পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৮৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
হিন্দুদের মনে কতটা যে অনিচ্ছা আছে, তাহা তাঁহারা ভালরূপেই
হিন্দুদের মনে কতটা যে অনিচ্ছা আছে, তাহা তাঁহারা ভালরূপেই বুঝিতেন। যাহা হউক, বিদ্যাসাগরের দৃঢ়বিশ্বাস ছিল, উৎসাহ ও উদ্যমের সহিত কাজে লাগিলে এরূপ সৎকার্য্যে জনগণের সহানুভূতি আকর্ষণ করা খুব কঠিন হইবে না।
বুঝিতেন। যাহা হউক, বিদ্যাসাগরের দৃঢ়বিশ্বাস ছিল, উৎসাহ ও
উদ্যমের সহিত কাজে লাগিলে এরূপ সৎকার্য্যে জনগণের সহানুভূতি
আকর্ষণ করা খুব কঠিন হইবে না।


{{gap}}বিদ্যাসাগর অল্পদিনের মধ্যেই জানাইলেন, বর্দ্ধমান জেলার জৌগ্রামে
{{gap}}বিদ্যাসাগর অল্পদিনের মধ্যেই জানাইলেন, বর্দ্ধমান জেলার জৌগ্রামে তিনি একটি বালিকা বিদ্যালয় খুলিতে পারিয়াছেন (৩০ মে, ১৮৫৭)।<ref>Vidyasagar to D. P. I., dated 30 May, 1857.- ‘'Education'’ ‘'Con. 22 Oct. 1857,'’ No. 72.</ref>
ডিরেক্টর প্রতিষ্ঠানটির জন্য সরকারের কাছে ৩২৲ টাকা মাসিক সাহায্যের অনুমোদন করিয়া পত্র লিখিলেন।
তিনি একটি বালিকা বিদ্যালয় খুলিতে পারিয়াছেন (৩০ মে, ১৮৫৭)।<ref>{{smaller|Vidyasagar to D. P. I., dated 30 May, 1857.- ''Education''
''Con. 22 Oct. 1857,'' No. 72.}}</ref>
ডিরেক্টর প্রতিষ্ঠানটির জন্য সরকারের কাছে ৩২৲ টাকা মাসিক সাহায্যের
অনুমােদন করিয়া পত্র লিখিলেন।


{{gap}}দক্ষিণবঙ্গের স্কুলসমূহের ইন্‌স্পেক্টার প্র্যাট সাহেবের নিকট হইতে সাহায্যের জন্য তিনখানি আবেদন-পত্র আসিয়াছিল। ডিরেক্টর সেগুলি পূর্বেই সরকারের দপ্তরে পেশ করিয়াছিলেন। হুগলী জেলার হরিপাল থানার অন্তর্গত দোয়ারহাটা ও বৈদ্যবাটী থানার অন্তত গোপালনগর, এবং বর্দ্ধমানের নারোগ্রামে তিনটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব সেই তিনখানি আবেদনপত্রে ছিল। ছোটলাট সকল দরখাস্তই মঞ্জুর করিলেন; প্রত্যেক স্থলেই পল্লীবাসীরা বিদ্যালয়-বাটী নির্ম্মাণ করিয়া দিবার ভার লইল। সাহায্য মঞ্জুর করিবার সময় ছোটলাট জানিতে চাহিলেন, বিভাগীয় ইন্‌স্পেক্টারদের নিকট হইতে ডিরেক্টর আর কোনো আবেদন পাইয়াছেন কি না, তাহা হইলে তাঁহাদের প্রার্থনাও তিনি পূর্ণ করিবেন।<ref>Govt. of Bengal to the Offg. D. P. I., dated 21 Octr. —''Education Con, 22 Oct. 1857,'' No. 74.</ref>
{{gap}}দক্ষিণবঙ্গের স্কুলসমূহের ইন্‌স্পেক্টার প্র্যাট সাহেবের নিকট হইতে
সাহায্যের জন্য তিনখানি আবেদন-পত্র আসিয়াছিল। ডিরেক্টর সেগুলি
পূর্বেই সরকারের দপ্তরে পেশ করিয়াছিলেন। হুগলী জেলার হরিপাল
থানার অন্তর্গত দোয়ারহাটা ও বৈদ্যবাটী থানার অন্তত গােপালনগর,
এবং বর্দ্ধমানের নারােগ্রামে তিনটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব
সেই তিনখানি আবেদনপত্রে ছিল। ছোটলাট সকল দরখাস্তই মঞ্জুর
করিলেন; প্রত্যেক স্থলেই পল্লীবাসীরা বিদ্যালয়-বাটী নির্ম্মাণ করিয়া
দিবার ভার লইল। সাহায্য মঞ্জুর করিবার সময় ছােটলাট জানিতে
চাহিলেন, বিভাগীয় ইন্‌স্পেক্টারদের নিকট হইতে ডিরেক্টর আর কোনাে
আবেদন পাইয়াছেন কি না, তাহা হইলে তাঁহাদের প্রার্থনাও তিনি
পূর্ণ করিবেন।<ref>{{smaller|Govt. of Bengal to the Offg. D. P. I., dated 21 Octr.
—''Education Con, 22 Oct. 1857,'' No. 74.}}</ref>