrificing their to-day only for their tomorrow. (ries of yes, yes from the opposition.) I asked a non-Muslim friend of mine who happens to be a member of the opposition as to why they were voting for joint Electorate. He said that this was an investment for his son (Laughter).
Sir, it is said the minority member of the House hold the balance. The proportion is 72 out of 309. What is the population of East Pakistan to-day? 4 crores 22 lacs. What is the non-Muslim population? I crore. The proportion of their representation is more than what they are to-day. They do not want to be M.L.As they want to get their purpose served and they have realised by experience that the purpose can be best served not by the Hindus but by the Muslims.
Mr. SPEAKER: Order, Order, this is casting reflection on the other section of the House.
Mr. A. K. M. FAZLUL QUADER CHOWDHURY: Sir, the Ottoman Empire which comprised states like Syria, Iraq, Lebanon, Saudi Arabia and Egypt and which was a solid rock of Muslim nation was disintegrated and dismembered by the machination of designing power. Now Syria is again thinking of re-union with Egypt. Sir, Pakistan is an experiment of Islamic Ideology-an unique experiment in history and separate electorate is the bedrock of Pakistan. If the bottom ceases to exist, Pakistan will also cease to exist. Sir, after the great debates in the round Table Conference and after the great debates in Delhi and Simla, to-day in the year 1956 again debate has started in Pakistan Whether we should have separate electorate or joint electorate in Pakistan, i.e.. Whether Muslims are a separate nation or not. Unfortunately we have come to that stage
Mr. SPEAKER: Speak about the effects of separate Electorate.
Mr. A. K. M. FAZLUL QUADER CHOWDHURY: All right, Sir, the Scheduled Castes have no ulterior motive. They have been ousted from political life by the caste Hindus wedded to Brahmanical cult; and who will dieted them? In the case of joint Electorate, Scheduled Caste will have no voice. They will only be dictated by the Caste Hindus.
You say that Muslims and non-Muslims are one nation. In that case how do you go to Security Council for Kashmir case? How do you then claim Kasmir? You have seen. Sir, in this morning's paper, Mr. Justice Din Mohammad, Adviser on Kashmir Affairs to the Government of Pakistan's statement. He says that Muslims are in majority in Kashmir and by usage, religion and culture they form one nation, and are linked up with Pakistan. They must be allowed freedom too. If you say that two Nation Theory goes then with what arguments you will face the nations in the Security Council.
Sir, it is advocated that joint Electorate will bring communal harmony. But look at the joint Electorate and Secularism of India. Riots are almost occurring everyday there and Muslims are being persecuted and killed. So, Sir, instead of bringing communal harmony it will raise communal frenzy and instead of solving communal problem, this country will be landed into turmoil and communal fire.
It is being urgued; good and efficient people will be elected in joint Electorate. Sir. Dr. Ambedker. the author of the Indian constitution could not get himself elected because, he belong to schedule caste. He was defeated and he could not have a seat in the parliament. Any way. Sir, those who advocate for joint Electorate, they ought to know that joint Electorate will cut at the very root of Pakistan. Separate Electorate does not harm anybody. Sir, this country has been on religious basis, and this country must observe the ideology, for which Pakistan came into being as the Homeland of the Muslims. Pakistan did not come into being for making ministers. It came into being for making experiments with the ideologies of Islam. It is the last foothold of the Muslims in the world. Pakistan is the only country in the world which is called Islamic Republic. If our friends start bartering away our ideology for political expediency and for capturing power only, then their loyalty to Pakistan will be questioned; that will be no service to Pakistan. Their names will go down in the history as one who parted with the ideology of Pakistan for temporary gains.
Sir, East Pakistan and West Pakistan are the two integral parts of Pakistan. They are linked with each other on the basis of Muslim nationhood. If you have the feeling that Bengalees are one nation and if you have joint Electorate, then East Bengal will be separated from Pakistan. In the absence of any common ideological basis there is the feeling of Bengali nationalism what would be the objection of getting East Bengal linked up with West Bengal. Sir, I can prove that joint Electorate will end in joint Bengal,i.e... East Pakistan will be united with West Bengal.
Mr. BASANTA KUMAR DAS: Mr. Speaker. Sir, after the debate has proceeded so far, I do not think that I should take much time of the House. Many Points which I wanted to stress have been stressed and spoken in support of Joint Electorate System and against the motion. I have listened with interesf and attention to the Speeches that have been delivered in support of Joint Electorate System and against their motion and 1 really congratulate the members who have spoken for the manner in which their speeches have been delivered. Those members who have spoken in support of the motion have shown their great enthusiasm and they have placed before the House the sentiments that are working in their minds; but, Sir, I regret to say that all these sentiments and enthusiasm have made them forget the real point at issue. However, Sir, I shall place my viewpoints against the motion in as dispassionate a manner as possible and I would appeal to this august House through you. Sir, to examine the viewpoints I shall place in the light of reason and with a vision unblurred and undeemed by any sentiment and prejudice. Sir, the question before the House is that there should be separate Electorate for election to the National Assembly and the provincial Assemblies. Now, I would remind the House that this question has come before us. after the Constitution has been framed and put into operation. All the speeches that have been delivered in support of the motion have given the background of how the question of Joint Electorate verses Separate Electorate arose in India before partition. They have also given the Historical background why Pakistan was necessary for the Muslims and how Pakistan came to be created. But Sir, after the Constitution has been framed and accepted and that specially by my friends of the majority Community, as an Islamic Constitution, I would submit that all that has been said in those speeches are now irrelevant and would have been pertinent when the Constitution was being framed for giving an Islamic Constitution to Pakistan. All this is now a reiteration of the demand which now stands embodied in the Constitution. So I would appeal to them to examine the various provisions of the Constitution and judge for themselves whether the issue of Separate Electorate can be considered to be a live issue and whether Separate Electorate System can at all come and be adopted for future elections. This morning, Sir, you very rightly said as the reason for deciding that this motion should be first moved, that “Joint Electorate is the natural thing and the separate Electorate is an exception". (MR. FARID AHMED: No, Sir, you didn't say like that). Yes Sir, you said it, and it is so, because if the provisions of the Constitution are analysed it will be found that all that has been said about Two-nation Theory Stands negatived in the Constitution and that an Islamic Constitution giving effect to, what was demanded in that behalf, and that all matters that were necessary to make the members of the Majority Community lead their lives according to the Quoran and Sunnah have been embodied in the Constitution, along with the matters for making it a Democratic Constitution. Now what are the provisions of the Constitution? Islamic provisions lave been embodied in the Constitution and that has made the Muslims of Pakistan to acclaim it as an Islamic Constitution. From the provisions in the directive principles you will find that the State will take all care to see that the Mussalmans would endeavour to lead their lives according to the Quoran and Sunnah., and that the state would help the Mussalmans in that behalf. Then there are come specific provisions as to how the provisions of the Quoran and Sunnah are to be enacted into law. A Commission will be appointed under articles 197 and 198 by the President within a year from the Constitution day to examine the provisions of the Quoran and Sunnah and then report to the President what provisions of the Quoran and Sunnah are enactable and should be enacted into law. When such laws would be brought before the National Assembly, the members of the National Assembly composed of Muslims and non-Muslims will have to take a decision. Here the Two-nation Theory was not adhered to by debarring non-Muslim members from taking any part in such, a decision. Now, Sir, here I submit that by these provisions jointness is established in the very Constitution. Then with, regard to the other matters take for instance the case of election of the President. The President is to be elected through the Electoral College composed of the members of the National Assembly and members of the provincial Assemblies of both the wings. Then they will have to vote. together and elect one for the Presidentship. Here also the Two-nation Theory stands abandoned. Of course, there is a provision that none but a Muslim should be elected as the President. That is another matter. I will come to that later on if time permits.
