বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড)/৫১

শিরোনাম সূত্র তারিখ
পূর্ব বাংলার লবণ সংকট দৈনিক আজাদ ও পূর্ব বাংলা ব্যবস্থাপক সভার কার্যবিবরণী অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৫১

১৯৫১ সনের লবণ সঙ্কট সম্পর্কে ঢাকা বণিক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন-এর বিবৃতিঃ

 পূর্ব পাকিস্তানের লবণের দুষ্প্রাপ্যতার জন্যে প্রদেশের সর্বত্র গভীর অসন্তোষের সৃষ্টি হইয়াছে। লবণের অভাবের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন মত পোষণ করেন। কিন্তু সাধারণভাবে ইহার আসল কারণ কাহারও জানা নাই। তবে করাচী হইতে অপর্যাপ্ত সরবরাহই যে ইহার মূল কারণ তাহা নিঃসন্দেহে বলা চলে। সরকার নিযুক্ত লোভী আড়তদারদের অতিরিক্ত মুনাফা লোভই সম্ভবতঃ বর্তমান পরিস্থিতির কারণ। সরকারী হিসাব মতে পূর্ব পাকিস্তানে বার্ষিক ৭৫ লক্ষ মণ লবণের প্রয়োজন হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের বাসিন্দাগণ সাধারণতঃ সামুদ্রিক লবণ ব্যবহার করে না। তথায় বৎসরে মাত্র ৬ লক্ষ মণ লবণ খরচ হয়। ইহাও সর্বজনবিদিত যে, সরকার দেশী শিল্পকে উৎসাহ দানের জন্যে বাহির হইতে লবণ আমদানী সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করিয়া দেওয়ার নীতি অবলম্বন করিয়াছেন। পশ্চিম পাকিস্তানের ৫টি লবণের কারখানা রহিয়াছে এবং তাহাতে বৎসরে ৫২ লক্ষ মণ লবণ উৎপন্ন হয়। পূর্ব পাকিস্তানের কোথাও সেরূপ নামকরা কারখানা নাই। সুতরাং দেশে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাহাতে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজন অপেক্ষা বৎসরে ৩৯ লক্ষ মণ লবণ ঘাটতি পড়ে। অর্থাৎ দেশের প্রয়োজনের তুলনায় পাকিস্তানে লবণ উৎপাদনের পরিমাণ খুবই কম। সুতরাং উপৎপাদন বৃদ্ধি বা বিদেশ হইতে লবণ আমদানী ব্যতিরেকে অন্য কোন উপায়ে দেশের প্রয়োজন মিটানো সম্ভবপর নয়।

 সরকার কর্তৃক লবণ আমদানী বন্ধ হওয়ার পর হইতেই আমি লবণের নিশ্চিত ঘাটতি অনুমান করিয়াছিলাম। আমি সরকারকে ভারত এবং অন্যান্য বিদেশী রাষ্ট্র হইতে লবণ আমদানীর অনুমতি দানের জন্য অনুরোধ করিয়াছিলাম। আমার প্রস্তাব অনুযায়ীই গত এপ্রিল মাসে বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়ন পরিষদ বিদেশ হইতে লবণ আমদানীর অনুমতি দানের সোপারিশ জানাইয়াছিলেন। কিন্তু সরকার এ সম্পর্কে এখনও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই। ঢাকা বণিক সমিতি প্রায় একই সময় খাদ্য মন্ত্রীর নিকট অনুরূপ সোপারিশ জানাইয়াছিল। কিন্তু এ সম্পর্কেও এখন পর্যন্ত কিছু করা হয় নাই।

 উৎপাদনের স্বল্পতা ছাড়া প্রদেশে লবণের বিলি ব্যবস্থাও যথেষ্ট ভালই রহিয়াছে। চট্টগ্রাম বন্দরে লবণ খালাস ও তাহা হইতে অন্যত্র চালান দেওয়ার ভার একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া।

 এ সম্পর্কে আমি আরও জানাইতে চাই যে, পশ্চিম পাকিস্তান চা ও পানের অভাব থাকায় তথাকার বাসিন্দাগণকে বিদেশ হইতে এই উভয়বিধ দ্রব্য আমদানীর অনুমতি দেওয়া হইয়াছে।

