সে/৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
+
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত
১ নং লাইন:
<pages index="সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf" from=2 to=2/>
 
{{শীর্ষক
|শিরোনাম= [[../]]
৬ ⟶ ৪ নং লাইন:
|পূর্ববর্তী =[[../৮/]]
|পরবর্তী =[[../১০/]]
|টীকা =শান্তিনিকেতন<br />পৌষ ১৩৪৩
|লেখক =রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|বছর = ১৯৩৭
|প্রবেশদ্বার =
}}
<div style="padding-left:2em;">
সকালবেলায় পুপেদিদি উদ্‌‍বিগ্ন হয়ে প্রশ্ন করলে , দাদামশায় সে'কে নিয়ে সব গল্প কি ফুরিয়ে গেল ।
 
দাদামশায় খবরের কাগজ ফেলে রেখে চশমা কপালে তুলে বললে , গল্প ফুরোয় না , গল্প - বলিয়ের দিন ফুরোয় ।
 
আচ্ছা , ও তো গা ফিরিয়ে পেলে , তার পরে কী হল বলো - না ।
 
আবার ওকে গা খাটিয়ে মরতে হবে , গায়ে প'ড়ে নিতে হবে নানা দায় । কখনো গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়াবে । কখনো গালমন্দ গা পেতে নেবে , কখনো নেবে না । কখনো কাজে গা লাগবে , কখনো লাগবে না । ওর গা থাকা সত্ত্বেও কুঁড়েমি দেখে লোকে বলবে , কিছুতে ওর গা নেই । কথনো গা ঘুরবে , কখনো গা কেমন করবে , গা ঘুলিয়ে যাবে । কখনো গা ভার হবে , কখনো গা মাটি - মাটি করবে , গা ম্যাজ্‌ম্যাজ্‌ করবে , গা সির‌্‍সির্ করবে , গা ঘিন্‌‍ঘিন্ করতে থাকবে । সংসারটা কখনো হবে গা - সওয়া , কখনো হবে উল্টো । কারও কথায় গা জ্ব'লে যাবে , কারও কথায় গা যাবে জুড়িয়ে । বন্ধুবান্ধবের কথা শুনে গায়ে জ্বর আসবে । এত মুশকিল একখানা গা নিয়ে ।
 
আচ্ছা , দাদামশায় , ও যখন আর - একজনের গা নিয়ে বেড়াত তখন মুশকিল হত কার । গা কেমন করলে ওর করত কি তার করত ।
 
শক্ত কথা । আমি তো বলতে পারব না , ওকে জিগেস করলে ওরও মাথা ঘুরে যাবে ।
 
দাদামশায় , গা নিয়ে এত হাঙ্গাম আমি কখনো ভাবি নি ।
 
ঐ হাঙ্গামাগুলো জোড়া দিয়েই তো যত গল্প । গায়ের উপর সওয়ার হয়ে গল্প ছুটেছে চার দিকে । কোনো গা গল্পের গাধা , কোনো গা গল্পের রাজহস্তী ।
 
তোমার গা কী , দাদামশায় ।
 
বলব না । অহংকার করতে বারণ করে শাস্ত্রে ।
 
দাদামশায় , সে'র গল্প তুমি থামিয়ে দিলে কেন ।
 
বলি তা হলে । কুঁড়েমির স্বর্গ সকল স্বর্গের উপরে । সেখানে যে ইন্দ্র বসে অমৃত খাচ্ছেন হাজার চক্ষু আধখানা বুজে , তিনি হলেন গল্পের দেবতা । আমি তাঁর ভক্ত ; কিন্তু তাঁর সভায় আজকাল ঢুকতেই পারি নে । আমার ভাগে গল্পের প্রসাদ অনেকদিন থেকে বন্ধ ।
 