The other provisions in the Constitution are to enable the members of the Provincial Assemblies and of the National Assembly to take such measures as will aim at establishing a Welfare State-a Socialistic State-as would do away with the disparity of wealth and all existing inequalities in the economic field that hamper the growth of the nation. In enacting those provisions the Muslim and non-Muslim members of the Constituent Assembly took part. There was thus jointness of action of the members as equal citizens. Then for enacting legislations for working the Constitution in the National Assembly and in the Provincial Assemblies all members thereof will act conjointly and no question of a Muslim Nation or a non-Muslim Nation would ever arise. Sir. this being the position, there should be also jointness i.e., equality, with regard to the franchise that has to be exercised by the people of Pakistan. Now, Sir, what is this Electorate Issue? This Electorate issue is connected with franchise and how that franchise is to be exercised? Here the franchise we are considering is the right to elect members for the National Assembly or the Provincial Assemblies. Should we introduce the Two-nation Theory here in deciding the question of Electorate? One of my friends, who spoke in favour of the motion, said that there is mention of Minorities in the Constitution which is not to be found in any other onstitution and that indicates two nations. That, I think, is wrong. However, Sir, in the Constitution it has been provided that all Minorities and Majorities are equal citizens and all shall have equal rights. So the Minorities and the Majorities have been placed on the same footing. Now if there is equal right, then the Minority has got equal right to elect his representative. He has got equal right. How can you curtail his right? He has got equal right to elect anyone, anyone of the citizens, be he a non-Muslim or a Muslim. This is the very fundamental right in a Democratic Country and that is a right which is one of the human rights that have been declared by the United Nations. Now ne of my friends, I think it was Mr. Sinha referred to the declaration of human rights formulated by the United Nations Organisation of which Pakistan is also a member. Now that declaration was framed on the 10th of December, 1948 and Quaid-iAzam made his memorable declaration in the Constituent Assembly while inaugurating the Assembly on the 11th August, 1947. Just after the creation of Pakistan, Pakistan became a member of the U.N.O. and the representatives of Pakistan were sent there. They went there as members of the Nation of Pakistani People and she was a party to this declaration. If you read the Preamble of this declaration and if you read the intention that was expressed while promulgating this declaration you will find what impelting necessity was felt for preparing the declaration and there was a perfect unanimity in framing the declaration. So far as this question is concerned the Pakistani Representative did not stress that Pakistan did stand on a different footing. It was not stressed that there were two nations in the country, and that the declaration No. 21, which relates to the question of franchise in a democratic country would not be possible to be applied.
Now, my friend, Mr. Sinha read some portion of the declaration. I shall read this declaration in full and that would give you an idea as to what this declaration is. Now, Article 21 says, “Everyone has the right to take part in the Government of his country directly or through freely chosen representatives. Everyone has the right of equal access to public service in the country. The will of the people shall be the basis of the authority of Government. This will be expressed in periodic and genuine elections which stall be on Universal and Equal Suffrage and shall be held by secret vote or by equivalent free voting procedure”.
Now, Sir, I would draw your attention to the words “Universal” and “Equal". What do these two words “Universal” and “Equal” signify? “Universal” means that all people বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ প্রথম খণ্ড should vote, of course, excluding minors, for obvious reasons. It comes to this then that all adult members of the people should vole and everyone should have equal right to vote. What is the meaning of Equal? It is to be equal in extent and equal in value. Otherwise equality would not really be equality. Now if one territorial constituency is to elect its representative, every citizen thereof would try to select the best man possible and if he wants to select a person who does not belong to his faith he has got that right. How can you put a restriction on that right? If you do it you will destroy the totality of the citizens of the territory, from amongst whom a citizen is to elect his representative. Hindus to elect Hindus from particular area and Muslims of that area to elect Muslims would lead to create compartments and thereby destroy the equality which the underlying intention of the declaration. That will affect his fundamental right. Take for instance a simple case. Can you legislate that when there is illness of a member of a Muslim family he will have to call in only a Muslim doctor? To exercise his right of franchise he should elect the best man to represent his cause in the National or Provincial Assemblies. He would like to choose anyone from the territory from which he is to elect. He has equal right, and that equal right cannot be curtailed in anyway. What is the separate Electorate? It means that the Hindus should elect members for the Provincial or National Assembly only from the Hindus and Muslims should elect members for the Provincial Assembly and the National Assembly only from the Muslims. That would go against what has been stated in the United Nations declaration and it will be an infringement of this declaration. It is the natural right of a citizen that stands recognized in the declaration, which he should be allowed to exercise. Now, having regard to the provisions of the Constitution and having regard to what has been declared in the declaration of Human Rights by the United Nations this motion, I think, is really irrelevant being not in conformity both with our Constitution and the Declaration of Human Rights. The jointness is there and a citizen is to exercise his right, on the basis of the jointness of the right, whether he be a Muslim or a Hindu. That is the position. This motion has come before us in compliance with Article 145 as enacted in the Constitution. Let me give a brief history how it came to be nacted. I was a member of the Constituent Assembly and we the non-Muslim members fought tooth and nail that this question of Electorate should be there and then in the Constituent Assembly. My friends of the United Front who wanted to support us did not give us support although they were pledge bound to support us and our demand was for Joint Electorate with reservation of seat for the backward classes including the Scheduled Castes. But they could not agree. So this matter had to be postponed. My esteemed friends Mr. Abu Hossain Sarkar and Mr. Hashimuddin rang me up from here over the phone. My esteemed friend Mr. Datta. now the Health and Medical Minister, was also with them at Dacca, when I was rung up. They all said, “well do not try to have the matter decided in the Constituent Assembly. Bring it down to the Province and we shall give you Joint Electorate.” Not only that, along with Mr. SarkaT, my esteemed friends Messrs. Ashrafuddin Choudhury and Abdus Salam Khan went to Karachi requested me to agree to the said proposal. But what do we see now today? I told them then that I anticipated trouble if we brought this matter to the Provincial Assembly, because in that case there would be commotion in the country, and communal hatred and communal frenzy will be roused, and that is what actually has happened today round about Dacca. Not only so, we are getting information of such happening from the districts also. You have rightly said that Joint Electorate is natural and we say why there should be an exception made by accepting this exception. My friend Mr. Mujibur Rahman has rightly said that, everywhere there is jointness. He has very clearly and impressively shown 10 the House that there is jointness everywhere and that this motion, if accepted, would be inequitable. Now, Sir, what does the two-nation theory mean? When Quaid-i-Azam made his memorable declaration he took a realistic view of the whole situation. He was faced by the realities. Two-nation theory was propounded for getting the Indo-Pakistan continent partitioned in order to get Pakistan, for which he