মহাভারত (উপক্রমণিকাভাগ)/পঞ্চত্রিংশ অধ্যায়
পঞ্চত্রিংশ অধ্যায়— আস্তীকপর্ব্ব।
শৌনক কহিলেন, হে সূতনন্দন! ভুজঙ্গজননী কদ্রু স্বীয় সন্তানদিগকে, এবং বিনতাতনয় অরুণ আপন জননীকে, যে কারণে শাপ দেন, আর মহাত্মা কশ্যপ কদ্রু ও বিনতাকে যে বর প্রদান করেন, এবং বিনতাগর্ভস্যুত বিহগযুগলের নাম, তুমি ক্রমে ক্রমে এই সমস্ত বর্ণন করিলে। কিন্তু এ পর্যন্ত সর্পগণের নাম কীর্ত্তন কর নাই। এক্ষণে আমরা প্রধান প্রধান সর্পের নাম শ্রবণে বাসনা করি।
উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, হে তপোধন। সর্পগণ অসংখ্য, অতএব তাহাদের সকলের নাম কীর্ত্তন করিব না। প্রধান প্রধানের নামোল্লেখ করিতেছি, শ্রবণ করুন।
শেষ নাগ সর্ব প্রথমে জন্মেন, তদনন্তর বাসুকি, তৎপরে ঐরাবত, তক্ষক, কর্কটক, ধনঞ্জয়, কালিয়, মণিনাগ, আপূরণ, পিঞ্জরক, এশাপত্র, বামন, নীল, অনীল, কমাষ, শৰল, অর্যক, উগ্রক, কলশপোতক, শুয়ামুখ, দধিমুখ, বিমলপিণ্ডক, অপ্ত, করোটক, শঙ্খ, বালিশিখ, নিষ্টানক, হেমগুহ, নহুষ, পিঙ্গল, বাহকর্ণ, হস্তিপদ, মুগরপিণ্ডক, কম্বল, অশ্বতর, কালীয়ক, বৃত্ত, সংবর্ত্তক, পদ্ম, পদ্ম, শঙ্খমুখ, কুষ্মক, মেক, পিণ্ডারক, করবীর, পুষ্পদংষ্ট্র, বিক, বিপাণ্ডুর, মুষকাদ, শঙ্খশিরাঃ, পূর্ণভদ্র, হরিদ্র, পরাজিত, জ্যোতিক, বহ, কৌরব্য, ধৃতরাষ্ট্র, শঙ্খপিণ্ড, বিরজা, সুবাহু, শালিপিণ্ড, হস্তিপিণ্ড, পিঠরক, সুমুখ, কৌণপাসন, কুঠর, কুঞ্জর, প্রভাকর, কুমুদ, কুমুদাক্ষ, তিত্তিরি, হলিক, কর্দ্দম, বহুমুলক, কর্কর, অকৰ্কর, কুণ্ডোদর ও মহোদর। হে দ্বিজোত্তম! প্রধান প্রধান নাগের নাম শুনাইলাম; বাহুল্য। ভয়ে অপরাপরের নাম কীর্ত্তন করিলাম না। ইহাদের সন্তান ও সন্তানের সন্তান অসংখ্য; এই নিমিত্ত তাহাদের কথা বলিলাম না। বহু সহস্র, বহু প্রযুত, বহু অর্ব্বুদ সর্প আছে, তাহাদের সংখ্যা করা অসাধ্য।