বেল্লিক রামায়ণ/অভারাম ও টেকচাঁদ

অভারাম ও টেকচাঁদ সংবাদ।

অতঃপর শুন ভাই যাহা সে ঘটিল।
টেকচাঁদে অভারামে পথে দেখা হৈল॥
আতরমণির বাড়ী গােলামী কারণে।
কত কথা যে জন শুনায় অভারামে॥
সেই জন হয় এই টেকচাঁদ শেঠ।
নানা বুদ্ধিবলে যেই মােটা করি পেট॥
অভারাম-মুখে শুনি আতর-মহিমা।
গুণের তাহার নাহি পায় ত সে সীমা॥
যায় লুকাইয়ে ক্রমে নিকটে তাহার।
চেষ্টা করি মজাইল মন সে বামার॥
পড়িল অভার তবে বাড়াভাতে ছাই।
আতরের মন আর তাহাতে ত নাই॥
কাছে যদি যায় অভা তাহার এক্ষণে।
তাড়ায় গলায় হাত দিয়ে দরোয়ানে॥
তুই খেতে না দিলে কি খেতে নাহি পাবো।
ঈশ্বরের রাজ্য আমি কি হেতু ভাবিব॥

পড়িল অভার তবে বাড়া ভাতে ছাই।
আতরের মন আর তাহাতে ত নাই॥
কাছে যদি যায় অভা তাহার এক্ষণে।
তাড়ায় গলায় হাত দিয়ে দরােয়ানে॥
“হায় হায় কি হইল, এ কি সর্ব্বনাশ।
বিনা মেঘে বজ্রাঘাত দারুণ হুতাশ॥
কে আছ গো দয়াবান্ পর-উপকারী।
মিলায়ে আতর মােরে দেহ ত্বরা করি॥
নতুবা এ পাপপ্রাণ রাখিব না ঠিক।
এ ছার জীবনে মাের ধিক্‌ শত ধিক্॥”
এইরূপ বহুতর করিছে বিলাপ।
তাভারাম মনে তার পেয়ে বহু তাপ॥
এ দিকে ঘটনা এক হইল আবার।
নালিশ করিল নামে যত পা(ও)নাদার॥
সব দিকে বজ্রাঘাত হলো একেবারে।
ভাবিয়া না পায় অভা কি তখন করে॥
বিপদ একক নাহি আসে কদাচন।
চারিধার হতে তার হয় ত বেষ্টন॥
সুখ আসে সত্য বটে অতি ধীরে ধীরে।
দুঃখ কিন্তু চেপে এসে পড়ে একেবারে॥
আটে পিঠে বাঁধন তাহার সদা পড়ে।
সে জ্বালা ভুঞ্জিতে সবে হবে হাড়ে হাড়ে॥

কি করি, উপায় নাহি পায় ত ভাবিয়ে।
কাঁদে অভা, ভাবে আর গালে হাত দিয়ে॥
রেল্লিকের রামায়ণ অপূর্ব্ব যে অতি।
যে পড়ে সকায়ে তার হয় স্বর্গে গতি॥