 স্বদেশী দ্রব্যের পৃষ্ঠপোষকতা করিতে যাইয়া পূর্ববঙ্গের অধিবাসীগণকে এক সের লবণের জন্য যখন ২.০০ টাকা হইতে ৩.০০ টাকা ব্যয় করিতে হইতেছে, তখন পশ্চিম পাকিস্তানের অদিবাসীগণ কোন যুক্তিতে বিদেশ হইতে পান ও চা আমদানী করিয়া নিজেদের ঘাটতি পূরণের অনুমতি পাইতেছে? একই পরিপস্থিতিতে পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন নীতি গৃহীত হইতে পারে কিরূপে? এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, করাচীতে বর্তমানে মাত্র দুই আনা সের দরে লবণ বিক্রয় হইতেছে। দৈনিক আজাদ, ২২-১০-১৯৫১]

গদী ছাড়

এইবার লবণের দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করিয়াছে। সারা পূর্ববঙ্গ জুড়িয়াই লবণের দুষ্প্রাপ্যতা হেতু চড়াদর ইতিহাস সৃষ্টি করিয়াছে। সের প্রতি দুই টাকা হইতে আরম্ভ করিয়া স্থানবিশেষে ষোল টাকায় পর্যন্ত লবণ খরিদ করিতে লোক বাধ্য হইতেছে। এই অত্যাবশ্যকীয় এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাবে জনসাধারণের দুর্দ্দশার অবধি নাই। তাই চারদিক হইতে কিছু কিছু সোরগোল উঠিয়াছে। আমাদের আফজল মন্ত্রী আবার বিবৃতি ঝাড়িয়াছেন, কেন্দ্রীয় সরকারে শৈথিল্য ও অব্যবস্থার জন্যই নাকি এই বিড়ম্বনা। [সাপ্তাহিক নও বেলাল- এ প্রকাশিত সম্পাদকীয়, ১-১১-১৯৫১]

Special motion regarding salt situation in the Province [2nd Nov., 1951]

The Hon'ble Mr. S. M. Afzal: Sir, I beg to move that this Assembly is of opinion that the salt situation in the province of East Bengal be taken into consideration.

 Mr. Chairman, Sir, it was in August, 1950 that the Provincial Government noticed a rise in the price of salt. The rise in price appeared to be due to the monopolistic tendencies of the merchants supplying salt from Karachi. In order to counteract their activities the Provincial Government decided to promulgate statutory order to keep the price of salt at a reasonable level. Accordingly the East Bengal Salt Control Order was promulgated on the 30th August, 1950. The order provided for the fixation of wholesale prices and empowered the local dealers to distribute salt at prices fixed by Government, if this became necessary. The retail trade was excluded from the purview of this order on the ground that salt trade was being carried on by a very large number of persons of limited supplies in all the markets and hats of the province and that any attempt to control salt transactions may result in widespread corruption amongst the minor officials of the Civil Supplies Department. The above measure was considered by it self to be adequate. The Provincial Government, therefore, proposed that the Centre should increase the supply of salt within the Province and they should import salt on Government account. This could not be given effect to because the Central Government decided to trade in salt themselves. They promulgated the Sea Salt Control Order on the 13th November, 1950, under which the sale, purchase or procurement of salt came to be controlled by the Central Government.

 Its import from foreign countries was also licensed. On the 14th December 1950, the Central Government launched the scheme for the monopoly procurement of sea-salt by them and for its shipment to East Bengal on their account. They also asked the Provincial Government not to take any action that the latter might be contemplating with respect to the supplies of salt to East Bengal. It was explained that there was a large accumulation of sea-salt in the Karachi Salt Works which was sufficient to meet the demand of East Bengal. We protested against the monopoly scheme because we were of the view that it was not a wise policy to supplant private importers altogether and assume the entire responsibility for supply. This was not heeded to.

 Since December, 1950, the Provincial Government have been watching dispatches of salt from Karachi with considerable anxiety. During the period from January to May, 1951, 9,70,942 maunds of salt were received from Karachi against estimated requirement of 25 lakh maunds. This deficiency was brought to the notice of the Central Government in the middle of May and they were asked to plan dispatches in such a way that supplies exceeded 5 lakh maunds per month so that something was left over as reserve. Due, however, to difficulties in getting shipping space the Central Government could not speed up dispatches The deficiency noticed in May had been aggravated by July and the Hon'ble Minister, Civil Supplies, accompanied by the Director-General personally discussed the matter with the Central Ministry and pressed for placing salt on O.G.L. Urgent reminders were sent to the Central Government to expedite dispatches from Karachi and to import from abroad. This was continued in September and the Central Government were asked again to place salt on O.G.L. The Director-General went to Karachi again in September to apprise the Central Government of the deteriorating position. Our suggestions for foreign import were turned down in the first week of October on the ground that foreign salt may not be cheaper and that the capacity for discharging the cargo at Chittagong and Chalna ports was strictly limited. They also informed us that arrangements were being made to charter foreign ships for the carriage of salt from Karachi to East Bengal even by paying higher freight.