strenuously fought. But what Pakistan did he fight for? He fought for a Pakistan in which the population would be exclusively Muslims. There will be no minorities and really that was the original scheme. Therefore, along with this scheme there was the logical demand for exchange of population. Now, the date of Independence was fixed to August, 1948, but after the advent of Lord Mountbatten, as the Viceroy of India, the date was altered and independence came to us on the 14th August, 1947, by creating Pakistan and the demand for exchange of population was abandoned. This question of Pakistan and India was settled and it was settled in a manner by which in Pakistan there were not only Muslims, but also there were Hindus, Christians, Jains, Buddhists and many other backward classes. That is the Pakistan that was created. Quaid-i-Azam thought over this and in his very first inaugural address delivered in the Constituent Assembly he said, “After all we have got Pakistan. We wanted to avoid the Minorities but there are Minorities. What are we to do now the perceived that the two-nation theory was inapplicable as it was created. Therefore, lie exhorted the people to forget the past and bury the hatchet. “Do not raise religious cries in connection with political rights.” He pointed out that in England there was now no Presbyterian, there was no Catholic although they fought for rights on religious grounds. They are now all British citizens. Similarly he asked the people to forget the past and remember that they are all one nation and he very significantly said that a time might come when there will be no Hindu and no Muslims; meaning that there would be one nation composed of all religious groups. Now, Sir, that inaugural speech of Quaid-i-Azam came to be scrutinized by eminent Judges, in connection with the Punjab disturbances and one of the Judges was the Chief Justice of the present Supreme Court of Pakistan, I mean Mr. Justice Munir. They said, “if we realised the real meaning of the utterances of Quaid-i-Azam in his inaugural speech we would find that it meant that he stressed the creation of one nation in Pakistan.” He dreamt that all the people of the various religious groups would unite to form one nation to have one political life and that in that lay the overall welfare of the country, which would be hampered if religious differences art actuated even in regard to political rights. One nation composed of various religious groups merged together, working together for the amelioration of the condition of the people and to create a Pakistan of peace, prosperity and happiness, so that the country might lake its rightful place in the comity of Nations, was what he emphasised. But whal do we find now? That speech is now distorted and misinterpretation by reference to some of his previous statements in which he made mention of Two nations- non- Muslims and Muslims. The criteria for determining the nationality of the two nations are differences of dress, food, manners and language. But he did never say that these differences should make them politically to be two different nations. His idea was that religious faiths should be kept apait from political affairs of the country of Pakistan.
And if he mentioned two nations he really emphasised that Muslims might remain a nation by ordering their lives according to Quoran and Sunnah and by maintaining their distinctive manners and language and other things. Let them follow the Quoran, let them follow the Sunnah in the right way. No one of the other communities will obstruct them and even no objection will be there from anyside. Let the Hindus and the followers of other faiths also follow their religions in the right way in order to order their life. according to the tenets of their respective religions.
Therefore, Sir, so far as the political life of the people of Pakistan is concerned, from what I have shown, Two-nation Theory has vanished. To stick to that even now is to land us to an absurd position. We are not two nations in the United Nations. We are one Pakistani Nation there. As a member of the Commonwealth of Nations, we are also one Nation. But so far as the question of Electorate is concerned, we are to remain two nations and so, there cannot be Joint Electorate. What would be the effect of this? It would mean that we are to act as one nation when working the Constitution even for giving effect to all Islamic provisions and we are to be known as one nation to the outside world, but that at the base, we are to remain two nations on account of the differences in the faiths that different groups of us profess. This a position, besides affecting our prestige to the outside world, would be fruitful of many evils affecting our life at home. It would be accentuating religious difference to such an extent as will be detrimental to the very best interests of Pakistan by making the non-Muslims to remain a perpetual minority and a subordinate political entity. The people are to be welded into one nation and to merge together, work together for the upliftment of Pakistan. But, Sir. we feel that creation of such compartments, as Separate Electorate means, would tend to do would grievously hamper it.
Now, Sir, many of my friends have said many things by which they have imputed some motives to us. Of course, Sir, I can very well reply to those in the same way as they have done. But I submit that I will not do so. I submit, Sir, that the imputation of motives is the weakest part of an argument. I can hit back with a greater show of reasons. But I will not do that. Yet I would like to submit one matter which may supply a cue to the claim for Separate Electorate. Now, Sir, there is one Moulana-I mean Maulana Maududi who toured East Pakistan and preached for Separate Electorate. He said that Pakistan would be destroyed if Joint Electorate was accepted. He bas written a book in which he has given fantastic ideas. He had mentioned in the book that non-Muslims in Pakistan have no right to be placed in responsible positions and even women have no right to be so placed. If the women are to be given any right to be elected for legislatures then there should be a Separate Assembly for them so that in that Assembly they might discuss matlers which affect them. They might discuss also other matters and submit their decisions to the men's Assembly. There is another paragraph in which he has said that the Separate Electorate for minorities is the only thing, as by giving to them Separate Electorate, the minority will never be placed in a responsible position and the result will be that in order to get that right they will gradually become Muslims. That is the statement in the book. If any friend of mine wants to see that, I can show it. So, if you impute motive we can also say that, the claim for Separate Electorate is motivated by the same motive as that of Moulana Moududi. It is said that if Joint Electorate is given, Pakistan will be destroyed. It is a fantastic idea without any valid ground. Sir, much abuses have been hurled on us, the Congressmen, in so vociferous a language as carries its own weakness. Sir, I have got to tell you. that we here believe that Pakistan was created on account of the demand of the Muslims, and the Congress of India stressed that there was one nation throughout India and for the unity. Congressmen opposed partition; but ultimately the Congress yielded and they agreed to the creation of Pakistan. If the Congress had not agreed, there would have been no Pakistan. They agreed and Pakistan was created. (Cries of “No, No. We fought out Pakistan."). Yes, you Ibught out Pakistan. That cannot be denied. So, we who have remained in Pakistan, feel it our moral duty to see that Pakistan should emerge as a country to take its rightful place in the Comity of Nations. And Sir, I feel in my heart of hearts that Pakistan was justified. When I took round, I find that the administration is being mainly manned and run by the Muslims. I feel that my Muslim brethren are really coming into their own. When I see there very many young men going about with a glow of great enthusiasm in their activities and even going abroad in large number for higher education, I feel that the creation of Pakistan was justified. Whether Pakistan is being managed in a good way or in a badway or in an indifferent way, that is quite another matter. But Pakistan has come and Pakistan will stay. Nobody can dispute that. It has been said that those who want Joint Electorate want to unite East Pakistan with West Bengal. I submit, Sir, that it is only mere imagination and fiction. There cannot be any union between West Bengal and East Bengal Pakistan that they so glibly talk about.
