পাতা:সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Pmlineditor (আলোচনা | অবদান) →বৈধকরণ: + |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | বৈধকরণ | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১৩ নং লাইন: | ১৩ নং লাইন: | ||
{{gap}}কোনাে সাহিত্যওয়ালা কখনো সাক্ষীর ভয় করে না। আসল কথা আমার গল্পটা ফুটে উঠতে যুগান্তরের দরকার করবে। কেন, সেইটে বুঝিয়ে বলি। |
{{gap}}কোনাে সাহিত্যওয়ালা কখনো সাক্ষীর ভয় করে না। আসল কথা আমার গল্পটা ফুটে উঠতে যুগান্তরের দরকার করবে। কেন, সেইটে বুঝিয়ে বলি। |
||
{{gap}}পৃথিবী-সৃষ্টির গোড়াকার মালমসলা ছিল পাথর লোহা প্রভৃতি মােটা মােটা ভারি ভারি জিনিষ। তারই ঢালাই পেটাই চলেছিল অনেককাল । কঠোরের বেআব্রুতা ছিল বহুযুগ ধ’রে। অবশেষে নরমমাটি পৃথিবীকে শ্যামল আস্তরণে ঢাকা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার যেন লজ্জা রক্ষা করলে। তখন জীবজন্তু আসরে নামল স্তুপাকার হাড় মাংসের বােঝাই নিয়ে ; মােটা মােটা বৰ্ম্ম প’রে তারা দুশো পাঁচশো মোণ অসভ্য ল্যাজ টেনে টেনে বেড়াতে লাগল। তারা ছিল দর্শনধারী জীব। কিন্তু সেই মাংসবাহীর দল |
{{gap}}পৃথিবী-সৃষ্টির গোড়াকার মালমসলা ছিল পাথর লোহা প্রভৃতি মােটা মােটা ভারি ভারি জিনিষ। তারই ঢালাই পেটাই চলেছিল অনেককাল । কঠোরের বেআব্রুতা ছিল বহুযুগ ধ’রে। অবশেষে নরমমাটি পৃথিবীকে শ্যামল আস্তরণে ঢাকা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার যেন লজ্জা রক্ষা করলে। তখন জীবজন্তু আসরে নামল স্তুপাকার হাড় মাংসের বােঝাই নিয়ে ; মােটা মােটা বৰ্ম্ম প’রে তারা দুশো পাঁচশো মোণ অসভ্য ল্যাজ টেনে টেনে বেড়াতে লাগল। তারা ছিল দর্শনধারী জীব। কিন্তু সেই মাংসবাহীর দল সৃষ্টিকর্ত্তার পছন্দসই হােলো না। আবার চলল বহু যুগ ধরে নিষ্ঠুর পরীক্ষা। শেষকালে এল মনােবাহী মানুষ। ল্যাজের বাহুল্য গেল ঘুচে, হাড়মাংস হােলো পরিমিত, কড়া চামড়াটা নরম হয়ে এল ত্বকে। না রইল শিং, না রইল ক্ষুর, না রইল |