 Apart from departmental efforts the Hon'ble Prime Minster took up to question with the Central Government very strongly during his visit to Karachi. Salt ships began to arrive from the middle of October when the price of the commodity had already gone out of control. From the middle of October, we have been receiving salt ships in quick: succession and before the month was over we had 4 ships in Chittagong and 1 at Chalna with altogether 7,46,429 maunds of Karachi salt. We have also been informed that 6 other ships are sailing by middle of November with another 8,87,000 maunds. In addition, the Central Government are understood to be planning to import 10,00,000 maunds of salt from foreign countries and have assured the Province a regular supply of 7,00,000 maunds per month. According to this programme we will have received 16,33,000 maunds during the period of 6 weeks, from the 15th of October to the 30" November against a requirement of 9 to 10 lakh maunds. So we expect to have a reserve of over 5 lakh maunds by the end of November, 1951.

 Meanwhile what supplies had been received in the month of October, 1951 were rushed to all the areas in the Province and the local officers were instructed to distribute salt at controlled prices. Some local officers had already been doing this others started distribution on receiving supplies. In all towns supplies were given through ration shops at prices ranging between As. 4 to As. 5 per seer and in rural areas supplies were sent through selected retailers and prices ranging between As. 4 to As. 6.were fixed. Due to the haste in which the distribution had to be organised there have been reports of black marketing even by merchants working under Government control. Every such case coming to the notice of Government was pursued and the offender punished.

 Two employees of a wholesaler of Pirojpur have been arrested for selling salt in violation of the order issued by the Sub divisional Controller. Another wholesaler of Pirojpur was arrested for stealthily disposing of part of his stocks. Many more arrests had been made at other places. One wholesaler of Dacca who was found issuing salt on short weight has been blacklisted. Similar action has been taken in Mymensingh and other districts. All the officers have been instructed to take action against hoarders and have been told that good work done in this connection will be specially recognized by Government.

 Apart from these measures action is being taken under the Public Safety Ordinance against merchants selling salt at scandalously high prices. We take the opportunity of warning ail merchants against their unsocial activities and would inform the public that Government contemplate to take very strong action against black marketers.

 We have now the latest reports received from Sub divisional Officers and Sub divisional Muslim Leagues. According to these reports nowhere the free market price was above Rs. 6 per seer. Now the situation is almost under control. I would like to take the indulgence of the House to read out the prices reported by some agencies.

 This was when the price was very high but now the price has gone down.


Name of places.....
Narayanganj........
Munshiganj.........
Manikganj..........
Cox's bazar........
Rangamati..........
Noakhali...........
Feni...............
Tippera............
Chandpur...........
Brahmanbaria.......
Mymensingh town....
Netrokona..........
Jamalpur...........
Tangail............
Iswarganj..........
Sunamganj..........
Habiganj...........
Barisal............
Pirojpur...........
Patuakhali.........
Faridpur...........
Madaripur..........
Gopalganj..........
Goalundo...........
Kushtia............

Price per seer
Rs.2
Rs. 4 to 6.
Rs. 3 to 4.
Rs. 6 to 8.
Rs. 4 to 5.
Rs.2
Rs. 3 to 5.
Rs. 3 to 5.
Rs. 3 to 4
Rs. 2 to 2-8.
At the controlled rate.
Rs. 4 to 5.
Rs. 2 to 4 or 5.
Rs.2 to 4.
Rs.2 to 2-8.
No report.
Rs. 2 to 3.
No report
Rs. 3.
Rs. 2 to 5.
Rs. 1-4 to 2-8.
Rs. 6
No report.
Rs.2.
As. 4 to. Rs. 2. Chuadanga...........
Meherpur............
Jessore.............
Magura..............
Jhenidah............
Khulna..............
Satkliira...........
Bagerhat............
Rajshahi............

As. 12 to. Re. 1.
No. report.
As. 12.
As. 6.
Re. 1-4.
As. 12 to. Re. 1.
As. 10.
No. report.
Re. 1.