Now, Sir, in one of the debates in the Constituent Assembly when this was asserted by the then Prime Minister, Mr. Mohammad Ali of Bogra, my friend Mr. Bhupendra Datta said to Mr. Mohammad Ali, “You go to your elder brother (meaning Mr. Nehru) and make a present of Pakistan in a platter of gold and see what he does.” So, that is the position. It is only misleading the people when they say that there is the intention of bringing about an annexation of East Pakistan with West Bengal. I say that, that is a fantastic idea.
Now Sir, with regard to the historical backgrounds, I referred to earlier I shall point out certain inaccuracies. It has been said that the Quaid-i-Azam always wanted Separate Electorate for Pakistan. It is not so. Sir. I had the privilege of associating myself with Quaid-i-Azam in the Indian Legislative Assembly from 1935 to 1937. At the time when he discussed the mailer in a convention on the Nehru Report on India's claim for selfGovernment in the Congress Session, 1928, I came to know his mind. He clearly said in some of his speeches, “I am not wedded to Separate Electorate.” That was in 1927. Four years after that, after the formation of his well known 14-points, addressing the U.P. Conference at Allahabad on the 8th of August, 1931, just when the Constitutional proposals to be embodied in the Government of India Act of 1935 were being considered, he said, “The next question that arises is one of Separate Electorate versus Joint Electorate. I myself believe that if majority is conceded in the Punjab and Bengal. I would personally prefer a settlement on the basis of Joint Electorate.” He added, “My position is that I would rather have a settlement even on the fooling of Separate Electorate hoping and trusting that when we have our constitution, and both the Hindus and Muslims get rid of the distrust, suspicion and fear and when they gel their freedom. they would rise to the occasion and probably separate Electorate will go sooner than most of us thought.” Now, Sir, in Pakistan Muslims and Hindus are not to get rid of the distrust, suspicion and fear are not to go, but are to be perpetuated by Separate Electorate.
Now Sir, that is the position. Here the majority community are the Muslims. They were wanting Separate Electorate. That is a position which no one can understand. These are my submissions and I appeal to the House to consider this matter dispassionately and come to their considered decision in a calm way on the question whether Separate Electorate is to be the desideratum in the present context of things.
Mr. MOHIUDDIN AHMEDP: Mr. Speaker. Sir. যুক্ত নির্বাচন ও পৃথক নির্বাচন লইয়া পাকিস্থানের রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হইয়াছে। এই জটিল ও বিতর্কমূলক বিসয়টাকে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণঃ রাজকঃনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলিয়া মনে করিতে হইবে তারা গোড়াতেই বলিয়া রাখা দরকার যুক্ত নির্বাচন অথবা পৃথক নির্বাচন এই প্রশ্নটি কতিপয় বুদ্ধজীবীর মস্তিষ্কপ্রসূত এককদিনের একটি ঘটনা নহে, অথবা উহাকে খেয়ালীর খেয়াল বলিয়াও আখ্যা দেওয়া চলে না পাকিস্তান লাভের পর পাকিস্তানে;বিশেষ করিয়া পূর্বাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের মুক্তি সাধনার যে কঠোর সংগ্রাম চলিয়া আসিতেছেল, সেই কঠোর সংগ্রামের স্বাভাবকি নিয়মেও প্রয়োজনের তাগিদে এই বিতর্ক বীজ জন্ম দিয়াছে। পাকিস্থানঃলাভের সাথে সাথে নির্বচন পদ্ধতির প্রসঙ্গটি কাহাকেও তত ভাবাইয়া তুলিতে পারে নাই। তাহার কারণ ছিকল এই যে; পাকিস্তানে অগণতান্ত্রিক রাজনীতির বিজয় পতাকা মুসলিম লীগ বহুদিন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে উড়াইতে পারিয়াছিল। কিন্তু দীর্ঘ নয় বচরে পাকিস্তানের জনঘণ হতাশা, দুঃখ লাঞ্ছনা ও অত্যাচারের ভিতর দিয়া অনেক শিখিয়াছে। জনগণের চিন্তাধারার আমূল পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে। জনগণ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করিতেও শিখিয়াছে। জনগণের চিন্তার এই বিকাশ প্রতিফলিত হইয়াচে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে, ইতিমধ্যে পাকিস্থানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওামী লীগ তাহার দ্বার জাতি ধর্ম বির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত করিয়াছে। অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান Repubican party, আজাদ পাকিস্থান পার্টি, গণতন্ত্রীদলের জন্ম হইয়াছে। এইঃঅসাম্প্রদায়িক কারণের ধারা কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকে নাই ছাত্র ও যুব পতিষ্ঠানের মধ্যেও দেখা দিয়াছে। যুবলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রীসংসদ অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়িয়া উঠিয়াছে। অন্যতম বৃহত্তম ছাত্র প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগকেও অসাম্প্রদায়িক করা হইয়াছে। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থান এই উভয় অঞ্চলের পার্লামেণ্টারী রাজনীতিতে অম্প্রদায়িক গুরুত্ব লাভ করিয়াছে। পূর্ব পাকিস্থানের সরকার বিরোধী দলসমূহের কোয়ালিককশন গঠনে যুক্ত নির্বাচন গ্রগণ্য হইয়া দাড়াইয়াছে। পাকিস্থানের জাতীয় পতাকা নির্বাচনের সময় পতাকার চার অংশের এক অংশ সাদা রং এ রঞ্জিত করিয়া শাসকবর্গ এই সাম্প্রদায়িককতার সমাধান চাহিয়াছিলেন। সুতরাং যুক্ত নির্বচন প্রশ্নটি নিছক একটি পরিষদ ভবনের বিতর্কের পরিণতি বলিলে ভুল হইবে। পাকিস্থানের জনগণেওক্যের সূচনা এই যুক্ত নির্বাচন। এই দীর্ঘ নয় বৎসরের সংগ্রামের অভিজ্ঞতলদ্ধ জনগণের যাত্রাপথে ইহা একটি স্তব ইঙ্গিত। পাকিস্থানের ভবিষ্যৎ সমাজ জীবনের ইহা এক নব অধ্যায়।
