পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৪৯৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Pywikibot touch edit
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৪৯৪|উপেন্দ্রকিশাের রচনাসমগ্র|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
খুঁজিয়া বেড়াইতে লাগিলেন, কিন্তু কোথাও তাহাদের সন্ধান পাইলেন না। তখন দেবতাগণ নারায়ণের নিকটে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “প্রভো, আপনিই আমাদের আশ্রয়-স্থান। এই ভয়ঙ্কর বিপদ হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করুন।”
8Ꮌ8 উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

খুজিয়া বেড়াইতে লাগিলেন, কিন্তু কোথাও তাহাদের সন্ধান পাইলেন না। তখন দেবতাগণ নারায়ণের নিকটে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “প্রভো, আপনিই আমাদের আশ্রয়-স্থান। এই ভয়ঙ্কর বিপদ হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করুন।”
{{C|{{larger|'''অগস্ত্যের সাগরপানের কথা'''}}}}
দেবগণের কথা শুনিয়া নারায়ণ বলিলেন, ইন্দ্রের হাতে বৃত্ৰাসুরের মৃত্যু হইলে পর কালেয়গণ তোমাদের ভয়ে পলায়ণ করিয়া সমুদ্রের ভিতরে আশ্রয় লইয়াছে। সেইখান হইতে রাত্রিতে বাহির হইয়া, সৃষ্টি সংহার করিবার নিমিত্ত সেই দুষ্টগণ প্রত্যহ এইরূপ নিষ্ঠুর অত্যাচার করে। দিনের বেলায় উহারা সমুদ্রের ভিতরে লুকাইয়া থাকে। যতদিন উহারা এইরূপে সমুদ্রের ভিতরে লুকাইবার স্থান পাইবে, ততদিন উহাদিগকে বধ করিতেও পারিলে না, অত্যাচারও বারণ হইবে না।

“সুতরাং তোমরা সমুদ্র শুষিবার উপায় দেখ। তাহা ভিন্ন এ বিপদ আর কিছুতেই কাটিবে না। আমি একটিমাত্র লোকের কথা জানি। যাহার সাগর শুষিবার ক্ষমতা আছে। তিনি হইতেছেন, মহামুনি অগস্ত্য। এ সংসারে আর কাহারো দ্বারা এ কাজ হইবার সম্ভাবনা নাই।” এ কথা শুনিবামাত্র দেবতারা নারায়ণকে ধন্যবাদ দিয়া, অগস্ত্যের আশ্রমে গিয়া উপস্থিত হইলেন। তাহাদের নিকট সকল কথা শুনিয়া অগস্ত্য যখন সাগরের জল পান করিবার জন্য যাত্রা করিলেন, তখন আর সংসারের লোক কেহই বসিয়া থাকিতে পারিল না। অগস্তোর পিছু পিছু দেবতা, গন্ধৰ্ব, যক্ষ, রাক্ষস, সকলে ছুটিয়া সেই আশ্চর্য ব্যাপারের তামাশা দেখিতে আসিল। সমুদ্রের ধারে আসিয়া অগস্ত্য দেবতাগণকে বলিলেন—
{{gap}}দেবগণের কথা শুনিয়া নারায়ণ বলিলেন, ইন্দ্রের হাতে বৃত্রাসুরের মৃত্যু হইলে পর কালেয়গণ তোমাদের ভয়ে পলায়ণ করিয়া সমুদ্রের ভিতরে আশ্রয় লইয়াছে। সেইখান হইতে রাত্রিতে বাহির হইয়া, সৃষ্টি সংহার করিবার নিমিত্ত সেই দুষ্টগণ প্রত্যহ এইরূপ নিষ্ঠুর অত্যাচার করে। দিনের বেলায় উহারা সমুদ্রের ভিতরে লুকাইয়া থাকে। যতদিন উহারা এইরূপে সমুদ্রের ভিতরে লুকাইবার স্থান পাইবে, ততদিন উহাদিগকে বধ করিতেও পারিবে না, অত্যাচারও বারণ হইবে না।
“আচ্ছা, আমি সমুদ্রের জল পান করিতেছি। আপনারা আপনাদের কাজ শীঘ্র শীঘ্ৰ শেষ করিবেন।”