 From Bogra I have not received any report. Rajshahi-Re. 1. Naogaon-12 annas. Natore-12 annas to. Re. 1, Chapai-Nawabganj 4 annas to 7 annas. Dinajpur-6 annas to. Re. 1. Rangpur-14 annas. Nilphamari-7 annas to 8 annas. Gaibandha-8 annas to Rs. 2. Kurigram-Re. 1. Pabna-4 annas to. Rs 2. Serajganj-Rs.2 to. Rs. 2-8. Bogra-8 annas to Rel. I asked the Subdivisional Officers and the Secretaries of the Muslim League to inform me as to the highest price of salt in their areas. They have said that now at the present moment the prices is under control and in every town control has been introduced and in the rural areas also this control system is going to be introduced. It has been suggested that the Provincial Government were responsible for distributing-salt that was supplied from Karachi. We do not shirk this responsibility. Supply was, however, so far below the requirement and so there was little salt available for distribution. During the months, January to September, we have received 25 lakh 78 thousand maunds against the minimum requirement of 45 lakh maunds per human consumption alone. With this meagre supply distribution could not possibly make salt available to all. With a view to increasing supplies further and to provide a reserve we have established Letter of Credit in Calcutta far the impart of 4 lakh maunds of salt from India. Unfortunately, however, export of salt from that country is under license and this is causing delay. We are also planning to import 15 lakh maunds of salt from foreign countries, an our own account, addition to Central Government’s imports and, for that purpose, we are in touch with the Central Government.

 Mr. Mir Ahmed Ali: Mr. Chairman Sir, এত অল্প সময়ের মধ্যে ১৫ই অক্টোবর তারিখে কায়েদে মিল্লাতের শাহাদাতের পর আমাদের উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেল সেটা সবাই জানেন। সেটা গোপনীয় কথা নয়। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে আজ পর্য্যন্ত লবণের দাম এই রকম হয় নাই। গ্রামে গরীবদের দূর্দ্দশার সীমা নাই। তাদের বুক ভেঙ্গে গেছে। তাদের কান্না যে কেউ শোনে না সে কথা বলাই বাহুল্য। আগুনে ঝাঁপ দিলে যে পরিমাণ না জলে দুঃখীর আর্তনিনাদ তার চেয়ে বেশী জ্বলে। ১৬ টাকা সের লবণ বিক্রয় হ’ল তাতে গরীবের কোটি কোটি টাকা সর্বনাশ হয়ে গেল।

 আমি বলতে চাই যে, ঐ সময় আমার Premier সুযোগ্য Nurul Amin সাহেব করাচীতে চলে গেলেন। তিনি ৭/৮ লক্ষ মণ লবণের যোগাড় করে এসেছেন। সে জন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু তাঁকে বলতে হবে যে কেন এই লবণ সঙ্কট হ’ল। এই Ministry গরীবের ministry, এটা বড় লোকের ministry নয়। গরীবকে কেন ১৬ টাকা সেরে লবণ কিনতে হ’ল? কেন সময়মত লবণ আমদানী করা হ’ল না। লবণ ত আমাদের বিদেশ থেকে আনতে হয় না। নিজ দেশের লবণ কেন সময় মত আনা হ’ল না। যখন লবণ কমে আসছিল তখন Civil Supply Minister সাহেব কোথায় ছিলেন? করাচীতে এই ব্যাপার সম্বন্ধে বহয়রং হওয়া দরকার। বাঙ্গালী লবণ অভাবে মরে নাই তবে কষ্ট হয়েছে যথেষ্ট।

 রসুলুল্লাহকে আল্লাহ বলেছেনঃ “হে মোহাম্মদ, পাল্লা ঠিক রাখ।” নেকি বদি পাল্লায় ওজন হবে। লবণের সের ১৬ টাকা হ’ল। আমার প্রধান মন্ত্রী পাগল হয়ে চলে গেলেন করাচীতে। আমি বলি আমার দেশে প্রচুর লবণ আছে। Search করুন। লবণ বের হবে। পুলিশ লাগিয়ে দিন। আমি প্রধান মন্ত্রী ও Civil Supply Minister সাহেবকে বলব যে লবণ Control করলে চলবে না। যেখানে control সেখানে অভাব। আমার কথা হচ্ছে যে, আপনারা ঈমান ঠিক রেখে প্রাণপণ চেষ্টা করুন। আপনারা চাষীর মন্ত্রী, গরীবের মন্ত্রী। আপনারা প্রাণপণ চেষ্টা করুন। পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন সাহেবকে force করুন। আমি চাই যারা এই সমস্ত neglect করেছে তাদের সরিয়ে দিন Department থেকে। তাদের থাকবার দরকার নাই। তাদের জন্য আপনার বদনাম হয়। আমি জানি Civil Supply Minister সাহেব অনেক অফিসারকে punishment দিয়েছেন। কেন আজ দোষী অফিসারদের ছেড়ে দেওয়া হ’ল? কেন ৫০ লক্ষ মণের জায়গায় ৫ লক্ষ মণ লবণ আসল?