পৃথক নির্বাচন যে সমস্ত দল সমর্থন করিয়াছে, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ; জামাতে ইসলাম, জামায়তে ইসলাম প্রভৃতি দল তাহাদের অন্যতম। ইহা ছাড়াও কতিপয় গ্রুপ ও ব্যাক্তি পৃথক নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানাইয়াছেন। অসংখ্য পুস্তিকা ও যুক্তির জাল দ্বারা পৃথক বিাচনের সমর্থনে জনমত সৃষ্টি করিবার চেষ্টা করিতেছেন। পৃথক নির্বাচনের সমর্থকদের প্রধান যুক্তি এই যে, পাকিস্তান লাভের পিছনে যে দুই জাতিতত্তব ছিল, পৃথক নির্বচন মনিয়া না লইলে, এই জাততত্ত্ব ধ্বংস হইয়া পাকিস্থান লাভের মূল উদ্দেশ্যের ভিত্তির উপর আঘাত হানিবে। অর্থাৎ পাকিস্থানের হিন্দু ও মুসলমান, এদের পাকিস্থানের দুইটি জাতি হিসেবে বিভক্ত করিয়া না রাখিলে পাকিস্তানের অস্তিত্ব বজায় থাকিবে না। “পাকিস্তান লাভের জন্য তাহা হইল আমাদের সংগ্রাম করা বৃথা হইয়াছে। হিন্দু-মুসলমান যদি এক জাত হিসাবে পরিগণিত হয়, তাহা হইল অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুস্তান ও পাকিস্তান এক হইয়া যাইবে” ইত্যাদি। এইখানেই তাহারা ক্ষান্ত হন নাই, ইতিমধ্যে তাহারা ইহাও বুঝিতে পারিয়াছেন যে, “যুক্ত নির্বাচনের সমর্থকরা বাহিরে স্বার্থেই রাষ্ট্রের এই শত্রুতা করিতেছে- ইসলামকে বিপন্ন করিতেছে”। ইহাই পৃথক নির্বাচনের সমর্থকদের সবচয়ে “মূল্যবান” বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। ইহা ছাড়া অন্যান্য যে, যুক্তি তাহারা দিয়া থাকেন সেগুলো হইতেছে “মুসলমানরা বোকা; সুতরাং হিন্দুরা সংখ্যায় অল্প হইলেও যেহেতু তাহারা বুদ্ধিমান, সেহেতু মুসলমানদের নির্বাচনে জয়লাভ করার কোনই আশা নাই। মুসলমানদের উপর ইসলামের রক্ষকদের কি অপূর্ব শ্রদ্ধা! পৃথক নির্বাচনের সমর্থকগণ তাদের দাবীর সমর্থনে যে সমস্ত যে যুক্তি দিয়া থাকেন, তাহা মোটামুটিরভাবে এরূপ। এখন আমাদের বিচার করিয়া দেখিতে হইবে যে তাহাদের দাবীগুলো পূরণ করা হইলে পাকিস্তানের মঙ্গল হইবে কিনা।
যুক্ত নির্বাচনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোপ ও সন্দেহ সৃষ্টি করার আয়োজন চলিতেছে, তাহা নিছক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার প্রয়াস ইহা নিঃসন্দেহে বলা যায়। একথা সত্য যে পাকিস্তান লাভের পিছনে কায়েদে আযম জিন্নাহর দুই জাতিতত্ত্ব কাজ করিয়াছে। কিন্তু পাকিস্তান লাভের পিছনে উহাই সব নহে। পাসিত্মান লাভের পর কায়েদে আযম জিন্নাহও দৃঢ়তার সহিত ঘোষণা করিয়াছেন যে, “আজ আর হিন্দু, হিন্দু নহে; মুসলমান; মুসলমান নহে, সকলে মিলিয়াই আজ আমরা পাকিস্তানী।” বাস্তব দ্রষ্টা, কায়েদে আযম জিন্নাহ বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, সাম্প্রদায়িকতার অবসান না হইলে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হইয়া যাইবে। দীর্ঘ দুই শত বৎসরের সাম্রাজ্যবাদী শোষণে জনগণের জীবনে যে চরম সংকটের সৃষ্টি হইয়াছিল, জনগণ সেই সংকট হইতেই মুক্তি চাহিয়াছিল। এবং জনগণের এই মুক্তির আকাঙ্খাই জনগণকে পাকিস্তান লাভের প্রেরণা যোগাইয়াছে। ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগও খাদ্য সমস্যা, জমিদারী প্রথা, ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রভৃতি জনসমস্যার মূল দাবীগুলিকে উত্থাপন করিতে হইয়াছিল। জনগণ ইহাই বিশ্বাস করিয়াছিল মুসলিম লীগ আজ পর্যন্ত দুই জাতিতত্ত্বকে প্রচার করিয়া আসিতেছে। কিন্তু জনগণ মুসলিম লীগকে তবুও নির্মূল করিয়াছে। ইহার একমাত্র কারণ এই যে, মুসলিম লীগ জনগণের মূল সমস্যার কোনই সমাধান করে নাই। ইহা আজ নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, জনগণের সমস্যার সমাধান হইবে পাকিস্তান লাভের পিছনে জনগণের এই বিশ্বাস কাজ করিয়াছে। এই বিশ্বাসর তাৎপর্য লীগ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করিয়াছিলেন, তাই জনগণের মুক্তি এই তীব্র আকাঙ্ক্ষা অদূর ভবিষৎতে শোষক নেতৃত্বের শোষণ যন্ত্রকে নির্মূল করিবার পথে পরিচালিত হইতে পারে সেই আশংকা “মুসলিম জমিদার,” হিন্দু জমিদার” মুসলিম শোষক” হিন্দু শোষক” মুসলিম অত্যাচারী, হিন্দু অত্যাচারী” প্রভৃতি শ্লোগান দ্বারা জনগণকে বিভেদ, বিভ্রান্তি ও সাম্প্রদায়িতকার পথে পরিচালিত করিয়া লোক দেখানো ধর্মের কর্মে নিজ স্বার্থকে বজায় রাখার প্রয়াস পাইয়াছে।
পাকিস্তান লাভের পরে দুই জাতিতত্ত্ব দ্বারা পাকিস্তানের জনগণকে দুইটি ভিন্ন জাতিতে পরিণত করা এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উহাকে রূপদান করার প্রয়াস পাকিস্তানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে। দুই জাতিতত্ত্ব পাকিস্তান লাভের মূল দাবী হইলে পাকিস্তান লাভের সাথেই সাথেই সেই দাবী পূরণ হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে। নতুবা হিন্দু ও মুসলমানকে যদি পাকিস্তানের ভিতর দুইটি স্বতন্ত্র জাতি হিসাবে পরিগণিত করা হয় তাহা হইলে দুই জাতিতত্ত্বের পণ্ডিতবর্গের সামনে মাত্র একটি পথই খোলা থাকিবে। সেইটি হইতেছে এই “হিন্দু জাতির” জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানে একটি অংশকে ছাড়িয়া দেওয়া, হিন্দুরা এই “ইসলামের রক্ষকদের নিকট ন্যায়তঃ ও যুক্তসঙ্গতভাবে দুই জাতিতত্ত্বে ভিত্তিতে তাহাদের আবাসভহমি দাবী করিতে পারে। এর পরিণতি, পাকিস্তান খণ্ড-বিখণ্ড হওয়া ও পাকিস্তারে বিলুপ্তি। যুক্তি নির্বাচনে সমর্থনকারীদের যাহারা পাকিস্তানের শত্রুআখ্যা দিয়া নিজেদের দুই জাতিতত্ত্বকে পেশ করিবার ভূমিকা সৃষ্টি করিতেছে, তাহাদের দাবী পূরণ করিতে হইলে পাকিস্তানের অস্তিত্বকে বিপন্ন না করিয়া উপায় নাই।
