পাতা:মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

নাগাকে যাদববাবুর খুব পছন্দ হয়ে গেল। নাগার সুগঠিত জোরালো শরীর দেখে নিজের কুস্তির নেশার দিনগুলির কথা তার মনে পড়তে লাগল। দেহ-চৰ্চার দিকে কি বোকটাই তখন তার ছিল । নাগার বয়সে তিনি ছিলেন পাকাটির মত রোগ, ক্ৰমাগত অসুখেই ভুগতেন। আরও বেশী বয়সে আরম্ভ করে কয়েক বছর কুস্তি চালানোর পরে তঁর গায়ে যতটুকু জোর হয়েছিল, জীবনে হয়তো একটা দিন ডান বৈঠক না দিয়েও আপন থেকেই নাগা তার চেয়ে বড় পালোয়ান হয়ে উঠেছে। মাঝির কাজও নাগা ভালই জানে। আটখামার থেকে রামতলা পর্যন্ত তার ঘণ্টাচারেকের মাঝিগিরির মধ্যেই তার প্রমাণ মিলেছে।