|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
⚫ |
অত্যন্ত অনুভব করিতে লাগিলেন। |
|
ጫb” রাজর্ষি |
|
|
|
|
⚫ |
অত্যন্ত অহুভব করিতে লাগিলেন। o |
|
|
খুড়াসাহেব কহিলেন, “ঠিক বলিয়াছেন ঠাকুর, গোরুগুলো মরিয়া আজকাল মনুষ্যলোকে জন্মগ্রহণ করিতে আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু তাহাদের কাছ হইতে ঘি পাইবার প্রত্যাশা করা যায় না । মগজের সম্পূর্ণ অভাব। ঠাকুরের কোথা হইতে আসা হইতেছে ?” |
|
খুড়াসাহেব কহিলেন, “ঠিক বলিয়াছেন ঠাকুর, গোরুগুলো মরিয়া আজকাল মনুষ্যলোকে জন্মগ্রহণ করিতে আরম্ভ করিয়াছে, কিন্তু তাহাদের কাছ হইতে ঘি পাইবার প্রত্যাশা করা যায় না। মগজের সম্পূর্ণ অভাব। ঠাকুরের কোথা হইতে আসা হইতেছে?” |
|
|
|
⚫ |
রঘুপতি কহিলেন, “ত্রিপুরার রাজবাট হইতে।” বিজয়গড়ের বহিঃস্থিত ভারতবর্ষের ভূগোল অথবা ,ইতিহাস সম্বন্ধে খুড়াসাহেবের অতি সামান্ত জানা ছিল। বিজয়গড় ছাড়া ভারতবর্ষে জানিবার যোগ্য যে আর-কিছু আছে , তাহাও তাহার বিশ্বাস নহে। সম্পূর্ণ অহমানের উপর নির্ভর করিয়া বলিলেন, “আহা, ত্রিপুরার রাজা মস্ত রাজা ।” e |
|
|
|
রঘুপতি কহিলেন, “ত্রিপুরার রাজবাটী হইতে।” |
⚫ |
রঘুপতি তাহা সম্পূর্ণ অনুমোদন করিলেন। খুড়াসাহেব । ঠাকুরের কী করা হয় ? |
|
|
|
|
⚫ |
রঘুপতি। আমি ত্রিপুরার রাজপুরোহিত। খুড়াসাহেব চোখ বুজিয়া মাথা নাড়িয়া কহিলেন, “আহা ।” রঘুপতির |
|
|
⚫ |
বিজয়গড়ের বহিঃস্থিত ভারতবর্ষের ভূগোল অথবা ইতিহাস সম্বন্ধে খুড়াসাহেবের যৎসামান্য জানা ছিল। বিজয়গড় ছাড়া ভারতবর্ষে জানিবার যোগ্য যে আর-কিছু আছে তাহাও তাঁহারা বিশ্বাস নহে। সম্পূর্ণ অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া বলিলেন, “আহা, ত্রিপুরার রাজা মস্ত রাজা।” |
|
উপরে তাহার ভক্তি অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিল । |
|
|
|
|
⚫ |
“কি করিতে আসা হইয়াছে ?” রঘুপতি কছিলেন, "তীর্থ দৰ্শন করিতে।” ধুম্ করিয়া আওয়াজ হইল। শত্রুপক্ষ দুর্গ আক্রমণ করিয়াছে। খুড়াসাহেব হাসিয়া চোখ টিপিয়া কহিলেন, “ও কিছু নয়, ঢেলা ছুড়িতেছে।” বিজয়গড়ের উপরে খুড়াসাহেবের বিশ্বাস যত দৃঢ় বিজয়গড়ের পাষাণ তত দৃঢ় নহে। বিদেশী পথিক ত্বর্গের মধ্যে প্রবেশ করিলেই খুড়াসাহেব তাহাকে সম্পূর্ণ অধিকার করিয়া বসেন এবং বিজয়গড়ের - মাহাত্ম্য তাহার মনে বদ্ধমূল করিয়া দেন। ত্রিপুরার রাজবাট হইতে রঘুপতি আসিয়াছেন, এমন অতিথি সচরাচর মেলে না— খুড়াসাহেব |
|
|
⚫ |
রঘুপতি তাহা সম্পূর্ণ অনুমোদন করিলেন। |
|
|
|
|
|
খুড়াসাহেব। ঠাকুরের কী করা হয়? |
|
|
|
|
|
রঘুপতি। আমি ত্রিপুরার রাজপুরোহিত। |
|
|
|
|
⚫ |
খুড়াসাহেব চোখ বুজিয়া মাথা নাড়িয়া কহিলেন, “আহা !” রঘুপতির উপরে তাঁহার ভক্তি অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিল। |
|
|
|
|
|
“কী করিতে আসা হইয়াছে?” |
|
|
|
|
|
রঘুপতি কহিলেন, “তীর্থদর্শন করিতে।” |
|
|
|
|
⚫ |
ধুম করিয়া আওয়াজ হইল। শত্রুপক্ষ দুর্গ আক্রমণ করিয়াছে। খুড়াসাহেব হাসিয়া চোখ টিপিয়া কহিলেন, “ও কিছু নয়, ঢেলা ছুঁড়িতেছে।” বিজয়গড়ের উপরে খুড়াসাহেবের বিশ্বাস যত দৃঢ় , বিজয়গড়ের পাষাণ তত দৃঢ় নহে। বিদেশী পথিক দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিলেই খুড়াসাহেব তাহাকে সম্পূর্ণ অধিকার করিয়া বসেন এবং বিজয়গড়ের মাহাত্ম্য তাহার মনে বদ্ধমূল করিয়া দেন। ত্রিপুরার রাজবাটী হইতে রঘুপতি আসিয়াছেন, এমন অতিথি সচরাচর মেলে না, খুড়াসাহেব |