কেন ।
 
পথ ভুল হয়ে গিয়েছিল ।
 
কী করে ।
 
অমরাবতীর যে সুরধুনীনদীর এক পারে ইন্দ্রলোক , তারই ভাঁটিতে আছে আর - এক স্বর্গ । কারখানাঘরের কালো ধোঁয়ার পতাকা উড়ছে সেখানকার আকাশে । সেটা হল কাজের স্বর্গ । সেখানে হাফ্‌প্যাণ্ট্‌ - পরা দেবতা বিশ্বকর্মা । একদিন শরৎকালের সকালে পুজোর থালায় শিউলিফুল সাজিয়ে রাস্তায় চলেছি ; ঘাড়ের উপর এসে পড়ল বাইক - চড়া এক পাণ্ডা । তার ঝুলিতে একতাড়া খাতা ; বুকের পকেটে একটা লাল কালির একটা কালো কালীর ফাউণ্টেন্‌‍পেন ! খবরের কাগজের কাটা টুকরোর বাণ্ডিল চায়না - কোটের দুই পকেট ছাড়িয়ে বেরিয়ে পড়েছে ; ডান হাতের কব্জিঘড়িতে স্ট্যাণ্ডার্ড টাইম , বাঁ হাতে কলকাতা টাইম ; ব্যাগে ই . আই . আর ., ই . বি . আর ., এ . বি . আর ., এন . ডব্লু . আর ., বি . এন . আর ., বি . বি . আর ., এস . আই . আর .- এর টাইম - টেবিল । বুকের পকেটে নোটবই ডায়রি - সুদ্ধ । ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়িয়ে পড়ি আর - কি। সে বললে , আকাশের দিকে তাকিয়ে চলেছ কোন্‌ চুলোয় ।
 
আমি বললুম , রাগ করো না , পাণ্ডাজি । মন্দিরে পুজো দিতে যাব , রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি নে ।
 
সে বললে , তোমরা বুঝি মেঘের - দিকে - হাঁ - করে - তাকানো রাস্তা - খোঁজার দল ! চলো , পথ দেখিয়ে দিচ্ছি ।
 
আমাকে হিড়্‌‍হিড়্ করে টেনে নিয়ে এল বিশ্বকর্মাঠাকুরের মন্দিরে । হাঁ - না করবার সময় দিল না । কিছু জিগেস করবার আগেই বললে , রাখো এইখানে থালা , পকেট থেকে বের করো পাঁচ - সিকে দক্ষিণে ।
 
বোকার মতো পুজো দিলেম । তখনই হিসেব সে টুকে নিলে তার নোটবইয়ে । কব্জিঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললে , হয়েছে কাজ , এখন বেরোও । সময় নেই ।
 
পরদিন থেকেই দেখি ফল ফলেছে । ভোর তখন সাড়ে চারটে । ডাকাত পড়েছে ভেবে ধড়্‌ফড়্‌ করে ঘুম ভেঙে শুনি , অনাথতারিণী সভার সভ্যেরা বারো - তেরো বছরের পঁচিশটা ছেলে জুটিয়ে দরজায় এসে চীৎকারস্বরে গান জুড়ে দিয়েছে —
<poem>
যত পেটে ধরে তার চেয়ে ভর পেটে ,
টাকা পয়সায় পকেট পড়ছে ফেটে —
হিসেব খতিয়ে দেখলে বুঝতে পার
অনাথজনের কত ধার তুমি ধার' ।
তারো , গরিবেরে তারো ,
তারো , তারো , তারো ।</poem>
 
