পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh||প্রতিহিংসা|৩১৩}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
⚫ | সেইজন্য কাহারও কাছে প্রকাশ করিতে চাহিতেন না। বিশেষত অম্বিকাচরণকে তিনি একটু বিশেষ লজ্জা করিতেন; অম্বিকা পাছে মনে করেন, তিনি টাকাগুলাে নষ্ট করিতে বসিয়াছেন, সেজন্য মনে মনে সংকুচিত ছিলেন। অম্বিকার নিকট তিনি এমন ভাবে থাকিতেন যেন অম্বিকাই জমিদার এবং তিনি কেবল বসিয়া থাকিবার জন্য বার্ষিক কিছু বেতন পাইতেন। |
||
প্রতিহিংসা $$ళ |
|||
⚫ | |||
নিমন্ত্রণের পরদিন হইতে নয়নতারা তাঁহার স্বামীর কানে মন্ত্র দিতে |
{{gap}}নিমন্ত্রণের পরদিন হইতে নয়নতারা তাঁহার স্বামীর কানে মন্ত্র দিতে লাগিলেন- “তুমি তাে নিজে কিছুই দেখ না, তােমাকে অম্বিকা হাত তুলিয়া যাহা দেয় তাহাই তুমি শিরােধার্য করিয়া লও; এ দিকে ভিতরে ভিতরে কী সর্বনাশ হইতেছে তাহা কেহই জানে না। তােমার ম্যানেজারের স্ত্রী যা গয়না পরিয়া আসিয়াছিল, এমন গয়না তােমার ঘরে আসিয়া আমি কখনও চক্ষেও দেখি নাই। এ-সব গয়না সে পায় কোথা হইতে এবং এত দেমাকই বা তাহার বাড়িল কিসের জোরে” ইত্যাদি ইত্যাদি। গহনার বর্ণনা নয়নতারা অনেকটা অতিরঞ্জিত করিয়া বলিল, এবং ইন্দ্রাণী নিজমুখে তাহার দাসীকে কী-সকল কথা বলিয়া গেছে তাহাও সে বহুল পরিমাণে রচনা করিয়া গেল। |
||
{{gap}}বিনােদ দুর্বল প্রকৃতির লােক-এক দিকে সে পরের প্রতি নির্ভর না করিয়াও থাকিতে পারে না, অপর দিকে যে তাহার কানে যেরূপ সন্দেহ তুলিয়া দেয় সে তাহাই বিশ্বাস করিয়া বসে। ম্যানেজার যে চুরি করিতেছে মুহূর্তকালের মধ্যেই এ বিশ্বাস তাহার দৃঢ় হইল। বিশেষত কাজ সে নিজে দেখে না বলিয়া কল্পনায় সে নানাপ্রকার বিভীষিকা দেখিতে লাগিল—অথচ কেমন করিয়া ম্যানেজারের চুরি ধরিতে হইবে তাহারও রাস্তা সে জানে না। স্পষ্ট করিয়া তাহাকে কিছু বলিতে পারে এমন সাহস নাই—মহা মুশকিল হইল। |
|||
{{gap}}অম্বিকাচরণের একাধিপত্যে কর্মচারীগণ সকলেই ঈর্ষান্বিত ছিল। বিশেষত গৌরীকান্ত তাঁহার যে দুরসম্পর্কীয় ভাগিনেয় বামাচরণকে কাজ দিয়াছিলেন অম্বিকার প্রতি বিদ্বেষ তাহারই সর্বাপেক্ষা অধিক ছিল। কারণ, সম্পর্ক প্রভৃতি অনুসারে সে নিজেকে অধিকার সমান জ্ঞান করিত এবং অম্বিকা তাহার আত্মীয় হইয়াও কেবলমাত্র ঈর্ষাবশতই তাহাকে উচ্চপদ দিতেছে না, এ ধারণা তাহার দৃঢ় ছিল। পদ পাইলেই পদের উপযুক্ত যোগ্যতা আপনি জোগায় এই তাহার মত। বিশেষত ম্যানেজারের কাজকে সে অত্যত তুচ্ছ জ্ঞান করিত; বলিত, সেকালে রথের উপর যেমন ধ্বজা থাকিত, আজকাল আপিসের কাজে ম্যানেজার সেইরূপ ঘোড়া বেটা খাটিয়া মরে আর ধ্বজামহাশয় রথের সঙ্গে সঙ্গে কেবল দর্পভরে দুলিতে থাকেন। |
|||
বিনোদ ইতিপবে কাজকমের কোনো খোঁজখবর লইত না-কেবল যখন ব্যাবসা फेनणक श्ठाए जानक छैकब्र थाब्राजन श्रेष्ठ उथन गानन थाजकिक छाकिब्रा जिजाना कब्रिउ, ७थम उशकरण कठ ऎका चारह। थाजकि ऐोकब्र नब्रिभाभ बलिष्ण र्काि¥९ हेछन्।उठ कौंक्रम्ना न झैकाप्ने क्राश्म्लिा हर्काजउ-एक्न उाश ऋद्ध छौका। थाछाकि ठाशव्र निक जहे जहेका छैोक पिउ, उाशबगळा किएकाण शत्रब अम्बिकायादव मिक बिनाम कृ*िउ श्ञा वाकिठ। कानामरठ ठाँशन अश्लि नार्कर ना हऐलहे चाम्राश्न हयाक्ष कौंग्रज्र। * |
|||
{{gap}}বিনােদ ইতিপূর্বে কাজকর্মের কোনাে খোঁজখবর লইত না—কেবল যখন ব্যাবসা উপলকে হঠাৎ অনেক টাকার প্রয়ােজন হইত তখন গােপনে খাজাঞ্চিকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিত, এখন তহবিলে কত টাকা আছে। খাজাঞ্চি টাকার পরিমাণ বলিলে কিঞ্চিৎ ইতস্তত করিয়া সে টাকাটা চাহিয়া ফেলিত-যেন তাহা পরের টাকা। খাজাঞ্চি তাহার নিকট সই লইয়া টাকা দিত, তাহার পরে কিছুকাল ধরিয়া অম্বিকাবাবুর নিকট বিনােদ কুণ্ঠিত হইয়া থাকিত। কোনােমতে তাহার সহিত সাক্ষাৎ না হইলেই আরাম বােধ করিত। |
|||
{{nop}} |
|||
{{nop}} |