পাতা:বিদ্যাসাগরচরিত - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{gap}}অবশেষে শােণিতশ্রুত বিক্ষতদেহে চারি ক্রোশ পথ হাঁটিয়া
{{smaller|{{gap}}অবশেষে শােণিতশ্রুত বিক্ষতদেহে চারি ক্রোশ পথ হাঁটিয়া মেদিনীপুরে এক আত্মীয়ের গৃহে শয্যা আশ্রয় করেন; দুই মাস পরে সুস্থ হইয়া বাড়ি ফিরিতে পারেন।}}
মেদিনীপুরে এক আত্মীয়ের গৃহে শয্যা আশ্রয় করেন; দুই মাস
পরে সুস্থ হইয়া বাড়ি ফিরিতে পারেন।


{{gap}}আর একটিমাত্র ঘটনা উল্লেখ করিলে তর্কভূষণের চরিত্রচিত্র
{{gap}}আর একটিমাত্র ঘটনা উল্লেখ করিলে তর্কভূষণের চরিত্রচিত্র সম্পূর্ণ হইবে।
সম্পূর্ণ হইবে।


{{smaller|{{gap}}১৭৪২ শকের ১২ই আশ্বিন মঙ্গলবারে বিদ্যাসাগরের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অদূরে কোমরগঞ্জে মধ্যাহ্নে হাট করিতে গিয়াছিলেন। রামজয় তর্কভূষণ তাঁহাকে ঘরের একটি শুভসংবাদ দিতে বাহির হইয়াছিলেন। পথের মধ্যে পুত্রের সহিত দেখা হইলে বলিলেন, “একটি এঁড়ে বাছুর হয়েছে।” শুনিয়া ঠাকুরদাস ঘরে আসিয়া গােয়ালের অভিমুখে গমন করিতেছিলেন; তর্কভূষণ হাসিয়া কহিলেন, “ও দিকে নয়, এ দিকে এসাে।” বলিয়া সূতিকাগৃহে লইয়া নবপ্রসূত শিশু
{{gap}}১৭৪২ শকের ১২ই আশ্বিন মঙ্গলবারে বিদ্যাসাগরের পিতা
ঈশ্বরচন্দ্রকে নির্দেশ করিয়া দেখাইলেন।}}
ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অদূরে কোমরগঞ্জে মধ্যাহ্নে হাট
করিতে গিয়াছিলেন। রামজয় তর্কভূষণ তাঁহাকে ঘরের একটি
শুভসংবাদ দিতে বাহির হইয়াছিলেন।
পথের মধ্যে পুত্রের
সহিত দেখা হইলে বলিলেন, “একটি এঁড়ে বাছুর হয়েছে।”
শুনিয়া ঠাকুরদাস ঘরে আসিয়া গােয়ালের অভিমুখে গমন
করিতেছিলেন; তর্কভূষণ হাসিয়া কহিলেন, “ও দিকে নয়,
এ দিকে এসাে।” বলিয়া সূতিকাগৃহে লইয়া নবপ্রসূত শিশু
ঈশ্বরচন্দ্রকে নির্দেশ করিয়া দেখাইলেন।


{{gap}}এই কৌতুক হাস্যরশ্মিপাতে রামজয়ের বলিষ্ঠ উন্নতচরিত্র আমাদের নিকট প্রভাতের গিরিশিখরের ন্যায় রমণীয় বােধ হইতেছে। এ হাস্যময় তেজোময় নির্ভীক ঋজুস্বভাব পুরুষের মতাে আদর্শ বাংলাদেশে অত্যন্ত বিরল না হইলে বাঙালির মধ্যে পৌরুষের অভাব হইত না। আমরা তাঁহার চরিত্রবর্ণনা বিস্তারিতরূপে উদ্ধৃত করিলাম, তাহার কারণ, এই দরিদ্র ব্রাহ্মণ তাঁহার পৌত্রকে আর কোনাে সম্পত্তি দান করিতে পারেন নাই,
{{gap}}এই কৌতুক হাস্যরশ্মিপাতে রামজয়ের বলিষ্ঠ উন্নতচরিত্র
আমাদের নিকট প্রভাতের গিরিশিখরের ন্যায় রমণীয় বােধ
হইতেছে। এ হাস্যময় তেজোময় নির্ভীক ঋজুস্বভাব পুরুষের
মতাে আদর্শ বাংলাদেশে অত্যন্ত বিরল না হইলে বাঙালির
মধ্যে পৌরুষের অভাব হইত না। আমরা তাঁহার চরিত্রবর্ণনা
বিস্তারিতরূপে উদ্ধৃত করিলাম, তাহার কারণ, এই দরিদ্র ব্রাহ্মণ
তাঁহার পৌত্রকে আর কোনাে সম্পত্তি দান করিতে পারেন নাই,
{{nop}}