‘ তারো তারো' করতে করতে ভীষণ চাঁটি পড়তে লাগল খোলে । মনে মনে যত খতিয়ে দেখছি তহবিলে কত টাকা বাকি , চাঁটি ততই কানে তালা ধরিয়ে দিলে । সঙ্গে সঙ্গে বাজল কাঁসর ; ‘ তারো তারো তারো' করে নাচ জুড়ে দিলে ছেলেগুলো । অসহ্য হয়ে এল । দেরাজ খুলে থলিটা বের করলেম ! সাত দিনের না - কামানো দাড়িওয়ালা ওদের সর্দার উৎসাহিত হয়ে চাদর পেতে ধরলে । থলি ঝাড়তে বেরোল এক টাকা , ন আনা , তিন পয়সা । মাসের দু দিন বাকি , দর্জির দেনার জন্যে টানাটানি করে ঐটুকু রেখেছিলেম ।
 
গান ছেড়ে গাল শুরু করলে । বললে , অগাধ টাকা , চিরটা দিন পায়ের উপর পা দিয়ে গদিয়ান হয়ে বসে আছ ; ভুলেছ , যেদিন মরবে সেদিন তোমার মতো লক্ষপতির যে দর আর আমাদের ছেঁড়া - ট্যানা - পরা ভিখিরিরও সেই দর ।
 
এ কথাগুলো পুরোনো ঠেকল , কিন্তু ঐ লক্ষপতি বিশেষণটাতে শরীর রোমাঞ্চিত হয়ে উঠল ।
 
এই হল শুরু। তার পরে ইতিমধ্যে পঁচিশটা সভার সভ্য হয়েছি। বাংলাদেশে সরকারি সভাপতি হয়ে দাঁড়ালেম। আদি ভারতীয় - সংগীত সভা , কচুরিপানা - ধ্বংসন সভা , মৃতসৎকার সভা , সাহিত্যশোধন সভা , তিন চণ্ডীদাসের সমন্বয় সভা , ইক্ষুছিবড়ের পণ্যপরিণতি সভা , খন্যানে খনার লুপ্তভিটা - সংস্কার সভা , পিঁজরাপোলের উন্নতিসাধিনী সভা , ক্ষৌরব্যয়নিবারিণী - দাড়ি - গোঁফ - রক্ষণী সভা — ইত্যাদি সভার বিশিষ্ট সভ্য হয়েছি। অনুরোধ আসছে , ধনুষ্টঙ্কারতত্ত্ব বইখানির ভূমিকা লিখতে , নব্যগণিতপাঠের অভিমত দিতে , ভুবনডাঙায় ভবভূতির জন্মস্থাননির্ণয় পুস্তিকার গ্রন্থকারকে আশীর্বাদ পাঠাতে , রাওলপিণ্ডির ফরেস্ট্‌ অফিসারের কন্যার নামকরণ করতে , দাড়িকামানো সাবানের প্রশংসা জানাতে , পাগলামির ওষুধ সম্বন্ধে নিজের অভিজ্ঞতা প্রচার করতে।
 
দাদামশায় , মিছিমিছি তুমি এত বেশি বক যে তোমার সময় নেই বললে কেউ বিশ্বাস করে না । আজ তোমাকে বলতেই হবে , গা ফিরে পেয়ে কী করলে সে ।
 
বিষম খুশি হয়ে চলে গেল দমদমে ।
 
দমদমে কেন ।
 
অনেক দিন পরে নিজের কান দুটো ফিরে পেয়ে স্বকর্ণে আওয়াজ শোনবার শখ ওর কিছুতে মিটতে চায় না । শ্যামবাজারের মোড়ে কান পেতে থাকে ট্র্যামের বাসের ঘড়্‌ঘড়ানিতে । টিটেগড়ের চটকলের দারোয়ানের সঙ্গে ভাব করে নিয়েছে , তার ঘরে বসে কলের গর্জন শুনে ওর চোখ বুজে আসে । ঠোঙায় করে রসগোল্লা আর আলুর দম নিয়ে বার‌্ন্ কোম্পানির কামারের দোকানে বসে খেতে যায় । বন্দুকের তাক অভ্যেস করতে গোড়া ফৌজ গেছে দমদমে , ও তারই ধুম্‌ ধুম্‌ শব্দ শুনছিল আরামে , টার্গেটের ও পারে ব'সে । আনন্দে আর থাকতে পারলে না , টার্গেটের এ ধারে মুখ বাড়িয়ে দেখতে এসেছে , লাগল একটা গুলি ওর মাথায় । — বাস্‌।
 
