পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/২৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Tarunsamanta (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||ঘােড়শী|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}তারাদাস। ( অকস্মাৎ বুকফাটা ক্রন্দনে সকলকে সচকিত করিয়া পুলিশ-কর্মচারীর পায়ের নীচে পড়িয়া কাঁদিয়া) বাবুমশায়, আমার কি হবে! আমাকে যে এবার জমিদারের লােক জ্যান্ত পুঁতে ফেলবে।
ষোড়শী

তারাদাস । ( অকস্মাৎ বুকফাটা ক্ৰন্দনে সকলকে সচকিত করিয়া পুলিশকৰ্ম্মচারীর পায়ের নীচে পড়িয়া কাদিয়া ) বাৰুমশায়, আমার কি হবে! আমাকে যে এবার জমিদারের লোক জ্যান্ত পুতে ফেলবে।
ইন্সপেক্টার। ( তিনি বয়সে প্রবীণ, শশব্যস্ত হইয় তাহাকে চেষ্টা করিয়া হাত ধরিয়া তুলিয়া সদয়কণ্ঠে) ভয় কি ঠাকুর, তুমি যেমন ছিলে তেমনি থাকো গে। স্বয়ং ম্যাজিস্ট্রেই সাহেব তোমার সহায় রইলেন- আর কেউ তোমাকে জুলুম করবে না। ( কটাক্ষে জীবানন্দের দিকে চাহিলেন । )
{{gap}}ইনসপেক্টার। (তিনি বয়সে প্রবীণ, শশব্যস্ত হইয়া তাহাকে চেষ্টা করিয়া হাত ধরিয়া তুলিয়া সদয়কণ্ঠে) ভয় কি ঠাকুর, তুমি যেমন ছিলে তেমনি থাকো গে। স্বয়ং ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব তােমার সহায় রইলেন- আর কেউ তােমাকে জুলুম করবে না।
( কটাক্ষে জীবানন্দের দিকে চাহিলেন।)

তারাদাস । ( চোখ মুছিতে মুছিতে) সাহেব যে রাগ করে চলে গেলেন বাবু! ইনস্পেক্টার। (মুচকি হাসিয়া ) না ঠাকুর, রাগ করেননি, তবে আজকের এই ঠাট্টাটুকু তিনি সহজে ভুলতে পারবেন, এমন মনে হয় না। তা ছাড়া আমরাও মরিনি, থানাও যা হোক একটা আছে । ( আড়চোখে জীবানন্দের দিকে চাহিয়া, কিছু পরে ) এখন চল ঠাকুর, যাওয়া যাক। এই রাতে যেতেও ত হবে অনেকটা ।
{{gap}}তারাদাস। (চোখ মুছিতে মুছিতে) সাহেব যে রাগ করে চলে গেলেন বাবু!
সাব-ইন্সপেক্টার। ( বয়সে তরুণ, অল্প হাসিয়া) মেয়েটি রেখে ঠাকুরটি কি তবে একাই যাবেন না কি ?

কথাটায় সবাই হাসিল—কনেস্টবলগুলা পৰ্য্যন্ত । এককড়ি কড়িকাঠের
{{gap}}ইনসপেক্টার। (মুচকি হাসিয়া) না ঠাকুর, রাগ করেননি, তবে আজকের এই ঠাট্টাটুকু তিনি সহজে ভুলতে পারবেন, এমন মনে হয় না। তা ছাড়া আমরাও মরিনি, থানাও যাহােক একটা আছে। (আড়চোখে জীবানন্দের দিকে চাহিয়া, কিছু পরে) এখন চল ঠাকুর, যাওয়া যাক। এই রাতে যেতেও ত হবে অনেকটা।
দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ কবিল। তারাদাসের চোখের অশ্রু চোখের পলকে অগ্নিশিখায় রূপান্তরিত হইয়া গেল ] তার দাস । ( ষোড়শীর প্রতি কঠোর দৃষ্টিপাত করিয়া সগর্জনে ) যেতে হয় আমি একাই যাব। আবার ওর মুখ দেখব—আবার ওকে বাড়িতে ঢুকতে দেব আপনারা ভেবেচেন ?

ইনস্পেক্টার। ( সহাস্তে ) মুখ তুমি না দেখতে পার কেউ মাথার দিব্যি দেবে না ঠাকুর কিন্তু যার ঘর-বাড়ি, তাকে বাড়ি ঢুকতে না দিয়ে আর যেন নতুন ফ্যাসাদে পোড়ো না !
{{gap}}সাব-ইন্সপেক্টার। (বয়সে তরুণ, অল্প হাসিয়া) মেয়েটি রেখে ঠাকুরটি কি তবে একাই যাবেন না কি ?
তারাদাস (আস্ফালন করিয়া ) বাড়ি কার ? বাড়ি আমার । আমি ভৈরবী করেচি, আমিই ওকে দূর করে তাড়াব। কলকাঠি এই তারা চকোত্তির হাতে (সজোরে নিজের বুক ঠুকিয়া) নইলে কে ও জানেন ? শুনবেন ওর মায়ের—

ইনস্পেক্টার। ( থামাইয়া দিয়া ) থামো ঠাকুর, থামো, রাগের মাথায় পুলিশের কাছে সব কথা বলে ফেলতে নেই—তাতে বিপদে পড়তে হয়। ( ষোড়শীর প্রতি ) তুমি যেতে চাও ত আমরা তোমাকে নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিতে পারি। চল, আর দেরি করো না । -
{{rh||[ কথাটায় সবাই হাসিল-কনেস্টবলগুলা পর্যন্ত। এককড়ি কড়িকাঠের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিল। তারাদাসের চোখের অশ্রু চোখের
❖ ዓ
পলকে অগ্নিশিখায় রূপান্তরিত হইয়া গেল ]|}}
9اس-}*ه د

{{gap}}তারাদাস। (যােড়শীর প্রতি কঠোর দৃষ্টিপাত করিয়া সগর্জ্জনে) যেতে হয় আমি একাই যাব। আবার ওর মুখ দেখব—আবার ওকে বাড়িতে ঢুকতে দেব আপনারা ভেবেছেন?

{{gap}}ইনসপেক্টার। (সহাস্যে) মুখ তুমি না দেখতে পার কেউ মাথার দিব্যি দেবে না' ঠাকুর! কিন্তু যার ঘর-বাড়ি, তাকে বাড়ি ঢুকতে না দিয়ে আর যেন নতুন ফ্যাসাদে পােড়াে না!

{{gap}}তারাদাস। (আস্ফালন করিয়া) বাড়ি কার? বাড়ি আমার। আমি ভৈরবী করেচি, আমিই ওকে দূর করে তাড়াব। কলকাঠি এই তারা চক্কোত্তির হাতে ( সজোরে নিজের বুক ঠুকিয়া) নইলে কে ও জানেন? শুনবেন ওর মায়ের-

{{gap}}ইনসপেক্টার। (থামাইয়া দিয়া) থামাে ঠাকুর, থামাে, রাগের মাথায় পুলিশের কাছে সব কথা বলে ফেলতে নেই—তাতে বিপদে পড়তে হয়। (ষোড়শীর প্রতি) তুমি যেতে চাও ত আমরা তােমাকে নিরাপদে ঘরে পৌছে দিতে পারি। চল, আর দেরি করাে না।
{{rh||১৭|}}

{{rh|১০ম-৩||}}