পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Preetidipto.21 (আলোচনা | অবদান)
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৪৯|কথামালা|৪৯}}
{{rh||কথামালা।|৪৯}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
আমার যথেষ্ট উপকার হয়। তখন মনুষ্য কহিল, ইহার ভাবনা কি। তুমি আমায়, তোমার মুখে লাগাম দিয়া, পিঠে উঠিতে দাও, তাহা হইলেই, আমি অস্ত্র লইয়া তোমার শত্রুর দমন করিতে পারিব। অশ্ব সম্মত হইল। মনুষ্য তৎক্ষণাৎ তাহার পৃষ্ঠে আরোহণ করিল; কিন্তু, হরিণের দমন করিতে না গিয়া, অশ্বকে আপন আলয়ে লইয়া গেল। তদবধি, অশ্বগণ মনুষ্যজাতির বাহন হইল।
________________


{{center|{{larger|নেকড়ে বাঘ ও মেষ}}}}
আমার যথেষ্ট উপকার হয়। তখন মনুষ্য কহিল, ইহার ভাবনা কি। তুমি আমায়, তােমার মুখে লাগাম দিয়া, পিঠে উঠিতে দাও, তা হইলেই, আমি অস্ত্র লইয়া তােমার শত্রুর দমন করিতে পারিব। অশ্ব সম্মত হইল। মনুষ্য তৎক্ষণাৎ তাহার পৃষ্ঠে আরােহণ করিল; কিন্তু, হরিণের দমন করিতে না গিয়া, অশ্বকে আপন আলয়ে লইয়া গেল। তদবধি, অশ্বগণ মনুষ্যজাতির বাহন হইল। }

' নেকড়ে বাঘ ও মেষ কোনও সময়ে, এক নেকড়ে বাঘকে কুকুরে কামড়াইয়াছিল। ঐ কামড়ের ঘা, ক্রমে ক্রমে, এত বাড়িয়া উঠিল যে, বাঘ আর নড়িতে পারে
; সুতরাং, তাহার আহার বন্ধ হইল। এক দিন, সে ক্ষুধায় কাতর হইয়া পড়িয়া আছে, এমন সময়ে, এক মেষ তাহার সম্মুখ দিয়া চলিয়া যায়। তাহাকে দেখিয়া, নেকড়ে অতি কাতর বাক্যে কহিল, ভাই হে! কয়েক দিন অবধি, আমি চলৎশক্তিরহিত হইয়া পড়িয়া আছি;
কোনও সময়ে, এক নেকড়ে বাঘকে কুকুরে কামড়াইয়াছিল। ঐ কামড়ের ঘা, ক্রমে ক্রমে, এত বাড়িয়া উঠিল যে, বাঘ আর নড়িতে পারে না; সুতরাং, তাহার আহার বন্ধ হইল। এক দিন, সে ক্ষুধায় কাতর হইয়া পড়িয়া আছে, এমন সময়ে, এক মেষ তাহার সম্মুখ দিয়া চলিয়া যায়। তাহাকে দেখিয়া, নেকড়ে অতি কাতর বাক্যে কহিল, ভাই হে! কয়েক দিন অবধি, আমি চলতশক্তিরহিত হইয়া পড়িয়া আছি;
{{nop}}{{gap}}{{gap}}{{gap}}৫