পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১০৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
রঘুপতি কহিলেন, “গোবিন্দমাণিক্যকে নির্বাসিত করিয়া তাঁহার স্থলে নক্ষত্ররায়কে রাজা করিয়া দিতে আজ্ঞা হউক।”
১০২ রাজর্ষি

রঘুপতি কহিলেন,"গোবিন্দ্রমাণিক্যকে নির্বাসিত করিয়ার্তাহার স্বলে নক্ষত্ররায়কে রাজা করিয়া দিতে আজ্ঞা হউক ৷”
যদিও সুজা নিজের ভ্রাতার সিংহাসনে হস্তক্ষেপ করিতে কিছুমাত্র সংকুচিত হন না, তথাপি এ স্থলে ভঁাহার মনে কেমন আপত্তি উপস্থিত হইল। কিন্তু রঘুপতির প্রার্থনা পূরণ করাই তাহার আপাতত সকলের চেয়ে সহজ বোধ হইল— নহিলে রঘুপতি বিস্তর বকাবকি করিবে এই তাহার ভয়। বিশেষতঃ দেড়লক্ষ টাকা নজরের উপরেও অধিক আপত্তি করা ভালো দেখায় না, এইরূপ র্তাহার মনে হইল । তিনি বলিলেন, *আচ্ছা, গোবিন্দমাণিক্যের নির্বাসন এবং নক্ষত্ররায়ের রাজ্যপ্রাপ্তির পরোয়ানা-পত্র তোমাদের সঙ্গে দিব, তোমরা লইয়া যাও।”
যদিও সুজা নিজে ভ্রাতার সিংহাসনে হস্তক্ষেপ করিতে কিছুমাত্র সংকুচিত হন না, তথাপি এ স্থলে তাঁহার মনে কেমন আপত্তি উপস্থিত হইল। কিন্তু রঘুপতির প্রার্থনা পূরণ করাই তাঁহার আপাতত সকলের চেয়ে সহজ বোধ হইল– নহিলে রঘুপতি বিস্তর বকাবকি করিবে এই তাঁহার ভয়। বিশেষত দেড় লক্ষ টাকা নজরের উপরেও অধিক আপত্তি করা ভালো দেখায় না এইরূপ তাঁহার মনে হইল। তিনি বলিলেন, “আচ্ছা, গোবিন্দমাণিক্যের নির্বাসন এবং নক্ষত্ররায়ের রাজ্যপ্রাপ্তির পরোয়ানা-পত্র তোমাদের সঙ্গে দিব, তোমরা লইয়া যাও।”

রঘুপতি কহিলেন, “বাদশাহের কতিপয় সৈন্তও সঙ্গে দিতে হইবে।” সুজা দৃঢ়স্বরে কহিলেন, “না, না, না— তাহা হইবে না, যুদ্ধবিগ্ৰহ করিতে পারিব না ।”
রঘুপতি কহিলেন, “বাদশাহের কতিপয় সৈন্যও সঙ্গে দিতে হইবে।”
রঘুপতি কহিলেন, “যুদ্ধের ব্যয়স্বরূপ আরও ছত্রিশ হাজার টাকা আমি রাখিয়া যাইতেছি। এবং ত্রিপুরায় নক্ষত্ররায় রাজা হইবা মাত্র এক বৎসরের খাজনা সেনাপতির হাত দিয়া পাঠাইয়া দিব ।”

এই প্রস্তাব সুজার অতিশয় যুক্তিসংগত বোধ হইল,এবং অমাত্যেরাও তাহার সহিত একমত হইল। একদল মোগল সৈন্ত সঙ্গে লইয়া রঘুপতি ও নক্ষত্ররায় ত্রিপুরাভিমুখে যাত্রা করিলেন ।
সুজা দৃঢ়স্বরে কহিলেন, “না, না, না– তাহা হইবে না, যুদ্ধবিগ্রহ করিতে পারিব না।”
উনত্রিংশ পরিচ্ছেদ

এই উপন্যাসের আরম্ভকাল হইতে এখন দুই বৎসর হইয়া গিয়াছে। ধ্রুব তখন দুই বৎসরের বালক ছিল, এখন তাহার বয়স চার বৎসর। এখন ' লে বিস্তর কথা শিখিয়াছে। এখন তিনি আপনাকে ভারি মূন্ত লোক জ্ঞান করেন ; সকল কথা যদিও স্পষ্ট বলিতে পারেন না, কিন্তু অত্যন্ত
রঘুপতি কহিলেন, “যুদ্ধের ব্যয়স্বরূপ আরও ছত্রিশ হাজার টাকা আমি রাখিয়া যাইতেছি। এবং ত্রিপুরায় নক্ষত্ররায় রাজা হইবামাত্র এক বৎসরের খাজনা সেনাপতির হাত দিয়া পাঠাইয়া দিব।”

প্রস্তাব সুজার অতিশয় যুক্তিসংগত বোধ হইল, এবং অমাত্যেরাও তাঁহার সহিত একমত হইল। একদল মোগল-সৈন্য সঙ্গে লইয়া রঘুপতি ও নক্ষত্ররায় ত্রিপুরাভিমুখে যাত্রা করিলেন।
<section begin="28" /><section end="28" />
<section begin="29" />{{কেন্দ্র|{{x-larger|উনত্রিংশ পরিচ্ছেদ}}}}

এই উপন্যাসের আরম্ভকাল হইতে এখন দুই বৎসর হইয়া গিয়াছে। ধ্রুব তখন দুই বৎসরের বালক ছিল। এখন তাহার বয়স চার বৎসর। এখন সে বিস্তর কথা শিখিয়াছে। এখন তিনি আপনাকে ভারী মস্ত লোক জ্ঞান করেন; সকল কথা যদিও স্পষ্ট বলিতে পারেন না, কিন্তু অত্যন্ত <section end="29" />