মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মাসে আরবি ও ফার্সি বিভাগ নামে যাত্রা শুরু হয়। তবে এর আগে "প্রাচ্য ভাষা" বিভাগের অধীনে ছিল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে প্রফেসর ড. এম এ গফুর (১৯৭৭-১৯৮০) বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ড. এ এম শরফুদ্দীন (১৯৮০-১৯৮৩), প্রফেসর ড. এম এম আব্দুল গফুর চৌধুরী (১৯৮৩-১৯৮৬), প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রশিদ (১৯৮৬-১৯৮৯), ড. মুফিজ উদ্দীন (১৯৮৯-১৯৯২), প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক খতিবী (১৯৯২-১৭/০৯/১৯৯৫) পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিভাগের নাম "আরবি ও ফার্সি" হলেও ফার্সি পড়ার মত কোন শিক্ষার্থী না থাকায় এই বিষয়ে কোন কিছু সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ফলে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ফার্সি স্থলে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পাঠদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির বৈঠকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সর্বসম্মত সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে পেশ করা হয়। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় "আরবি ও ফার্সি" অধীনে ১৯৮৮-১৮৮৯ সেশন আরবি খ হিসেবে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে ভর্তি করানো হয়। অনার্স ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ আরবি "খ" নামে ইসলামিক স্টাডিজের মার্কশীট ও ফলাফল তৈরী করা হয়। বিভাগীয় শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় শিক্ষার্থীরা আরবি খ এর স্থলে ইসলামিক স্টাডিজ লিখা ও স্বতন্ত্র বিভাগ খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবী পেশ করেন। দাবী বাস্তবায়নের নিমিত্তে শিক্ষার্থীরা সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং,মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রভৃতির মাধ্যমে জোরালো আন্দোলন করতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে ১৮-০৯-১৯৯৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় "আরবি ও ফার্সি " এর স্থলে "আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ" নামকরণ করা হয় এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রীর সার্টিফিকেট দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক খতিবী (১৮/০৯/১৯৯৫-২৬/০৯/১৯৯৫) ০৯ দিন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ড. এফ এম আমিনুল হক (২৭/০৯/১৯৯৫-১৯৯৮), ড. রফিক আহমদ (১৯৯৮-২০০১), ড. হাফেজ মুহাম্মাদ বদরুদ্দোজা (২০০১-২০০৪), ড. আ ক ম আব্দুল কাদের (২০০৪-২৫/০৫/২০০৫) পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২৬/০৫/২০০৫ তারিখ থেকে আরবি বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে "ইসলামিক স্টাডিজ " নামে কলা অনুষদের অধীনে নব উদ্যোমে পথচলা শুরু করে। চট্টগ্রামের সূর্যসন্তান ড. আনোয়ারুল হক খতিবীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্বে বিভাগটি আরবি বিভাগের সঙ্গে একত্রিত ছিলো। এই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ডক্টর ইলিয়াস সিদ্দিকী। এই বিভাগের সদস্য বর্তমানে ১৭ জন এবং প্রায় ৭০০ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। ২০০৯ সালে বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের প্লাটফর্ম এর জন্য তরুণ লেখক ও সংগঠক মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন নিজেই স্যোসাইল মিডিয়া Islamic Studies CU (ইসলামিক স্টাডিজ চবি) নামে ফেইসবুক গ্রুপ Islamic Studies CU নামে ফেইসবুক পেইজ খুলেছিলাম। এর আগে এই রকম প্লাটফর্ম কোন স্যোসাইল মিডিয়ায় কোন আইডি কিংবা গ্রুপ ছিলো না। তবে ব্যাচ ভিত্তিক অনেক গ্রুপ ছিলো এখনো আছে। পরবর্তীতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ আরো বড় পরিসরে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এবং বিভাগীয় শিক্ষকদের নিয়ে " ইসকপ Islamic Studies Communication Platform (ISCP)" নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপ খোলা হয়। ইতোমধ্যে এটিই বিভাগের অফিসিয়াল গ্রুপ হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। একইসাথে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বহুদিনের প্রত্যাশিত "ইসলামিক স্টাডিজ এ্যালামনাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (Islamic Studies Alumni Association CU)এবং অধ্যায়নত বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে "ইসলামিক স্টাডিজ সমিতি (Islamic Studies Samity)গঠন করা হয়। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বিভাগ। খুবই অল্প সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ হতে এই বিভাগটি জ্ঞান-গবেষণায় খ্যাতি অর্জন করেছে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মাসে আরবি ও ফার্সি বিভাগ নামে যাত্রা শুরু হয়। তবে এর আগে "প্রাচ্য ভাষা" বিভাগের অধীনে ছিল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে প্রফেসর ড. এম এ গফুর (১৯৭৭-১৯৮০) বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ড. এ এম শরফুদ্দীন (১৯৮০-১৯৮৩), প্রফেসর ড. এম এম আব্দুল গফুর চৌধুরী (১৯৮৩-১৯৮৬), প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রশিদ (১৯৮৬-১৯৮৯), ড. মুফিজ উদ্দীন (১৯৮৯-১৯৯২), প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক খতিবী (১৯৯২-১৭/০৯/১৯৯৫) পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিভাগের নাম "আরবি ও ফার্সি" হলেও ফার্সি পড়ার মত কোন শিক্ষার্থী না থাকায় এই বিষয়ে কোন কিছু সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ফলে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ফার্সি স্থলে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পাঠদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির বৈঠকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সর্বসম্মত সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে পেশ করা হয়। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় "আরবি ও ফার্সি" অধীনে ১৯৮৮-১৮৮৯ সেশন আরবি খ হিসেবে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে ভর্তি করানো হয়। অনার্স ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ আরবি "খ" নামে ইসলামিক স্টাডিজের মার্কশীট ও ফলাফল তৈরী করা হয়। বিভাগীয় শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় শিক্ষার্থীরা আরবি খ এর স্থলে ইসলামিক স্টাডিজ লিখা ও স্বতন্ত্র বিভাগ খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবী পেশ করেন। দাবী বাস্তবায়নের নিমিত্তে শিক্ষার্থীরা সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং,মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রভৃতির মাধ্যমে জোরালো আন্দোলন করতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে ১৮-০৯-১৯৯৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় "আরবি ও ফার্সি " এর স্থলে "আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ" নামকরণ করা হয় এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রীর সার্টিফিকেট দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক খতিবী (১৮/০৯/১৯৯৫-২৬/০৯/১৯৯৫) ০৯ দিন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ড. এফ এম আমিনুল হক (২৭/০৯/১৯৯৫-১৯৯৮), ড. রফিক আহমদ (১৯৯৮-২০০১), ড. হাফেজ মুহাম্মাদ বদরুদ্দোজা (২০০১-২০০৪), ড. আ ক ম আব্দুল কাদের (২০০৪-২৫/০৫/২০০৫) পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২৬/০৫/২০০৫ তারিখ থেকে আরবি বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে "ইসলামিক স্টাডিজ " নামে কলা অনুষদের অধীনে নব উদ্যোমে পথচলা শুরু করে। চট্টগ্রামের সূর্যসন্তান ড. আনোয়ারুল হক খতিবীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্বে বিভাগটি আরবি বিভাগের সঙ্গে একত্রিত ছিলো। এই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ডক্টর ইলিয়াস সিদ্দিকী। এই বিভাগের সদস্য বর্তমানে ১৭ জন এবং প্রায় ৭০০ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। ২০০৯ সালে বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের প্লাটফর্ম এর জন্য তরুণ লেখক ও সংগঠক মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন নিজেই স্যোসাইল মিডিয়া Islamic Studies CU (ইসলামিক স্টাডিজ চবি) নামে ফেইসবুক গ্রুপ Islamic Studies CU নামে ফেইসবুক পেইজ খুলেছিলাম। এর আগে এই রকম প্লাটফর্ম কোন স্যোসাইল মিডিয়ায় কোন আইডি কিংবা গ্রুপ ছিলো না। তবে ব্যাচ ভিত্তিক অনেক গ্রুপ ছিলো এখনো আছে। পরবর্তীতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ আরো বড় পরিসরে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এবং বিভাগীয় শিক্ষকদের নিয়ে " ইসকপ Islamic Studies Communication Platform (ISCP)" নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপ খোলা হয়। ইতোমধ্যে এটিই বিভাগের অফিসিয়াল গ্রুপ হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। একইসাথে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বহুদিনের প্রত্যাশিত "ইসলামিক স্টাডিজ এ্যালামনাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (Islamic Studies Alumni Association CU)এবং অধ্যায়নত বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে "ইসলামিক স্টাডিজ সমিতি (Islamic Studies Samity)গঠন করা হয়। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বিভাগ। খুবই অল্প সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ হতে এই বিভাগটি জ্ঞান-গবেষণায় খ্যাতি অর্জন করেছে। মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন (আলাপ) ১৬:০৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)