পাতা:কথামালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh|২০| |
{{rh|২০|কথামালা।|}} |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
উদ্যত হইল। ইঁদুর, প্রাণভয়ে কাতর হইয়া, বিনয় করিয়া, কহিল, মহারাজ! আমি না জানিয়া অপরাধ করিয়াছি, ক্ষমা করিয়া, আমায় প্রাণদান করুন। আপনি সমস্ত পশুর রাজা; আমার মত ক্ষুদ্র পশুর প্রাণবধ করিলে, আপনকার কলঙ্ক আছে। সিংহ শুনিয়া ঈষৎ হাস্য করিল, এবং, দয়া করিয়া, ইঁদুরকে ছাড়িয়া দিল। |
উদ্যত হইল। ইঁদুর, প্রাণভয়ে কাতর হইয়া, বিনয় করিয়া, কহিল, মহারাজ! আমি না জানিয়া অপরাধ করিয়াছি, ক্ষমা করিয়া, আমায় প্রাণদান করুন। আপনি সমস্ত পশুর রাজা; আমার মত ক্ষুদ্র পশুর প্রাণবধ করিলে, আপনকার কলঙ্ক আছে। সিংহ শুনিয়া ঈষৎ হাস্য করিল, এবং, দয়া করিয়া, ইঁদুরকে ছাড়িয়া দিল। |
||
{{gap}}এই ঘটনার কিছু দিন পরে, সিংহ, ইতস্ততঃ |
{{nop}}{{gap}}এই ঘটনার কিছু দিন পরে, সিংহ, ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে করিতে, এক শিকারির জালে পড়িল; বিস্তর চেষ্টা পাইল, কিছুতেই জাল ছাড়াইতে পারিল না। পরিশেষে, প্রাণরক্ষা বিষয়ে নিতান্ত নিরাশ হইয়া, সে এমন ভয়ঙ্কর গর্জ্জন করিতে লাগিল যে, সমস্ত অরণ্য কম্পিত হইয়া উঠিল। |
||
{{gap}}সিংহ, ইতঃপূৰ্ব্বে, যে ইঁদুরের প্রাণরক্ষা করিয়াছিল, সে ঐ স্থানের অনতিদূরে বাস করিত। এক্ষণে সে, |
{{nop}}{{gap}}সিংহ, ইতঃপূৰ্ব্বে, যে ইঁদুরের প্রাণরক্ষা করিয়াছিল, সে ঐ স্থানের অনতিদূরে বাস করিত। এক্ষণে সে, পূর্ব্ব প্রাণদাতার স্বর চিনিতে পারিয়া, সত্বর সেই স্থানে উপস্থিত হইল, তাহার এই বিপদ দেখিয়া, ক্ষণ মাত্র বিলম্ব না করিয়া, জাল কাটিতে আরম্ভ করিল, |