মহাভারত (উপক্রমণিকাভাগ)
মহাভারত।
উপক্রমণিকাভাগ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সঙ্কলিত।
তৃতীয় সংস্করণ।
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে সাহায্য:চিত্র দেখুন। |
কলিকাতা
সংস্কৃত যন্ত্র।
সং ব ৎ ১ ৯ ৫ ০।
PUBLISHED BY THE CALCUTTA LIBRARY
No., 25, SUKEAS' STREET, CALCUTTA.
1894.
All rights reserved.
THE
MAHABHARATA
IN BENGALI
INTRODUCTORY CHAPTERS.
BY
ISWARA CHANDRA VIDYASAGARA.
THIRD EDITION
মহাভারত।
উপক্রমণিকাভাগ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সঙ্কলিত।
তৃতীয় সংস্করণ।
কলিকাতা
সংস্কৃত যন্ত্র।
PUBLISHED BY THE CALCUTTA LIBRARY
No., 25, SUKEAS' STREET, CALCUTTA.
1893.
বিজ্ঞাপন
মহাভারতের উপক্রমণিকাভাগ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকাতে ক্রমে ক্রমে প্রকাশিত হইয়াছিল। ইহা পৃথক প্রচারিত হয় আমার এরূপ অভিলাষ ছিল না। অবশেষে কতিপয় বন্ধুর সবিশেষ অনুরোধে পুস্তকাকারে প্রচারিত হইল। পুস্তকাকারে প্রচারিত করিতে গেলে পরিশ্রমসহকারে সংশোধনাদি করা আবশ্যক, কিন্তু অবকাশবিরহাদি কারণ বশতঃ তাহা সম্যক্ সমাহিত হইয়া উঠে নাই; সুতরাং বিশেষজ্ঞ মহাশয়েরা স্থানে স্থানে অশেষ দোষ দর্শন করিবেন, তাহার সন্দেহ নাই।
মহাভারতে নির্দ্দেশ আছে, কেহ প্রথম অবধি, কেহ আস্তীকপর্ব্ব অবধি, কেহ উপরিচর রাজার উপাখ্যান অবধি, ভারতের আরম্ভ বিবেচনা করিয়া থাকেন। যাঁহার শেষ কল্প অবলম্বন করেন, তাঁহাদের মতে উপরিচর রাজার উপাখ্যান অবধি ভারতের প্রকৃত আরম্ভ; সুতরাং তত্তন্মতে তৎপূর্ব্ববর্তী অধ্যায় সকল তদীয় উপক্রমণিকা স্বরূপ। এই পুস্তক ঐ অংশের অনুবাদ মাত্র; এই নিমিত্ত শেষ কল্প অবলম্বন করিয়া অনুবাদিত অংশ উপক্রমণিকাভাগ বলিয়া উল্লিখিত হইল।
মূলগ্রন্থের অবিকল অনুবাদ প্রকাশ করাই তত্ত্ববোধিনী সভার উদ্দেশ্য ছিল, আমিও অনুবাদকালে তদনুরূপ চেষ্টা ও যত্ন করিয়াছিলাম। কিন্তু সভার অভিপ্রায় রক্ষা বিষয়ে কত দূর কৃতকার্য্য হইয়াছি, বলিতে পারা যায় না। যাহা হউক, মূলের সহিত ঐক্য করিয়া দেখিলে অনেক স্থলে অর্থগত ও তাৎপর্য্যনিষ্ঠ বৈলক্ষণ্য লক্ষিত হইবেক, তাহার সংশয় নাই। মূলগ্রন্থে অনেক স্থান এরূপ আছে যে, সহজে অর্থবোধ ও তাৎপর্য্যগ্রহ হওয়া দুর্ঘট। সেই সকল স্থল, অনুধাবন করিয়া অথবা টীকাকরদিগের ব্যাখ্যা দেখিয়া পূর্ব্বাপর যেরূপ বোধ হইয়াছিল, তদনুসারেই অনুবাদিত হইয়াছে; সুতরাং তত্তস্থলের অনুবাদ সর্বসম্মত হওয়া সম্ভাবিত নহে। ফলতঃ নানা কারণ বশতঃ মহাভারতের অনুবাদ নিতান্ত সহজ ব্যাপার নয়।
যাহা হউক, এই পুস্তক পাঠ করিয়া সকলে প্রীত হইবেন, এরূপ প্রত্যাশা করতে পারা যায় না। যদি ইহা পাঠকবিশেষের পক্ষে কিঞ্চিৎ অংশেও প্রীতিপ্রদ হয়, তাহা হইলেই শ্রম সফল বোধ করিব।
কলিকাতা।
|
|
শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা। |
সূচীপত্র
এই লেখাটি ১ জানুয়ারি ১৯২৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত এবং বিশ্বব্যাপী পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত, কারণ উক্ত লেখকের মৃত্যুর পর কমপক্ষে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে অথবা লেখাটি ১০০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে ।