বেল্লিক রামায়ণ/দর্পনারায়ণ চরিত
অথ দর্পনারায়ণ-চরিত।
দর্পনারায়ণ নামে এক মহাজন।
কলিকাতা সহরেতে আছিল তখন॥
ব্রাহ্মণের ঘরে জন্ম সে লইয়েছিল।
বেল্লিকরামের সাথে বন্ধুত্ব আছিল॥
বড় বুদ্ধিমান্ বলি গণে তারে দশে।
বেল্লিক যুক্তির হেতু যায় তার পাশে॥
জিজ্ঞাসে বেল্লিক তারে “বল দেখি ভাই।
ঠেকেছি যে দায়ে তার কি উপায় নাই॥
কোথা যে গিয়েছে মাতা নাহি আমি জানি।
মরেছে কি আছে প্রাণে সেই সে জননী॥
কাশীধামে গিয়াছেন বলেছি শ্বশুরে।
কহিয়াছি গিয়ে তাঁরে আনিব অচিরে॥
তার পর আনিব গে তাঁর দুহিতায়।
বল দেখি এক্ষণেতে হয় কি উপায়॥”
শ্রীদর্প বলিল, “তার জন্যে কি ভাবনা।
এখনি উপায় হবে,—পূরিবে কামনা॥
সহজ উপায় এর পড়িয়া ত রয়।
এর জন্যে ভাবনা কি কহি সমুদয়॥
পাঠাও লিখিয়া কল্য এই সে তাঁহারে।
হয়েছেন কাশীপ্রাপ্ত মাতা এইবারে॥
ঠিক করি দিন এক লিখিয়া পাঠাও।
এর জন্য মিছা কেন চিন্তি ভয় পাও॥
বেল্লিক শুনিয়ে সুখী বন্ধুর এ বাণী।
পুলকেতে করে কর স্পর্শেন অমনি॥
বলেন “সাবাস ভাই তব বুদ্ধিবল।
একেবারে চিন্তা যেন কোরে দিলে জল॥
অকূল সাগরে ভেলা তুমি যে আমার।
তুমি বিনে এ বিপদে পাই কিসে পার॥
জাহাজ বিশেষ তুমি বুদ্ধি ও জ্ঞানেতে।
না জানি কতই বুদ্ধি আছে ও পেটেতে॥”
বাস্তবিক বেল্লিক যা বলে তাহা ঠিক।
এক বিন্দু মাত্র কভু নহে ত বেঠিক॥
বিশেষ প্রমাণ কিছু দিই এইখানে।
সার অংশ যেটুকু বেল্লিক রামায়ণে॥