এইসব পণ্ডিতদের বিজ্ঞোচিত তত্ত্বের এই ভয়াবহ পরিণতি ও যুক্তি অসারতা আজ জনসাধারণের নিকট ধরা পরিয়াছে। সুতরাং জাতি বাদ দিয়া হিন্দুদিগকে সংখ্যালঘু প্রভৃতি আখ্যা দিয়া নিজেদের মুখ বাঁচাইবার চেষ্টা করিতেছেন এবং এই সকল সংখ্যালঘুকে রক্ষাকবচ দেওয়ার নামে পৃথক নির্বাচনের ওকালতি করিতেছেন। সংখ্যালঘুদের অবশ্যই রক্ষাকবচ দিতে হইবে, ইহা পৃথিবীর সর্বত্রই স্বীকৃত হইয়াছে। একটি রাষ্ট্রে এমন কয়েকটি গোষ্ঠী থাকিতে পারে, যাহারা বিভিন্ন কারণে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিকাশের সুযোগ হইতে বঞ্চিত হইয়া রাষ্ট্রের উন্নত নাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়িয়া তোলার সুযোগ পায় নাই। এই ক্ষেত্রে তাহাদের ঐ সমস্ত সুযোগদানের জন্য রাষ্ট্রীয় গঠনতন্ত্রে তদুপযোগী বিধান সন্নিবেশিত করিয়া মনগড়া বিকাশের ব্যবস্থা করিতে হইবে। এই রক্ষাকবচদিতে হইবে, ইহা যেমন হাস্যোদ্দীপক, তেমনি কৌতুকপূর্ণ। অন্যদিকে রক্ষাকবচ অর্থ পৃথক নির্বাচনে, এই উদ্ভট যুক্তি তাহারা কোথায় খুঁজিয়া পাইয়াছেন, তাহা তাহারাই বলিতে পারেন। যাহাদিগকে একবার “জাতি” বলা হইতেছে, মুখের এক কথায় আবার তাহাদিগকে “সংখ্যালঘু” বানান হইতেছে। ইহার কারণ “জাতি” “সংখ্যালঘু” রক্ষাকবচ” ও “পৃথক নির্বাচন” প্রভৃতি সামঞ্জস্যহীন যুক্তির অবতারণা করিয়া নিজেদের মুখ বাচাঁনোর ছাড়াতাদের আর গত্যন্তর নাই।
সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপত্তা রক্ষাকবচ ব্যবস্থাকে সংখ্যালঘুদের মতামত নিয়াই কায়েক করা উটিত এবং কি ধরনের রক্ষাকবচদরকার, তাহাও তাদের মতামতের উপর নির্ভর করিতে হইতে। সংখ্যালঘুদের রক্ষাকবচ তাদের মতের বিরুদ্ধে চাপাইয়া দেওয়া যুক্তিসঙ্গত নহে। পাকিস্তানে এই “সংখ্যালঘুরা” তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের মারফতে যুক্ত নির্বাচনে স্বপক্ষে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করিয়াছেন। তবুও তাহাদিকে পৃথক নির্বাচনের রক্ষাকবচ নিতেই হইবে” এই মনোভাব পরিহার করা উচিত।
কায়েমী স্বার্থের সাম্প্রদায়িতকা বিদ্বেষকে কেবলমাত্র হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয় নাই, ইহার বিষক্রিয়াকে সমাজ জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চালানো হইয়াছে। এই সেইদিনও পাঞ্জাবের কাদিয়ানী-আহরার পৈশাচিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হইয়াছে। পাঞ্জাবী-বাঙ্গালী বিদ্বেষ আদমজী পাটকলের দাঙ্গায় নিরীহ শ্রমিকদের রক্ত বহিয়াছে। শিয়াদের ইমামতিতে সুন্নীরা নামাজ পড়িতে রাজী নহে। খোঁজ করিলে যেখানে বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যেই সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হইয়াছে, সেখানে এই “পৃথক নির্বাচনের রক্ষাকবচের” ব্যবস্থা কোথায় গিয়া শেষ হইবে তাহা চিন্তা করিয়া দেখা দরকার। এই পৃথক নির্বাচনের রক্ষাকবচ পরিণামের এমন অবস্থার সৃষ্টি করিবে যে অদূরভবিষৎতে নিজের দেওয়া ছাড়া অন্যকে ভোট দেওয়ার আর উপায় থাকিবে না।
সাম্প্রদায়িকতার সীমা নাই। এই বিষেষ বর্তমান সমাজব্যবস্থারই একটি অভিশাপ, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে তাগিদে এই সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হয় নাই। ইহা কতিপয় মানুষের স্বার্থের জন্য সৃষ্টি করা হইয়াছে। তাই পৃথক নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের প্রয়োজনে না লাগিলেও তাহাদের রক্ষাকবচের নামে তাহাদের উপর চাপাইয়া দেওয়ার এত আড়ম্বর।
এই রক্ষাকবচ দেওয়ার কথা তুলিয়া সংখ্যালঘুদের রক্ষাকবচের নামে পৃথক নির্বাচনের দাবীকে খর্ব করার চেষ্টা করা হইয়াছে বলিলে ভুল করা হইবে। অতীতে হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভিতর দিয়া হিন্দু মুসলমানদের ভিতর বিভেদের “বাস্তবতার” জিগীর তুলিয়া যাহারা পৃথক নির্বাচনের যৌক্তিকতা দাঁড় করাইয়াছেন, তাহাদের মনে রাখা উচিত যে, মুসলমানে মুসলমানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তাহাদের চাইতেও মর্মান্তিক রক্ত ক্ষয় হইয়াছে। সাম্প্রদায়িকতা মানুষের ভিতরে একটি বিদ্বেষভাব ছাড়া আর কিছুই নহে।
ইহার অবসান, এই সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিয়া হইতে পারে না। ইহার অবসান হইতে পারে মানুষের মহা মিলনের পথে।
ইহা সত্য যে, সাম্প্রদায়িকততা পাকিস্থানের গণজীবনে একটি সমস্যা হইয়াই রহিয়াছে। উহার অবসানের সর্বরকমের আয়োজন করিতে হইবে। কিন্তু পৃথক নির্বাচন দ্বারা এই সমস্যাকে কিছুতেই দূর করা সম্ভব নহে। উহা দ্বারা এই সাম্প্রদয়িকতাকে উস্কানিই দেওয়া হইবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ বপনে অতী উৎসাহী প্রচারকের এই পৃথক নির্বাচনের অভিযানে যাঁহাদিগকে বিভ্রান্তির ফাঁদে ফেলিতে সক্ষম হইয়াছেন, তাঁহাদের এই অসীম সর্বনাশা পরিণতি সম্বন্ধে ভাবিয়া উহার অবসান করা যায় না। রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিক্ষেত্রে কি সামাজিক, কি অর্থনৈতিক, কি রাজনৈতিক, সকল সম্প্রদায়ের সকল সম্প্রদায়ের সকল ধর্মের সকলের অবাধ অধিকার এই মহান প্রীতির দ্বার উন্মুক্ত করিতে পারে।
পৃথকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে পরিষদের সদস্যরা যে কোন আইন পাশ করাইতে যুক্তভাবেই ভোট দিতে পারেন। অন্যদিকে সুপারীর ট্যাক্য হ্রাস, পাটের মূল্য বৃদ্ধি, রেশন ব্যবস্থা, খাজনা হ্রাস, সার্টিফিকেট প্রথা বাতিল প্রভৃতি জনহিতকর আইনগুলি গৃহীত হইলে কেবলমাত্র একটি সম্প্রদায়েরই উপকার হয় না, প্রত্যেকটি পাকিস্তানী উহার দ্বারা উপকৃত হয়। ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে কোন সদস্যই যে কোন আইনের স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে ইচ্ছামত নিজ ভোট দিতে পারেন। ধর্মীয় কূটতর্কের মীমাংসার জন্য রক্ষাকবচ নামে পৃথক নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা নাই, অথবা মন্ত্রী হওয়ার বেলায় এই সংখ্যালঘু সদস্যদের ভোটকে বর্জন করা হয় না। অথচ জনগণ সম্মিলিত ও যুক্তভাবে ভোট দিয়া নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করিতে পারিবেন না, এই যুক্তি সম্পূর্ণ অচল।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য গুলি যন্ত্র রহিয়াছে তাহার কোথাও পৃথক নির্বাচন নাই। ইউনিয়ন বোর্ড, লোকাল বোর্ড: জিলা বোর্ড, মিউনিসিপ্যকালিটি: পার্লামেণ্ট প্রভৃতিতে যুক্ত নির্বাচন চালু রহিয়াছে। নেজামে ইসলামের সভাপতি ও পৃথক নির্বচনের অন্যতম নেতা মাওলানা আতাহার আলী এই যুক্ত নির্বাচনেই জাতীয় পষিদের সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন। মিঃ গিবনের সভাপতিত্বে তাহারা ইসলামী শাসনতন্ত্র পাশ করাইয়াছেন। হিন্দু মুসলমান সকল সদস্যের ভোটে জনাব ইস্কান্দার মীর্জা “সদরে রিয়াসত” প্রেসিডেনট নির্বাচিত হইয়াছেন বর্তমান পূর্ব পাকিস্তান মন্ত্রীসভায় যেখানে নেজামে ইসলামের জনাব আশরাফউদ্দীন চৌধুরী মন্ত্রী চিলেন, সেইখানে তিনজন হিন্দু মন্ত্রী মন্ত্রীদের সমান অধিকার লইয়া বিরাজ করিয়াছেন। মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে এই হিন্দু মন্ত্রীদিগকে ভোট দিতে দেওয়া হয় নাই, এইরুপ খবর আজ পর্যন্ত আমরা পাই নাই। শাসক শ্রেণী ভালোভাবেই জানেন যে; রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য মিলিত হইয়া কাজ করা ছাড়া অন্য কোন পথ নাই। তাই মুখে বিভেদের বাণী যতই প্রচার করুক না কেন, উহা কেবল জনসাধারণের বেলায়।
পাকিস্তানের সর্বত্রই যেখানে আজ যুক্ত নির্বাচন চালু রহিয়াছে, সেখানে জনগণকে সেই যুক্ত নির্বাচনের সুযোগ হইতে বঞ্চিত করা নিশ্চয়ই তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তান লাভের সাথে সাথে জনগণকে তখনকার শাসকগোষ্ঠী শিক্ষা দিয়াছেন যে, এদেশের জনগণ দুই জাতি-হিন্দু আর মুসলিম। একটি অত্যাচারী আর একটি অত্যাচারিত, এরা কোনদিনই এক হইতে পারে না। এই প্রচার জনগনের মনে সামকিয় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করিয়া থাকিলেও তাহাদের শোষকদের চিনাইয়াছে। ট্যাক্রের জ্বালায় আর অনাহারে যাহারা মরিতেছে গুলী, জেলখানা যাহাদের মুখের ভাষা কারিয়া নিতেছে, দূর্গাপুরে যাহাদের বুকের রক্তে মাটি লাল হইয়াছে তাহারা সর্বহারা পাকিস্তানী। ব্যথা, দুঃখ আর সংগ্রাম সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে লৌহদৃড় ঐক্য গড়িয়া তুলিয়া এই ঐক্য তাহাদের বিরুদ্ধে যাহারা জনগণকে প্রতারিত করিয়াছে, যাহারা জনগণকে অনাহারে মারিয়াছে, সোনার পাকিস্তানি যাহারা সর্বনাশ করিয়াছে সাধারণ মানুষের ঐক্য ধ্বংস করিয়া মানসে পৃথক নির্বাচনের নামে একটি অবাস্তব কল্পিত সমসর দিকে ধাবিত করার জন্যই শাসক শ্রেণীর এত উদ্যোগ আর আয়োজন। মাত্র নয় বৎসরের নূত জাতির পক্ষে এতবড় সাম্প্রদায়িক কলুষতার বিরুদ্ধে এত অল্প সময়ের মধ্যে রুখিয়া দাঁড়ানো অসাধারণ মনে হইলেও পাকিস্থানের জনগণ আজ সাফল্যের সহিত সেই অসাধারণ কাজ করিতে পারিয়াছে।
জনগণের এই বিরাট ঐক্যকে শোষক শ্রেণী ও তাহাদের তাঁবেদারেরা ভীতির চক্ষে দেখিতেছে। পৃথক নির্বাচনের সমর্থনকারীদের যুক্তির অসারতা ও অসামঞ্জস্যতা সত্ত্বেও কেন তাহারা তাহাদের দাবীর সমর্থনে অজস্র অর্থ ও জনবল ব্যয় করিতেছে তাহা আজ ভাবিবার সময় আসিয়াছে। শোষকযন্ত্রকে নিরঙ্কুশভাবে পরিচালিত করার উপযোগী ক্ষেত্র সৃষ্টি করিতে সর্বপ্রথম দরকার মেহনতী জনতার ভিতরে ঐক্যকে নষ্ট করিয়া দেওয়া। এই ঐক্যকে ধ্বংস করিতে হইলে প্রয়োজন মেহনতী জনতার ভিতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং সেই বিভ্রান্তি র ফাটল পথে অত্যাচারীর আসন কে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা এই বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য শোষক গোষ্ঠীর হাতে যতগুলি অস্ত্র রহিয়াছে সাম্প্রদায়িকতা তাহাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক কারখানা মজুর পাকিস্থানের অসংখ্য অত্যাচারিত নরনারী যদি এই ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকত কে দূর করিতে সক্ষম হয়, তাহা হইলে মেহনতী জনতার বিরাট ঐক্য শোষক শ্রেণীর সকল শোষণ যন্ত্রকে নির্মূল করিয়া দিবে।ইতিহাসের নির্ধারিত গতিকে কেহই রোধ করিতে পারে নাই।জনতা তাহার নির্ধারিতঐক্যের পথকে বাছিয়া নিয়াছে।জনগণ গতিপথের প্রতিটি বাধা তাহারা অতিক্রম করিবেই।
সর্বশেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিব।যুক্ত নির্বাচনের সমর্থনের মধ্যেও সাম্প্রদায়িকতার কিছু কিছু জের রহিয়া গিয়াছে, তাহা দূর করিবার চেষ্টা করা দরকার।কেহ কেহ যুক্তি দিয়া থাকেন যে,যদি যুক্ত নির্বাচন হয়, তবে হিন্দুদের বর্তমানে বিশেষ সুবিধাজনক ভূমিকা থাকিবে না। এমনকি সব কয়টি আসনই মুসলিম নির্বাচন প্রার্থীগণ দখল করিতে পারিবে, এই ধরনের যুক্তি দিতে যাওয়া ভুল এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে ক্ষতিকর। একই ভুল হইতেছে সংরক্ষিত আসনসহ যুক্ত নির্বাচন দাবী গণতান্ত্রিক জনতা এবং তাহাদের প্রতিনিধিদের উপরই ভার দেওয়া উচিত, যাহাতে সকল স্তর হইতে জনতার নিজস্ব লোক পরিষদে প্রেরিত হইতে পারে।
(Nothing was audible due to the continuous thumping of tables by the opposition.)
