পাতা:গল্পগুচ্ছ (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৮৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Ahad.a007 (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||রাসমণির ছেলে|৫৯৩}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}ভবানীচরণ কহিলেন, “দেখ নাই! ও চুপ করিয়া বসিয়া থাকে। কী যেন ভাবে।”
রাসমণির ছেলে 4షిళి
<br>
ভবানীচরণ কহিলেন, “দেখ নাই! ও চুপ করিয়া বসিয়া থাকে। কী যেন ভাবে।” রাসমণি কহিলেন, “ও একদণ্ড চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে আমি তো বাঁচতাম। ওর আবার ভাবনা! কোথায় কী দন্টামি করিতে হইবে, ও সেই কথাই ভাবে।”
{{gap}}রাসমণি কহিলেন, “ও একদণ্ড চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে আমি তাে বাঁচতাম।
দাগ প্রাচীরের এ দিকটাতেও কোনো দলবলতা দেখা গেল না— পাথরের উপরে গোলার দাগও বসিল না। নিশবাস ফেলিয়া মাথায় হাত বলাইতে বলাইতে ভবানীচরণ বাহিরে চলিয়া আসিলেন। একলা ঘরের দাওয়ায় বসিয়া খুব কষিয়া তামাক খাইতে লাগিলেন।
ওর আবার ভাবনা! কোথায় কী দুষ্টামি করিতে হইবে, ও সেই কথাই ভাবে।”
পঞ্চমীর দিনে তাঁহার পাতে দই পায়স অমনি পড়িয়া রহিল। সন্ধ্যাবেলায় শধে একটা সন্দেশ খাইয়াই জল খাইলেন, লুচি ছুইতে পারলেন না। বলিলেন, ক্ষুধা একেবারেই নাই । - এবার দাগ প্রাচীরে মন্ত একটা ছিদ্র দেখা দিল । ষষ্ঠীর দিনে রাসমণি স্বয়ং কালীপদকে নিভৃতে ডাকিয়া লইয়া তাহার অাদরের ডাক-নাম ধরিয়া বলিলেন, “ভেট, তোমার এত বয়স হইয়াছে, তব তোমার অন্যায় আবদার ঘুচিল না ! ছি ছি! যেটা পাইবার উপায় নাই সেটাকে লোভ করিলে অধোক চুরি করা হয়, তা জান!”
<br>
কালীপদ নাকী সরে কহিল, “আমি কী জানি। বালা যে বলিয়াছেন, ওটা আমাকে দেবেন ।”
{{gap}}দুর্গপ্রাচীরের এ দিকটাতেও কোনাে দুর্বলতা দেখা গেল না— পাথরের উপরে
তখন বাবার বলার অর্থ কী রাসমণি তাহা কালীপদকে বঝাইতে বসিলেন। পিতার এই বলার মধ্যে যে কত স্নেহ, কত বেদনা, অথচ এই জিনিসটা দিতে হইলে তাঁহাদের দরিদ্রঘরের কত ক্ষতি, কত দঃখ, তাহা অনেক করিয়া বলিলেন। রাসমণি এমন করিয়া কোনোদিন কালীপদকে কিছল বঝোন নাই—তিনি যাহা করিতেন, খব সংক্ষেপে এবং জোরের সঙ্গেই করিতেন— কোনো আদেশকে নরম করিয়া তুলিবার আবশ্যকই তাঁর ছিল না। সেইজনা কালীপদকে তিনি যে আজ এমনি মিনতি করিয়া, এত বিস্তারিত করিয়া কথা বলিতেছেন তাহাতে সে আশচষ হইয়া গেল, এবং মাতার মনেল এক জায়গায় যে কতটা দরদ আছে বালক হইয়াও এক রকম করিয়া সে তাহা বঝিতে পারিল। কিন্তু, মেমের দিক হইতে মন এক মহতে ফিরাইয়া আনা কত কঠিন, তাহা বয়স্ক পাঠকদের বাকিতে কষ্ট হইবে না। তাই কালীপদ মুখ অত্যন্ত গম্ভীর করিয়া একটা কাঠি লইয়া মাটিতে অচিড় কাটিতে লাগিল ।
গােলার দাগও বসিল না। নিশ্বাস ফেলিয়া মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে ভবানীচরণ
তখন রাসমণি আবার কঠিন হইষা উঠিলেন: কঠোর স্বরে কহিলেন, “তুমি রাগই কব আর কাশ্লাকাটিই কর, যাহা পাইলার নয় তাহা কোনোমতেই পাইবে না।”
বাহিরে চলিয়া আসিলেন। একলা ঘরের দাওয়ায় বসিয়া খুব কষিয়া তামাক খাইতে