বাস্‌ কী , দাদামশায় ।
 
বাস্‌ মানে সব গল্প গেল একদম ফুরিয়ে ।
 
না , না , সে হতেই পারে না । আমাকে ফাঁকি দিচ্ছ । এমন করে তো সব গল্পই ফুরোতে পারে ।
 
ফুরোয় তো বটেই ।
 
না , সে হবে না কিছুতেই । তার পরে কী হল বলো ।
 
বল কী — মরার পরেও ?
 
হাঁ , মরার পরে ।
 
তুমি গল্পের সাবিত্রী হয়ে উঠলে দেখছি ।
 
না , অমন করে আমাকে ভোলাতে পারবে না , বলো কী হল ।
 
আচ্ছা , বেশ । লোকে বলে মরার বাড়া গাল নেই । মরার বাড়াও গাল আছে , সেই কথাটা বলি তবে । ফৌজের ডাক্তার ছিল তাঁবুতে , মস্ত ডাক্তার সে । সে যখন খবর পেলে মানুষটা মগজে গুলি লেগে মরেছে , বিষম খুশি হয়ে লাফ দিয়ে চেঁচিয়ে উঠল — হুর‌্‌রা।
 
খুশি হল কেন ।
 
ও বললে , এইবার মগজ বদল করার পরীক্ষা হবে ।
 
মগজ বদল হবে কী করে ।
 
বিজ্ঞানের বাহাদুরি। জু থেকে চেয়ে নিলে একটা বনমানুষ। বের করলে তার মগজ। আর , সে'র মাথার খুলি খুলে ফেললে। তার মধ্যে বাঁদরের মগজ পুরে দিয়ে খড়ির পলেস্তারা দিয়ে মাথাটা বেঁধে রাখলে পনেরো দিন। খুলি জুড়ে গেল। বিছানা ছেড়ে সে যখন উঠল , তখন সে এক বিষম কাণ্ড। যাকে দেখে তার দিকে দাঁত খিঁচিয়ে কিচিমিচি করে ওঠে । নর্স‍্ দিলে দৌড় । ডাক্তারসাহেব বজ্রমুঠিতে ওর দুই হাত চেপে ধরে জোর গলায় বললেন , স্থির হয়ে বোসো এইখানে। ও হুঙ্কারটা বুঝলে , কিন্তু ভাষাটা বুঝলে না। ও চৌকিতে বসতে চায় না , ও লাফ দিয়ে উঠে বসতে চায় টেবিলের উপরে। কিন্তু , লাফ দিতে পারে না , ধপ্‌ করে পড়ে যায় মেজের উপর। দরজাটা খোলা ছিল , বাইরে ছিল একটা অশথগাছ । সবার হাত এড়িয়ে ছুটল সেই গাছের দিকে। ভাবলে , এক লাফে চড়তে পারবে ডালে । বারবার লাফ দিতে থাকে অথচ ডালে পৌঁছতে পারে না , ধপ্‌ করে পড়ে যায় । বুঝতেই পারে না , কেন পারছে না । রেগে রেগে ওঠে । ওর লম্ফ দেখে চার দিকে মেডিকেল কলেজের ছেলেরা হো - হো করে হাসতে থাকে। ও দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে তেড়ে যায় । একজন ফিরিঙ্গি ছেলে গাছতলায় পা ছড়িয়ে বসে কোলে রুমাল পেতে রুটি মাখন দিয়ে কলা দিয়ে আরামে খাচ্ছিল , ও হঠাৎ গিয়ে তার কলা ছিনিয়ে নিয়ে দিলে মুখে পুরে ; ছেলেটা রেগে ওকে মারতে যায় , বন্ধুদের হাসি কিছুতে থামতে চায় না।
 