 যখন লিয়াকত আলী খানসাহেবের মৃত্যু হ’ল তখন লবণের মূল্য ১৬ টাকা সের হল। সত্যিকারের বিপদ পাকিস্তানে হচ্ছে। ভয় করবেন না। আপনি ভয় করবেন না। এ বিপদ কেটে যাবে। লবণের অভাব দূর করুন। tax বাদ দিন। যাতে লোকে কম মূল্যে লবণ পায় সেই চেষ্টা করুন। এই আমার নিবেদন।

 Mr. Benode Chandra Chakraborty: Mr. Chairman, Sir, আমাদের সরবরাহ সচিব লবন সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা শুনে বাস্তবিকই আমার মনে হ’ল যেন তিনি ব্যর্থতার এক করুণ কাহিনী বর্ণনা করছেন। তিনি লবণের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, Central government-এর অব্যবস্থার দরুন এই সংকট উপস্থিত হয়েছে। তাঁর এই কৈফিয়ৎ শুনে দেশের লোক সুখী হতে পারবে না। এই দেশের কর্তৃত্বভার যাঁদের উপর ন্যস্ত রয়েছে, তাঁদের দায়িত্বও কম নয়। এই বিরাট পূর্ববঙ্গের অধিবাসীদের সুখ, দুঃখ অভাব অভিযোগ সমস্ত কিছু দেখাশুনা দায়িত্বভার যাঁরা গ্রহণ করেছেন, আজ তাঁদের এই করুন কাহিনী শুনে জনসাধারণ সন্তুষ্ট হতে পারবে না। লবণ সঙ্কট সম্ভাবনা সম্বন্ধে আমরা পূবেৰ্ব যখন সরবরাহ সচিবকে বলেছিলাম তখন তিনি warning অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন যে লবণের সরবরাহ ব্যবস্থা তাঁরা যেভাবে টিক করলেন তাহা না করলে লবণ সঙ্কট দূর হবে না। আজ Central Government-কে দায়ী করলেও আমি বলতে বাধ্য যে Central এবং Provincial Government-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবার দায়িত্ব Provincial Government-এরই উপর। সেজন্য আমি বলব যে, Provincial Government EET দায়িত্ব পালনের অক্ষম হয়েছে। এই দারুণ লবণ সঙ্কটের দিনেও আমরা সরবরাহ সচিবের কোন ঝঃধঃবসবহঃ ইতিপূবেৰ্ব পাই নাই- কাজেই বলতে হয় যে তিনি তার দায়িত্ব এ যাবৎ এড়িয়ে গিয়েছেন। সমস্ত দোষ Central Government-এর উপর চাপান সত্ত্বেও স্বভাবত এই কথাই মনে হয় যে Provincial Government-ও তার দায়িত্ব পালন করতে পারে নাই। পূর্ব বঙ্গে প্রতি বৎসর কত লবণের প্রয়োজন তা সরবরাহ সচিবের নিশ্চয়ই জানা আছে। আমরা দেখছি অনবরত এটা না একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আছি। কোন সময় চাউলের অভাব, কোন সময় চিনির অভাব, আবার কোন সময় তেলের অভাব একটা না একটা অভাব লেগেই আছে। আমাদের অভাবের জন্য দায়ী কে? অনেক লোভী ব্যবসায়ী এই লবণের অভাবের সময় উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে অনেক অর্থলাভ করেছে। গভর্ণমেণ্ট তাদের নিবৃত্ত করতে কোন চেষ্টা করেন নাই। গভর্ণমেণ্টের হাতে Public Safety Ordinance রয়েছে, যা তাঁরা সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারেন। তাছাড়া গভর্ণমেণ্টের হাতে আরও অনেক ক্ষমতা রয়েছে যার দ্বারা ইচ্ছা করলেই এইসব অতি লোভীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু তা তাঁরা করেন নাই লবণ আমদানীর কথা অনেকদিন হইতে শুনছি কিন্তু লবণ আজও এসে পৌছায়নি। আমরা বুঝতে পারছি না লবণের দাম আরও বাড়বে কিনা। দেশে রীতিমতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ না করতে পারলে যে উদ্দেশ্যে Civil Supply Department সৃষ্টি করা হয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে। আমার মনে হয় Civil Supply Department এর কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্ত করতে না পারলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমবে না এবং অভাবও কখনও মিটবেনা। আমরা অনেক সময় দেখি, যে সব শহরে চিনির Rationing ব্যবস্থা রয়েছে সেই সব শহরেও সময় সময় চিনির অভাব হয়, এমন কি ক্রমান্বয়ে ২/৩ সপ্তাহ চিনি পাওয়া যায়না। শহরেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে গ্রামাঞ্চলের কথা সহজেই বুঝতে পারেন। যে জিনিষ Civil Supply-এর আওতায় নেওয়া হয় সেই জিনিষেরই অভাব হয়, এর অর্থ আমরা বুঝতে পারিনা। Civil Supply Department-এর দ্বারা লবণ সরবরাহের ব্যাবস্থা করলে লবণের অভাব শীঘ্র মিটবে না। বরং যে পরিমাণ লবণ পূর্ব বঙ্গের জন্য প্রয়োজন তা পূর্বাহ্নে আমদানী করে বাজারে ছেড়ে দিলে ফল ভাল হবে। এতে জনসাধারণের হয়রানিও কমবে এবং গভর্ণমেণ্টেরও কোন অসুবিধা ভোগ করতে হবে না। আজ মাসাধিককাল যাবৎ লবণ সঙ্কটের দরুন দেশের সকল শ্রেণীর লোককেই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। আজ যদিও দেশে জনসাধারণ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছে তাহলেও এমন একদিন আসবে যখন তারা চুপ করে থাকবে না। এখন হয়তো জনসাধারণের সংঘবদ্ধ হবার শক্তি নাই; কিন্তু এমন দিন চিরকাল থাকবে না। দেশের এই সঙ্কটকালে বর্তমান সরকার কোন কার্যকরী ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারেন নাই। তাঁরা যে যুক্তি দিয়েছেন তাতে জনসাধারণ তুষ্ট হতে পারে নাই। গভর্ণমেণ্ট জনসাধারণকে এমনভাবেই চেপে রাখতে চান যাতে কোন প্রকার অসুবিধাতেও তার মাথা যেন না তুলতে পারে। আজ লবণ সঙ্কটের দিনে যাদের হাতে কিছু টাকা আছে তারা, Black marketing করে বহু টাকা রোজগার করছে। এখনও শুনেছি অনেক স্থানে মুসলিম লীগের কোন কোন President এবং VicePresident-রাও Black marketing করেছে।

