পাতা:চোখের বালি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Vedbas (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
{{gap}}বিনোদিনী জোর করিয়া হাত ছাড়াইয়া লইয়া প্রস্থান করিল।
{{gap}}বিনোদিনী জোর করিয়া হাত ছাড়াইয়া লইয়া প্রস্থান করিল।


{{gap}}মহে সেই বিছানায় স্বগ বালিশের উপর পড়িয়া রহিল, তাহার বুকের মধ্যে বক্ত তোলপাড় করিতে লাগিল। নিস্তব্ধ সন্ধ্যা, নিজন ঘর, নববসন্তের বাতাস দিতেছে, বিননাদিনীর মন যেন ধরা দিল-দিল উন্মাদ মহেন্দ্র আপনাকে আর ধরিয়া রাখিতে পারিবে না এমনই বোধ হইল। তাড়াতাড়ি আলো নিবাইয়া ঘরের প্রবেশদ্বার বন্ধ করিল, তাহার উপরে শাসি আঁটিয়া দিল, এবং সময় হইতেই বিছানার মধ্যে গিয়া হইয়া পড়িল।
{{gap}}মহেন্দ্র সেই বিছানায় স্বগন্ধ বালিশের উপর পড়িয়া রহিল, তাহার বুকের মধ্যে বক্ত তোলপাড় করিতে লাগিল। নিস্তব্ধ সন্ধ্যা, নির্জন ঘর, নববসন্তের বাতাস দিতেছে, বিননাদিনীর মন যেন ধরা দিল-দিল উন্মাদ মহেন্দ্র আপনাকে আর ধরিয়া রাখিতে পারিবে না এমনই বোধ হইল। তাড়াতাড়ি আলো নিবাইয়া ঘরের প্রবেশদ্বার বন্ধ করিল, তাহার উপরে শাসি আঁটিয়া দিল, এবং সময় হইতেই বিছানার মধ্যে গিয়া হইয়া পড়িল।


{{gap}}এও তো সে পুরাতন বিছানা নহে। চার-পাঁচখানা তোশকে শয্যাতল পূর্বের চেয়ে অনেক নরম। আবার একটি গজ- সে অগুরুর কি খসখসের কি কিসের ঠিক বুঝা গেল না। মহেন্দ্র অনেকবার এপাশ-ওপাশ করিতে লাগিল কোথায় যেন পুরাতনের কোনো-একটা নিদর্শন খুঁজিয়া পাইয়া তাহা আঁকড়াইয়া ধরিবার চেষ্টা। কিন্তু কিছুই হাতে ঠেকিল না।
{{gap}}এও তো সে পুরাতন বিছানা নহে। চার-পাঁচখানা তোশকে শয্যাতল পূর্বের চেয়ে অনেক নরম। আবার একটি গন্ধ - সে অগুরুর কি খসখসের কি কিসের ঠিক বুঝা গেল না। মহেন্দ্র অনেকবার এপাশ-ওপাশ করিতে লাগিল কোথায় যেন পুরাতনের কোনো-একটা নিদর্শন খুঁজিয়া পাইয়া তাহা আঁকড়াইয়া ধরিবার চেষ্টা। কিন্তু কিছুই হাতে ঠেকিল না।


{{gap}}রাত্র নটার সময় রুদ্ধ দ্বারে ঘা পড়িল। বিননাদিনী বাহির হইতে কহিল, ঠাকুরপো, তোমার খাবার আসিয়াছে, দুয়ার খোলো।”
{{gap}}রাত্র নটার সময় রুদ্ধ দ্বারে ঘা পড়িল।বিনোদিনী বাহির হইতে কহিল, ঠাকুরপো, তোমার খাবার আসিয়াছে, দুয়ার খোলো।”


{{gap}}তখনই দ্বার খুলিবার জন্য মহেন্দ্র ধড়ফড় করিয়া উঠিয়া শাসির অর্গলে হাত লাগাইল। কিন্তু খুলল না— মেঝের উপর উপুড় হইয়া লুটাইয়া কহিল, “না না, আমার ক্ষুধা নাই, আমি খাইব না।”
{{gap}}তখনই দ্বার খুলিবার জন্য মহেন্দ্র ধড়ফড় করিয়া উঠিয়া শাসির অর্গলে হাত লাগাইল। কিন্তু খুলল না— মেঝের উপর উপুড় হইয়া লুটাইয়া কহিল, “না না, আমার ক্ষুধা নাই, আমি খাইব না।”