|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
রঘুপতি কহিলেন, “হাঁ।” |
|
রাজর্ষি وله مع؟ |
|
|
|
|
⚫ |
রঘুপতি কছিলেন, “হঁ৷ ” * রাজা কছিলেন, “তুমি অপরাধ স্বীকার করিতেছ?” রঘুপতি। অপরাধ ! অপরাধ কিসের ? আমি মায়ের আদেশ পালন করিতেছিলাম, মায়ের কার্য করিতেছিলাম, তুমি তাহার ব্যাঘাত করিয়াছ— অপরাধ তুমি করিয়াছ। আমি মায়ের সমক্ষে তোমাকে অপরাধী করিতেছি, তিনি তোমার বিচার করিবেন। |
|
|
|
রাজা কহিলেন, “তুমি অপরাধ স্বীকার করিতেছ?” |
⚫ |
রাজা তাহার কথার কোনো উত্তর না দিয়া কহিলেন, “আমার রাজ্যের নিয়ম এই— যে ব্যক্তি দেবতার উদ্দেশে জীববলি দিবে বা দিতে উদ্যত হইবে তাহার নির্বাসনদণ্ড । সেই দণ্ড আমি তোমার প্রতি প্রয়োগ করিলাম। আটবৎসরের জন্য তুমি নির্বাসিত হইলে । প্রহরীর তোমাকে আমার রাজ্যের বাহিরে রাখিয়া আসিবে ।” |
|
|
|
|
⚫ |
প্রহরীর রঘুপতিকে সভাগৃহ হইতে লইয়া যাইতে উদ্যত হইল । রঘুপতি তাহাদিগকে কছিলেন, “স্থির হও ।” রাজার দিকে চাহিয়া কহিলেন, “তোমার বিচার শেষ হইল— এখন আমি তোমার বিচার করিব, তুমি অবধান করে । চতুর্দশদেবতা-পূজার দুই রাত্রে যে -কেহ পথে বাহির হইবে পুরোহিতের কাছে সে দণ্ডিত হইবে, এই আমাদের মন্দিরের নিয়ম। সেই প্রাচীন নিয়ম-অনুসারে তুমি আমার নিকটে দণ্ডাহঁ ।” : |
|
|
⚫ |
রঘুপতি। অপরাধ! অপরাধ কিসের ! আমি মায়ের আদেশ পালন করিতেছিলাম, মায়ের কার্য করিতেছিলাম, তুমি তাহার ব্যাঘাত করিয়াছ– অপরাধ তুমি করিয়াছ– আমি মায়ের সমক্ষে তোমাকে অপরাধী করিতেছি, তিনি তোমার বিচার করিবেন। |
|
রাজা কহিলেন, “আমি তোমার দণ্ড গ্রহণ করিতে প্রস্তুত আছি।” agসভাসদের কহিলেন, “এ অপরাধের কেবল অর্থদণ্ড হইতে পারে ) " পুরোহিত কহিলেন, “আমি তোমার দুইলক্ষ মুদ্র দণ্ড করিতেছি। |
|
|
|
|
|
এখনি দিতে হইবে।” * _ |
|
|
⚫ |
রাজা তাঁহার কথার কোনো উত্তর না দিয়া কহিলেন, “আমার রাজ্যের নিয়ম এই, যে ব্যক্তি দেবতার উদ্দেশে জীববলি দিবে বা দিতে উদ্যত হইবে তাহার নির্বাসনদণ্ড। সেই দণ্ড আমি তোমার প্রতি প্রয়োগ করিলাম। আট বৎসরের জন্য তুমি নির্বাসিত হইলে। প্রহরীরা তোমাকে আমার রাজ্যের বাহিরে রাখিয়া আসিবে।” |
⚫ |
বুজা কিয়ৎক্ষণ ভাবিলেন ; পরে বলিলেন, “তথাস্ত ।” কোষাধ্যক্ষকে " ডাকিয়া হুইলক্ষ মুদ্র আদেশ করিয়া দিলেন। প্রহরীর রঘুপতিকে বাহিরে লইয়া গেল। > Q |
|
|
|
|
|
⚫ |
প্রহরীরা রঘুপতিকে সভাগৃহ হইতে লইয়া যাইতে উদ্যত হইল। রঘুপতি তাহাদিগকে কহিলেন, “স্থির হও।” রাজার দিকে চাহিয়া কহিলেন, “তোমার বিচার শেষ হইল, এখন আমি তোমার বিচার করিব, তুমি অবধান করো। চতুর্দশ দেবতা-পূজার দুই রাত্রে যে কেহ পথে বাহির হইবে , পুরোহিতের কাছে সে দণ্ডিত হইবে, এই আমাদের মন্দিরের নিয়ম। সেই প্রাচীন নিয়ম-অনুসারে তুমি আমার নিকটে দণ্ডার্হ।” |
|
|
|
|
|
রাজা কহিলেন, “আমি তোমার দণ্ড গ্রহণ করিতে প্রস্তুত আছি।” |
|
|
|
|
|
সভাসদেরা কহিলেন, “এ অপরাধের কেবল অর্থদণ্ড হইতে পারে।” |
|
|
|
|
|
পুরোহিত কহিলেন, “আমি তোমার দুই লক্ষ মুদ্রা দণ্ড করিতেছি। এখনি দিতে হইবে।” |
|
|
|
|
⚫ |
রাজা কিয়ৎক্ষণ ভাবিলেন পরে বলিলেন, “তথাস্তু।” কোষাধ্যক্ষকে ডাকিয়া দুই লক্ষ মুদ্রা আদেশ করিয়া দিলেন। প্রহরীরা রঘুপতিকে বাহিরে লইয়া গেল। |