 Mr. Chairman (Al- haj Janab Sharfuddin Ahmad): MR. Chakraborty, in course of your speech you cannot mention any political party. You need not say anything about Muslim League.

 Mr. Benode Chandra Chakraborty: যা সত্য কথা, আমি তা বলেছি। আপনার চক্ষে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্যই আমি এই কথা বললাম। গলদ যা আছে তা আপনারা শোধরাবার ব্যাবস্থা করুন। আমি Muslim League Organization এর দোষ দেই নাই। আমি বলেছি এমন অনেক লোক আছেন যারা এই লবণ সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে বহু টাকা লাভ করেছেন। আমি জানি লবণ সঙ্কট চিরদিন থাকবে না। কিন্তু যদি জনসাধারণ নিষ্ক্রিয় হয়েই বসে থাকে তাহলে লবণ সঙ্কট পার হয়ে গেলে আবার নতুন এক সঙ্কট এসে উপস্থিত হবে। প্রাদেশিক সরকার যদি দেশের লোকের খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে তাঁদের এ দায়িত্বভার ত্যাগ করে যারা সক্ষম তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এমনভাবে আর অধিককাল দেশের নিরীহ জনসাধারণকে কষ্ট দেবার কোন অধিকার তাঁদের নাই।

 Mr. Chairman (Al- haj Janab Sharfuddin Ahmad): Mr. Lahiri, will you able to finish within 5 minutes?

 Mr. Provas Chandra Lahiri: No. Sir.

 The Hon’ble Mr. Nurul Amin: If Mr. Lahiri cannot finish his speech within 5 minutes, he may finish it within 10 minutes. We may wait for another minutes at best.

 Mr. Provas Chandra Lahiri: জনাব চেয়ারম্যান সাহেব, সরবরাহ সচিব লবণ সম্পর্কে যে বিবৃতি দিলেন তা আমরা শুনলাম। ব্যাপার দেখা যায় যে রাষ্ট্রের দুই প্রান্ত থেকে দুইজন দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি দুই রকম কথা বলছেন। আমাদের সরবরাহ সচিব বলছেন যে, আমাদের যেটুকু লবণের প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সরকার সে পরিমাণ লবণ সরবরাহ করেনি। লবণ সরবরাহে পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার হাতে নিয়েছেন অথচ সরবরাহ করতে পারেননি। ৩১শে অক্টোবর তারিখের পাকিস্তান অবজারভারে আছে Mr. Fazlur Rahman, Pakistan’s Minister for Commerce told the Pakistan Observer about the shortage of salt in East Bengal and its prices are very exaggerated. He said that the Central Government had a placed salt in a large quantity at the disposal of the Provincial Government for distribution. It is the responsibility of the provincial Government to arrange the fair and proper distribution of the salt in the Province, he added.”