মহা ভাবনা পড়ে গেল ওর জিম্মে নেবে কে । কেউ বললে পাঠাও জু'তে , কেউ বললে অনাথ - আশ্রমে । জু'র কর্তা বললে , এখানে মানুষ পোষা আমাদের বরাদ্দে নেই । অনাথ - আশ্রমের অধ্যক্ষ বললে , এখানে বাঁদর পোষা আমাদের নিয়মে কুলোবে না ।
 
দাদামশায় , থামলে কেন ।
 
দিদিমণি , জগতের সব - কিছুর সব - শেষে আছে থামা ।
 
না , এ কিন্তু এখনো থামে নি । কলা ছিনিয়ে খাওয়া ও তো যে - সে পারে ।
 
আচ্ছা , কাল হবে , আজ কাজ আছে ।
 
কাল কী হবে বলো - না , অল্প একটুখানি ।
 
জান তো ওর বিয়ের সম্বন্ধ আগেই হয়েছে ? ওর যে মগজ বদল হয়ে গেছে সে খবরটা কনের বাড়িতে পৌঁছয় নি । দিন স্থির , লগ্ন স্থির । বরের পিসে ওকে মস্ত দু ছড়া কলা খাইয়ে ঠাণ্ডা করে বিয়ের জায়গায় নিয়ে গেছেন । তার পরে বিয়েবাড়িতে যে কাণ্ডটা হল তা ভালো করে ফলিয়ে বললে তখন তুমিই বলবে , গল্পের মতো গল্প হয়েছে । এর পরে আর ওকে মেরে ফেলবার দরকার হবে না । সে মরার বাড় হবে ।
 
সন্ধেবেলায় বসেছি ছাদে । দিব্যি দক্ষিণের হাওয়া দিচ্ছে । শুক্লা চতুর্থীর চাঁদ উঠেছে আকাশে । পুপুদিদি একটি আকন্দের মালা গেঁথে এনেছে কাঁচপাত্রে , গল্প বলা শেষ হলে বক্‌‍শিশ মিলবে ।
 
<pages index="সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf" from=100 to=109/>
হেনকালে হাঁপাতে হাঁপাতে সে উপস্থিত । বললে , আজ থেকে আমার গল্প জোগানের কাজে আমি ইস্তফা দিলুম । আমাকে পাতু গেঁজেলের গা পরিয়েছিলে , সেও সহ্য করেছি । শেষকালে বাঁদরের মগজ পুরেছ আমার খুলির মধ্যে , এ সইবে না । এর পরে হয়তো আমাকে চাম্‌‍চিকে কি টিক্‌‍টিকি কি গুব্‌‍রে পোকা বানিয়ে দেবে । তোমাদের অসাধ্য কিছুই নেই । আজ আপিসে গিয়ে কেদারা টেনে বসেছি । দেখি ডেস্কের উপরে এক ছড়া মর্তমান কলা । সহজ অবস্থায় কলা আমি ভালোই বাসি , কিন্তু এখন থেকে আমাকে কলা খাওয়া ছেড়েই দিতে হবে । পুপুদিদি , এর পরে তোমার ঐ দাদামশায় আমাকে নিয়ে যদি ব্রহ্মদত্যি কিম্বা কন্ধকাটা বানান , তা হলে কাগজে না ছাপান যেন । ইতিমধ্যে কন্যাকর্তা এসেছিলেন আমার ঘরে । বিয়েতে আশি ভরি সোনা দেবার কথা পাকা ছিল ; একদম নেমে গেছে তেরো ভরিতে । ওরা বুঝেছে , আমার ভাগ্যে এর পরে কনে জোটা দায় হবে । এই তবে বিদায় নিলেম ।
</div>
'https://bn.wikisource.org/wiki/সে/৯' থেকে আনীত