এই বলিয়া আর ব্যথা সময় নষ্ট না করিয়া দ্বতপদে গহকমে চলিয়া গেলেন। কালীপদ বাহিরে গেল। তখন ভবানীচরণ একলা বসিয়া তামাক খাইতেছিলেন । দর হইতে কালীপদকে দেখিয়াই তিনি তাড়াতাড়ি উঠিয়া যেন একটা বিশেষ কাজ আছে এমনি ভাবে কোথায় চলিলেন। কালীপদ ছটিয়া আসিয়া কহিল, “বাবা, আমার সেই মেম—-
লাগিলেন।
আজ আর ভবানীচরণের মখে হাসি বাহির হইল না; কালীপদর গলা জড়াইয়া ধরিয়া কহিলেন, “রোস বাবা, আমার একটা কাজ আছে—সেরে আসি, তার পরে সব কথা হবে।”—বলিয়া তিনি বাড়ির বাহির হইয়া পড়িলেন। কালীপদর মনে शशैल, उिनि zश्न उठाफ़ाष्ठाफ़ि फ़ाथ शईटऊ अल प्रदाझा यजिटलन ।
<br>
{{gap}}পঞ্চমীর দিনে তাঁহার পাতে দই পায়স অমনি পড়িয়া রহিল। সন্ধ্যাবেলায় শুধু
একটা সন্দেশ খাইয়াই জল খাইলেন, লুচি ছু‘ইতে পারিলেন না। বলিলেন, ক্ষুধা
একেবারেই নাই।
<br>
{{gap}}এবার দুর্গপ্রাচীরে মস্ত একটা ছিদ্র দেখা দিল। যষ্ঠীর দিনে রাসমণি স্বয়ং
কালীপদকে নিভৃতে ডাকিয়া লইয়া তাহার আদরের ডাক-নাম ধরিয়া বলিলেন, “ভে‘টু,
তােমার এত বয়স হইয়াছে, তবু তোমার অন্যায় আবদার ঘুচিল না! ছি ছি!
যেটা পাইবার উপায় নাই সেটাকে লােভ করিলে অর্ধেক চুরি করা হয়, তা জান!”
<br>
{{gap}}কালীপদ নাকী সুরে কহিল, “আমি কী জানি। বাবা যে বলিয়াছেন, ওটা
আমাকে দেবেন।”
<br>
{{gap}}তখন বাবার বলার অর্থ কী রাসমণি তাহা কালীপদকে বুঝাইতে বসিলেন।
পিতার এই বলার মধ্যে যে কত স্নেহ, কত বেদনা, অথচ এই জিনিসটা দিতে হইলে
তাঁহাদের দরিদ্রঘরের কত ক্ষতি, কত দুঃখ, তাহা অনেক করিয়া বলিলেন। রাসমণি
এমন করিয়া কোনােদিন কালীপদকে কিছু বুঝান নাই— তিনি যাহা করিতেন, খুব
সংক্ষেপে এবং জোরের সঙ্গেই করিতেন— কোনাে আদেশকে নরম করিয়া তুলিবার
আবশ্যকই তাঁর ছিল না। সেইজন্য কালীপদকে তিনি যে আজ এমনি মিনতি করিয়া,
এত বিস্তারিত করিয়া কথা বলিতেছেন তাহাতে সে আশ্চর্য হইয়া গেল, এবং মাতার
মনের এক জায়গায় যে কতটা দরদ আছে বালক হইয়াও এক রকম করিয়া সে তাহা
বুঝিতে পারিল। কিন্তু, মেমের দিক হইতে মন এক মুহূর্তে ফিরাইয়া আনা কত
কঠিন, তাহা বয়স্ক পাঠকদের বুঝিতে কষ্ট হইবে না। তাই কালীপদ মুখ অত্যন্ত
গম্ভীর করিয়া একটা কাঠি লইয়া মাটিতে আঁচড় কাটিতে লাগিল।
<br>
{{gap}}তখন রাসমণি আবার কঠিন হইয়া উঠিলেন; কঠোর স্বরে কহিলেন, “তুমি রাগই
কর আর কান্নাকাটিই কর, যাহা পাইবার নয় তাহা কোনােমতেই পাইবে না।”
<br>
{{gap}}এই বলিয়া আর বৃথা সময় নষ্ট না করিয়া দ্রুতপদে গৃহকর্মে চলিয়া গেলেন।
<br>
{{gap}}কালীপদ বাহিরে গেল। তখন ভবানীচরণ একলা বসিয়া তামাক খাইতেছিলেন।
দূর হইতে কালীপদকে দেখিয়াই তিনি তাড়াতাড়ি উঠিয়া যেন একটা বিশেষ কাজ
আছে এমনি ভাবে কোথায় চলিলেন। কালীপদ ছুটিয়া আসিয়া কহিল, “বাবা,
আমার সেই মেম—”
<br>
{{gap}}আজ আর ভবানীচরণের মুখে হাসি বাহির হইল না; কালীপদর গলা জড়াইয়া
ধরিয়া কহিলেন, “রোস্ বাবা, আমার একটা কাজ আছে— সেরে আসি, তার পরে
সব কথা হবে।”— বলিয়া তিনি বাড়ির বাহির হইয়া পড়িলেন। কালীপদর মনে
হইল, তিনি যেন তাড়াতাড়ি চোখ হইতে জল মুছিয়া ফেলিলেন।