 জনাব ফজলুর রহমান Press Reporter-দের কাছে এই বিবৃতি দিয়েছেন। যদি এই বিবৃতি সত্য হয় তাহলে সম্পূর্ণ দায়িত্ব পূর্ববঙ্গ সরকারের। তিনি বলেছেন যে যথেষ্ট পরিমাণ লবণ সরবরাহ করা হয়েছে, পূর্ববঙ্গ সরকার Fair distribution করতে পারেননি, তাঁদের গাফিলতির জন্য দাম বেড়েছে। আর একটা কথা তিনি বলেছেন লবণের দাম exaggerate করা হয়েছে। একথা যদি সত্য হল তাহলে ফজলুর রহমান সাহেব এখানে উপস্থিত থাকলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম যে দাম কি পরিমাণ বাড়লে সেটাকে exaggerate বলা যেতে পারে। সরবরাহ সচিবের বিবৃতিতে সর্বোচ্চ মূল্য রয়েছে ৬ টাকা সের। যে লবণ দুই আনা ১০ পাই হতে চার আনা সের দরে বিক্রি হ’ত তার দাম যদি ৬ টাকা হয় তাহলে কত গুণ হয়েছে? সরবরাহ সচিব তাঁর বিবৃতিতে রাজশাহীতে লবণের সের ১ টাকা বলেছেন, আর নবাবগঞ্জে লবণের সের আট আনা বলেছেন। অনুসন্ধান করে দেখুন যে Border এলাকায় দাম কত, কারণ সেইসব জায়গায় লবণ অন্য রাষ্ট্র থেকে smuggled হয়ে আসে। রাজশাহী বা নবাবগঞ্জে দাম কম বলে মন্ত্রী মহাশয় আনন্দ প্রকাশ করেছেন; রাজশাহী বা নবাবগঞ্জে চোরাকারবারীরা smuggle করে এনে লবণ বিক্রি করছে, তাই দাম সস্তা। এতে যদি আমরা আনন্দ প্রকাশ করি তাহলে চোরাকারবারীদের সমর্থন করা হবে। অন্য জায়গা থেকে চোরাকারবার করে লবণ আনছে তারা অসাধু, তাদের যদি প্রশ্রয় দেন তাহলে তারা যখন অর্থের বিনিময়ে দেশের সমস্ত জিনিষ পার করে দেবে, তখন তাদের অসাধু বলার আর মুখ থাকবেনা।

