পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩৮৪|গল্পগুচ্ছ|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{কেন্দ্র|{{larger|রাজটিকা}}}}
otyS - গল্পগাছ
নবেন্দুশেখরের সহিত অরুণলেখার যখন বিবাহ হইল, তখন হােমধূমের অন্তরাল হইতে ভগবান প্রজাপতি ঈষৎ একটু হাস্য করিলেন। হায়, প্রজাপতির পক্ষে যাহা খেলা আমাদের পক্ষে তাহা সকল সময়ে কৌতুকের নহে।
ब्राछोप्नेका

নবেন্দশেখরের সহিত অরণলেখার যখন বিবাহ হইল, তখন হোমধামের অন্তরাল হইতে ভগবান প্রজাপতি ঈষৎ একট হাস্য করিলেন। হায়, প্রজাপতির পক্ষে যাহা খেলা আমাদের পক্ষে তাহা সকল সময়ে কৌতুকের নহে।
নবেন্দশেখরের পিতা পণেন্দ্যশেখর ইংরাজরাজ-সরকারে বিখ্যাত। তিনি এই ভবসমপ্লে কেবলমাত্র দ্রুতবেগে সেলাম-চালনা-বারা রায়বাহাদর পদবীর উত্তঙ্গ মরকেলে উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন; আরও দগমতর সম্মানপথের পাথেয় তাঁহার ছিল, কিন্তু পঞ্চান্ন বৎসর বয়ঃক্রমকালে অনতিদরেবতী রাজখেতাবের কুহেলিকাচ্ছন্ন গিরিচড়ার প্রতি করণ লোলুপ দটি স্থিরনিবন্ধ করিয়া এই রাজানগহীত ব্যক্তি অকস্মাৎ খেতাববজিত লোকে গমন করিলেন এবং তাঁহার বহল-সেলাম-শিথিল গ্রীবাশ্নথি শমশানশষ্যায় বিশ্রাম লাভ করিল।
{{gap}}নবেন্দুশেখরের পিতা পূর্ণেন্দুশেখর ইংরাজরাজ-সরকারে বিখ্যাত। তিনি এই ভবসমুদ্রে কেবলমাত্র দ্রুতবেগে সেলাম-চালনা-দ্বারা রায়বাহাদুর পদবীর উত্তুঙ্গ মরুকূলে উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন; আরও দুর্গমতর সম্মানপথের পাথেয় তাঁহার ছিল, কিন্তু পঞ্চান্ন বৎসর বয়ঃক্রমকালে অনতিদূরবর্তী রাজখেতাবের কুহেলিকাচ্ছন্ন গিরি-চূড়ার প্রতি করুণ লােলুপ দৃষ্টি স্থিরনিবদ্ধ করিয়া এই রাজানুগৃহীত ব্যক্তি অকস্মাৎ খেতাববর্জিত লােকে গমন করিলেন এবং তাঁহার বহু-সেলাম-শিথিল গ্রীবাগ্রন্থি শ্মশানশয্যায় বিশ্রাম লাভ করিল।

কিন্তু, বিজ্ঞানে বলে, শক্তির স্থানান্তর ও রূপান্তর আছে,নাশ নাই– চঞ্চলা লক্ষীর আচঞ্চলা সখী সেলামশক্তি পৈতৃক কন্ধ হইতে পাত্রের কন্ধে অবতীর্ণ হইলেন এবং নবেন্দর নবীন মন্তক তরঙ্গতাড়িত কুমান্ডের মতো ইংরাজের বারে স্বারে অবিশ্রাম উঠিতে পড়িতে লাগিল । e
{{gap}}কিন্তু, বিজ্ঞানে বলে,শক্তির স্থানান্তর ও রূপান্তর আছে, নাশ নাই—চঞ্চলা লক্ষ্মীর অচঞ্চলা সখী সেলামশক্তি পৈতৃক স্কন্ধ হইতে পুত্রের স্কন্ধে অবতীর্ণ হইলেন এবং নবেন্দুর নবীন মস্তক তরঙ্গতাড়িত কুষ্মাণ্ডের মতাে ইংরাজের দ্বারে দ্বারে অবিশ্রাম উঠিতে পড়িতে লাগিল।
নিঃসন্তান অবস্থায় ইহার প্রথম সন্ত্রীর মৃত্যু হইলে যে পরিবারে ইনি দ্বিতীয় দারপরিগ্রহ করিলেন সেখানকার ইতিহাস ভিন্নপ্রকার।

