পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Jayantanth (আলোচনা | অবদান) |
Jayantanth (আলোচনা | অবদান) |
||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{center|{{larger|'''প্রস্তাবনা'''}}}} |
|||
প্রানা সখন্ত কি হার্পিসের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে গড়েয় মাঠে ফেটের ই পিয়া ধা ছিলাম। |
|||
নিকটেই একণা বাদাম-গাছ, চুপ করিয়া খানিকটা বসিয়া বাদাম-গাছের সামা • . ( পরিখার ঢেউখেলানাে জমিটা দেখিয়া ঠাৎ মনে হইলে সক ফুলিয়ার সীমানায় সরস্বতী ফুণ্ডীর ধারে সালােয় বসিয়া কাজি ক্ষণেই পলাশ গেটের পথে ঘােটর-হর্ণের আওয়াজে সে মি বুচি। | ক কথা হইলেও কাগকার বলিয়া মনে হয়। ঋপিকা! হয়ে হৈ-চৈ কোলাহলের মধ্যে অহল্প কুবিয়া গিয়া এখন যখন গণ টুলিয়া ইহার কি আ বাদের সে আরণ্যতা, সে সে তির্ষিময়ী গুব্ধ রাত্রি, ধূ ধূ বনঝাউ দায় কাশবনের চর, শিখায়নি। শৈলশ্রেপী, গভীর রাত্রে বন্ধ নীলগাইয়ের ফলের ঔত পাধ্বনি, খয়ৌমধা সতী ফুণ্ডীর আলেয় ধারে পিপাসার্ত বস্তু মহিষ, সে অপূর্ব মুক্ত দিতে প্রাঝরে যান বনফুলের শােতা, ফুটন্ত বৃক্তপলাশের ঘন আগের কথা তখন মনে হয় বুঝি কোন অবসর-দিনের শেষে সায়া খুমের ঘােরে এক সৌন্দর্য জগতের স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম, পৃথিবীকে মেন দেশ গেম কোথাও নাই। |
|||
সমস্ত দিন আপিসের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে গড়ের মাঠে ফোর্টের কাছ ঘেঁষিয়া বসিয়া ছিলাম। |
|||
শুধু বনপ্রায় নয়, কত ধরণের মানুষ দেখিয়াছিলাম। ফুজুলস্থত ক্ষুধায় কথা মনে হয়। এখনাে যেন সুংগি বইয়ের স্বলের জলে সে দল্লি মেয়েটি তার ছেলেমেয়ের সঙ্গে সংগ্রহ করা তাহার দৈনন্দিন সংসাৱধাজার ব্যবস্থায় খায়। |
|||
সহ জ্যোখ-মা গঙীয় তের আলে সে আমার পায়ের করা |
|||
{{gap}}নিকটেই একটা বাদামগাছ, চুপ করিয়া খানিকটা বসিয়া বাদামগাছের সামনে ফোর্টের পরিখার ঢেউখেলানো জমিটা দেখিয়া হঠাৎ মনে হইল যেন লবটুলিয়ার উত্তর সীমানায় সরস্বতী কুণ্ডীর ধারে সন্ধ্যাবেলায় বসিয়া আছি। পরক্ষণেই পলাশী গেটের পথে মোটর হর্নের আওয়াজে সে ভ্রম ঘুচিল। |
|||
{{gap}}অনেক দিনের কথা হইলেও কালকার বলিয়া মনে হয়। |
|||
{{gap}}কলিকাতা শহরের হৈচৈ কর্মকোলাহলের মধ্যে অহরহ ডুবিয়া থাকিয়া এখন যখন লবটুলিয়া বইহার কি আজমাবাদের সে অরণ্য-ভূভাগ, সে জ্যোৎস্না, সে তিমিরময়ী স্তব্ধ রাত্রি, ধূ-ধূ বনঝাউ আর কাশবনের চর, দিগ্বলয়লীন ধূসর শৈলশ্রেণী, গভীর রাত্রে বন্য নীলগাইয়ের দলের দ্রুত পদধ্বনি, খররৌদ্রমধ্যাহ্নে সরস্বতী কুণ্ডীর জলের ধারে পিপাসার্ত বন্য মহিষ, সে অপূর্ব মুক্ত শিলাস্তৃত প্রান্তরে রঙিন বনফুলের শোভা, ফুটন্ত রক্তপলাশের ঘন অরণ্যের কথা ভাবি, তখন মনে হয় বুঝি কোন অবসর-দিনের শেষে সন্ধ্যায় ঘুমের ঘোরে এক সৌন্দর্যভরা জগতের স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম, পৃথিবীতে তেমন দেশ যেন কোথাও নাই। |
|||
{{gap}}শুধু বনপ্রান্তর নয়, কত ধরনের মানুষ দেখিয়াছিলাম। |
|||
{{gap}}কুন্তা…মুসম্মত কুন্তার কথা মনে হয়। এখনো যেন সুংঠিয়া বইহারের বিস্তীর্ণ বন্যকুলের জঙ্গলে সে দরিদ্র মেয়েটি তার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে লইয়া বন্যকুল সংগ্রহ করিয়া তাহার দৈনন্দিন সংসারযাত্রার ব্যবস্থায় ব্যস্ত। |
|||
নয়তো জ্যোৎস্নাভরা গভীর শীতের রাত্রে সে আমার পাতের ভাত লইবার |