পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১২৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
হাসিলেন না। তাঁহার মনে হইল যেন বালকের মুখে তিনি দৈববাণী শুনিলেন।
છે ૨૨ রাজর্ষি

হাসিলেন না । তাহার মনে হইল, যেন বালকের মুখে তিনি দৈববাণী শুনিলেন । t",
তিনি অসঙ্গিন্ধ স্বরে বলিয়া উঠিলেন,“ঠাকুর, আমি স্থির করিয়াছি এ রক্তপাত আমি ঘটতে দিব না, আমি যুদ্ধ করিব না।”
তিনি অসন্দিগ্ধ স্বরে বলিয়া উঠিলেন, “ঠাকুর, আমি স্থির করিয়াছি এ রক্তপাত আমি ঘটিতে দিব না, আমি যুদ্ধ করিব না।”

বিম্বন ঠাকুর কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রছিলেন। অবশেষে কহিলেন, “মহারাজের যদি যুদ্ধ করিতেই আপত্তি থাকে তবে আর এক কাজ করুন। আপনি নক্ষত্ররায়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহাকে যুদ্ধ হইতে বিরত করুন ।”
বিল্বন ঠাকুর কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন। অবশেষে কহিলেন, “মহারাজের যদি যুদ্ধ করিতেই আপত্তি থাকে, তবে আর-এক কাজ করুন। আপনি নক্ষত্ররায়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাঁহাকে যুদ্ধ হইতে বিরত করুন।”
গোবিন্দমাণিক্য কহিলেন, “ইহাতে আমি সম্মত আছি ।”

বিল্বন কহিলেন, “তবে সেইরূপ প্রস্তাব লিখিয়া নক্ষত্ররায়ের নিকট পাঠানো হউক ৷”
গোবিন্দমাণিক্য কহিলেন, “ইহাতে আমি সম্মত আছি।”

বিল্বন কহিলেন, “তবে সেইরূপ প্রস্তাব লিখিয়া নক্ষত্ররায়ের নিকট পাঠানো হউক।”

অবশেষে তাহাই স্থির হইল।
অবশেষে তাহাই স্থির হইল।
<section begin="33" /><section end="33" />
চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ
<section begin="34" />{{x-larger|{{কেন্দ্র|চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ}}}}
নক্ষত্ররায় সৈন্ত লইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন, কোথাও তিলমাত্র বাধা পাইলেন না। ত্রিপুরার যে গ্রামেই তিনি পদার্পণ করিলেন সেই গ্রামেই তাহাকে রাজা বলিয়া বরণ করিতে লাগিল। পদে পদে রাজত্বের আস্বাদ পাইতে লাগিলেন, ক্ষুধা আরও বাড়িতে লাগিল ; চারি দিকের বিস্তৃত ক্ষেত্র গ্রাম, পর্বতশ্রেণী, নদী, সমস্তই আমার’ বলিয়া মনে হইতে লাগিল এবং সেই অধিকার-ব্যাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নিজেও যেন অনেক দূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত হইয়া অত্যন্ত প্রশস্ত হইয়া পড়িতে লাগিলেন । মোগলসৈন্তেরা যাহা চায় তিনি তাহাই তাহাদিগকে লইতে আলী-হুকুম দিয়া দিলেন। মনে হইল, ‘এ-সমস্তই আমার এবং ইহারা আমারই রাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। ইহা-, দিগকে,কোনো মুখ হইতে বঞ্চিত করা হইবে না; স্বস্থানে ফিরিয়া গিয়া

মোগলেরা তাহার আতিথ্যের ও রাজবৎ উদারতা ও বদান্ততার অনেক
নক্ষত্ররায় সৈন্য লইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন, কোথাও তিলমাত্র বাধা পাইলেন না। ত্রিপুরার যে গ্রামেই তিনি পদার্পণ করিলেন সেই গ্রামই তাঁহাকে রাজা বলিয়া বরণ করিতে লাগিল। পদে পদে রাজত্বের আস্বাদ পাইতে লাগিলেন– ক্ষুধা আরও বাড়িতে লাগিল, চারি দিকের বিস্তৃত ক্ষেত্র, গ্রাম, পর্বতশ্রেণী, নদী সমস্তই ‘আমার’ বলিয়া মনে হইতে লাগিল এবং সেই অধিকারব্যাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নিজেও যেন অনেক দূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত হইয়া অত্যন্ত প্রশস্ত হইয়া পড়িতে লাগিলেন। মোগল-সৈন্যরা যাহা চায় তিনি তাহাই তাহাদিগকে লইতে আলী-হুকুম দিয়া দিলেন। মনে হইল -সমস্তই আমার এবং ইহারা আমারই রাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। ইহাদিগকে কোনো সুখ হইতে বঞ্চিত করা হইবে না– স্বস্থানে ফিরিয়া গিয়া মোগলেরা তাঁহার আতিথ্যের ও রাজবৎ উদারতা ও বদান্যতার অনেক <section end="34" />