সে পরিবারের বড়োভাই প্রমথনাথ পরিচিতবগের প্রীতি এবং আত্মীয়বগের আদরের স্থল ছিলেন। বাড়ির লোকে এবং পাড়ার পাঁচজনে তাঁহাকে সব বিষয়ে অনুকরণস্থল বলিয়া জানিত।
{{gap}}নিঃসন্তান অবস্থায় ইঁহার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হইলে যে পরিবারে ইনি দ্বিতীয় দারপরিগ্রহ করিলেন সেখানকার ইতিহাস ভিন্নপ্রকার।
প্রমথনাথ বিদ্যায় বি. এ. এবং বৃদ্ধিতে বিচক্ষণ ছিলেন, কিন্তু মোটা মাহিনা বা জোর কলমের ধার ধারিতেন না; মরবির বলও তাঁহার বিশেষ ছিল না, কারণ, ইংরাজ তাঁহাকে যে পরিমাণ দরে রাখিত তিনিও তাহাকে সেই পরিমাণ দরে রাখিয়া চলিতেন। অতএব, গহকোণ ও পরিচিতমণ্ডলীর মধ্যে প্রমথনাথ জাজবল্যমান ছিলেন, দরেন্থ লোকের দটি আকষণ করিবার কোনো ক্ষমতা তাঁহার ছিল না।

এই প্রমথনাথ একবার বছরতিনেকের জন্য বিলাতে ভ্রমণ করিয়া আসিয়াছিলেন। সেখানে ইংরাজের সৌজন্যে মন্থ হইয়া ভারতবর্ষের অপমান-দঃখ ভুলিয়া ইংরাজি সাজ পরিয়া দেশে ফিরিয়া আসেন। : -
{{gap}}সে পরিবারের বড়ভাই প্রমথনাথ পরিচিতবর্গের প্রীতি এবং আত্মীয়বর্গের আদরের স্থল ছিলেন। বাড়ির লােকে এবং পাড়ার পাঁচজনে তাঁহাকে সর্ববিষয়ে অনুকরণস্থল বলিয়া জানিত।
ভাইবোনেরা প্রথমটা একটা কুষ্ঠিত হইল, অবশেষে দুইদিন পরে বলিতে লাগিল, देखान्ति काश्वास्त्र शारक क्धन धानाङ्ग अधन आब्र-काइएक७ मा; हेर्खाज बन्तब्र গৌরবগব পরিবারের অন্তরের মধ্যে ধীরে ধীরে সঞ্চারিত হইল।

टामथनाथ बिजाउ श्हेछ मान छर्नाक्छ याजिम्नाझिणन ‘कौ कर्गङ्गङ्गा हेरब्राट्जग्न नश्ठि नधनष“ग्न ब्रका कब्रिग्ना छजिरठ श्झ आबि छाशबद्दे अन्एव' भकल्लेन्ट प्मथाऐव-मठ ना হইলে ইংরাজের সহিত মিলন হয় না এ কথা ষে বলে সে নিজের হীনতা প্রকাশ করে এবং ইংরাজকেও অন্যায় অপরাধী করিয়া থাকে।
{{gap}}প্রমথনাথ বিদ্যায় বি. এ. এবং বুদ্ধিতে বিচক্ষণ ছিলেন, কিন্তু মােটা মাহিনা বা জোর কলমের ধার ধারিতেন না; মুরুব্বির বলও তাঁহার বিশেষ ছিল না, কারণ, ইংরাজ তাঁহাকে যে পরিমাণ দূরে রাখিত তিনিও তাহাকে সেই পরিমাণ দূরে রাখিয়া চলিতেন। অতএব, গৃহকোণ ও পরিচিতমণ্ডলীর মধ্যে প্রমথনাথ জাজ্বল্যমান ছিলেন, দূরস্থ লােকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার কোনাে ক্ষমতা তাঁহার ছিল না।
প্রমথনাথ বিলাতের বড়ো জড়ো লোকের কাছ হইতে অনেক সাদরপর আনিয়া

{{gap}}এই প্রমথনাথ একবার বছরতিনেকের জন্য বিলাতে ভ্রমণ করিয়া আসিয়াছিলেন। সেখানে ইংরাজের সৌজন্যে মুগ্ধ হইয়া ভারতবর্ষের অপমান-দুঃখ ভুলিয়া ইংরাজি সাজ পরিয়া দেশে ফিরিয়া আসেন।

{{gap}}ভাইবােনেরা প্রথমটা একটু কুণ্ঠিত হইল, অবশেষে দুইদিন পরে বলিতে লাগিল, ইংরাজি কাপড়ে দাদাকে যেমন মানায় এমন আর-কাহাকেও না; ইংরাজি বস্ত্রের গৌরবগর্ব পরিবারের অন্তরের মধ্যে ধীরে ধীরে সঞ্চারিত হইল।

{{gap}}প্রমথনাথ বিলাত হইতে মনে ভাবিয়া আসিয়াছিলেন কী করিয়া ইংরাজের সহিত সমপর্যায় রক্ষা করিয়া চলিতে হয় আমি তাহারই অপূর্ব দৃষ্টান্ত দেখাইব—নত না হইলে ইংরাজের সহিত মিলন হয় না এ কথা যে বলে সে নিজের হীনতা প্রকাশ করে এবং ইংরাজকেও অন্যায় অপরাধী করিয়া থাকে।

{{gap}}প্রমথনাথ বিলাতের বড়ো বড়ো লােকের কাছ হইতে অনেক সাদরপত্র আনিয়া