মহুয়া/অচেনা
< মহুয়া
(পৃ. ৪৩-৪৪)
অচেনা
রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কী ক’রে,
যতক্ষণ চিনি নাই তোরে?
কোন্ অন্ধক্ষণে
বিজড়িত তন্দ্রাজাগরণে
রাত্রি যবে সবে হয় ভোর,
মুখ দেখিলাম তোর।
চক্ষু’পরে চক্ষু রাখি শুধালেম, কোথা সঙ্গোপনে
আছ আত্ম-বিস্মৃতির কোণে?
তোর সাথে চেনা
সহজে হবে না,
কানে কানে মৃত্যু কণ্ঠে নয়।
ক’রে নেবো জয়
সংশয়-কুষ্ঠিত তোর বাণী;
দৃপ্ত বলে লবো টানি’
শঙ্কা হ’তে, লজ্জা হ’তে, দ্বিধাদ্বন্দ্ব হ’তে
নির্দ্দয় আলোতে।
জাগিয়া উঠিবি অশ্রুধারে,
মুহূর্ত্তে চিনিবি আপনারে;
ছিন্ন হবে ডোর,
তোমার মুক্তিতে তবে মুক্তি হবে মোর।
হে অচেনা,
দিন যায়, সন্ধ্যা হয়, সময় র’বে না;
মহা আকস্মিক
বাধাবন্ধ ছিন্ন করি’ দিক্
তোমারে চেনার অগ্নি দীপ্তশিখা উঠুক্ উজ্জ্বলি’,
দিব তা’রে জীবন অঞ্জলি॥
* আষাঢ়, ১৩৩৫