 সংবাদপত্রে দেখা যায় নানা জায়গায় লবণের দর ভীষণভাবে বেড়ে গিয়েছে। বেশী দূর নয় এই নরায়ণগঞ্জে লবণ ১৫/১৬ টাকা সের। শুনলাম নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ২জন লোক লবণ খেয়ে মারা গিয়েছে- প্রকাশ হয়েছে লবণের ভিতর Bone dust মিশানোর ফলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। (Voice: কোথায়?) এ ঘটনা হয়েছে বেশী দূর নয় এই নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে। গভর্ণমেণ্ট একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন। আজ চট্টগ্রাম থেকে খবর এসেছে যে সেখানে ভেজাল লবণ খেয়ে লোকে পেটের অসুখে ভুগছে। সরবরাহ সচিবের দেশ বরিশালের রিপোর্ট সেখানে লবণের সঙ্গে চিনি মিশান হচ্ছে। এই উপলক্ষে আমার একটি গল্প মনে পড়ে গেল। এক জায়গায় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সেখানে এক ঠাকুর মহাশয় থাকতো, খেতে পেতো না। তার এই অবস্থা দেখে তার এক শিষ্য তাকে বললো “ঠাকুর মহাশয়, আপনি আমাদের দেশে চলুন সেখানে জিনিষপত্র সস্তা।” এই কথায় ঠাকুর মহাশয় তার শিষ্যের বাড়ীতে গেল। শিষ্য বাজারে গিয়ে ঠাকুর মহাশয়ের জন্য নানা রকম জিনিষ কিনে আনলো। ঠাকুর মহাশয় শিষ্যকে জিজ্ঞাসা করলো এসব জিনিষের দাম কত। শিষ্য উত্তর দিল যে এখানে সব জিনিসের দাম এক আনা। চা’ল মুড়ি ও মুড়কি সব জিনিসের এক আনা দাম। ঠাকুর মহাশয় তো এই কথা শুনে তল্পীতল্পা গুটিয়ে রওনা হলেন। শিষ্য জিজ্ঞাসা করলো যাচ্ছেন কেন? ঠাকুর মহাশয় বলল যে যেখানে মুড়ি মুড়কির দাম একদর সেখানে থাকবো না। সেই অবস্থা দাঁড়িয়েছে আমাদের এখানে লবণে ভেজাল চিনি আর চিনিতে ভেজাল লবণ এবং গর্ভমেণ্টকে গালাগালি করে লাভ নেই। আমার এই সম্পর্কে প্রস্তাব হচ্ছে যে ২টি scheme নিতে হবে। একটি short term আর একটি long-term। প্রথমে short term নেওয়া দরকার, পরে long-term scheme হবে। short-term scheme বিষয়ে বলতে চাই যে, immediately পশ্চিমবঙ্গ হতে, ভারত হতে directly আনা হোক এবং পশ্চিম বঙ্গে লবণ এখানে আনতে গেলে করাচী হয়ে জাহাজ তারপর এখানে আসবে, এ নীতি বন্ধ করুন। সরাসরি লবণ আমদানীর ব্যবস্থা করুন। আর স্বরাষ্ট্র সচিবের হাতে পুলিশ আছে। কার ঘরে লবণ মজুত আছে তা তাঁর জানা উচিত। পুলিশ দিয়ে মজুত লবণ বের করে জনসাধারণের মধ্যে যাতে বিলি হয় তার বন্দোবস্ত করা উচিত। long-term scheme সম্বন্ধে বলবো যে, এই পূর্ববঙ্গে লবণ তৈরীর ব্যবস্থা করুন। এ সম্পর্কে আমি ব্যক্তিগতভাবে বারবার বাজেট বক্তৃতায় বলে আসছি। Proceedings তোলা ছাপা হয় না। (হচ্ছে, ছাপা হচ্ছে) কয় বৎসরের হয়েছে? বাজেট অধিবেশনে আমরা যে প্রস্তাব করি তা তো আপনারা আর দেখেন না। আমরা যে সব প্রস্তাব দিয়েছি সেই অনুসারে লবণ তৈরীর ব্যবস্থা করুন। নোয়াখালীতে বা সমুদ্র তীরে অনেক লবণ তৈরী হ’ত। কায়েদে মিল্লাত লিয়াকত আলী খান যখন ভারতের অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন তিনি লবনের উপর tax তুলে দিয়েছিলেন; জানি না কে আবার tax বসান হয়েছে। Income- tax ইত্যাদির জন্য নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ইত্যাদি জায়গায় যে, লবণ তৈরী হ’ত তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেগুলো receive করে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ তৈরী হতে পারে বা সরবরাহ হতে পারে তার ব্যবস্থা করুন এবং সে জন্য long term scheme করুন। সর্ব্বোপরি কেন্দ্রীয় সরকারের control ভেঙ্গে দিন। আপনারা শক্ত হ’ন। আপনারা পূর্ববঙ্গের শক্তিতে শক্তিমান হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বলুন যে আমাদের প্রয়োজনীয় লবণ তৈরীর জন্য তোমাদের লবণের উপর ট্যাক্স রহিত করতে হবে এবং লবণ decontrol করতে হবে। লবণের পূর্ণ দায়িত্ব আমাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।

 আজ লবণের সমস্যা দেখা দিয়েছে; এরপর সরিষার তেল, কেরোসিন তেল এবং নারিকেল তেলের সমস্যা এসে পড়লো বলে। সরিষা তেলের দাম দিন দিন বাড়ছে। পরিষদের অধিবেশন আর থাকবে না। তখন আপনারা একভাবে না একভাবে চালিয়ে যাবেন। প্রকাশ্যভাবে বাইরে আমাদের কিছু বলবার উপায় নাই; Special Power Ordinance ঘাড়ের উপর ঝুলছে। আপনারা হয়ত নির্ব্বিবাদে চালিয়ে যাবেন, কিন্তু তার বিষময় ফলের চিন্তা করবেন।

 Mr.Chairman (Al-haj Janab sharfuddin Ahmed): The house stands adjourned till 3p.m. tomorrow.

ADJOURNMENT

 The Assembly was then adjourned at 8-10 p.m. on Saturday, the 3rd November, 1951.