Mr. SHEIKH MUJIBUR RAHMAN: Sir, I beg to move that the question be now put:
The question that the question be now put, was put and agreed to.
The question that the East Pakistan Assembly is of the views that elections to the National Assembly and Provincial Assemblies shall be held on the principle of Separate Electorate was then put and negatived.
Mr. ATAUR RAHMAN KHAN: Sir, I beg to move that the East Pakistan Provincial Assembly is of the view that election to the National Assembly and Provincial Assemblies should be held on the principle of Joint Electorate.
The question that the East Pakistan Provincial Assembly is of the view that election to the National Assembly and Provincial Assemblies should be held on the principle of Joint Electorate, was then put and a division called.
Mr. PRAVAS CHANDRA LAHIRY: Sir, I express my desire.
Mr. SPEAKER: Not now. You will do so after the voting is closed. (Thumping of desks was continuing)
AYES-159
Ahmed, Abul Mansur
Ahmed, Aftabuddin
Ahmed, Dabiniddin
Ahmed, Jasimuddin
Ahmed, Khawja
Ahmed, Mafiz Uddin
Ahmed, Maizuddin
Ahmed, Md. Muzafar
Ahmed, Mohammed Ashabuddin
Ahmed. Mohiuddin
Ahjned, Momtaz
"Ahmed, Rahimuddin
/ Ahmed, Haji Ramizuddin
Ahammad, Raisuddin
Ahmed, Serajuddin
Ahmed, Syed
Ahmed, Tajuddin
Ahammad, Zamiruddin
Ali Abu Md. Younus
Ali, Dewan Mahboob
Ali, G.M. Okalai
Ali, Mahmud
Ali, Mohammad Munsoor
Ali, M. Korban
Ali, Syed Akbar
Awal, Abdul
Bala, Gour Chandra
Banu, Selina
Barman, Abhoy Chandra
Barman, Canteswar
Begum, Amena
Begum, Bad run Nessa
Begum, Toftunnessa
Bhattacharjee, Munindra Nath
Bhuiya, Aftabuddin
Biswas, Kshitish Chandra
Chakravarty, Trailokya Nath
Chatterjee, Bejoy Bhusan
Choudhury, Abdul Hamid
Choudhury, Abdul Wazed
Choudhury, Akbar Ali Khan
Choudhury, Aminul Huq
Choudhury, Habibur Rahman
Choudhury, Khoda Baksh
Choudhury, Mohammad Harunur Rashid
(alias Khushu Mia)
Choudhury, Dr. Nuruzzaman
Choudhury, Prafulla
Choudhury, Sakhawatul Ambia
Choudhury, Tohur Ahmed
Choudhury, Zahur Ahmed
Danish. Haji Md
Das, Basanta Kumar
Das, Braja Madhab
Das, Debendra Nath
Das, Gour Kishore
Das, Radha Madhab
Das, Sanjiban Chandra
Das, Choudhury Kali Prasanna
Das. Gopta, Sures Chandra
Dastidar, Purnendu
Datta, Bhupendra Kumar
Datta, Dhirendra Nath
Datta, Ramesh Chandra
Datta, Sudhanshu Bimal
De, Pulin Behari
Deb Roy, Jogendra Chandra
Dhar, Monoranjan
Ghose, Debendra Nath
Gomes, Peter Paul
Hafez, Mirza Gholam
Hussain, Abul Khair Rafiqul
Hossain, Altaf
Hossain, Khairat
Hussain, Maqbul
Hussain, Md. Moazzam
Hussain, Syed Altaf
Hossain, Syed Sharfuddin
Huq, Farmuzul
Haque, Fazle
Huq, Serajul
Hoq, Shamsul (Dacca)
Huq, Dr. Zikrul
Islam, Azharut
Islam. Iqbal Anwarul
Jaladas, Satish Chandra
Jaiil, A. F. M. Abdul
Joardar, Ohid Hossain
Kanchu Uddin
Karim, Abdul (Patuakliali)
Kazi, Rokonuddin Ahmed
Khoddar, Abdul Jabbar
Khaleque, Mohammad Abdul
Khan, Abdul Ghani
Khan, Abdur Rahman
Khan, Achmat Ali
Khan, Ahmed Ali
Khan, Aktaruzzaman
Khan, Ataur Rahman
Khan, Faizur Rahman
Khan, Haiem Ali
Khan, Yar Mohammad
Khandakar, A. Hamid
Khandakar, Azizur Rahman
Khatun, Meherun Nessa
Khoda Baksha
Khondker, Abul Quasem
Lakitullah, S. W.
Majumder, Muhammad Abdul Hamid
Majumder, Phani
Majumder. Sarat Chandra
Miah. Abdul Avval
Miah, Abdul Hakim
Miah, Azizul Haque
Mia, Mohammad Toaha
Mitra, Khetra Nath
Mohiuddin, Dewan
Molla. Abul Kalam Azad
Molla, Moslem Ali
Mandal, Rasaraj
Mondal, Sural Ali
Mallik, Hyder Ali
Quamaruzzaman
Quazi, Kafiluddin Ahmed
Rahman, Ataur
Rahman, Azizur
Rahman, Mojibar (Rajshahi)
Rahman, Mashihur
Rahman, Mohammad Abdur
Rahman, Hafez Mohammad Habibur.
Rahim, Zillur
Rashid, Md. Abdur
Roy, Amorendra Nath
Roy, Bejoy Chandra
Roy, Bibhuti Bhusan
Roy, Dhananjoy
Roy, Durga Mohan
Roy, Prasun Kanti
Roy, Rai Chandra
Roy Choudhury, Gazendra Nath
Saha, Dhirendra Nath
Saha, Sudhansu Sekliar
Samad, Abdus
Samad, Mahibus
Santal, Jiban
Sarkar, Abdur Rashid
Sarkar, Nil Kamal
Sarkar, Rajendra Nath
Sen, Pran Kumar
Sen Gupta, Purnen Kishore
Sen Gupta Nellie
Serajuddin
Shaikh, Abdul Aziz
Shaikh, Mujibar Rahman
Singha, Bhabesh Chandra
Sutar, Chitta Ranjan
Talukdar, Md. Ismail
Talukdar, Nagendra Nath
Tarkabagish, Moulana Abdur Rashid
Waliullah, M.
NOES—I
Bhuya, Islam
The Ayes being 159, and Noes 1, the question was agreed to.
(The Opposition Party Members did not participate in the voting.)