এই বলিয়া অগস্ত্য মুনি ক্রোধভরে সাগরের জলপান করিতে লাগিলেন। না জানি তখন কি ঘোরতর চো চো শব্দ হইয়াছিল এমন অদ্ভুত কাজ দেবতারাও কখনো চক্ষে দেখেন নাই। তাহারা আশ্চর্য ত হইয়াছিলেনই, তাহা ছাড়া, যতক্ষণ সেই চো টো শব্দ চলিয়াছিল, ততক্ষণ সকলে মিলিয়া চিৎকার পূর্বক, ক্রমাগতই অগস্তোর স্তব করিয়াছিলেন। এইরূপে সমুদয় জল খাওয়া শেষ হলে, দেখা গেল যে, যত রাজ্যের অসুর সমুদ্রের তলায় কিলবিল করিতেছে।
{{gap}}“সুতরাং তোমরা সমুদ্র শুষিবার উপায় দেখ। তাহা ভিন্ন এ বিপদ আর কিছুতেই কাটিবে না। আমি একটিমাত্র লোকের কথা জানি। যাঁহার সাগর শুষিবার ক্ষমতা আছে। তিনি হইতেছেন, মহামুনি অগস্ত্য। এ সংসারে আর কাহারো দ্বারা এ কাজ হইবার সম্ভাবনা নাই।”
তখন আর বাছাগণ যাইবেন কোথায় ? দেবতাদিগের অস্ত্রের ঘায়, দেখিতে দেখিতে পাপিষ্ঠদিগের প্রাণ বাহির হইয়া গেল। কয়েকটা মাত্র পাতালে ঢুকিয়া রক্ষা পাইল।

তারপর দেবতারা, অগস্ত্যকে ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন, “মহাশয়, আপনি ছিলেন, তাই আমরা রক্ষা পাইলাম। আপনার এই অদ্ভূত কাজের জন্য, চিরকালই আমরা আপনার সুখ্যাতি করিব। এখন, সাগর শুকনো পড়িয়া থাকিলে, অনেক অসুবিধা হইতে পারে। সুতরাং অনুগ্রহ করিয়া তাহার জলটুকু ফিরাইয়া দিন।"
{{gap}}এ কথা শুনিবামাত্র দেবতারা নারায়ণকে ধন্যবাদ দিয়া, অগস্ত্যের আশ্রমে গিয়া উপস্থিত হইলেন। তাঁহাদের নিকট সকল কথা শুনিয়া অগস্ত্য যখন সাগরের জল পান করিবার জন্য যাত্রা করিলেন, তখন আর সংসারের লোক কেহই বসিয়া থাকিতে পারিল না। অগস্ত্যের পিছু পিছু দেবতা, গন্ধর্ব, যক্ষ, রাক্ষস, সকলে ছুটিয়া সেই আশ্চর্য ব্যাপারের তামাশা দেখিতে আসিল। সমুদ্রের ধারে আসিয়া অগস্ত্য দেবতাগণকে বলিলেন—
মুনি বলিলেন, “যাহা খাইয়াছি, তাহা ত হজম হইয়া গিয়াছে তাহ আবার কি করিয়া

{{gap}}“আচ্ছা, আমি সমুদ্রের জল পান করিতেছি। আপনারা আপনাদের কাজ শীঘ্র শীঘ্র শেষ করিবেন।”

{{gap}}এই বলিয়া অগস্ত্য মুনি ক্রোধভরে সাগরের জলপান করিতে লাগিলেন।

{{gap}}না জানি তখন কি ঘোরতর চোঁ চোঁ শব্দ হইয়াছিল এমন অদ্ভুত কাজ দেবতারাও কখনো চক্ষে দেখেন নাই। তাঁহারা আশ্চর্য ত হইয়াছিলেনই, তাহা ছাড়া, যতক্ষণ সেই চোঁ চোঁ শব্দ চলিয়াছিল, ততক্ষণ সকলে মিলিয়া চিৎকার পূর্বক, ক্রমাগতই অগস্ত্যের স্তব করিয়াছিলেন! এইরূপে সমুদয় জল খাওয়া শেষ হলে, দেখা গেল যে, যত রাজ্যের অসুর সমুদ্রের তলায় কিলবিল করিতেছে।

{{gap}}তখন আর বাছাগণ যাইবেন কোথায়? দেবতাদিগের অস্ত্রের ঘায়, দেখিতে দেখিতে পাপিষ্ঠদিগের প্রাণ বাহির হইয়া গেল। কয়েকটা মাত্র পাতালে ঢুকিয়া রক্ষা পাইল।

{{gap}}তারপর দেবতারা, অগস্ত্যকে ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন, “মহাশয়, আপনি ছিলেন, তাই আমরা রক্ষা পাইলাম। আপনার এই অদ্ভুত কাজের জন্য, চিরকালই আমরা আপনার সুখ্যাতি করিব। এখন, সাগর শুকনো পড়িয়া থাকিলে, অনেক অসুবিধা হইতে পারে। সুতরাং অনুগ্রহ করিয়া তাহার জলটুকু ফিরাইয়া দিন।”

{{gap}}মুনি বলিলেন, “যাহা খাইয়াছি, তাই ত হজম হইয়া গিয়াছে তাহা আবার কি করিয়া